অনুভূতি: "উড়ে এসে জুড়ে বসা"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
কি বন্ধুরা!
এই ভোলাভালা ,রোগা কাটকেটে প্রাণীটিকে এতক্ষনে নিশ্চয়ই আপনারা ভালোভাবে চিনে গেছেন।অনেকেই আবার ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন এটা আমাদের বাড়ির পোষা কুকুরমশাই।কিন্তু একদম নয়🙅,পরশুদিন কোথা থেকে উদয় হয়েছেন আমাদের বাড়িতে, ঠিক যেন উড়ে এসে জুড়ে বসার মতো।
ঈশ্বরের সৃষ্টি সকল জীব ও প্রাণীই আমার পছন্দ।কিন্তু কিছু প্রাণীর আচরণ বা স্বভাব আমার পছন্দ নয়।যেমনটি কুকুর ও বিড়ালকে স্বভাবগত কারনে আমি কম পছন্দ করি এবং পুষি না।কারণ এরা খুবই লোম উড়ায় ও বিড়াল পায়ে পায়ে লেজ বুলাতে পছন্দ করে যেটি আমার পছন্দ নয়।তাই বলে তাদের জন্য আমার মনে একটুও স্থান এবং ভালোবাসা নেই, এমন কিন্তু নয়।আমিও কুকুর ও বিড়ালকে খুব ভালোবাসি।পোষার চেষ্টা করি কিন্তু এই স্বভাবগত বিষয় ভেবে পিছিয়ে যাই।তবুও পাশের বাড়ির বিড়াল আমাদের বাড়িতে অধিকাংশ সময়ই থাকে।
পরশুদিনের কথা।
সকালবেলা থেকেই দেখলাম বাড়ির আনাচ-কানাচ দিয়ে কুকুরটি ঘুরছে।কয়েকবার তো ঘরের ঠিক দরজার মুখে এসে হাজির,ঘরের মধ্যে ঢুকে ভাত খেয়ে যাবে বলে বাবা তাড়াও দিলেন কয়েকবার।কিন্তু কুকুরটি ঘুরে -ফিরে সেই একই জায়গায়।তারপর আর কি সবসময় এইরকম কুকুর আমাদের বাড়িতে যেমন আসে তাদের ভাত খেতে দিই ।ভাত খেয়ে চলে যায় মনে হয় রাস্তার কুকুর।যাইহোক সেইরকম এই কুকুরমসাইকেও আমি কিছু ভাত দিলাম।কিন্তু ভাত খেয়ে একদম নড়ার লক্ষণ দেখা গেল না সেই বাড়ির মধ্যেই থাকলো।
বেচারা কতদিন খায়না!
এইভেবে মা আবার কিছু ভাত দিলেন সেগুলো খেয়ে ও থাকলো বাড়িতে।এভাবে বিকাল হয়ে সন্ধ্যা নামে রাস্তার কুকুর তবুও যাওয়ার লক্ষণ দেখা গেল না।এভাবে রাত গেল, গতদিন চলে গেল এখনও কুকুরটি আমাদের বাড়িতে।গতদিন ও আমরা তাকে খেতে দিয়েছিলাম।আসলে এর স্বভাব আমাদের পছন্দ নয় তবুও আমি বললাম বাবাকে যে কুকুরটি যখন যেতে চাইছে না তখন আমাদের বাড়িতেই থাক।
একটি আশ্রয় হোক।
আমি আরো বললাম যে কুকুরটি রোগা হলেও দেখতে বেশ ভালো।কারন মায়াবী দুই চোখ ,কান দুটি ইয়া বড়ো বড়ো লম্বা টাইপের ঠিক যেন কিছুটা শিয়ালমসাইয়ের মতো।তাই বাবা সিদ্ধান্ত নিলেন তাহলে থাক।আসলে কয়েকদিন ধরে বাবা ও ভাবছিলেন একটি দেশি কুকুর পুষবেন কিন্তু সেটি বাচ্চাবেলা থেকেই আদর-যত্ন করে।কিন্তু এই কুকুরটি যেহেতু বাড়ির থেকে যেতে চাইছে না তাই একে রেখে দিলাম।আমার সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে আমাদের পরিবারের যেজনাই কুকুরটিকে ডাকছিল সাথে সাথে নীরবে ডাক শুনে কাছে চলে আসছিল বাধ্য ছেলের মতো।যেন মনে হচ্ছিল সে আমাদের পোষা।
