"হঠাৎ শিলাবৃষ্টি"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
কেমন আছেন বন্ধুরা?
আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন।প্রতিদিনের অসহ্য গরমে ক্ষুব্ধ পৃথিবী,প্রতিদিন সকাল বিকাল ঝড়-বৃষ্টি হয়েই চলেছে।এক বিরক্তিকর পরিবেশের সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা গরম থেকে শান্তির আভাস কিন্তু মেলে।যাইহোক আজ আমি বৃষ্টি নিয়ে কিছু অনুভূতি প্রকাশ করবো।সেটি হলো-"হঠাৎ শিলাবৃষ্টি"।
"বৃষ্টি" যাকে নিয়ে আমরা হাজারো মনের কথা প্রকাশ করি।কবিতা লিখি,গল্প লিখি আবার মাঝে মাঝেই গুনগুনিয়ে বেসুরে গান ধরি ,কখনোবা হরর মুভি দেখি ,আবার কখনো কখনো গল্পের বই পড়ি,কখনো গরম গরম চায়ে চুমুক, আবার কখনো খিচুড়ি খাওয়ার ও ভাজাপোড়া খাওয়ার লড়াই।সবমিলিয়ে দারুণ উপভোগ্য এই বৃষ্টির মুহূর্তটা।
হঠাৎ শিলাবৃষ্টি
গতদিনের কথা বলছি।সারাদিন বেশ ফুরফুরে হাওয়া বইছিল সঙ্গে রোদ উজ্জ্বল পরিবেশ সকাল থেকে।ভ্যাপসা গরমটা ছিল না।তবে যখন 3 বেজে 24 মিনিট হঠাৎ চারিদিকে রোদ ম্লান হয়ে প্রবল ঝোড়ো হাওয়া বইতে বইতে ঝড় উঠলো।ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টি ও পড়ছিল তবে স্থির নয়।ঝোড়ো বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টির ফোঁটা উড়ে যাচ্ছিল।মা তখন ভেন্ডি ক্ষেত থেকে ভেন্ডি তুলতে ব্যস্ত ছিলেন ।আমি দেখতে গেলাম আমাদের বাড়িতে আসা সেই কুকুরটি কোথায় গেছে সেটি।এর মধ্যে নামলো ঝমঝম করে বৃষ্টি।
দেখতে দেখতে উঠোন কাদা হয়ে গেল এবং গাছগুলো ভিজে বৃষ্টিস্নাত হয়ে গেল।আমি তখন সবে ফোনের নেট অন করেছি।এমন সময় বোমের মতই শব্দ হলো একটি বজ্রপাতের।তারপর একের পর এক,এভাবে কয়েকটি........।আমি সঙ্গে সঙ্গে ফোনের নেট অফ করে দিলাম।আবার আমাদের ঘরের চালে টপাটপ শব্দ হলো শিলা পড়ার।দেখতে দেখতে উঠোন সাদা হয়ে গেল বড়ো বড়ো শিলায়।কয়েকটি উঠোনের কোন থেকে শিলা তুলে নিয়ে ধুয়ে খেলাম আমি।এটি আমাদের ছোটবেলা থেকেই অভ্যেস।শিলা বৃষ্টি হলেই ছাতা উল্টে পেতে শিলা ধরতাম এবং তারপর মুখের মধ্যে পুরে খেয়ে ফেলতাম। বরফ ভেবে খেয়ে ফেলতাম, কিন্তু অতিরিক্ত খেলেই ঠান্ডা লাগার সমস্যা।শিলার সাইজ বেশ বড়ো বড়ো ছিল।কোনো কোনো শিলা গোলাকার মার্বেলের মতো আবার কোনোটি সমান নয় মিছুরির মতোই অসমান।
বৃষ্টির আবার অনেক ভাগ আর নাম।শিলাবৃষ্টি, অম্লবৃষ্টি,টিপটিপ বৃষ্টি, ঝিরঝির বৃষ্টি ও ঝপাঝপ বৃষ্টি কত মিষ্টি মিষ্টি নাম।যাইহোক এটাই ছিল শিলাবৃষ্টি নিয়ে লেখা আমার অনুভূতি।কিছু সময় শিলাবৃষ্টি হয়ে তারপর শুধুই বৃষ্টি হলো।এরপর ধীরে ধীরে সন্ধ্যা হল তারপর কিছু রাত পর্যন্ত চলল শুধুই বৃষ্টি.........।
আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের অনুভূতি ভালো লাগবে।সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ও সাবধানে থাকবেন।
টুইটার লিংক
আমাদের এখানেও পরশোদিনে শিলা বৃষ্টি হয়েছিল এখন এর আবহাওয়া বোঝা মুশকিল দিদি কখুন বৃষ্টি চলে আসে সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন ধন্যবাদ শেয়ার করার জন।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, এখন যখন তখন বৃষ্টি হচ্ছে।আপনাকে ও ধন্যবাদ।
আপনি বৃষ্টি নিয়ে অসাধারন অনুভুতি প্রকাশ করেছেন। আপনি এতো সুন্দর করে প্রকাশ করেছেন, যেখানে সুন্দর একটি গল্পের রূপ পেয়েছে। হ্যাঁ আপনি ঠিকই বলেছেন আমরা বৃষ্টি নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা আনন্দ উচ্ছ্বাস নিয়ে মেতে থাকি। কবিতার ছন্দ কত আনন্দ সে কি আর বলে বোঝানো যায়। আর আপনি ঠিকই বলেছেন বৃষ্টির অপরূপ সৌন্দর্যের অনেকগুলো নাম রয়েছে। যেগুলো আপনি খুব সুন্দর করে আমাদেরকে বলে দিয়েছে। আমাদেরকে এত সুন্দর করে মনের ভাবগুলো শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
