"কদবেলের টক-ঝাল-মিষ্টি মজাদার আচার"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
কেমন আছেন আপনারা সবাই?
আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন ঈশ্বরের আশীর্বাদে।আমিও ভালো আছি।আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো "মজার টক-ঝাল-মিষ্টি কদবেলের আচার"।
বন্ধুরা, কদবেল পছন্দ করেন না এমন মানুষ বোধহয় খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।তবে হ্যাঁ ,আমার বাবা কদবেল পছন্দ করেন না একদম, হি হি হি।কিন্তু এটা সত্যি যে,আচার সবাই পছন্দ করেন, বাচ্চা থেকে বুড়ো সবাই।টক জাতীয় কোনো কিছুর নাম শুনলেই জিভে কেমন জল চলে আসে বন্ধুরা, তাইনা!আমার তো টক ও ঝাল জাতীয় খাবার খুবই পছন্দ।আসলে কদবেলে অনেক ঔষধি গুন রয়েছে এবং এটি ঔষুধ তৈরি করতে ও ব্যবহার করা হয়।বিশেষ করে এটি হজমে খুবই সাহায্য করে।তো চলুন আচার তৈরি করা শুরু করা যাক---
উপকরণ:
1.কদবেল - 1 পিচ
2.সরিষার তেল - 2 টেবিল চামচ
3.রসুন 12 কোয়া বাটা - 1.5 টেবিল চামচ
4.শুকনো লঙ্কা - 1 পিচ
5.জল- 3 টেবিল চামচ
6.চিনি - 5 টেবিল চামচ
7.লবণ -1/2 টেবিল স্পুন
8.শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো - 1.5 টেবিল চামচ
9.ভাজা জিরে গুঁড়ো - 1 টেবিল চামচ
10.বিট লবণ - সামান্য পরিমাণ
প্রস্তুত প্রণালী:
ধাপঃ 1
●প্রথমে একটি পাকা কদবেল নিলাম।কদবেলটি বেশ বড়ো সাইজের ছিল।তাছাড়া কদবেলের ঘ্রানটি ছিল দারুণ।
ধাপঃ 2
●কদবেলটি ফাটিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 3
●এরপর একটি চামচের সাহায্যে কদবেলের শাসগুলি ছাড়িয়ে নেব খোলা থেকে।
ধাপঃ 4
●তো কদবেলের শাসগুলি হাত দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিলাম।
ধাপঃ 5
●এরপর মিডিয়াম আঁচে চুলায় একটি পরিষ্কার কড়াই
বসিয়ে দেব এবং তাতে তেল দেব একটু।তেল গরম হয়ে গেলে রসুন বাটা দিয়ে দেব তেলের মধ্যে।
ধাপঃ 6
●এরপর রসুন হালকা ভেঁজে তার মধ্যে একটি শুকনো লঙ্কা ছোট ছোট টুকরো করে তেলের মধ্যে দিয়ে দেব।শুকনো লঙ্কা ভালোভাবে ভেঁজে নেওয়া হয়ে গেলে তাতে মেখে রাখা কদবেলগুলো দিয়ে দেব।
ধাপঃ 7
●এরপর একটি চামচের সাহায্যে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিয়ে তাতে জল দিয়ে নেব সামান্য পরিমাণ এবং চিনি দিয়ে নেব স্বাদ অনুযায়ী।
ধাপঃ 8
●তো এবার আমি কদবেলে সামান্য পরিমাণ লবণ ও শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো মিশিয়ে নেব।
ধাপঃ 9
●সবশেষে আমি কদবেলে ভেঁজে গুঁড়ো করা জিরে দিয়ে দেব সুন্দর একটা ঘ্রাণের জন্য।
ধাপঃ 10
●কদবেলটি নেড়েচেড়ে জল শুকিয়ে আসলে তেল তেল ভাব চলে আসবে।তখন নামিয়ে নেব একটি পাত্রে।কদবেলের খোলায় আমি নামিয়ে নিলাম আচারটি।
ধাপঃ 11
●তো তৈরি হয়ে গেল আমার "টক-ঝাল - মিষ্টি কদবেলের মজাদার আচারটি"।এবার এটি একটি চামচের সাহায্যে পরিবেশন করতে হবে।এছাড়া বেশি করে এভাবে আচার তৈরি করে কাচের বোয়ামে রেখে দীর্ঘদিন ধরে খাওয়াও যায়।
আশা করি আমার আজকের আচার রেসিপিটা আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
সকলেই ভালো ও সুস্থ থাকবেন।
ওয়াও সত্যিই আপু আপনি অনেক চমৎকার করে কদবেলের টক-ঝাল মিষ্টি মজাদার আচার তৈরি করেছেন। দেখিই তো আমার জিভে জল চলে আসতেছে। খেতে তাহলে কত সুস্বাদু হবে। আপনার তৈরি করা মজাদার আচার লোভনীয়।প্রতিটি ধাপ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করাতে আপনার পোস্টটি আরো সুন্দর হয়েছে। এক কথায় বলতে আমার সবকিছু ভালো লেগেছে।
আপু আপনাকে অনেক সাধুবাদ জানাই এই রকম ইউনিক একটি মজাদার আচার তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর মন্তব্য দ্বারা আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
কদবেলের টক-ঝাল-মিষ্টি মজাদার আচার আপনি খুব দারুণ ভাবে তৈরি করেছেন। আমার খুবই ভাল লাগল। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন আপু। আপনার পোস্ট আমার বরাবরই ভালো লাগে। আজকের টা অনেক ভালো লাগলো