এখন কুকুরটি আমাদের বাড়িতেই রয়েছে দুইদিন হলো।জানি না রাস্তার কুকুর কিনা কিন্তু ও ওর আশ্রয় খুঁজে নিয়েছে।আর কুকুরটির গন্তব্য আমাদের বাড়িতেই।আমার ও বেশ ভালো লাগছে অজানা কুকুরকে স্থান দিতে পেরে।জানিনা ভবিষ্যতে থাকবে কিনা।কারণ এটি বেশি বড়ো নয় আবার ছোট নয় মাঝারি সাইজের।তাই এর কয়েকটি কিউট ছবি শেয়ার করলাম আপনাদের সঙ্গে।
আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের অনুভূতি ও ছবিগুলি ভালো লাগবে।সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ও সাবধানে থাকবেন।
টুইটার লিংক
কার বাণী তা ঠিক মনে নেই। তবে সৃষ্টিকর্তার সকল সৃষ্টি কেই ভালোবাসা উচিত। আপনার মত আমিও কুকুর বা বিড়াল পুষি না তবে এদের প্রতি সহানুভূতি অবশ্যই আছে। একটা রাস্তার কুকুর কে বাড়িতে থাকতে দিয়েছেন আশ্রয় দিয়েছেন এটা অবশ্যই একটি ভালো কাজ। সত্যি বলতে কি বোবা প্রাণী গুলো ভালোবাসা ঠিকই বুঝতে পারে। ধন্যবাদ অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য
এটি স্বামী বিবেকানন্দের বিখ্যাত বাণী- ভাইয়া।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
তবে আমি বিশ্বাস করি মানুষের থেকে এই প্রাণী গুলো বেশি বিশ্বস্ত এরা কখনো ধোঁকা দেয়।প্রয়োজনে মালিকের জন্য জীবন দিতে রাজি এরা।আর আপনার মা আর আপনার কুকুর টি প্রতি ভালোবাসা সতিই আর ভালো লেগেছে।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া,আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
উড়ে এসে যেহেতু জুড়ে বসেই পড়েছে তবে কুকুরটিকে তাড়িয়ে দিবেন না। এরা খুব প্রভু ভক্ত প্রানী। দেখবেন এর প্রতিদান তার জীবন দিয়ে হলেও রক্ষা করবে। পুসতে থাকেন। মাঝে মাঝে আমাদের সাথে আপডেট শেয়ার করবেন। ভাল লাগবে আমাদের। কুকুরটির একটি নাম দিতে পারেন। ঐ নামেই তাকে ডাকবেন। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, কয়েকদিন পরেই নাম দেব।ধন্যবাদ ভাইয়া।
যদিও আমরা অনেকেই কুকুর বেড়াল পছন্দ করি না। যাই হোক বোন আমিও আপনার মতন ওদের পছন্দ করি। তবে একটি বিষয় আমি দেখেছি কুকুর কিন্তু সহসা ঘরে ঢোকে না। কুকুর টি কিন্তু সত্যি মায়াবী। মায়ায় ভরা ওর চোখ। ও যদি থাকতে চায় রেখে দিয়েন। ওদের ট্রেনিং দিলে ওরা প্রভু ভক্ত হয়ে ওঠে।ওরা কিন্তু কোন কারন ছাড়া এভাবে বাড়ীতে আসে না। মা বলেন পূর্ব জন্মের ঋন পরিশোধ করতে ওরা নাকি আসে। জানি না একেক জনের একেক রকম অভিমত। যাই হোক সুন্দর ছিল উড়ে এসে জুড়ে বসা লেখাটি। ধন্যবাদ বোন।
দাদা ,কিছু দুস্টু কুকুর আছে যারা হঠাৎ করে বাইরে থেকে এসে ভাতের হাড়িতে মুখ দিয়ে ভাত খেয়ে যায় আর নষ্ট করে দেয়।গ্রামের দিকে এটাই সমস্যা।যাইহোক আমরা একে রেখে দিয়েছি আর হালকাভাবে ভদ্রতা ও শিখাচ্ছি☺️☺️।
আমিও এটা শুনেছি জানি না কতটা সত্য।তবে আমার পরিবার যতটা সম্ভব এই জীবের প্রতি সদয় হওয়ার চেষ্টা করছি।ধন্যবাদ দাদা,দারুণ মন্তব্যের জন্য।