হঠাৎ করে গিফট পাওয়ার আনন্দ।
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটি বন্ধুরা
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজ সোমবার , ২ জুন ২০২৫
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। কেমন আছেন আপনারা সবাই। আশা করছি আপনারা সবাই সুস্থ ও ভালো আছেন। আমি ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আজকে আবারো আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আজকে আমি আপনাদের মাঝে যে পোস্ট শেয়ার করব তার মূল টাইটেল হচ্ছে গিফট। গিফট পেতে আমাদের সবারই অনেক ভালো লাগে। ছোট হোক অথবা বড় গিফট তো গিফট ই। গিফটের সাথে জড়িয়ে থাকে আমাদের অনেক অনেক ভালোবাসা আর অনুভূতি। আমরা সবাই সবাইকে ভালবেসে গিয়ে উপহার দিয়ে। তাই আমার কাছে মনে হয় গিফট যেমনই হোক না কেন সেটা আমাদের কাছে সবচেয়ে দামি। তবে গিফট দেয়ার থেকে নেয়া একটু বেশি আনন্দের হি হি। মাঝে মাঝে আপনাদের ভাইয়া আমাকে গিফট দেয় আমার তো ভীষণ ভালো লাগে। তবে আজকে যে উপহারের কথা আপনাদের মাঝে বলব সেটা হচ্ছে আমার ছেলেকে একজন গিফট করেছে। যদিও যে গিফট করেছে সে আমাদের খুব কাছের লোক তারপরেও আনন্দটা অনেক বেশি। আমার ছেলেকে সুন্দর একটি গিফট দিয়েছে।
এইতো গত সপ্তাহে আমাদের বাড়িতে আমার খালা শাশুড়ি বেড়াতে এসেছিল মানে আমার শ্বশুরবাড়িতে আমার খালা শাশুড়ি এসেছিল। আর আবু রায়হানের উপহারটা দিয়েছে উনি মানে আমার খালা শাশুড়ি। এইযে টানা কয়েকদিন বৃষ্টি হলো এরমধ্যে উনি আমাদের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। আবু রায়হানকে সবাই অনেক কিছু দিয়েছে তবে উনি বাকি ছিল দিতে। আর গত সপ্তাহে উনি আবু রায়হান কি সুন্দর একটি আংটি গিফট করেছে। যদিও প্রথম যেদিন খালা আবু রায়হানকে দেখতে চাই সেদিন বলেছেন আবু রায়হানকে সুন্দর একটি আংটি গিফট করবে। তবে তখন হয়তো ওর হাতে একদম ছোট ছোট ছিল তাই বলেছিল একটু বড় হলে দিবে। আর খুশি হয়ে উনি হঠাৎ গত সপ্তাহে আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসেন এবং আবু রায়হানের হাতে আংটি পরিয়ে দেয়।
আবু রায়হান যেহেতু ছেলে মানুষ তাই ওর তেমন কোন গহনার প্রয়োজন হবে না এমনকি ইসলামে ছেলেদের গহনা পড়া নিষেধ। তাই আমরা তেমনভাবে আবু রায়হানকে কোন চুরি আংটি বা সোনার যে কোন জিনিস ব্যবহার করতে দি না। বাবু যখন খুব ছোট ছিল তখন ওর হাতে এমনিতেই রুপার চুরি ছিল কিন্তু এখন সেটাও হাতে দিতে দিই না। তবে আংটিটা খালা অনেক ভালোবাসা এবং অনুভূতি নিয়ে এসেছে তাই কিছুক্ষণ আবু রায়হানের হাতে পুড়িয়ে দিলাম। তবে ও আংটিটা পড়ে একটু বিরক্ত বোধহয় ছিল কেননা হঠাৎ করে কোন জিনিস যদি আমরা ব্যবহার করি তাহলে কেমন একটা লাগে। এরপরে আংটিটা খুলে রেখে দিলাম। তবে এত সুন্দর একটি অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগবে ভেবে আমি কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম।
এরপর এখন আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি। আংটিটা খুব ছোট এবং সিম্পল ছিল দেখতে অনেক সুন্দর ছিল। আপনাদের কাছে আবু রায়হানের এই সুন্দর উপহারটা কেমন লেগেছে সেটা অবশ্যই জানাবেন। আর আংটিটা আবু রায়হানের হাতে পুড়িয়ে কেমন লাগছে সেটাও জানাবেন। আশা করছি আমার আজকের এই পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকে এখানে শেষ করছি। পরবর্তীতে আবার আপনাদের মাঝে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হওয়ার চেষ্টা করব। আল্লাহ হাফেজ।
আমি মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। আমি এই প্লাটফর্মে ২০২৩ সালের জুন মাসের ২৩ তারিখে যুক্ত হয়েছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমার শখ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রেসিপি এবং রঙিন কাগজ ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।প্রাকৃতিক সৌন্দর সহ বিভিন্ন ধরনের আর্ট করতে ও আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার খালা শাশুড়ি আপনার ছেলেকে অনেক সুন্দর একটি গিফট দিয়েছে দেখে ভালো লাগলো। সত্যি কথা বলতে গিফট পেতে সবাই পছন্দ করে। আর গিফট খুবই সুন্দর হয়েছে।
ঠিক বলেছেন আপনি গিফট পেতে সবাই অনেক পছন্দ করে।
হঠাৎ করে গিফট পাওয়ার আনন্দ শেয়ার করেছেন।কী দারুণ! গিফ্ট পেয়ে আপনার এত খুশি লাগা দেখে আমারও ভালো লাগলো।আপনার খুশি দেখে মনে হচ্ছে যেন আমিও গিফ্টটা পেয়েছি! এমন অপ্রত্যাশিত উপহার জীবনকে আরও রঙিন করে তোলে।আপনার আনন্দ আমাদেরও আনন্দ দিয়েছে!এত খুশি দেখে মনে হচ্ছে গিফ্টের চেয়ে আপনার রিঅ্যাকশন বেশি মূল্যবান!
খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া জেনে আমাদের খুশিতে আপনারাও খুশি ধন্যবাদ।
উপহার পেতে আমাদের সকলেরই ভালো লাগে।আর সবারই ইচ্ছে করে উপহার পেতে।আপনার ছেলের জন্য আপনার খালা শ্বাশুড়ি উপহার এনেছে শুনে ভালো লাগলো।যদিও সে ছোট কিছুই বুঝে না তবে উপহার পেয়ে নিশ্চই ভীষণ খুশি হয়েছিল।খুবই ভালো লাগলো। পোস্ট টি পড়ে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপু ছোট হলেও কেউ যদি কিছু দেয় অর্থাৎ বিশেষ করে উপহার তাহলে তো এমনিতেই খুশি হয়ে যায় আর আমার ছেলে অনেক খুশি হয়েছিল।
আপু গিফট দেওয়া ও পাওয়া দুটির মধ্যে আনন্দ আছে।আর কেউ ভালোবেসে কিছু দিলে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আংটিটি দেখতে বেশ কিউট লেগেছে। নিশ্চয় আংটি পেয়ে অনেক খুশি হয়েছে সবাই। ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আপু আমরা সবাই অনেক খুশি হয়েছিলাম ধন্যবাদ।
https://x.com/MstFatema137069/status/1929747804236534090?t=ySpPDFtBHZuwntCfvrZLEA&s=19
https://x.com/MstFatema137069/status/1929748586067276010?t=3pPUVNq2J6NHIZwok2eH9Q&s=19
https://x.com/MstFatema137069/status/1929749339620233702?t=jmmLvSzhkCW9Jr4nYmrpZQ&s=19
https://x.com/MstFatema137069/status/1929749960712769600?t=_HCf2ywS7qg-p2w0g27_lw&s=19
https://x.com/MstFatema137069/status/1929751010857345331?t=PUlgZVIp_b5Vf7KkN1XFrw&s=19
https://x.com/MstFatema137069/status/1929751999031230920?t=nCijXezp8jJHl6lTiYQkxg&s=19
আপনার ছেলেকে গিফট দিয়েছে জেনে খুব ভালো লাগলো। আসলে গিফট পেলে খুব আনন্দ হয়। গিফট পাওয়া অনুভূতি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
ঠিক বলেছেন ভাই গিফট পেতে এবং গিফট দিতে বেশ ভালো লাগে।
আপনার পোস্ট পড়ে সত্যিই ভালো লাগলো আপু।
ছোট্ট আবু রায়হানের জন্য এমন সুন্দর এবং যত্নপূর্ণ উপহার পেয়ে আপনার খুশির কথা পড়ে আমাদেরও মন ভরে গেলো। গিফট শুধু একটা জিনিস নয়, তা ভালোবাসা আর স্নেহের প্রতীক। আপনার লেখায় সেই অনুভূতিটা খুব সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে।আল্লাহ আপনার ছেলেকে সবসময় হাসিখুশি ও সুস্থ রাখুন। আপনার এই নরম মমতার গল্প আমাদের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। এমন মিষ্টি মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপু গিফটের সাথে রয়েছে ভালোবাসা আর স্নেহ যেটাকে ফিরিয়ে দেওয়া খুবই কষ্টকর আর গ্রহণ করা খুবই আনন্দদায়ক।
সত্যি গিপ্ট পেতে সবার ভালো লাগে।আপনার ছেলে চমৎকার একটি স্বর্ণের আংটি গিপ্ট পেয়েছেন। আপনাদের ধর্মে স্বর্ণ পড়া নিষিদ্ধ ছেলেদের জানতাম না জানতাম স্বর্ণ পড়লে জাকাত দিতে হয় যাই হোক ভালোবেসে গিপ্ট করেছে আর অল্প সময়ের জন্য হলেও পড়িয়েছেন দেখে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট টি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।