মিল্ক পুডিং তৈরির রেসিপি। 10% লাজুক শেয়ালের জন্য।
আজ- ১ জ্যৈষ্ঠ/১৫ মে | ১৪২৮, বঙ্গাব্দ/২০২২ খ্রিস্টাব্দ| রবিবার | গ্রীষ্মকাল |
আসসালামু-আলাইকুম।
কেমন আছেন বন্ধুরা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব সুস্বাদু মিল্ক পুডিং তৈরির রেসিপি। দুধ খুবই পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু একটি খাবার। শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে এর কোন বিকল্প নেই। বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের জন্য দুধ খাওয়া অত্যাবশ্যকীয়। কারণ দুধের মধ্যে আছে সব ধরনের পুষ্টি। দুধ দিয়ে তৈরি করা যায় নানা ধরনের আকর্ষণীয় সুস্বাদু খাবার। তারমধ্যে পুডিং একটি। ছোটবেলায় মায়ের হাতে তৈরি পুডিং অসংখ্যবার খেয়েছি। পুডিং তৈরি করা অত্যন্ত সহজ একটি প্রক্রিয়া। তেমন কোন ঝামেলা নেই বললেই চলে। তাই আমিও একবার চেষ্টা করে দেখলাম। আশা করি আপনাদের কাছেও ভাল লাগবে। আসুন তবে বানানোর প্রক্রিয়াটি শুরু করা যাক।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
- দুধ আধা লিটার
- চিনি পরিমাণমতো
- আগার আগার পাউডার
- লবণ
প্রস্তুত প্রণালী
ধাপ ১ঃ
একটি পাত্রে আধা লিটার দুধ নিয়ে অল্প আঁচে জ্বাল করতে থাকি।
ধাপ ২ঃ
দুধের সঙ্গে পরিমাণমতো চিনি মিশাই এবং একটি চামচের সাহায্যে নাড়তে থাকি যাতে ভালোভাবে মিশে যায়। যে যেমন মিষ্টি পছন্দ করেন সে অনুপাতে চিনি দেবেন।
ধাপ ৩ঃ
একটি ছোট বাটিতে পরিমাণমতো আগার আগার পাউডার নিয়ে সামান্য পানির সাথে মিশাই। এরপর পানিটুকু দুধের মধ্যে দিয়ে দেই। লক্ষ করার বিষয় হচ্ছে পাউডার সরাসরি দুধের মধ্যে দিলে জমে যাবে তাই সহজে মেশানো যাবে না।
ধাপ ৪ঃ
পাউডার এবং চিনি মেশানো হয়ে গেলে তাপ বাড়িয়ে দুধ জ্বাল করতে হবে যাতে মোটামুটি বেশ ঘন হয়ে যায়।
ধাপ ৫ঃ
দুধ ঘন হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে একটি পরিষ্কার পাত্রে ঢেলে রাখি ঠান্ডা করার জন্য।
ধাপ ৬ঃ
সবশেষে পাত্রটি ফ্রিজের নরমাল চেম্বারে দুই তিন ঘন্টার জন্য ঢুকিয়ে রাখি যাতে দুধ জমে পুডিং এর আকৃতি ধারণ করে। এরপরে শুধু ফ্রিজ থেকে বের করে খেয়ে নেবার পালা।
আজকের মত এ পর্যন্তই। কেমন লাগলো আমার রেসিপি আশাকরি জানাতে ভুলবেন না। আবার কথা হবে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনায় আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
Photographer | @ferdous3486 |
---|---|
Device | Samsung M21 |
দারুন একটি রেসিপি মিল্ক পুডিং। দেখতে যেমন আকর্ষণীয় খেতেও নিশ্চয়ই তেমনি মজাদার হয়েছে।
ছোট বাবুদের জন্য তো খুব ভালো পুষ্টিগুন সম্পূর্ণ একটি খাবার এটি।
আপনার সঙ্গে আমি সম্পূর্ণ একমত। ছোট বাবুদের জন্য এই খাবারটি আদর্শ একটি খাবার। যেমন পুষ্টিকর তেমনি সুস্বাদু। সবচেয়ে বড় কথা কোন ভেজাল নেই। ধন্যবাদ আপু
মিল্ক পুডিং দেখতেই সুন্দর লাগে, পুডিং খাবারটি যেমন মজা তেমনি দেখতেও সুন্দর হয়, আপনি চমৎকারভাবে মিল্ক পুডিং তৈরি করার রেসিপি আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন, এবং পুডিংটি বেশ সুন্দর লাগছে দেখতে আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।
সত্যি বলতে কি পুডিং দেখতে অনেক সুন্দর হলেও আমার কাছে কেন যেন ভালো লাগে না। তবে এটা যে অত্যন্ত পুষ্টিকর তাতে কোন সন্দেহ নেই। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য
এই মিল্ক পুডিং তৈরি করা সত্যিই খুবই সহজ এবং ভেজাল মুক্ত একটি কাজ। মিল্ক পুডিং তৈরি করা যেমন সহজ তেমন খেতেও বেশ সুস্বাদু হয়। খুবই ভালো লাগলো ভাই আপনার আজকের শেয়ার করা রেসিপিটি। আর আপনার উপস্থাপনাও আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন, যেমন সহজ তেমনি পুষ্টিকর। তবে ফুড কালার ব্যবহার করলে এটা দেখতে আরো অনেক বেশি আকর্ষণীয় হয়। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য