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনার কদবেল তৈরির রেসিপি দেখতে অনেক মজাদার হয়েছে। আর আসলেই কদবেল খেতে অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে। আর তাই আপনকে জানাই আমরা পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
কদবেলের আচারটি দেখেই খুব লোভ হচ্ছে। ছোটবেলায় এই আচারটি টি খুবই খেতাম। এখন সেভাবে খাওয়া হয়না। কিন্তু আপনার তৈরি করা কদবেলের আচার টা দেখে আবার খেতে ইচ্ছা করছে🤭। বেশ লোভনীয় ভাবে তৈরি করেছেন।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা টক-ঝাল-মিষ্টি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ঠিকই বলেছেন দিদি,আমিও ছোটবেলায় কাঁচা কদবেল খুব খেতাম।কিন্তু এখন টক একটু বেশি লাগে ফলে বেশি খেতে পারি না।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
আপু সত্যি খুব সুন্দর ভাবে কদবেল এর টক ঝাল মিষ্টি আচার তৈরি করেছেন আপনি। যদিও আমি খুব কদবেল খাই না তবে ভালো লাগে খেতে মাঝেমধ্যে খেয়ে থাকি। তবে আপনার দেওয়া প্রসেস ব্যবহার করে খেলে আরও অনেক ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
অবশ্যই এভাবে বানিয়ে খেয়ে দেখবেন একদিন ভাইয়া, ভালো লাগবে খেতে।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুন্দর মতামত জানানোর জন্য।
কদবেল আমার প্রিয় ফল । এটা আমি আগে বাজার থেকে কিনে আনতাম । কদবেল গুলোর মধ্যে একটি বাশের লাঠি ঢুকানো থাকতো। ওটাকে নেড়ে চেড়ে বের করে খেতাম। এখন আর পাওয়া যায় না। তবে আমার শশুরবাড়ীতে কদবেল গাছ আছে। আপনার বৌদি বিয়ের আগে আমার জন্য নিয়ে আসতো। সত্যি বোন সুন্দর একটি কদবেলের আচার তৈরীর প্রক্রিয়া উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ।
দাদা,আপনাদের ওখানে বাজারেও কদবেল পাওয়া যায় না!আশ্চর্য হলাম।হ্যাঁ, বাঁশের কাঠি দেওয়া কদবেল মাখা আমিও ছোটবেলায় খেয়েছি।আলাদা মজা পাওয়া যায়।অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা, আপনার সুন্দর অনুভূতি ব্যক্ত করার জন্য।
কদবেলের আচার আগে কখনো খাওয়া হয়নি আপনার তৈরি করা কদবেলের আচার অনেক সুন্দর হয়েছে। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
একদিন অবশ্যই কদবেলের আচার খেয়ে দেখবেন ভাইয়া।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
কদবেলের আচার টি খেতে আমার অনেক লোভ হচ্ছে ☺️☺️। ছোটবেলায় আমার আম্মু অনেক বানিয়ে দিত এখন মাঝেমধ্যে বানাই খেতে কিন্তু অনেক সুস্বাদু। ধন্যবাদ আপু আচার টি দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। রেসিপিটি অনেক সোজা যে কেউ এটি দেখে তৈরি করতে পারবে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন, আমি ছোটবেলায় অনেক কদবেল খেতাম।কিন্তু এখন বেশি খেতে পারি না টকের জন্য।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুন্দর মতামত জানানোর জন্য।
কদবেল আমার প্রিয় ফলের মধ্যে একটি। কদবেল যেভাবে আচার খেতে বেশ দারুন লাগে। অনেকেরই এটি খুব প্রিয়। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ বোন।
অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
উফ আপু অসাধারণ হয়েছে। দেখেই লোভ লাগছে। আমার তো জিভে জল চলে এসেছে। খুব খেতে ইচ্ছে করছে। মনে হচ্ছে খুব মজাদার হয়েছে। আপনার হাতের কদবেলের টক ঝাল মিষ্টি আচার মনে হচ্ছে খেয়ে না দেখলেই নয়। আপনি প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। আমি এর আগে কদবেলের আচার আগে কখনো খাইনি। কদবেলের আচার বানানো যায় সেটি আমি জানতাম না। আমি অবশ্যই এ কদবেলের টক ঝাল মিষ্টি আচার বাসায় বানানোর ট্রাই করবো ।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।এবং আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপু পার্সেল করে পাঠিয়ে দেব আপনার জন্য😊😊অবশ্যই এভাবে বানিয়ে খেয়ে দেখবেন আপু,দারুণ মজার খেতে।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।