১৬ই ডিসেম্বরের রাতে !! (১০% @shy-fox এর জন্য)
আজ - ২১ ই, পৌষ ১৪২৯ , বঙ্গাব্দ | শীতকাল |
নমস্কার - আদাব। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন।
যা হোক এদিক দিয়ে একটা ভালোই লাগছে ৷ যে আসলে শীতের সময়টাতে সব সময়ের জন্য পরিপাটি হয়ে ঘরের মধ্যেই৷ আর তার সাথে তো শীতের পিঠাপুলি এবং কি নানান ধরনের খাবার দাবার চলছেই ৷ সে দিক থেকে বলা যায় যে সবাই অনেক ভালোই আছে ৷ এবং কি সুন্দর সুন্দর সময় উপভোগ করছে ৷
তবুও এই শীতের সবাই সাবধানতা অবলম্বন করুন ৷ এবং কি শীতের পোশাক ও সবসময় নিরাপদে থাকার চেষ্টা করুন ৷ কারণ এই সময়ে অসুস্থ অনেকটাই বেড়ে যায়৷
তো যা হোক বরাবরের মতো তো আজকে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি ৷ নতুন একটি ইউনিক ব্লগ নিয়ে ৷ আর যেহেতু ব্লগ লেখাটা আমার এখন অনেকটাই পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ তাই প্রতিদিন কিছু না কিছু নিত্য নতুন পোস্ট নিয়ে উপস্থাপন করায় একটা কাজ ৷ তো যা হোক আজকে আমি আপনাদের মাঝে যে পোস্টটি উপস্থাপন বা শেয়ার করতে চলেছি ৷ সেটি ছিল ১৬ই ডিসেম্বরের বেড়াতে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত বলতে গেলে একটা কাজে যাওয়ার সুবাদে ৷ এই ১৬ই ডিসেম্বরের এক চমৎকার মুহূর্ত উপভোগ করতে পেরেছি ৷ তো আর কথা না বাড়িয়ে চলুন চলে যাই আজকের পশ্চিম মেইন ধারায় ৷
১৬ই ডিসেম্বর এর সেদিন রাতে হঠাৎ করেই আমার এক পাড়ার বড় ভাই তার এক আত্মীয় অসুস্থ অবস্থায় মেডিকেলে ভর্তি আছে৷ আর তাই তো সে আমাকেও নিয়ে যেতে চায় যে আজকে তো ১৬ই ডিসেম্বর দিন চল এক জায়গায় গিয়ে ঘুরে আসি ৷ তো আমি জানি না যে সে মেডিকেলে যাবে৷ যা হোক সেদিন বিকেলেই রওনা দিয়েছিলাম৷
সদর হাসপাতাল আমাদের দেবিগঞ্জ থানার সবচেয়ে সবচেয়ে বড় মেডিকেল ৷ দেবগঞ্জ একটি শহর পর্যায় আর তাই তো সেদিন গোটা দেবিগঞ্জ বাজারে থানা উপজেলা পরিষদ সব জায়গায় ছিল আলোস্যজ্জায় ভরপুর ৷ এছাড়াও রাস্তাঘাট সব জায়গায় ছিল আলোকসজ্জা ৷ যেহেতু সেদিন ছিল স্বাধীনতা দিবস৷
যেতে যেতে প্রায় সন্ধ্যা ঘনিয়ে গেছিলো ৷ এরপরেই আমরা মেডিকেলে উপস্থিত হয়ে বড় হয়ে আত্মীয় এর সাথে কথাবার্তা ভালো-মন্দ সবকিছুই কথা আদান প্রদান করছিল ৷ আর আমি চুপটি মেরে বসে থাকী ছাড়া আর কিছু করার ছিল না ৷ আর আমাকে মেডিকেল যেতে খুব একটা ভালো লাগে না ৷ যেহেতু
মেডিকেলে নানান ধরনের রোগী৷ আসলে এসব দেখে নিজের অনেকটা খারাপ লাগে ৷
তো বড় ভাইয়ের গল্প গুজব করা শেষে আমরা বাড়িয়ে ফেরার উদ্দেশ্যে রওনা হই ৷ আর তখন রাত প্রায় ৮.০০৷ আর বাড়ি ফেরার পথেই চোখে পড়লো উপজেলা পরিষদ টি বেশ ভালই জাঁকজমক পূর্ণ ভাবে সাজিয়েছে ৷ লাল সবুজ বাতি দিয়ে বেশ ভালই আলোকসজ্জা করেছে৷
তবে যাই বলুন উপজেলা পরিষদের কিন্তু চারদিকে বেশ ভালোই জায়গা জুড়ে অবস্থিত ৷ বলতে গেলে প্রায় পার্কের মত বেশ বড় একটি পরিবেশ ৷ আবার রয়েছে পুকুর চারদিকে ছোট্ট ছোট্ট কিছু লাইট লাগিয়ে চারদিকে ঘেরা দিয়েছে দেখতে বেশ ভালোই লাগছে ৷
তো দূর থেকে দেখেই আর লোভ সামলাতে পারলাম না ৷ ভাবলাম যেহেতু ফেরার পথে একটু ঘুরিয়ে নিয়ে যাই ৷ তো এরপরেই উপজেলা পরিষদের সন্ধ্যার পরিবেশ টাকে উপভোগ করার চেষ্টা করলাম৷ এবং কি তার সাথে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করলাম৷ যেখানে ছিল একটি শহীদ মিনার সাথে ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ছবি ৷
