"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ২৭ || কচুর লতি দিয়ে চিংড়ি মাছের মজাদার রেসিপি।
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি । আজকে আমার পোস্টটি হলো রেসিপি পোস্ট । আমার খুবই প্রিয় একটি রেসিপি । আমি তৈরি করেছি আজকে আমি কচুর লতি দিয়ে চিংড়ি মাছের মজাদার রেসিপিটি তৈরি করেছি। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আমি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। রান্না করাটা আমার একটা শখ । আজকে আমি নতুন একটি রান্না আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আমার বাংলা ব্লগের ২৭ তম প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছি। এটি আমার দ্বিতীয় বারের মত কনটেস্টে জয়েন করা । আজকের এই কনটেস্ট আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে চিংড়ি মাছের রেসিপি কনটেস্ট। চিংড়ি মাছ খেতে কে না পছন্দ করে। প্রথমত আমার খুব প্রিয় মাছ হল ইলিশ মাছ আর দ্বিতীয় নাম্বারে রয়েছে চিংড়ি মাছ। চিংড়ি মাছের প্রতিযোগিতাটি যখন দেখতে পেলাম তখন আমিও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা সিদ্ধান্ত নিলাম। এরপর কি তৈরি করব চিংড়ি মাছ দিয়ে মাথার মধ্যে অনেক ধরনের রেসিপি এসেছে। চিংড়ি মাছের মালাইকারি, ডাব চিংড়ি ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক কিছু।
তারমধ্যে আমি চিংড়ি মাছের রেসিপি বানানোর জন্য বেছে নিয়েছে কচুর লতি দিয়ে চিংড়ি মাছের মজাদার একটি রেসিপি। বাঙ্গালীদের অর্থাৎ বাঙ্গালদের কাছে অনেক প্রিয় কচু। কচুর কিনা খাওয়া যায় কচুর মুখা, কচুর লতি, কচু শাক কচুর সব কিছুই খাওয়া যায়। তার মধ্যে আমি কচুর লতি দিয়ে চিংড়ি মাছের রেসিপিটি করার চেষ্টা করেছি। কারণ কচুর লতি দিয়ে চিংড়ি মাছ খুবই প্রাচীন একটি পুরনো একটি রান্না। দাদি নানি এবং তাদেরও দাদি নানি থেকে শুরু করে শুনেছি দেখেছি কচুর লতি দিয়ে চিংড়ি মাছ এই রান্নাটা খুবই জনপ্রিয়। সেজন্যই আজকের এই চিংড়ি মাছের রেসিপি প্রতিযোগিতায় ঐতিহ্যবাহী কচুর দিয়ে চিংড়ি মাছের রেসিপি তৈরি করেছি।বর্তমানে চিংড়ি মাছের অনেক ধরনের রেসিপি খুবই জনপ্রিয় ।কিন্তু আগেরকার দিনে চিংড়ি মাছের রেসিপিগুলো দিনদিন যেন হারিয়ে যাচ্ছে। সেজন্যই আজকে হারিয়ে যাওয়া সেই মজাদার চিংড়ি মাছের রেসিপিটি আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। আজকের এই রান্নাটা খুবই সাধারণ একটি রা।ন্না আমি কোন ধরনের বাড়তি মসলা বা কোন এক্সট্রা কিছুই আমি ব্যবহার করিনি। শুধু লবণ মরিচ দিয়ে রান্নাটা করেছি একেবারে আগেকার দিনে যেভাবে করতো সেভাবে করেছি। আশা করি আপনাদের সবার এই চিংড়ি মাছের রেসিপিটি ভালো লাগবে।
উপকরণ
চিংড়ি মাছ
কচুর লতি
পেঁয়াজ
রসুন
লবণ
মরিচ
হলুদ
কাঁচা মরিচ
পানি
তেল
তৈরি করার পদ্ধতি:-
প্রথমে একটি কড়াইয়ে সয়াবিন তেল দিয়েছি পরিমাণ মত। এরপর আমি কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম তেল গুলো গরম হওয়ার জন্য।
তেল গরম হওয়ার পর আমি কড়াই এর মধ্যে পেয়াজ কুচি ,লম্বা করে কেটে নেওয়ার কাঁচামরিচ কুচি দিয়ে দিয়েছি।তারপর রসুন বাটা দিয়ে দিয়েছি।
এরপর আমি লবণ দিয়েছি পরিমাণ মতো। তারপর হলুদ ও মরিচ দিয়ে দিলাম।
লবণ ও হলুদ,মরিচ দিয়ে আমি পেঁয়াজের সাথে ভালো করে মিশিয়ে নিলাম। এরপর কিছুক্ষণ সবকিছু কষিয়ে নিলাম।
এরপর আজকের রেসিপি এর মূল চমক চিংড়ি মাছ দিয়ে দিলাম কড়াই এর মধ্যে এবং পেঁয়াজের হলুদ মরিচের সাথে সবকিছু মিশিয়ে নিলাম।চিংড়ি মাছ ও পেঁয়াজ মসলাগুলো মিশিয়ে নেওয়ার পর আমি সামান্য পরিমাণ পানি দিয়ে দিয়েছি। পানি দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিলাম।
কড়াই এর মধ্যে আমি এবার কেটে রাখা কচুর লতি করে দিয়ে দিয়েছি। কচুর লতি গুলো দিয়ে চিংড়ি মাছের সাথে ভালো করে মিশিয়ে নিয়েছি।
এরপর পরিমাণমতো পানি দিয়ে দিয়েছি কড়াই এর মধ্যে যাতে চিংড়ি মাছগুলো সিদ্ধ হয়ে যায় এবং রান্না হয়ে যায়।
