আজ- ২৬ বৈশাখ | ১৪২৯, বঙ্গাব্দ | সোমবার | গ্রীষ্মকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আশা করি সবাই ভাল আছেন। সজারু একটি বিরল প্রাণী। যার সারা গা বড় বড় তীক্ষ্ণ কাটায় ভর্তি। এ কাঁটাগুলো অন্যান্য হিংস্র প্রাণীর আক্রমণ থেকে এদেরকে রক্ষা করে। একসময় বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চল গুলোতে সজারু দেখতে পাওয়া গেলেও এখন এগুলো বিলুপ্তপ্রায়। আদিবাসী লোকজন সজারুর মাংস খেয়ে থাকে। সজারু চলাচলের রাস্তায় এরা কলাগাছের ফাঁদ তৈরি করে রাখে, যা সজারুর গায়ের লম্বা কাটায় আটকে গিয়ে এদেরকে চলাচলে অক্ষম করে ফেলে। পরবর্তীতে শিকারীরা গিয়ে হত্যা করে এবং রান্না করে খায়। এভাবেই এই প্রাণীটি আস্তে আস্তে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। আজ কাগজ দিয়ে আমি একটি সজারুর অরিগামি তৈরি করেছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আসুন তবে দেখে নেয়া যাক তৈরীর প্রক্রিয়া।
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- রঙিন কাগজ
- আঠা
- কাঁচি
- স্কেল
প্রস্তুত প্রণালীঃ
ধাপ-১ঃ
শুরুতেই ৩×৩ ইঞ্চি সাইজের একখণ্ড লাল কাগজ নিয়ে পেন্সিল দিয়ে মাঝখানে বড় একটি বৃত্ত আকি।
ধাপ-২ঃ
কাঁচি দিয়ে দাগ বরাবর বৃত্তটি কেটে নেই এবং মাঝখান থেকে সমান দুভাগ করি।
ধাপ-৩ঃ
বৃত্তের একটি অংশ পেচিয়ে আঠা দিয়ে জোড়া লাগাই। যা দেখতে চোঙার মত হবে।
ধাপ-৪ঃ
১.৫×৬ ইঞ্চি সাইজের একখণ্ড লাল কাগজ পেচিয়ে রোলের মতো বানাই এবং আঠা দিয়ে জোড়া লাগাই।
ধাপ-৫ঃ
লম্বা একফালি কাগজ নির্দিষ্ট দূরত্বে কাঁচি দিয়ে ফালি ফালি করে কাটি।
ধাপ-৬ঃ
এবার ফালি করা কাগজ টি আঠা দিয়ে পূর্বের রোল করা কাগজ টির ওপরে দুই সারিতে পেচিয়ে পেচিয়ে লাগিয়ে দেই।
ধাপ-৭ঃ
চিত্রে প্রদর্শিত ভাবে পেছনের অংশটিও কাঁচি দিয়ে লম্বা লম্বা ফালি করে কেটে দেই। মাথার অংশটির সঙ্গে পেছনের অংশটি আঠা দিয়ে জুড়ে দেই।
ধাপ-৮ঃ
সামনের মাথার অংশে কলম দিয়ে দুটি চোখ, ভুরু কিছু চুল একে দেই। তাহলে তৈরি হয়ে গেল আমাদের শজারুর অরিগামি।
আজকের মতো এতোটুকুই। কেমন লাগলো আশা করি জানাতে ভুলবেন না। আবার আপনাদের সামনে হাজির হবো অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনায় আজকের মত এখানেই শেষ করছি।।
মায়ের কাছে শুনেছি মামা বাড়ীতে সজারু ছিল প্রচুর।এদের গায়ে কাটা থাকার জন্য এক ধরনের শব্দ হতো কাটায় কাটায় বারি লেগে। তখনকার সময় অনেকে নাকি কলা গাছ সজারুর গায়ে ফিক্কা মাইরা সজারু ধরতো। সজারুর মাংস খেয়ে ফেলতো। আমি মাকে বলতাম আমার সামনে এমন কেউ করলে আমি ওদের বেধেঁ রাখতাম। আমার কাছে সজারু প্রানী টিকে খুবি ভাল লাগে। অরিগামি তৈরীতে আপনি পটু । আমার খুবি ভাল লাগে আপনার এই ধরনের কাজ। ভাল থাকবেন ভাই নতুনের আশায় শুভেচ্ছা রইল।
এগুলো বিলুপ্ত হবার আগেই মানুষ যদি আপনার মত সচেতন হতো তাহলে হয়তো আমরাও এই প্রাণীগুলো দেখে যেতে পারতাম। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
দারুন হয়েছে ভাই,দেখে বেশ মজা পেয়েছি।সজারু কি সত্যিই খাওয়া যায় ভাই?আজকেই প্রথম শুনলাম,আর সজারু শিকার এর কায়দা টাও বেশ অভিনব।আর আপনার তৈরীকৃত সজারু টিও দারুন ছিল।😍
আদিবাসী মানুষরা সজারুর মাংস খেয়ে থাকে। তবে সজারু বিলুপ্তির পিছনে আরো অনেক কারণ আছে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য
রঙিন কাগজ দিয়ে খুব দক্ষতার সাথে সজারু তৈরি করলেন। আসলে সজারু তৈরি করার উপস্থাপন এবং ধাপে ধাপে তৈরি করার পদ্ধতি দেখতে পেয়ে আমিও শিখতে পারলাম। পরবর্তীতে তৈরি করব ইনশাআল্লাহ।
