"কুঁচে মাছের কষানো ভুনা রেসিপি"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
বন্ধুরা,কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন।আজ আমি একদম অন্য স্বাদের একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের সামনে।সেটি হলো-"কুঁচে মাছের কষানো ভুনা রেসিপি"।
কুঁচে মাছ দেখতে অনেকটা সাপের মতো।সত্যি বলতে আমি
এই মাছ খাই না তবে এই মাছ আমার মা-বাবা খুবই তৃপ্তির সঙ্গে খান।কারণ এই মাছ খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি উপকারী ও বটে।শরীরে রক্ত তৈরি হয় এই মাছ খেলে।তাছাড়া এই মাছ যে খান সেই গুণকীর্তন করেন।এমন অনেক মানুষের মুখে আমি শুনেছি যে এটির স্বাদ মাংসকেও হার মানায়।আর এটি রান্নার পর দারুণ একটা সুগন্ধ পাওয়া যায়।এই মাছ মসলা বেশি করে দিয়ে কষিয়ে বা আলুর সঙ্গে রান্না করলে খুবই স্বাদের হয় খেতে।কুঁচে মাছ আমাদের বাড়ির পাশে ক্যানেলে পাওয়া যায় মাঝে মাঝেই।কোনো কোনো সময় এটি বাজার থেকে কিনে খাওয়াও হয়।তবে অনেকদিন পর যখন গতকাল বাবা ক্যানেলে খাপ জালে মাছ ধরছিলেন তখন এই কুঁচে মাছটি পান ।মাছটি বেশ বড়োই ছিল, যেহেতু আমি এই মাছ খাই না তাই আর গোটা মাছের ছবি তুলিনি।তারপর মা মাছটি কেটে দিয়ে আমাকে রান্না করতে বললো।তাই ভাবলাম আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করি,কারন কমিউনিটিতে অনেক বন্ধুই এই মাছ খেতে পছন্দ করেন।তো চলুন শুরু করা যাক---
◆উপকরনসমূহ◆
ক্রমিক নং | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
1 | কুঁচে মাছ | 1টি |
2 | পেঁয়াজ কুচি | 2 টি |
3 | রসুন কুচি | 4 টি |
4 | কাঁচা মরিচ | 6 টি |
5 | গোটাজিরা ও আদা বাটা | 4 টেবিল চামচ |
6 | শুকনা মরিচ গুঁড়া | 1/2 টেবিল চামচ |
7 | গরম মসলা গুঁড়া | 1/2 টেবিল চামচ |
8 | লবণ | 1 টেবিল চামচ |
9 | হলুদ | 1/2 টেবিল চামচ |
10 | সরিষার তেল | 60 গ্রাম |
11 | জল | পরিমাণ মতো |
◆প্রস্তুত প্রণালি◆
➤প্রথমে কুঁচে মাছের গা থেকে ছাল ছাড়িয়ে নিয়ে বটির সাহায্যে পিচ পিচ করে কেটে নেব।তারপর জল দিয়ে ধুয়ে নিয়ে আবারো উষ্ণ হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে নেব ভালোভাবে।যাতে কুঁচে মাছে কোনো গন্ধ না থাকে।এই কুঁচে মাছে ডিম হয়েছিল, যেটি দেখতে খুবই সুন্দর ছিল।
➤এবারে বটির সাহায্যে পেঁয়াজ কুচি করে কেটে নেব কয়েকটি।
➤এই মাছটি যেহেতু শক্ত টাইপের ও একটু গন্ধযুক্ত তাই বেশি মসলা ব্যবহার করতে হবে। আমি এখানে কয়েকটি রসুনের কোয়ার খোসা ছাড়িয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি।
➤এরপর একে একে মসলা নিয়ে মেশাতে হবে।তো আমি এখানে পরিমাণ মতো লবণ, হলুদ, শুকনো মরিচ গুঁড়া ও গরম মসলা গুঁড়ো নিয়ে নেব মাছের মধ্যে।
➤এরপর বেঁটে রাখা মসলাগুলি ও শুকনো উপকরনের মসলাগুলি মাছের মধ্যে দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নেব হাত দিয়ে।
➤এবারে আমি চুলায় একটি কড়াই ধুয়ে বসিয়ে দেব মিডিয়াম আঁচে।কড়াইটি হালকা গরম হলে তাতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দেব।
➤তেল গরম হয়ে গেলে তার মধ্যে পেঁয়াজ ও রসুন কুচি দিয়ে দেব।সামান্য পরিমাণ মতো লবণ ও হলুদ দিয়ে ভেঁজে নেব।
➤তো আমার নেড়েচেড়ে ভেঁজে নেওয়া হয়ে গেছে পেঁয়াজ ও রসুন কুচিগুলি।
➤এরপর কাঁচা মরিচ ও মসলা মেশানো মাছগুলি কড়াইতে দিয়ে দেব।
➤বেশ কিছুক্ষণ সময় নিয়ে নেড়েচেড়ে মাছগুলি ভেঁজে নেব নেড়েচেড়ে।
➤এরপর এক বাটি জল দিয়ে দেব মাছের মধ্যে।যাতে শক্ত মাছগুলি ভালোভাবে সেদ্ধ হয়ে যায়।
➤এভাবে আমি মাছগুলি কষিয়ে রান্না করে নেব কিছু সময় ধরে।
➤এবারে ঝোল একেবারে কমে আসলে একটি পাত্রে নামিয়ে নেব কুঁচে মাছের রেসিপিটা।
➤তো আমার তৈরি করা হয়ে গেল "কুঁচে মাছের কষানো ভুনা রেসিপি"।এটি কিন্তু খুবই স্বাদের খেতে এবং মাংসের মতো ঘ্রানযুক্ত।
আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের রেসিপিটা ভালো লাগবে।সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ও সাবধানে থাকবেন।
