আজ- ১০ জ্যৈষ্ঠ /২৪ মে | ১৪২৮, বঙ্গাব্দ/২০২২ খ্রিস্টাব্দ| মঙ্গলবার | গ্রীষ্মকাল |
আসসালামু-আলাইকুম।
আমার এক বন্ধুর ফরিদপুর শহরে নিউমার্কেটে একটি কাপড়ের দোকান ছিল। মাঝেমধ্যে দেখা হলে আড্ডা হতো তার সঙ্গে আর চা না খাইয়ে ছাড়তো না। রমজান মাসে কেনাকাটা করতে গেলে আড্ডা হল বন্ধুর সঙ্গে। অনেক হাসি তামাশা আর গল্প গুজবে সময়টা ভালই পার হলো। বিদায় নিয়ে ফিরে আসলাম বাড়িতে। এরপর ঐদিকে আর যাওয়া হয়নি বেশ কিছুদিন। প্রায় মাসখানেক পর যখন মার্কেটে গিয়েছিলাম বন্ধুর দোকানে গিয়ে দেখি সে নেই, দোকান বন্ধ। পাশের একজনকে জিজ্ঞেস করাতে সে বলল, ভাই আপনি জানেন না। উনিতো প্রায় মাসখানেক আগে মারা গেছেন। তাৎক্ষণিকভাবে শব্দগুলোর গুরুত্ব আমি ঠিকভাবে অনুভব করতে পারলাম না। কি হয়েছিল জিজ্ঞেস করাতে সে জানালো রমজান মাসে ইফতারের পরে প্রচুর পরিমাণে ভাজাপোড়া খেয়েছিল আমার বন্ধুটি। মধ্য রাতের দিকে বুকে প্রবল ব্যথা অনুভব করে সেই সঙ্গে প্রচণ্ড অস্থিরতা। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আনতে আনতেই ওপারের ডাক এসে যায় বন্ধুটির। সবার ধারণা গ্যাস ফর্ম করা থেকেই তার এই অকাল প্রয়াণ। পরে আরো জানতে পারলাম ও ছিল খাওয়া-দাওয়ায় খুবই অনিয়মিত। সেইসঙ্গে সারাদিন বসে থাকার ফলে শারীরিক পরিশ্রম হতইনা বলা চলে।
Source
উপরের ঘটনাটি বললাম কারণ তাঁর মৃত্যুর জন্য তার খাদ্যাভ্যাস অনেকটাই দায়ী ছিল। সে যদি নিয়ম মত খাওয়া-দাওয়া করত সেই সঙ্গে শারীরিক পরিশ্রম করত তাহলে হয়তোবা তার এই ঝুকিটা থাকত না। আমরা অনেকেই এর উল্টো যুক্তি দ্বার করাই যে, জন্ম-মৃত্যু সব উপরওয়ালার হাতে। যখন সময় হবে তখনই চলে যেতে হবে। আমিও এ ব্যাপারে একমত। তবে উপরওয়ালা বলেছেন চেষ্টা করতে। কেউ যদি স্বেচ্ছায় বিষ পান করে ধারণা করে এই বিষে তার কিছুই হবে না। তাতে যেমন বিষের কর্মক্ষমতা একটুও নষ্ট হবে না। ঠিক তেমনি শরীরের প্রতি যত্ন না নিলে সেই শরীর বেশিদিন টিকবে না এটাই স্বাভাবিক। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের শরীরের কিছু কিছু ম্যাকানিজম দুর্বল হয়ে যায়। শরীরে চর্বি জমতে থাকে, ফলাফল স্বরূপ দেখা দেয় নানা রকম রোগ ব্যাধি। খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন সেই সঙ্গে নিয়মিত শরীরচর্চা শরীরকে কর্মক্ষম ও রোগমুক্ত রাখতে অনেকটাই ভূমিকা রাখে একথা আজ আধুনিক বিজ্ঞান কর্তৃক স্বীকৃত।
Source
কথায় আছে "Early to bed early to rise makes a man healthy wealthy and wise"। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রাতঃভ্রমণ, নিয়ম মত খাওয়া-দাওয়া, পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম সেইসঙ্গে তেলজাতীয় ও অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিহার করা সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যাবশ্যক। এছাড়া সাঁতার কাটা, সাইক্লিং, রানিং এর মত এক্সারসাইজ শরীরের বাড়তি ক্যালরি ঝরাতে খুবই কার্যকর। সুস্থ দেহ সুস্থ মন। ব্যায়ামের মাধ্যমে একদিকে যেমন শরীর সুস্থ রেখে প্রচুর টাকা চিকিৎসা খরচ বাচানো সম্ভব তেমনি আত্মবিশ্বাস আর মানসিক শক্তি বৃদ্ধিতেও ব্যায়ামের ভূমিকা অপরিসীম। যাইহোক অনেক কথা বলা হলো। আমরা আসলে সবই বুঝি কিন্তু কিছুই মানি না। জীবন আপনার তাই সিদ্ধান্ত আপনাকেই নিতে হবে। আজকের মতো এতোটুকুই। আবার কথা হবে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনায় আজকের মত এখানেই শেষ করছি।
Source