এছাড়াও ছোট্ট ছোট্ট কিছু গাছে লাল-সবুজের আলোকসজ্জা লাইট গুলো বেশ ভালো ভাবেই সাজিয়েছে৷ আর শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে এমনকি পিছনে লাল সবুজের বড় পতাকাটি পিছনে দিয়েছে ৷ হয়তো সকালেই এসব আয়োজন করেছিল ৷ রাতে আমরা যেগুলো শুধু উপভোগ করেছিলাম মাত্র বেশ অনেকগুলো ফুলের সমাহার শহীদ মিনারে৷
আসলে এসব মিনার শুধু শহীদ মিনার নয়৷ এখানে রয়েছে বাংলার সকল মুক্তিযোদ্ধা ও দেশের জন্য যারা প্রাণ দিয়েছে প্রত্যেকটি জীবন৷ যাদেরকে আমরা প্রতিনিয়ত স্মরণ করি ৷ এছাড়া বিশেষ কিছুদিনে তাদেরকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা ও তাদের আত্মার শান্তি কামনা করি৷ এরাই আমাদের দেশের গর্ব যারা তাদের রক্তের জীবনের বিনিময়ে এ দেশকে আমাদের মাঝে উপহার হিসেবে দিয়ে গেছে ৷
সত্যি তাদেরকে কখনো ভোলার নয়৷ যতদিন এ বাংলাদেশ রবে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ তাদেরকে ঠিক এই ভাবেই ফুলের সম্বর্ধনা জানিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে ৷ তাদের আত্মার শান্তি কামনা করবে প্রতিনিয়ত প্রতিবছর প্রতিমুহূর্ত৷
তো সবকিছু দেখে ফটোগ্রাফি করে আমরা আমাদের ফেরার পথে রওনা হই৷ তবুও প্রায় আস্তে আস্তে দশটা বেজে গিয়েছিল৷
তো এই ছিল আমার আজকের ব্লগ ১৬ ই ডিসেম্বর এর রাতে বেড়াতে যাওয়ার মুহূর্ত ও তার সাথে কিছু আলোকচিত্র৷
আজকে আপনাদের কাছে এখানে বিদায় নিচ্ছি ৷ আবার নতুন কোন ইউনিক ব্লগ নিয়ে হাজির হবো৷ এমন প্রত্যাশা আশা আকাঙ্ক্ষা রেখে এখানেই শেষ করছি৷
ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন৷
কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ ফটোগ্রাফার @gopiray ডিভাইস realme 12 লোকেশন
https://twitter.com/gopiray36436827/status/1611392835756097536?t=5VuL_UKLaRyVdGc0VTVHCw&s=19
চারপাশের ডেকোরেশনগুলো অনেক সুন্দর ছিল। আর ঠিকই বলেছেন ভাইয়া বাহিরে যে পরিমাণে শীত পড়েছে তাতে খুব প্রয়োজন না পড়লে বাহিরে একদমই বের হওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মহূর্ত গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ৷ আসলেই প্রচুর পরিমানে ঠান্ডা ৷
@tipu curate
;) Holisss...
--
This is a manual curation from the @tipU Curation Project.
Upvoted 👌 (Mana: 1/8) Get profit votes with @tipU :)
আপনি ঠিক বলছেন শীতের জন্য কোথাও বের হওয়া যায় না।তবে শীতের দিন আসলে ভালো হয় সবাই গুটিয়ে সুন্দর কাপড় চোপড় পরে ভাল ভাবে জীবন যাপন করতে পারে।শীত মানে তো পিঠা-পুলির উৎসব হয়।তাই খেতে ভালো লাগে ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়াতে।আপনিতো ১৬ ই ডিসেম্বরে বেশ মজা করে ঘুরাফিরা করেছেন আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে।সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করেছেন বেশ ভালো লেগেছে।
যে পরিমান শীত বাইরে বের হওয়া যায় না ৷ আর পিঠা পুলি তো চলছে প্রতিনিয়ত ৷
১৬ই ডিসেম্বরে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে আলোকসজ্জায় পরিপূর্ণ থাকে এটা আমরা সকলেই জানি। আপনার আত্মীয় এর অসুস্থতার কারণে ১৬ই ডিসেম্বর রাত্রে বের হয়েছিলেন এবং হসপিটালে গিয়ে তাদের সঙ্গে ভালো মন্দ কিছু কথা বলেছেন যদিও আপনি বেশ কিছুটা সময় চুপচাপ ছিলেন। সত্যি বলতে আমিও আপনার মতই অপরিচিত কোথাও গেলে চুপচাপ বসে থাকি তেমন একটা কথা বলতে ইচ্ছে করেনা। যাইহোক যার জন্য পূর্ণ শহরের কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো।
জি ভাই আসলে আত্মীয় স্বজনদের সাথে খুব কথাই বলি ৷