জিমনেসিয়ামে একদিন........!!!
প্রিয় বন্ধুরা প্রতিদিনের মতো আজও আপনাদের মাঝে হাজির হলাম নতুন একটি ইউনিক ব্লগ নিয়ে ।আসলে প্রতিদিনই চেষ্টা করি নিজের ক্রিয়েটিভি ও সৃজনশীল তাকে কাজে লাগিয়ে নিত্যনতুন ব্লগ লেখার
। আর সেই ধারাবাহিকতায় প্রতিদিনই আপনাদের মাঝে ভিন্নধর্মী কিছু ব্লগ উপহার দেই । তবে আজকের ব্লগটি আসলেই এক অন্যরকম এর আগে এরকম ব্লগ কেউ শেয়ার করেছে কিনা সেটা নিয়ে আমার বেশ সংশয় রয়েছে৷
তবে আমার এই ব্লগটি শেয়ার করতে কোন দ্বিধা নেই ।কারণ এটি আমাদের জন্য খুবই প্রয়োজন যদিও আমরা অলসতা করি ৷ ব্লগের শিরোনাম বা টাইটেলটি দেখে বা ছবিটি দেখে নিশ্চয়ই সবাই বুঝে গেছেন ।যে আসলে আমি কোন বিষয় নিয়ে আজকের ব্লগে উপস্থাপন করছি৷ হ্যাঁ আজকের ব্লগে থাকছে জিমনেসিয়াম নিয়েই ।
বলা যায় একজন মানুষ সম্পূর্ণ সুস্থ এবং মন মানসিকতা ঠিক রাখার জন্য ব্যায়ামের কোন বিকল্প নেই । ব্যায়াম আমাদের শরীরের অতিরিক্ত চর্বিকে ঝরিয়ে শরীরকে সবসময় হালকা এবং কি মন-মানসিকাকে ঠিক রাখে৷
এছাড়াও এছাড়াও আরো সহজ ভাবে বলতে গেলে আমাদের শরীরে যেসব রোগ বাসা বাঁধে সেগুলো অনেকটা বিতাড়িত হয় । কারণ বর্তমান সময়ে আমরা যে পরিমাণ চর্বি জাতীয় খাবার খাই তাতে আসলে শরীরের মধ্যে অনেকটাই চর্বি জমে যায় । আর এ চর্বি থেকেই অনেক রোগ সৃষ্টি হয়ে যা শরীরকে অনেকটাই ক্ষতি করে ফেলে৷
আর তাইতো আমি মনে করি শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য ব্যায়াম করা অতি আবশ্যক । আমরা যদিও জিমনেসিয়ামে যেতে না পারি তারপরও সকাল কিংবা বিকেলে একটু হাটাহাটি বা দৌড়াদৌড়ি এমন কিছু ছোট্ট জাতীয় কাজ করেও শরীরকে সুস্থ রাখতে পারি ।
গত বৃহস্পতিবার সরকারি ছুটির শেষ দিন ছিল । কলেজ শেষ করে প্রথমবারের মতো ভাবলাম যে একটা জিমনেসিয়ামে ঘুরে আসি । যদিও এটি বেশ কিছুদিন হল হওয়ার আমাদের দেবিগঞ্জ উপজেলার মধ্যে এটি একটি জিমনেশিয়াম যেখানে দূর দুরন্ত থেকে অনেক মানুষজন তাদের বডি ফিটনেস ভালো রাখার জন্যই জিমনেসিয়ামে আসে । জিমনেসিয়াম টি আমাদের কলেজের কাছেই । আর তাইতো সেদিন হুট করে ইচ্ছে করলো একটু জিম করি । আর যদিও ছিল দুপুর বেলা তখন তারপরেও করেছি ।
গিয়েই দেখি পুরো রুম খালি অর্থাৎ কেউ নেই মাত্র দু-একজন ব্যতীত । যদিও আমি এর আগে কখনো এই জিমনেসিয়ামে আসি নি বা এর সম্বন্ধে খুব একটা ভালো জানি না । তারপরও নিজে নিজে ট্রাই করছিলাম করার জন্য । বাপরে বাপ এক একটি ব্যায়াম করতে যেয়ে কি কষ্ট তা আসলে বলে বোঝানো সম্ভব নয় ।
তবে প্রথম প্রথম করতে বেশ ভালই লাগছিল । তবে খুব ইচ্ছে আছে এই জিমনেসিয়ামে ভর্তি হয়ে নিজেকে একটু মাসেল বা বডি ফিটনেস মানুষ বানাবো । যদিও এখন যেটা আছে সিমসাম খারাপ না৷ হিহিহি!!