একেবারে যথার্থই বলেছেন ভাই আসলে আপনার উপরের বিষয়গুলো এতটা ভালো লেগেছে যা বলে বুঝাতে পারব না। খুব চমৎকার লিখেছেন আজকের ব্লকটি তবে আপনার বন্ধুর মৃত্যুর খবরটা আমাকে অনেক ব্যথিত করেছে। আসলে ঠিক আমাদের সকলেরই নিয়মিত খাওয়া দাওয়া শারীরিক ব্যায়াম সবকিছু করা উচিত আপনি ঠিকই বলেছি সবকিছু সবাই জানি কিন্তু মানি না। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই চমৎকার একটি ব্লগ এবং বাস্তব উদাহরণ এর মাধ্যমে চমৎকার ভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য।
সারাদিন আপনি এত কাজ করার পরেও অন্যের পোস্ট পড়ার সময় কখন পান ভাবতেই অবাক লাগে। বোঝাই যাচ্ছে আপনি একজন পরিশ্রমী মানুষ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
কাছের মানুষের হঠাৎ করে এরকম মৃত্যুর খবর পেয়ে খুব খারাপ লাগাটা স্বাভাবিক। আমি বুঝতে পারছি আপনার বন্ধুর মৃত্যুর খবর শুনে আপনি যথেষ্ট কষ্ট পেয়েছেন। আপনার বন্ধুর হঠাৎ এসিডিটির মূল কারণ তার অনিয়মিত খাওয়া-দাওয়া। আসলে আমাদের নিয়মিত খাবারের কারণেই এসিডিটির সমস্যা গুলো দেখা দেয়। যাই হোক আমরা যদি পরিমিত খেয়ে পর্যাপ্ত হাটাহাটি ও ব্যায়াম করতে পারি তাহলে যতদিন বেঁচে থাকব সুস্থভাবে বেঁচে থাকবো আশা করা যায়। আমিও দীর্ঘায়ুর কথা বলবো না কারণ আমি নিজেও বিশ্বাস করি মৃত্যু পূর্বনির্ধারিত। খুব সুন্দর একটি মেসেজ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
মানুষের বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এ ধরনের নানা সমস্যা দেখা দেয়। তাই সবারই উচিত সময় থাকতে সাবধান হওয়া। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।
আমরা সাধারণভাবে ইঞ্জিন, সফটওয়্যার ইলেকট্রনিক্স মেশিন ইত্যাদি কেনার সময় মডেল এবং তৈরিকারক কিংবা উদ্বোধক এর নিয়ম মেনে এটা চালিয়ে থাকি।
মহান স্রষ্টা আমাদের সৃষ্টি করেছেন তিনি কি কোন নিয়ম না দিয়েই আমাদেরকে পৃথিবীর বুকে বিচরণ করতে দিয়েছেন ।এ প্রশ্নের জবাব অতি কঠিন। আমরা সবাই বলেছিলাম ,হ্যাঁ, এই হ্যাঁ কেন বলেছিলাম । শুধুই কি তাকে সন্তুষ্টির জন্য, নাকি তার দেওয়া নিয়ম মেনে চলার জন্য ?হ্যাঁ ভাই , যুক্তি সঠিক দিয়েছেন। সবকিছু ক্যাটালগ মেনে চললে জীবন কেন ক্যাটালগ মেনে চলবে না। এ প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে নেই ।এতোটুকুই বলতে চাই নিয়ম মেনে না চললে সেটি সঠিকভাবে ,সঠিক সচল থাকবে না।
এই প্রথম ছন্দের বাইরে আপনার একটা ব্যাখ্যামূলক কমেন্ট দেখলাম। আসলেই স্রষ্টা সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে পরিচালনার কিছু নিয়মও বলে দিয়েছেন। নিয়ম গুলো না মানলেই দেখা দেয় নানা রকম জটিলতা। সবশেষে ধন্যবাদ এত সুন্দর করে বিষয়টি ব্যাখ্যা করার জন্য।
ভাইয়া,আপনি এই কথাটি একদম ঠিক লিখেছেন তারপরও আল্লাহ বলেছে ওসি করার জন্য। যেমন আমরা নিয়মিত খাদ্য অভ্যাস এছাড়াও তেল চর্বি জাতীয় খানা যতটা সম্ভব পরিহার করা।রাতে তারাতারি ঘুমালে এবং সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে শারীরিক ব্যায়াম করলে শরীর ভালো থাকে। তবে ভাইয়া, আপনার বন্ধুর কথা শুনে খারাপ লেগেছে।ভাইয়া, ডাক্তাররা অনেক সময় বলে সারাদিন রোজা রেখে ইফতারের সময় অল্প অল্প করে খাওয়ার জন্য কারণ সারাদিন শরীরের মধ্যে কোন খাবার সঞ্চালন হয় না তাই একসাথে যদি অনেক খাবার হয় তাহলে সমস্যা হতে পারে। ভাইয়া, এমন রোগী প্রতিনিয়ত হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে শুনেছি।যাইহোক ভাইয়া,আপনি খুবই উপকারী মূলক একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।।
আপু নিয়ম মানাটাই আসলে কষ্টের। আমরা জানি অনেক কিছুই তবে ওই যে বললাম মানি না। না মানলে আসলে ওই জানার কোনো দামই নেই। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।