গল্প - ঘর জামাই (পর্ব ১)

in আমার বাংলা ব্লগlast year

হ্যালো সবাইকে

কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। ঘর জামাই গল্প আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।

B612_20230721_221412_516.jpg

একটা মধ্যবিত্ত সচ্ছল পরিবারের একমাত্র মেয়ে ছিল। তার বাবা তাকে অনেক বেশি আদর যত্ন করতো তার মা মারা গেছে সে ছোটবেলায়। তার বাবা তাকে ছোট থেকে আগলে আদর যত্ন করে মানুষ করেছে। মেয়েটা বড় হল এরপর বাবা মেয়েটার জন্য একটা পাত্র খুঁজছিল। এমন একটা পাত্র যে ঘরজামাই থাকবে। মা-বাবার একমাত্র সন্তান আর তার মা ও মারা গেছে তার বাবার ইচ্ছে ছিল তার বিয়ের পর সেখানেই সংসার করবে বাবার বাড়িতে। ঘরজামাই থাকবে এরকম একটা ছেলে খুঁজছিল। আর সেভাবে একটা ঘরজামাই থাকা ছেলে পেয়েও যায়।

মেয়েটির জন্য যে ছেলেটি তার বাবা বিয়ের জন্য ঠিক করেছে সে ছেলেটির আবার মা-বাবা কেউ ছিল না। যার কারণে ছেলেটি বিয়ের পর শ্বশুর বাড়িতে থাকার জন্য রাজি হল। এরপর মেয়েটির বিয়ে হল ঘরজামাই থাকতে রাজি হওয়া ছেলেটির সাথে। মেয়েটির বিয়ে হওয়ার পর মেয়েটির মা ছিলনা জামাই আদর করার জন্য কিন্তু মেয়েটির বাবা জামাই আদর করতে কোন অংশে কম রাখেনি। মেয়েটির জামাইকে অনেক বেশি আদর যত্ন করত একজন মা থাকলে তার জামাইকে যেমন আদর যত্ন জন্য করতো তার থেকেও বেশি করত মেয়েটির বাবা মেয়েটির জামাইয়ের জন্য যেহেতু একমাত্র মেয়ে তাই।

মেয়েটির বাবার অনেক ধন সম্পত্তি ছি।ল অনেক জমি ছিল চাষবাস করা হতো সেখানে পুকুর ছিল কলাবাগান ছিল নারিকেল গাছের বাগান ছিল অনেক কিছুই ছিল। মেয়েটির বাবার ঘরবাড়ি সব ছিল আর জমি জামার চাষাবাদ মাছ, গরু চাষ নারিকেল, কলাবাগান এগুলো দিয়ে মেয়েদের সংসার খুবই সুন্দর ভাবে সবকিছু দেখাশোনা করত। এভাবেই কয়েক বছর মেয়েটি তার বাবা ও যে স্বামী নিয়ে সংসার করতে লাগলো। তার স্বামী ঘরজামাই হিসেবে জামাই আদরেই থাকতো আর তার বাবা বাইরে কাজ দেখাশোনা করত। এভাবে চলতে চলতে কয়েক বছর পর মেয়েটির বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ে।

অনেকদিন অসুস্থ থাকার পর একদিন মেয়েটির বাবা মারা যায়। খুবই কষ্টের মধ্যে দিন কাটায় বাবার জন্য একমাত্র বাবা ছিল মেয়েটির আর কোন আত্মীয় স্বজনের ছিলো না। সেজন্য সে খুব কষ্ট পেতে কিন্তু এভাবেই তাদের দিন কাটতে থাকে আর মেয়েটি তার সংসারের হাল ধরে। মেয়েটির জামাই তার সংসারের কোন কাজই করত না। শ্বশুর থাকতে শ্বশুর দেখাশোনা করত কিন্তু শ্বশুর মারা যাওয়ার পরও সে তার এই সংসারের দায়িত্ব নেয়নি। মেয়েটি তার সংসারের দায়িত্ব নিয়েছে বাবা মারা যাওয়ার পর পুকুরের মাছ গরু নারকেল গাছ কলা গাছ সবকিছু দেখাশোনা মেয়েটি করতো।

মেয়েটির জামাই প্রথম থেকে জামাই আদর পেয়ে অনেক বেশি অলস হয়ে গেছে। যার কারণে তার জামাই আদরের অভ্যাসটা রয়ে গেছে শ্বশুর মারা যাওয়ার পর তার যে সংসারের হাল ধরার কথা ছিল সেটা সে কখনো চিন্তাও করেনি। তার বউ সব সময় কাজকর্ম করত সব ধরনের কাজ ঘরের কাজে বাইরের কাজ সবকিছুই সে করতো। আর সে শুধু বারান্দায় বসে বসে বিভিন্ন কিছু চিন্তা করত। এভাবে প্রায় অনেক বছর চলতে থাকে। মেয়েটি তার সংসারের ঘরে বাইরে দুই কাজ করতে করতে খুবই অসুস্থ হয়ে পড়ে। জামাই ঘর জামাই হয়ে বসে বসে শুধু আরামে থাকতো আর খেতো। মেয়েটি যখন এই সব কিছু আর সামলাতে পারছে না তখন পাশের বাসার একটা ভাইয়ের বউয়ের সাথে এই বিষয়ে আলোচনা করলো....(চলবে)

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীজেনারেল
ফটোগ্রাফার@fasoniya
ডিভাইসVivo Y15s
লোকেশনবাংলাদেশ


