রেসিপি: ছাগলের মাংস দিয়ে আলু রান্না।
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে শুক্রবার,২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করছি আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালোই ছিলাম তবে দুপুর থেকে অনেক জ্বর। আমি আজকে আপনাদের সাথে মাটির চুলায় রান্না করা ছাগলের মাংস ও আলুর রেসিপি শেয়ার করব। মাটির চুলায় এর আগে আমি রান্না করেছি বেশ ভালো লাগে। আমি অল্প একটু মাংস দিয়ে অল্প আলু একসাথে রান্না করেছি। কেননা চুলা টা অনেক ছোট বেশি বড় কড়া বা হাঁড়ি ধরবে না। তাই আমরা যে কয়টা মানুষ সেই কয় পিস মাংস নিয়েছি এবং সেই কয় পিস আলু দিয়ে রান্না করেছি। আলু একটু বেশি করে দিয়েছি আমার ছেলেকে খাওয়ানোর জন্য। যাইহোক অনেকদিন পর এভাবে চুলায় রান্না করতে আমার তো ভীষণ ভালো লাগলো। আমরা কিন্তু ছোট একটা হাড়ি দিয়ে চুলায় ভাত রান্না করেছি একসাথে খাওয়ার জন্য। যদিও আমার ছবি তোলা হয়নি।আমার তিন চাচা বলতে পারেন আমাদের বংশে মোট মেয়ে ৬ জন আর আমরা সবাই একসাথে উপস্থিত ছিলাম। সব বোনেরা এক জায়গায় বুঝতে পারছেন কি অবস্থা ।পিকনিকের মতই রেসিপিটা তৈরি করেছিলাম। যাই হোক এই অল্প কিছু উপকরণ দিয়ে চুলায় রান্না করা আমার আজকের রেসিপিটা কিভাবে সম্পন্ন করেছি সেটা এখন শুরু করছি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
ক্রমিক নম্বর | নাম |
---|---|
১ | ছাগলের মাংস |
২ | আলু |
৩ | পেঁয়াজ কুচি |
৪ | কাঁচামরিচ কুচি |
৫ | রসুন কুচি |
৬ | লবণ |
৭ | তেল |
৮ | জিরা ও ধনিয়া |
৯ | দারচিনি ও এলাচ |
১০ | পানি |
১১ | হলুদ গুঁড়া |
১২ | মাংসের রাঁধুনি মসলা |
ধাপ-১
প্রথমে আমি চুলা জ্বালিয়ে কড়াই এর মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিলাম। তারপর কেটে রাখা আলু গুলো ভালোভাবে ভেজে নিলাম। এরপর হালকা ঝাল ও হলুদ এবং লবণ দিয়ে মাংসগুলো ভেজে নিলাম। এভাবে আমি কখনো রান্না করিনি তবে আমার আপু রান্নার ধাপগুলো শিখিয়ে দিচ্ছিল আমাকে।
ধাপ-২
এরপর কড়াইয়ের মধ্যে আরেকটু তেল দিয়ে কেটে রাখা পেঁয়াজ কুচি, কাঁচামরিচ কুচি, রসুন কুচি, জিরা, ধনিয়া, দারচিনি ও এলাচ দিয়ে দিলাম। তারপর ভালোভাবে মসলা গুলো ভেজে নিলাম।
ধাপ-৩
মসলা গুলো একটু ভাজা হয়ে গেলে আমি আলু ও মাংসগুলো দিয়ে দিলাম। তারপর সবকিছু একসাথে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে নিলাম।
ধাপ-৪
এরপর আলু ও মাংসগুলো সিদ্ধ হওয়ার জন্য সামান্য পানি দিয়ে দিলাম। পানি গুলো না শুকানো পর্যন্ত নাড়াচাড়া করতে থাকলাম।
ধাপ-৫
এরপর তরকারিতে ঝোল রাখার জন্য পরিমাণমতো পানি দিয়ে দিলাম। পানি কিছুটা ফুটে উঠলে এর মধ্যে দিয়ে দিলাম রাঁধুনী মাংসের মসলা।
ধাপ-৬
তারপর আস্তে আস্তে অনেকক্ষণ জ্বাল দিয়ে রেসিপি টা তৈরি করে নিলাম।
ধাপ-৭
রান্না শেষ হলে আমরা সবাই মিলে অনেক মজা করে খেলাম। রান্নাটা ভীষণ সুস্বাদু হয়েছিল। আপনাদের কাছে আমার আজকে চুলোয় রান্না করা ছাগলের মাংস দিয়ে আলুর রেসিপি টা কেমন লেগেছে সেটা অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। আশা করছি ভালো লাগবে। আজকে এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আবারো আপনাদের মাঝে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হওয়ার চেষ্টা করব। সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন শুভকামনা রইল।
আমি মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। আমি এই প্লাটফর্মে ২০২৩ সালের জুন মাসের ২৩ তারিখে যুক্ত হয়েছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমার শখ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রেসিপি এবং রঙিন কাগজ ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।প্রাকৃতিক সৌন্দর সহ বিভিন্ন ধরনের আর্ট করতে ও আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আলু দিয়ে ছাগলের মাংসের মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। ছাগলের মাংস খেতে আমি খুবই পছন্দ করি। মাঝে মাঝেই ছাগলের মাংস খাওয়া হয়।মজাদার এর রেসিপিটি আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে।