টুইটার লিংক
কুচে মাছ আমি কখনো খাই নাই। তবে দেখতাম অনেকেই খাই। আমি জানিনা এই মাছের স্বাদ কেমন। তবে আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খুব সুস্বাদু। আপনি দারুন ভাবে কষিয়ে রান্না করেছেন। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি নিজেও এটি খাই না, তবে সবাই খেয়ে বলে এটি খুবই সুস্বাদু।অনেক ধন্যবাদ আপু।
কুঁচে মাছের কষানো ভুনা রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। সত্যি আমার কাছে অসম্ভব সুন্দর লেগেছে আপনার এই রান্না। আমিও মাঝে মাঝে এই মাছ খাই।ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।
আপনার কাছে রেসিপিটা ভালো লেগেছে জেনে আমি খুবই আনন্দিত।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার মাছটি আমার খুব চেনা। আমাদের এদিকে সচরাচর এই মাছটি খাওয়া হয়না। আমি এই মাছ খেতে পছন্দ করি না। আপনার রেসিপিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমি নিজেও এটি খাই না, তবে সবাই খেয়ে বলে এটি খুবই সুস্বাদু।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
কুঁচে মাছ বলতে আমি বুঝলাম না কি মাছে। তবে আমি কুচিয়া মাছ নামে এক প্রকার চিনি। দেখতে কিছুটা শাপের মত লাগে । এই মাছে খেলে নাকি অনেক রোগ ভালো হয় এবং খেতে অনেক সুস্বাদু। অনেক সুন্দর করে রেসিপিটি করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
ভাইয়া, আপনি ঠিকই ধরেছেন।কুচিয়া মাছ আর কুঁচে মাছ একই তবে অঞ্চলভেদে আলাদা আলাদা নামে পরিচিত।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
যদি সত্যি বলি, এই মাছটি আমি কখনো খাইনি তবে আপনার রেসাপিটি দেখে অনেক মজাদার হবে তাই ভাবছি। আপনার জন্য শুভকামনা রইল
হ্যাঁ ভাইয়া, এটি খুবই সুস্বাদু ও মজার খেতে।যারাই খায় তারাই গুণকীর্তন করে😊।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া💐
আমাদের ধর্মে সম্ভবত এই মাছ খাওয়া নিষেধ। সত্যি বলতে কি আমি আসলে কখনো খাইনি। তবে আপনি যেভাবে রান্না করেছেন তা দেখতে অনেক ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে যেন মাংস রান্না করেছেন। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ
আমার জানা মতে, আপনাদের ধর্মেও অনেকেই এই মাছ খেয়ে থাকেন।তবে সত্যি বলতে আমি নিজেও এটি খাই না, তবে সবাই খেয়ে বলে এটি খুবই সুস্বাদু।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি যে মাছটিকে কুচে মাছ বলছেন আমাদের এদিকে সেই মাছটিকে কুচিয়া মাছ বলে থাকে। আমি কখনো এই মাছটি খাইনি তবে অনেকের মুখে শুনেছি এই মাছটি খেতে অনেক সুস্বাদু ও মজাদার হয়ে থাকে। আর আপনার তৈরি রেসিপি দেখে আমার কাছেও ঠিক তাই মনে হচ্ছে। খুবই চমৎকার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য এবং এর রন্ধনপ্রণালীর প্রতিটি ধাপ তুলে ধরার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ভাইয়া, আপনি ঠিকই ধরেছেন।কুচিয়া মাছ আর কুঁচে মাছ একই তবে অঞ্চলভেদে আলাদা আলাদা নামে পরিচিত।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি খুবই চমৎকার ভাবে কুচে মাছের কষা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুবই চমৎকার ভাবে ধাপে ধাপে আমাদের সকলের মাঝে কুচে মাছের কষা রেসিপি শেয়ার করেছেন যেটা দেখে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এত মজাদার একটি ইউনিক ধরনের কুচে মাছের রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
কুঁচে মাছ আমি কখনো খাই নি। দেখতে আমার কেমন লাগে।আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুব মজা হয়েছে।কালারটাও দারুন হয়েছে।খেতে মনে হয় মাংসের মত।ভালো ছিলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আপু,এটি খুবই সুস্বাদু ও মজার খেতে।যারাই খায় তারাই গুণকীর্তন করে😊।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।