ভাই, আমি অনেক রকমের পুডিং খেয়েছি, ভিন্ন ভিন্ন রকমের পুডিং ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ হয়ে থাকে। এত পুডিংয়ের মাঝে আমি কখনো এই মিল্ক পুডিং খেয়ে উঠতে পারিনি। বুঝতে পারছি না এতো সুস্বাদু একটি রেসিপি কিভাবে আমার মা অথবা আমার অর্ধাঙ্গিনী মিস করে গেলো। কেননা তাদের জানার মধ্যে থাকলে অবশ্যই কোন না কোন একদিন এই মিল্ক পুডিং তৈরি করে খাওয়াতো। তাই আপনার তৈরি মিল্ক পুডিং এর রেসিপিটি আমি খুবই মনোযোগের সাথে দেখে নিলাম। বাসায় একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখতে হবে এতো সুস্বাদু একটি রেসিপি। আপনার তৈরি পুডিং দেখে আমারও ভীষণ খাওয়ার ইচ্ছে হচ্ছে। কেননা দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। আর এই লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সত্যি বলতে কি ভাই, আমার কাছে কেন যেন খুব একটা সুস্বাদু মনে হয়নি। দুধের তৈরি খাবার আমার কাছে ভালো লাগে না। তবে এটা যে পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই। একবার বানিয়ে দেখতে পারেন। আশা করি খারাপ লাগবে না।
বিভিন্ন ধরনের পুডিং খেয়েছি ভাইয়া ডিমের পুডিং ,সেমাইয়ের পুডিং ,সাবুদানার পুডিং কিন্তু মিল্ক পুডিং কখনো হয়নি। নতুন এই পুডিং রেসিপি টা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আমি অবশ্য এটি একদিন বাসায় ট্রাই করে দেখব। খুব লোভনীয় লাগছে জিভে জল আসার মত একটু রেসিপি ছিল। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আমার অবস্থা ঠিক আপনার উলটো। আমি মিল্ক পুডিং ছাড়া অন্য কোন পুডিং আজ পর্যন্ত খাই নি। আশা করি এরপর অন্য ধরনের পুডিং বানিয়ে দেখব। ধন্যবাদ আপু
আপনি মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। পুডিং আমার প্রিয় একটি খাবার। আমি নিজেও কয়েকবার পুডিং বানিয়েছি। তবে আপনার বানানো পুডিং অনেক মজার হইছে বোঝায় যাচ্ছে । আপনি খুব সুন্দর ভাবে পুডিং বানানোর রেসিপি ধাপে ধাপে আমাকে তুলে ধরেছেন। এত সুন্দর চমৎকার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আমি একটা ব্যাপারে ভুল করে ফেলেছি আর তা হচ্ছে ফুড কালার না দেয়া। একটুখানি ফুড কালার ব্যবহার করলে এটা দেখতে দারুণ আকর্ষণীয় হত। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে। ধন্যবাদ
আপনার তৈরি মিল্ক পুডিং দেখে আমার তো খেতে খুব ইচ্ছা করছে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে এটি তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।যা দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আমাদের মাঝে মিল্ক পুডিং বানানোর পদ্ধতি এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য।
আমিও দেখে দেখে শিখেছি এই পুডিং তৈরি। সব ক্রেডিট আমার বাংলাব্লগের। এখানে যোগদান করার পর থেকে প্রতিদিন কিছু না কিছু শিখছি। ধন্যবাদ ভাই
আপনার এই পুডিং এর রেসিপি থেকে ভাই জিভে জল চলে আসলো। অসাধারণ হয়েছে আপনার পুডিং এর রেসিপি। আপনি খুব সুন্দর করে দুধ দিয়ে মিল্ক পুডিং রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে। যা দেখে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি পুডিং এর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
দুধের তৈরি খাবার পুষ্টিকর ও সুস্বাদু হলেও অনেকে এগুলো খেতে পারেনা। তার মধ্যে আমিও একজন। বাসায় ছোট বাচ্চারা থাকলে চেষ্টা করে দেখতে পারেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
পুডিং খেতে অনেক ভাল লাগে। ঠান্ডা ঠান্ডা পুডিং খেতে অনেক পছন্দ করি। মিল্ক পুডীং দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। চমতকারভাবে মিল্ক পুডিং তৈরী করার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছন যার দ্বারা আমরা বাসায় বানিয়ে খেতে পারব। ধন্যবাদ
ইউটিউব ঘাটলে আরো অসংখ্য পুডিং তৈরির রেসিপি দেখতে পাবেন। আশা করি আপনার কাছ থেকেও চমৎকার কোন একটি রেসিপি পেয়ে যাব কিছুদিনের মধ্যে। ধন্যবাদ ভাই
আপনার চেষ্টা দেখে আমার ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে যায় ।মনে হয় আমি ঐসব কিছু করি। উপস্থাপনা অন্যের কাজে লাগবে। সহজে শিখতে কোন বাধা দেখিনা।
দয়া করে ধৈর্য ধরে রাখুন। বাধ টা যেন ভেঙে না যায়। সুন্দর ছিল আপনার মন্তব্য। ভীষণ উৎসাহিত বোধ করলাম।