যাই হোক ব্যায়াম করার তো অনেক কিছুই । তবে আমি যেহেতু সেসব সম্পর্কে কিছুই জানি না । তবুও অজান্তেই ট্রাই করছিলাম প্রথমেই বুক ডাউন দেওয়ার ট্রাই করছিলাম । এরপর সাইকেল চালানোর মতো যে যন্ত্রটি সেটাতে ব্যবহার করেছিলাম । যদিও অনেকটা পেশি শক্তি ব্যয় করতে হচ্ছে সাইকেলটা চালানোর জন্য । এরপর দৌড়ানোর যে যন্ত্রটি সেটাতেও ট্রাই করলাম ৷
এরপর এক এক একটি ২০ কেজি ওজনের দুটি হামবল দুই হাতে নিয়ে দুহাত দিয়ে উপরে তোলার চেষ্টা ৷ আর এদিকে দেখি হাতের প্রতিটি শির যেন স্পষ্টভাবে উঠেছে ৷
এসব কিছু করতে করতেই হঠাৎ করে দেখি সময় তিনটে বেজে গেছে । তাই তো আর দেরি না করে সরাসরি বাড়ি উদ্দেশ্যে রওনা । তবে ইচ্ছে আছে কলেজ খোলার পর সময় সাপেক্ষে নিয়ে জিমনেসিয়ামে ভর্তি হয়ে যাব । কারন নিজের শরীরের যত্ন নেওয়াটা খুবই জরুরী দিনশেষে শরীর ঠিক থাকলে সবই ঠিক।
তো সর্বপরি এই ছিল জিমনেসিয়ামে কাটানো মুহূর্তগুলো আর তার সাথে কিছু আলোকচিত্র । যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আশা করি আপনাদের সবারই অনেক ভালো লেগেছে।
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আপনাদের কাছে এখানে বিদায় নিচ্ছি ৷ আবার নতুন কোন ইউনিক ব্লগ নিয়ে হাজির হবো৷ এমন প্রত্যাশা আশা আকাঙ্ক্ষা রেখে এখানেই শেষ করছি৷
ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন৷
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @gopiray |
ডিভাইস | realme 12 |
আসলে একটু একটু ব্যায়াম করা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কিন্তু অলসতার কারণে এটা যেন হয়ে ওঠে না। কয়েকদিন ব্যায়াম করলে গা হাত পা যেন ব্যথা হয়ে যায়। তার জন্য আবার অলস হয়ে পড়ি। আমি কখনো জিমনেসিয়ামে যাইনি তবে ইচ্ছে আছে কিছুদিনের জন্য হলেও সেখানে ভর্তি হওয়ার। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
শরীরের জন্য. একটু হলেও ব্যায়াম করা দরকার ৷ শুনে ভালো লাগলো যে আপনি জিমনেসিয়ামে ভর্তি হবেন ৷
নিজের শরীরকে ফিট রাখতে হলে কিছুটা ব্যায়াম করা উচিত প্রতিদিন।আমি যদিও প্রতিদিন চেষ্টা করি ব্যায়াম করার জন্য।কারণ আমার পিঠে ব্যাথার জন্য ডাক্তার আমাকে নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম দিয়েছে।আর সেটা প্রতিদিনই করতে হয়। এছাড়া আমাদের সকলেরই উচিত ছোট খাটো কিছু ব্যায়াম করা।আর আপনি কলেজ খোলা হলেই জিমে যাওয়ার প্ল্যান করছেন সেটা জেনে খুশি হলাম।
ভাই ডাক্তার যেহেতু বলেছে চেষ্টা করবো এই শরীর চর্চা ধরে রাখতে ৷ আমি ও চেস্টা করছি ভর্তি হওয়ার জন্য ৷ অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য
এটা ঠিক বলেছেন ভাইয়া বর্তমানে আমরা যে তেল মসলা জাতীয় খাবার গুলো বেশি খায় তাতে করে আমাদের শরীরে রোগ বাসা বাঁধবে এটাই স্বাভাবিক। আর সেই রোগগুলো বিতাড়িত করতে আমাদের ব্যায়ামের কোন বিকল্প নেই। তবে আমাদের এখানে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই থাকলে অবশ্যই আমরা সেই ব্যবস্থাটি গ্রহণ করতাম। আপনার আজকের পোস্টটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।সুন্দর এই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
হুম ঠিক তাই বর্তমান প্রতিটি খাবার তেল যুক্তু ৷ যার ফলে শরীর ভারি নানা সমস্যা ৷ তবে যদি প্রতিদিন একটু করেও ব্যায়াম করি ৷ তাহলে অনেকটা কাজে দেবে শরীরের জন্য ৷
ভাইয়া আপনি ঠিক বলেছেন শরীর-স্বাস্থ্য সুস্থ রাখার জন্য জিম বা ব্যায়ামের কোনো বিকল্প নেই। আপনাদের জিমনেশিয়ামের অনেকগুলো ফটোগ্রাফি দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো। এখানে অনেক ধরনের জিমের সামগ্রী রয়েছে। আমার বাসাতেও কিছু জিমের সামগ্রী রয়েছে। তবে অলসতার কারণে আর তেমন জিম করা হয় না। প্রতিদিন জিম করতে পারলে শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাই অলসতা করবেন না ৷ আপনার বাড়িতে যেহেতু আছে তাহলে তো কোনো চিন্তাই নেই ৷ ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য ৷
আসলে ব্যায়াম করা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। প্রতিটি মানুষের প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা উচিত। একটা সময় নিয়মিত জিমনেসিয়ামে গিয়ে ব্যায়াম করতাম। আপনি জিমনেসিয়ামে গিয়েছেন দেখে খুব ভালো লাগলো ভাই। এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।