আমার কাছে ছাগলের মাংস খেতে ভীষণ ভালো লাগে ধন্যবাদ ভাইয়া।
ছোট্ট মাটির চুলায় দারুনভাবে রান্না করেছেন আপু। দেখে তো মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। অল্প কিছু মাংস দিয়ে চমৎকারভাবে এই রান্নাটি করেছেন। আর সাথে আবার ভাত রান্না করেছেন জেনে ভালো লাগলো আপু।
ভীষণ মজা হয়েছিল আপু রেসিপি টা। ধন্যবাদ আপু।
ওয়াও আপনি দারুণ একটি রেসিপি শেয়ার করছেন আপু। ছাগলের মাংস খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনি দারুণ ভাবে আলু দিয়ে ছাগলের মাংস রান্না করছেন।রান্নার কালার ও পরিবেশন দেখে বোঝা যাচ্ছে রান্না টি দারুণ হয়েছে। ধন্যবাদ আপু পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
রেসিপিটা খেতে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছিল ভাইয়া কালার ও দারুন এসেছিল ধন্যবাদ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ছাগলের মাংস খেতে অনেক সুস্বাদু। আমি যেহেতু মুরগির মাংস খাই না তাই খাসির মাংস আমার ভীষন পছন্দের। আপনার খাসির মাংস রেসিপিটি অনেক সুস্বাদু হয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে। ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মুরগির মাংস আপনি খাননা আপু আমার তো বেশ ভালোই লাগে মুরগির মাংস। ধন্যবাদ আপু।
বেশ ভালোই আয়োজন করেছেন দেখছি। প্রতিজনের জন্য প্রতি এক পিস মাংস তার সাথে এক পিস করে আলু দিয়েছেন দেখে ভালো লাগছে। রান্নার কালারটা দেখে মনে হচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছে। মাটির চুলায় রান্না করলে খেতে খুব বেশি মজা হয়।
আপু রেসিপিটা পিকনিকের মত করে তৈরি করেছিলাম। তবে মাটির চুলায় রান্না তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
ছলের মাংস খেতে আমার অনেক ভালো লাগে ।আপনার রেসিপিটা দেখেই মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে খেতে ।ধন্যবাদ আপু মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনার কমেন্ট একটু ভুল হয়েছে আমার মনে হচ্ছে ঠিক করে নিবেন ধন্যবাদ।
ছাগলের মাংস এমনিতেই অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে আর যদি সে মাংস মাটির চুলাতে রান্না করা হয় তাহলে গ্যাসের চুলায় রান্না করার মাংসের তুলনায় অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে , খাবারে আলাদা রকমের স্বাদ আসে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে ছাগলের মাংসের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমার কাছে তো গ্যাসের চুলায় রান্না করা খাবারগুলো কেমন যেন একটা লাগে। তবে কিছু করার নেই খেতেই হবে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
চমৎকারভাবে মাংসের রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। বেশি ভালো লাগলো এত সুন্দর রেসিপি তৈরি করতে দেখে। অনেকদিন পর আজকে আমরা ছাগলের মাংস খেয়েছি। যাইহোক অনেক অনেক ভালো লাগলো দারুন রেসিপি ধাপ সহকারে উপস্থাপন করতে দেখে।
ছাগলের মাংস খুব কমই খাওয়া হয়। সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
মাটির চুলায় যে কোন কিছু রান্না করলে খেতে বেশ মজাই লাগে। আজকে আপনি ছাগলের মাংস আলু দিয়ে রেসিপি করেছেন। তবে ছাগলের মাংস আমি খুব কমে খাই। আপনার রেসিপির কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। তবে আমাদের এই দিকে আমরা মাটির চুলায় রান্না করে বেশি। মজার রেসিপিটি অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আমরা গ্রামে থাকি তা কোথায় বেশিরভাগ সময় নিচু মাটির চুলায় রান্না করা হয়। কিন্তু আমি এই রেসিপিটা উঁচু মাটির চুলায় রান্না করেছি।