এরপর পানি গুলো একেবারে শুকিয়ে নিয়েছি। পানি গুলো শুকিয়ে একেবারে কচুর লতি ও চিংড়ি মাছ মাখো মাখো হয়ে এসেছে।
ব্যাস তৈরি হয়ে গেল কচুর লতি দিয়ে চিংড়ি মাছের মজাদার রেসিপি ।গরম গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করেছিলাম। খেতে যা মজা হয়েছে আর কোন ধরনের তরকারি প্লেট জায়গা পায়নি।
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
কচুর লতি দিয়ে চিংড়ি মাছের রেসিপি শেয়ার করেছেন যেটা খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। চিংড়ি মাছ গুলো মসলার সাথে ভালোভাবে কষিয়ে নিয়েছেন তার জন্য আরো মজা লাগছে। লোভ লেগে গেল আপু।
প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করার জন্য প্রথমেই আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু। চিংড়ি মাছ যেভাবেই রান্না করা হোক না কেন খেতে ভালো লাগে। আর কচুর লতি দিয়ে চিংড়ি মাছ রান্না করলে দারুন লাগে খেতে। আমি তো মাঝে মাঝেই এভাবে রান্না করে খাই। দারুন লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন এবং এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
চিংড়ি মাছ দিয়ে যেকোনো রেসিপি করলে খেতে অনেক ভালো লাগে।চিংড়ি মাছ ও কচুর লতি রেসিপি অনেক মজার একটি রেসিপি।খুব সুন্দর করে ধাপে ধাপে রেসিপি তৈরি করে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।আপনি ২৭ তম প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন দেখে অনেক ভালো লেগেছে।আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই । আপনি অনেক সুন্দর ভাবে কচুর লতি দিয়ে চিংড়ি মাছ রান্না করেছেন ।আমাদের বাড়িতেও মাঝেমধ্যে এমন ধরনের রেসিপি তৈরি করা হয় ।আমার সবথেকে চিংড়ি মাছ ভাজা খেতে অনেক ভালো লাগে। গলদা চিংড়ির কথা তো বলবোই না ,সেটা আমার কাছে অনেক বেশি ফেভারেট।
আপু প্রথমত আপনাকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। আর আপনি রান্না করতে পছন্দ করেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। কচুর লতি দিয়ে চিংড়ি মাছের রেসিপি আমার খুবই পছন্দের।আপনার রেসিপি দেখে লোভ লাগছে। অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
কচুর লতি দিয়ে চিংড়ি মাছের রেসিপি খেতে কিন্তু দারুণ মজা লাগে। আমি অনেক আগে খেয়েছিলাম খুব ভালো লেগেছিল। আপু আপনার রেসিপি দেখে জিভে জল চলে আসল। মনে পড়ে গরম ভাতের সাথে নিয়ে এখনি খেয়ে নেই। রেসিপির ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
প্রথমেই আপনাকে অভিনন্দন জানিয়ে চলমান প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। চলমান প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের পাশাপাশি আপনি অনেক মজাদার এবং লোভনীয়ভাবে কচুর লতি দিয়ে চিংড়ি মাছ রান্না করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। চিংড়ি মাছ বাঙালির অনেক প্রিয় খাদ্য আসলে বাঙালি ভাতের সঙ্গে মাছ না হলে নাক সিটকায়। যাই হোক আপনার এই মজাদার রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি লোভনীয় ছিল। সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমার প্রথম পছন্দ চিংড়ি আর ইলিশ খেতেও দারুণ লাগে। কচুর লতি দিয়ে চিংড়ি রেসিপি খেয়েছি অনেক তবে সে চিংড়ি গুলো এতো বড় ছিলোনা। বড় চিংড়ি গুলোর স্বাদ তো অনেক বেশি। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন এর জন্য আপনাকে অভিনন্দন জানাই। শুভেচ্ছা রইলো আপু।
আগে যখন ঠাকুমা বেঁচে, ছিল বাড়িতে প্রায়ই চিংড়ি মাছ দিয়ে কচুর লতি রান্না হতো। আমার ঠাম্মা এর মধ্যে একটু রসুন থেঁতো করে দিত। সেই দিয়েই আমরা খেতাম। আমাদের সেদিন আর আলাদা করে অন্য কোন আইটেম লাগত না।কালোজিরা ফোড়ন দিত এর সাথে। এত সুন্দর একটা গন্ধ বের হতো কালো জিরা এবং রসুনের নাক যেন ধরে থাকতো। আপনি আমার সেই স্মৃতিটা মনে করিয়ে দিলেন।খুব সুন্দর একটা ছিমছাম রেসিপি শেয়ার করেছেন।