জেনারেল রাইটিংঃ মাটির চুলায় গ্রাম বাংলার জনপ্রিয় খাবার তৈরি
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে বুধবার ,৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ কেমন আছেন আপনারা সবাই। আশা করছি ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে বেশ ভালো আছি। আজকে আবারো আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। গ্রাম বাংলার জনপ্রিয় একটা বিষয় আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য হাজির হয়ে গিয়েছি। যদিও আমি প্রথমের দিকে চিন্তা করেছিলাম এই বিষয়টা আপনাদের মাঝে শেয়ার করব কিনা কিন্তু পরবর্তীতে চিন্তা করলাম যে এটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যেতেই পারে। কারণ এই বিষয়টা গ্রাম বাংলার সাধারণ মানুষের একটা ঐতিহ্যের বিষয়। গ্রাম বাংলার সেই সাধারণ মানুষের ঐতিহ্যের বিষয়টা তুলে ধরার জন্যই মূলত আজকের এই পোস্টটি শেয়ার করা হচ্ছে।
আমি যে জিনিসটা তৈরি করে আপনাদের মাঝে আজকে শেয়ার করছি সেটা শীতের দিনে সব থেকে বেশি পরিমাণে দেখতে পাওয়া যায়। আমাদের এলাকাতে এটাকে ধাপড়া বলা হয়ে থাকে। এলাকা ভেদে হয়তোবা এই জিনিসটার নামের ভিন্নতা থাকতে পারে। নামের ভিন্নতা থাকলেও স্বাদের খেতে কিন্তু কোন ধরনের ভিন্নতা পাওয়া যায় না। সাধারণত এই জিনিসটা চাউলের আটা অথবা অন্যান্য আটা দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে।
যেহেতু গ্রাম বাংলার মানুষদের অর্থনৈতিক অবস্থা ততটা উন্নত হয় না তাই তারা বেশিরভাগ সময় মাটির চুলাতে এই ধরনের জিনিস তৈরি করে থাকে। বর্তমান সময়ে শহর এলাকাতেও এই ধরনের জিনিস তৈরি হতে দেখতে পাওয়া যায়। যদিও গ্রাম বাংলার মানুষেরা এটা অনেক সময় জীবিকা নির্বাহের জন্যই খেয়ে থাকে কিন্তু শহর এলাকার মানুষ এগুলো খায় শখের বসে। গ্রাম বাংলার বিশেষ করে হতদরিদ্র মানুষেরা এমন খাবার সব থেকে বেশি খেয়ে থাকে।
এই জিনিসগুলো যদি গুড় অথবা মরিচের ভর্তা দিয়ে খাওয়া যায় তাহলে সব থেকে বেশি ভালো লাগে। এই জিনিসগুলো খেতে আমার কাছে অনেকটা ভালো লাগে। আপনারা কি কোনদিন এমন জিনিস খেয়েছেন যদি খেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন।
আমি মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। আমি একজন গৃহিণী। আমি এই প্লাটফর্মে ২০২৩ সালের জুন মাসের ২৩ তারিখে যুক্ত হয়েছি। বিভিন্ন ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। যখনই সময় পাই এজন্য আপনাদের মাঝে আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করে থাকি। এছাড়াও রঙিন কাগজ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের জিনিস তৈরি করতে এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নানা ধরনের চিত্র অঙ্কন করতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আসলে আপু গ্রামের মানুষেরা অনেকেই মাটির চুলায় তাদের খাবার তৈরি করে থাকেন। এমন মাটির চলা আমার বাড়িতে ও রয়েছে। তবে আপনি দেখছেন মাটির চুলায় রুটি তৈরি করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
গ্রামের মানুষের ঘরে ঘরে মাটির চুলা থাকলেও শহরের মানুষের কাছে এটি একটি পছন্দের বিষয়। কেননা শহর অঞ্চলে এরকম মাটির চুলা খুবই কম দেখা যায়। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে মাটির চুলার রান্না খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার তৈরি এই রুটি আমি অনেক বার খেয়েছি। তবে আমাদের এইদিকে এই পিঠাকে চাপড়ি পিঠা বলা হয়ে থাকে। এই পিঠা যে কোনো ঝাল ভর্তা দিয়ে খেতে বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এই রুটি যে কোন ভর্তা দিয়ে খেতে ভীষণ ভালো লাগে বিশেষ করে ঝাল ভর্তা।
ধাপড়া নামটার সাথে আমি একেবারেই পরিচিত নই। আমার কাছে প্রথম শোনা মনে হলো নামটা। সাধারণত গ্রাম অঞ্চলের মানুষ অভাবের তাড়নায় পড়ে এই খাবারগুলো খায়, তবে আমার কাছে মনে হয় না এগুলো খেতে খুব বেশি একটা খারাপ। আপু আমি কিন্তু কখনো এই ধরনের খাবার খাইনি। তবে যদি কখনো সুযোগ হয় তাহলে অবশ্যই খেয়ে দেখব।
আসলে ভাইয়া এটাকে অনেকে হাতে রুটি বলে থাকে। শহর এলাকায় এই রুটিগুলো মানুষ অনেক পছন্দ করে । এই রুটি টা খেতে অনেক সুস্বাদ।
আচ্ছা আপু বুঝলাম। এই হাতে রুটির টেস্ট কেমন একদিন খেয়ে দেখতে হবে তাহলে।
আসলে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য গুলো সত্যি ভীষণ চমৎকার হয়।এই ধাপড়া পিঠা কোনদিন খাইনি এবং দেখিও নি কারণ আমাদের এলাকায় এরকম পিঠার প্রচলন নাই।তবে আপনার পিঠার ফটোগ্রাফি দেখে বুঝতে পারছি গরম গরম কোন ভর্তার সাথে এই পিঠা অমৃত লাগে খেতে।সত্যি লোভনীয় এই পিঠা। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পিঠা বানিয়ে দেখানোর জন্য।