শিলাবৃষ্টি দেখে আমি খুব ভয় করি কারণ এই সময়ে যদি আপনি কোন কারণে বাড়িতে থাকেন আর যদি শিলাবৃষ্টিতে শুরু হয়ে যায় তাহলে মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। বর্তমান প্রচুর পরিমাণে শিলাবৃষ্টি দেখা যাচ্ছে যার ফলে বৃষ্টি হলে আমি আর বাইরে থাকি না চেষ্টা করি কোন নিরাপদ জায়গায় অবস্থান নেওয়ার জন্য। তবে আপনার মত শিলা সংগ্রহ করার ইচ্ছা আমার ছিল। আমিও আপনার মত ছাতা উল্টো করে ধরে শিলা সংগ্রহ করতাম।
ঠিক বলেছেন আপু,শিলাবৃষ্টি খুবই ক্ষতিকর।তাই সাবধানে থাকা উচিত, ধন্যবাদ আপনাকে ।
শিলাবৃষ্টির কথা শুনে আমি বেশ ভালো লাগতেছে। আমিও আপনার মত এরকম শিলাবৃষ্টি খুবই পছন্দ করি। ছাতা উল্টো করে ধরে শিলাবৃষ্টি সংগ্রহ করাটা বেশ মজার। বৃষ্টি নিয়ে অনেক সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করেছেন। আমার কাছে বিষয়টি বেশ ভালো লাগলো। টাটা মোটর শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
এটা কি আপু ঠিক বুঝতে পারলাম না।আমার মনে হয় আপনি কমেন্ট কপি করে পেস্ট করতে গিয়ে ভুলে অন্যকে করা কমেন্টের কিছু অংশ দিয়ে ফেলেছেন।যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে যখন গ্রামে থাকতাম আপনি তখনই শিলাবৃষ্টি খুব ভালো উপভোগ করতাম। কিন্তু এখন শহরে এসে এটা উপভোগ করা যায় না, হয়তো বৃষ্টির পরে জানতে পারি যে এটা শিলা বৃষ্টি হয়েছিল। তবে আজকে আপনি শিলাবৃষ্টি নিয়ে অনুভূতি প্রকাশ করেছে খুব ভালো লাগছে।
গ্রামেই প্রকৃতির সবকিছু ভালোভাবে উপভোগ করা যায় ভাইয়া।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
সবচাইতে মেজাজ গরম করা বৃষ্টি হচ্ছে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হা হা। টিপটিপিয়ে পড়তেই থাকে। সেই ছোট বেলায় শিলা বৃষ্টি দেখেছি। কত শিল কুড়িয়ে গামছায় মুড়িয়ে দলা বানিয়েছি। এখন আর আমাদের এদিকে শিলা বৃস্টি দেখা যায় না। তবে হটাৎ দু চারট পরে তারপর মিলিয়ে যায়। তবে শিলা বৃষ্টি কৃষকদের জন্য খুবি খারাপ সংবাদ। তাদের চাষ করা যে কোন ফসল শিলা বৃষ্টির কারনে নষ্ট হয়ে যায়। যা হোক প্রকৃতিতে সবকিছুই প্রয়োজন রয়েছে । শিল গুলো ছোট টাইপ মনে হলো। আমার দিদি মা বলতো এই শিল একটি মুখে দিয়ে খেতে হয় বছরের প্রথমে তাহলে আর কোন ধরনের ঠান্ডা জাতীয় রোগ হয় না সারা বছর। ভাল থাকবেন বোন। শুভেচ্ছা।
ঠিক বলেছেন দাদা,শিলাবৃষ্টি খুবই ক্ষতিকর।তাই সাবধানে থাকা উচিত।তাছাড়া এই শিলাগুলি একেবারে ছোট নয় গলে গেছে তাই।আপনার মাধ্যমে নতুন কিছু জানতে পারলাম, ধন্যবাদ আপনাকে দাদা ।
শিলা বৃষ্টি উপভোগ করা যায় মাথার উপরে যদি টিনের চাল থাকে তবে। টিনের চালের উপর ঠাস ঠাস কর বরফ গুলো পড়ে। আগে ছোটবেলায় এই বরফ গুলো ধুয়ে খেতাম। হাহা। শিলা বৃষ্টি নিয়ে চমৎকার লিখেছেন। পড়লাম আপনার লেখাটী। ভাল লাগলো
ঠিক বলেছেন টিনের চালে যেমন অনুভূত হয় তেমনি ভয় লাগে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
হঠাৎ শীলাবৃষ্টি নিয়ে চমৎকার লিখনী ছিল দিদি।
ছোট্ট বেলার কথা মনে করিয়ে দিলেন।
আমিও দু একটা মুখে দিতাম। এটা একটা অন্যরকম অনুভূতি।
ভীষণ ভালো ছিল সময়গুলো।
ধন্যবাদ দিদি।
আমি তো আগেরদিনও দুটি শিলা মুখে পুরে দিয়েছিলাম ভাইয়া☺️☺️. আপনি চাইলে এখনও সেই সময় কিছুটা হলেও উপভোগ করতে পারেন,অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।