আজ- ১৫ জ্যৈষ্ঠ/ ২৯ মে | ১৪২৮, বঙ্গাব্দ/২০২২ খ্রিস্টাব্দ| রবিবার | গ্রীষ্মকাল |
আসসালামু-আলাইকুম।
কেমন আছেন বন্ধুরা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব কাঁচা আমের আমসত্ত্ব তৈরির রেসিপি। টক মিষ্টি ঝাল স্বাদের এই আমসত্ত্ব দেখে জিভে জল আসা ফিরিয়ে রাখতে পারবেন না কেউ। আমের এই মৌসুমে আমরা সবাই আম খেয়ে থাকি। তবে আম দিয়ে হরেক রকমের মজার আচার তৈরি করে তা সংরক্ষণ করা যায় বহুদিন। বহুদিন ধরে আমসত্ত্ব খেতে ইচ্ছে করছিল কিন্তু বানানোর সময় এবং সুযোগ হয়ে উঠছিল না। সত্যি বলতে কি ছোটবেলা থেকেই এই আমসত্ত্ব আমার ভীষণ পছন্দ কিন্তু তৈরি করা বেশ ঝামেলা এবং সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তাই সচরাচর বাসায় তৈরি হয় না বললেই চলে। ছোটবেলায় স্কুলের সামনে বয়স্ক এক মহিলার কাছ থেকে কিনে খেতাম এই আমসত্ত্ব। সেই স্বাদ এখনও মুখে লেগে আছে। বহু বছর পর ফিরে পেলাম সেই পুরনো স্বাদ। আসুন তবে দেখে নেয়া যাক তৈরির প্রক্রিয়া।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
- কাঁচা আম
- খেজুরের গুড়
- শুকনা মরিচের গুঁড়া
- হলুদের গুঁড়া
- লবণ
- পাঁচফোড়ন
প্রস্তুত প্রণালী
ধাপ ১ঃ
প্রথমেই আমগুলো খোসা ছাড়িয়ে সুবিধামতো আকৃতিতে কেটে পরিষ্কার পানিতে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
ধাপ ২ঃ
ছোট ছোট করে কাটা টুকরোগুলোকে একটি পাত্রের মধ্যে নিয়ে সামান্য পানি দিয়ে ভালোভাবে সেদ্ধ করে নিতে হবে।
ধাপ ৩ঃ
ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে গেলে একটি ঝাজরি বা চালুনির মধ্যে নিয়ে আমের মধ্যে থাকা বাড়তি পানি ঝরিয়ে ফেলতে হবে। প্রয়োজনে কয়েক ঘণ্টা এভাবে রেখে দিতে হবে।
ধাপ ৪ঃ
এবার একটি পরিষ্কার করাই বা ফ্রাইপেনে কিছুটা তেল গরম করে নেই।
ধাপ ৫ঃ
তেল গরম হয়ে গেলে তার মধ্যে পানি ঝরিয়ে ফেলা আমের টুকরোগুলো দিয়ে আস্তে আস্তে নাড়তে থাকি।
ধাপ ৬ঃ
এবার পরিমাণমতো খেজুরের গুড় কুচি কুচি করে কেটে নিয়ে আমের মধ্যে দিয়ে দেই।
ধাপ ৭
সামান্য পরিমাণ লবণ, হলুদের গুঁড়া, শুকনা মরিচের গুঁড়া এবং সেই সঙ্গে কিছু পাচফোরন ভেজে শিল পাটায় বেটে তার গুড়া আমের মধ্যে দিয়ে দেই ।
ধাপ ৮
সমস্ত উপকরণ গুলো দেয়া শেষ হলে একটি চামচের সাহায্যে আস্তে আস্তে নাড়তে থাকি যতক্ষণ পর্যন্ত না সবকিছু গলে তরল আকৃতি ধারণ না করে। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে এ সময় যেন চুলার আচ কম থাকে এবং পাতিলের গায়ে লেগে না যায়।
ধাপ ৯
আম গলে তরল আকৃতি ধারণ করলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলি এবং একটি ছড়ানো পাত্রে পাতলা করে ঢেলে ছড়িয়ে দেই। এবার শুরু হবে রোদে শুকানোর পালা। কমপক্ষে তিন দিন রোদে শুকানোর পর সুবিধাজনক আকৃতিতে কেটে এই আমসত্ত্ব সংরক্ষণ করা যায় বহুদিন।
আজকের মত এ পর্যন্তই। কেমন লাগলো আমার আমসত্ত্ব তৈরির প্রক্রিয়া আশাকরি মন্তব্যের মাধ্যমে তা জানাবেন। আবার কথা হবে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনায় আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
আপনার আমসত্ত্ব দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। সত্যি খুবই অসাধারণ হয়েছে । আপনি খুব চমৎকারভাবে ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এত চমৎকার রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
এই জিনিসগুলো বানানো হয়তো একটু কষ্টের। তবে খেতে সত্যিই চমৎকার। একটু একটু করে কখন যে সবটুকু শেষ হয়ে যায় বুঝতেই পারবেন না। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য
জিভে জল আসার মত একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। আমসত্ত্ব আমার কাছে খুব ভালো লাগে আমার পছন্দের একটি খাবার। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভেবেছি আর একবার বানাবো তারপর বয়ামে ভরে রেখে দেবো সারাবছর খাবার জন্য। নিজেই বানিয়ে ফেলুন অথবা আন্টিকে বলুন বানানোর জন্য। ভালো থাকবেন ভাই