আশাকরি আপনি আমার চাইতে অনেক ভালো ভাবে তৈরি করতে পারবেন। কোন একটা সমস্যার কারণে আমি খুব একটা ভালো করতে পারিনি। ধন্যবাদ
সজারু বিলুপ্ত হওয়ার এই পদ্ধতি আমার জানা ছিল না ভাই। কলাগাছ দিয়ে আদিবাসীরা সজারু মেরে স্বীকার করে এখন এগুলো বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আপনার সজারুর ক্রাফটি দারুন ছিল। তৈরি করার পদ্ধতি গুলো ধাপ আকারে সুন্দরভাবে দেখিয়েছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
শুধু পাহাড়ি অঞ্চলে না একসময় বাংলাদেশের সমতল ভূমিতেও অনেক সজারুর দেখা পাওয়া যেত। আবাসস্থল ধ্বংস সেই সঙ্গে খাদ্যের অভাব ও এর বিলুপ্তির জন্য দায়ী।
আপনার করা সজারুর অরিগামিটা জাস্ট অসাধারণ হয়েছে। সজারু আমি সত্যি সত্যি কখনো দেখিনি। তবে আমার মনে হচ্ছে সজারুর অরিগামি টা দেখতে পুরোই আসল সজারুর মত হয়েছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমার সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
আমি ছোট বেলায় একবার চিড়িয়াখানায় দেখেছিলাম। এরপর আর কখনো দেখিনি। মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
ভাই আপনার শজারুর অরিগামিটি সুন্দর ছিলো খুব। খুবই সৃজনশীল ধারনা আপনার। মুখটি অনেকটা ইদুর এর মত হয়েছে। দারুণ ভাবে তৈরি করেছেন । ভালো লাগলো দেখে।
তৈরি করার পর আমারও মনে হয়েছে মুখটা অনেকটাই ইঁদুরের মতো হয়ে গেছে। সত্তিকারের সজারু দেখেছি বহু বছর আগে। তাই ভুলেই গেছি সজারু কেমন হয়
রঙিন কাগজ দিয়ে সজারুর অরিগামি তৈরি অসাধারণ হয়েছে। যেটা আমাকে মুগ্ধ করলো ।এত সুন্দর নিখুঁত ভাবে কাজটি করেছেন যেটা সত্যিই অনেক ভালো লাগছে দেখতে। সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
অরিগামি তৈরিতে আমি আসলে এক্সপার্ট নই। সবেমাত্র শিখছি। আশা করি পরবর্তীতে আরও ভালো করতে পারব।
অনেক আগে আমিও শুনেছিলাম কলাগাছ দিয়ে সজারু স্বীকার করা হয়, আপনার পোষ্টটি দেখার পরে আমার কাছে এটা ক্লিয়ার হল। আসলে বিরল প্রাণী গুলোকে এভাবে হত্যা করা উচিত নয় বলে আমি মনে করি।
যাইহোক রঙ্গিন কাগজ দিয়ে আপনার তৈরি করা সজারুটি বেশ দারুন হয়েছে ভাইয়া। আর আপনার উপস্থাপনা আমার কাছে বরাবরই খুবই ভালো লাগে । ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
ছোটবেলায় শুনেছি আমাদের এলাকাতেও নাকি সজারু দেখা যেত কিন্তু আজ এতো বছর পর চিড়িয়াখানা ছাড়া আর কোথাও এগুলোর দেখা পাবেন না। ধন্যবাদ উৎসাহ দেয়ার জন্য।
আপনার করা সজারুর অরিগামি খুব সুন্দর হয়েছে আপনি খুব সুন্দর ভাবে অরিগামি টি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এই অরিগামি তৈরি করার মধ্য দিয়ে আপনার সৃজনশীলতা ও দক্ষতা ফুটে উঠেছে। সজারু অরিগামি আমার অনেক ভালো লেগেছে। এত সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে নিখুঁতভাবে সজলের অরিগামি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
খুব একটা ভালো হয়নি সেটা আমিও জানি। তারপরেও প্রশংসার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল
ভাইয়া সজারুর অরিগামি টা দেখতে একদম প্রফেশনাল মনে হচ্ছে। রঙ্গিন কাগজ দিয়ে এমন জিনিস আমি এর আগেও অনেক তৈরি করেছে এটি অনেক পরিশ্রমের একটি কাজ। আপনি ধৈর্য সহকারে এই অরিগামি টি তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এর জন্য আপনার প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা রইল। ♥️
যেহেতু আপনি এগুলো তৈরি করতে অভ্যস্ত কাজেই আপনাকে আর বিশদ বলার প্রয়োজন নেই। যেমনভাবে আমি তৈরি করতে চেয়েছিলাম তেমনটি করতে পারিনি। তারপরেও উৎসাহ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।