আমার পরিচয়

1664774022741.jpg

আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।


1 (1).png

IMG-20221013-WA0015.jpg

Sort:  
 last year 

সত্যি ঘর জামাই তো বেশ ভালো এবেবারে ঘর জামাই। কে মরলো বা কে বাঁচলো তা দেখার হিসাব নেই। এই ধরনের জামাইদের আগে বাড়ি থেকে তাড়ানো উচিত। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে মেয়েটি পাশের বাসার ভাবির সাথে আলোচনা করে কি করে।

 last year 

আমার এই গল্পটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। খুব তাড়াতাড়ি আমি পরের পর্ব শেয়ার করব আপনাদের মাঝে।

 last year 

বাহ খুব সুন্দর গল্প আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপনি। ঘর জামাই গল্পটি পড়ে ভালো লাগলো। এমন অলস জামাইকে ঘর জামাই রাখা উচিত নয়। শ্বশুর মারা যাওয়ার পরে তার দায়িত্ব ছিলো শ্বশুরের ঘরের দায়িত্ব গ্রহণ করা । কিন্তু সে তা না করে বসে বসে খাচ্ছে। আসলে এ ধরনের আচরণ উচিত নয়। আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষা রইলাম। এত সুন্দর গল্প উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ‌।

 last year 

ঘর জামাই এই গল্পটি আপনার কাছে পড়ে ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

আপু খুব সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করেছেন। আপনার গল্প পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। তারজন্য বলে কাউকে অতিরিক্ত ভালোবাসা দিয়ে মাথায় তুলা ঠিক নয়। মেয়েটির বাবা যদি তার জামাইকে আদরের মধ্যে একটু বাস্তবতা শিখাতো তাহলে হয়তো মেয়েকে এত কষ্ট সহ্য করতে হতো না। আপনার পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

 last year 

হ্যাঁ আপু আপনি একদমই ঠিক কথা বলেছেন মেয়েটির বাবা যদি তার জামাইকে বেশি আদর যত্ন না দেখাতে তাহলে ঠিকই বাস্তবতা বুঝতে এবং সব কাজকর্ম করতো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

ঘর জামাই গল্পটির প্রথম পর্ব পড়ে খুব ভালো লেগেছে। আসলে মেয়েটির যেহেতু মা ছিল না আর বাবার সাথে থাকতো, তাই বাবা চেয়েছিল ঘর জামাই হিসেবে মেয়ের জামাইকে রাখতে। তবে ঘর জামাই হিসেবে অনেক আদর যত্নে তার মেয়ের জামাইকে রেখেছিল। তাই তো সে অনেক বেশি অলস হয়ে গিয়েছিল। মেয়েটির বাবার মৃত্যুর কথা শুনে খুব খারাপ লেগেছে। পরবর্তীতে কি হল তা জানার অপেক্ষায় থাকলাম।

 last year 

আপনি আমার পুরো গল্পটি পড়েছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু মূল্যবান সময় দিয়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

বেশিরভাগ ঘর জামাই গুলো অলস হয়। কারণ তাদেরকে ঘরজামাই রাখা হলে তারা আরাম-আয়েশে খেতে চায়। যদিও মেয়ের জামাই বাড়ি এবং বাইরের কোন কাজ করে না। সে হিসাবে সে অনেক অলস লোক। মেয়েটির বাবা মনে করলেন ঘরজামাই রাখলে তার জন্য ভালো হবে। দেখা যাক মেয়েটি তার পাশের বাসায় একটি ভাবির সাথে আলোচনা করলো। তবে আপনার দ্বিতীয় পর্বে বোঝা যাবে জামাইটির চিন্তাভাবনা কি। ঘরজামাই গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

হ্যাঁ আপু আপনি একদমই ঠিক কথা বলেছেন মেয়েটির বাবা ভেবেছিল ঘর জামাই রাখলে ভালো হবে কিন্তু ঘর জামাই রেখে উল্টো আরো সমস্যা তৈরি হলো।

 last year 

ছোটকালে কোন বাচ্চার মা মারা গেলে। অনেক সময় বাবা গুলো ছেলেমেয়েকে সুন্দর করে লালন পালন করে আবার কেউ ব্যর্থ হয়। যাক মেয়েটির বাবা মেয়েটিকে সুন্দর করে লালন পালন করে বড় করলেন। এবং মেয়েটিকে ঘরজামাই রেখে বিয়ে দিলেন। অনেক ক্ষেত্রে ঘর জামাই গুলো একটু অলসতা দেখা যায়। যেমন মেয়েটির জামাই সেরকম একটি লোক। মেয়েটি অসুস্থ হওয়ার পর মেয়ের জামাই চিন্তা ভাবনা কি রকম আশা করি আগামী পর্বে জানতে পারবো। আপনার পরের পরের অপেক্ষায় আছি। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি আমাদের মাঝে পর্বটি শেয়ার করবেন।

 last year 

গল্পটি পড়েছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। আশা করছি খুবই তাড়াতাড়ি আগামী পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারব।

 last year 

আপু আমার তো মনে হয় ঘরজামাইরা খুবই অলস প্রকৃতির হয়। আর তাইতো শ্বশুর মারা যাবার পরও মেয়েটার বর সংসারের হাল ধরে নি। বরং বসে বসে খেয়ে দিন কাটিয়েছিল। যাই হোক অবশেষে মেয়েটি তার পাশের বাড়ির এক ভাই বউয়ের সাথে মনের কথাগুলো খুলে বলেছে এবং এর পরে কি হয়েছে তা জানার জন্য অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ

 last year 

খুবই তাড়াতাড়ি আগামী পর্ব আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব আশা করছি শেষ পর্বটিও পড়বেন। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 66914.48
ETH 3341.32
USDT 1.00
SBD 2.72