ভাইয়া আমসত্ত্ব আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমের সময় আসলে আমি আমসত্ত্ব করি। আমার আম্মুর হাতের আমসত্ত্ব আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। আপনার আমসত্ত্ব টি দেখে আমার খুব খেতে ইচ্ছে করছে ভাইয়া। আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া আমসত্ত্বের মজাদার রেসিপি টা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আমসত্ত্ব খেতে আমারও অনেক ভালো লাগে। তবে খেলাম বহু বছর পর। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য
ভাইয়া অসাধারন একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। দেখে লোভনীয় লাগছে। আমাদের বাসায়ও আমসত্ত্ব বানানো হয়। খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এতো সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর এই মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য। ভালো থাকবেন আপু
আমার জন্য একটু যেনো থাকে। আমসত্ত্ব আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার। তবে আমি এতদিন জানতাম আমসত্ব বানাতে হয় পাকা আম দিয়ে। তুমি তো দেখছি কাঁচা আম দিয়েছো। দেখেই মনে হচ্ছে খেতে খুবই মজা হয়েছে।
কাঁচা বা পাকা দু'ধরনের আম দিয়েই আমসত্ত্ব বানানো যায়। ইউটিউব দেখলে তুমি এমন ভুরিভুরি রেসিপি দেখতে পাবে। রেখে দিয়েছি তোমার জন্য মনে করে নিয়ে যেও।
ছোটবেলায় দেখেছি যে নানী-দাদীরা আমসত্ত্ব বানাতো পাকা আম দিয়ে। আমি এতদিন পর্যন্ত তাই জানতাম। কিন্তু এবার দেখছি যে সবাই কাঁচা আমের আমসত্ত্ব বানাচ্ছে। যেভাবে আমসত্ত্ব বানানো হোক না কেন খেতে কিন্তু খুবই মজা লাগে। আপনার আমসত্ত্ব দেখে মনে হচ্ছে যে খুবই মজাদার হয়েছে। কিছুদিন আগে বানালে তো খেয়ে আসতে পারতাম।
আমার আম গুলো একেবারে যে কাচা ছিল তা কিন্তু নয়। কাঁচা এবং পাকা মেশানো আম দিয়ে আমসত্ত্ব বানিয়েছিলাম। কষ্ট করে আর একবার এসে ঘুরে যান খাওয়াব কথা দিচ্ছি।
আমসত্ত্ব খেতে আমি খুবই পছন্দ করি কিন্তু। জানতাম না কিভাবে এটি তৈরি করা হয়। আজকে আপনি খুবই সুন্দরভাবে দেখিয়ে দিলেন কিভাবে খুব সহজে আমসত্ত্ব তৈরি করা যায়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া আমসত্ত্ব তৈরি করা এত সুন্দর একটি পদ্ধতি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
আপনার মত আমিও জানতাম না। ইউটিউব দেখে শিখেছি। খুবই মজার একটি খাবার। আপনিও চেষ্টা করে দেখতে পারেন
এটি আমার খুব পছন্দের একটি খাবার, আজকে দেখলাম এটি কিভাবে তৈরি করতে হয় এটি খেতে যেমন মজা তৈরী করাটাই ঠিক তেমনি সময় এর ব্যাপার। খুব ভালো লাগলো আপনার আজকের এই পোস্ট-টা আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
যেহেতু এখন আমের সিজন তাই আপনিও চেষ্টা করে দেখতে পারেন। আশা করি বানালে খুব একটা খারাপ হবে না। ধন্যবাদ ভাই
ভাই সত্যি বলতে আপনার পোস্টের টাইটেল টি পড়েই আমার জিভে জল চলে এসেছে। আর আমসত্ত্ব গুলো দেখার পর তো মন বলছে যেন এখনি খেয়ে ফেলি। 😁
দারুন হয়েছে ভাই আপনার আমসত্ত্ব গুলো। একটু পাঠিয়ে দিয়েন আমার বাসায়। ☺️
ধন্যবাদ ভাই।
ভাই পাঠাবো কিভাবে। অলরেডি প্রায় অর্ধেকটা খাওয়া শেষ। বাকি অর্ধেকটা বুকিং হয়ে গেছে। কষ্ট করে একবার বানিয়ে দেখুন।
আমসত্ত্ব তৈরির রেসিপি দেখে তো জিভে জল চলে আসলো ভাই। এমন কাঁচা আমের আমসত্ত্ব রেসিপি দেখলে জিভ খুবই বেসামাল হয়ে যায়। আর তাই আপনার তৈরি আমসত্ত্ব দেখে ভীষণ খাওয়ার ইচ্ছে হচ্ছে। ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন, আমসত্ত্ব তৈরি করা খুবই ঝামেলা ও সময় সাপেক্ষ ব্যাপার যার কারণে এই রেসিপি বাসায় তৈরি করা সম্ভব হয় না। অনেক অনেকদিন পর আপনার পোষ্টের মাধ্যমে আমসত্ত্ব তৈরীর রেসিপি দেখতে পেলাম। খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
বানানো হয়তো খুব একটা কঠিন কিছু নয়। তবে তিন চারদিন ধরে শুকাতে হয় এটাই হচ্ছে সবচেয়ে ঝামেলার। তবে একবার বানালে সারাবছর খেতে পারবেন। ভালো থাকবেন ভাই