গল্প:-বিশ্বাসঘাতক( শেষ পর্ব )
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।বিশ্বাসঘাতক গল্প আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।
আজকে আরেকটি নতুন গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। গল্প পড়তে এবং গল্প লিখতে দুটোই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনাদের মাঝে প্রায়ই চেষ্টা করি গল্প শেয়ার করার আপনারা খুবই ভালোভাবে পড়েন এবং খুবই সুন্দরভাবে কমেন্ট করে থাকেন যেটা দেখে খুবই ভালো লাগে। সময় আপনাদের কাছে ভুতের গল্প শেয়ার করে থাকে ভূতের গল্প পড়তে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে সেজন্য আপনাদের মাঝেও শেয়ার করি। তবে আজকে আর ভূতের গল্প শেয়ার করবো না আজকের বিশ্বাসঘাতকের গল্প শেয়ার করার জন্য আপনাদের মাঝে চলে এসেছি। আজকের গল্পটি হলে চলুন শুরু করা যাক আজকের গল্প।
ওই লোকটি মহিলাদের বাড়িতে এসে দেখে মহিলাটি মৃত অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছে। এরপর সে খুবই অবাক হয়ে যায় এবং আশেপাশের মানুষকে ডেকে নিয়ে আসে এই মহিলাটির অবস্থা দেখার জন্য এবং সাথে সাথে তার ছেলেকে কল দিয়ে বলে যে তার মা মৃত অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছে। আশেপাশের মানুষ আত্মীয়-স্বজন সবাই যখন এই মহিলাটির কথা শুনে বাড়িতে আসে। তারপর তারা ঘরের অবস্থা এবং পরিবেশ দেখে বুঝতে পারে যে এ মহিলাটিকে কেউ খুন করেছে। মহিলাটির ঘরের পুরো সব জিনিসপত্র এলোমেলো ছিল আলমারি থেকে জিনিসপত্র সব অগোছালো ভাবে মাটিতে পড়ে রয়েছে এবং পুরো ঘরের জিনিসপত্র খুবই অগোছালো অবস্থায় ছিল। যেটা দেখে খুব সহজে বোঝা যাচ্ছে এই ঘরের মধ্যে কিছু একটা হয়েছে।
পরবর্তীতে গ্রামের মানুষ যখন বুঝতে পারে যে এইটা একটা খুন। তখন সাথে সাথেই তারা পুলিশে খবর দেয় এবং কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ চলে আসে। তার একটা মেয়ে ছিল সেও শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে আসে এবং এসে মায়ের অবস্থা দেখে খুবই কান্নাকাটি করছিল। কারণ মা ছাড়া তাদের আর দুনিয়াতে কেউই ছিল না বাবা ছিল বিদেশ। তার ভাইয়েরা বিভিন্ন কাজে কর্মে এই একটা সংসারে তার মা খুবই সুন্দরভাবে সামনে নিয়ে রেখেছিল। কিন্তু মা যখন মরে গিয়েছে তখন এই সংসার আর কে দেখবে। পুলিশ আসার পর পুলিশ বিভিন্ন মানুষকে বিভিন্নভাবে অনেক কথাই জিজ্ঞেস করে এবং ঘরের আশেপাশে অনেক জায়গা খোঁজাখুঁজি করে দেখে এলোমেলো। জিনিসপত্র গুলোকে খুবই ভালো করে দেখে প্রমাণ জোগাড় করার জন্য।
পুলিশেরই খোঁজাখুঁজির মাধ্যমে পুলিশ দুটো শার্টের বোতাম পায় মাটিতে পড়ে রয়েছে। এ বোতামগুলো এবং প্রমাণ সহ তারা সেদিন চলে যায়। পরদিন তারা এই বোতাম গুলোর মাধ্যমে খুনি পর্যন্ত পৌঁছে যায়। পুলিশ যখন আসল অপরাধী ধরে থানা নিয়ে যায় তখন ওই মহিলাটির পরিবারের মানুষজন যায়। গিয়ে দেখে খুনি হচ্ছে মহিলা কে যে দেখাশোনা করতো একটা ছেলে এসে বিভিন্ন ধরনের কাজকর্ম করে দিয়ে যেত সেই ছেলেটাই মহিলাকে খুন করেছে। শার্টের বোতাম গুলো ওই ছেলেটা ছিল। পরে বিভিন্ন মাধ্যমে ও ছেলেটার থেকে জানা যায় ওই মহিলাটি একা থাকত আর তার ঘরের মধ্যে বিভিন্ন টাকা পয়সা ছিল। সেজন্য ছেলেটা মহিলাকে একা পেয়ে তার বন্ধুবান্ধব সহ চুরি করতে গিয়েছিল।
কিন্তু তারা চুরি করতে গিয়ে সফল হয়নি। তাদের চুরি করতে ওই মহিলাটি দেখে ফেলে আর ওই মহিলাটি ওই তাদেরকে চিনে পেলে। সেজন্য তারা খুবই ভয় পেয়ে যায় কারণ সে একজন বিশ্বাসী মানুষ ছিল এই মহিলার কাছে। কিন্তু সে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে এই জিনিসটা যদি ওই মহিলা সবাইকে বলে দেয় তখন সমাজে তার নাম খারাপ হবে সেজন্য সে তখন তাকে খুন করে দেয়। আশেপাশের মানুষকে আসলে এখন বিশ্বাস করাটা অনেক কঠিন হয়েই উঠেছে। কারণ এই মহিলাকে তার বিশ্বাসের ফল হিসেবে তার জীবনটাই দিয়ে দিতে হল।
শ্রেণী | জেনারেল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
https://twitter.com/APatwary88409/status/1742029178881618393?t=JxwxgZacrwR2i9DZkYeyDA&s=19
আপনার এই গল্পের শেষ পর্ব পড়ে খুবই ভালো লাগলো৷ এর প্রথম পর্ব আমি পড়ে নিতে পারিনি৷ তবে আজকে আপনি এর শেষ পর্ব যেভাবে শেয়ার করেছেন এর থেকে বুঝতে পারলাম এটি একটি শিক্ষনীয় গল্প। আমাদের চারপাশে অনেকে ভালো মানুষের মুখোশ পরে আমাদের সামনে আছে। তবে তারা আমাদের পিছনে বিশ্বাসঘাতকতার পরিচয় বহন করছে।আর সেরকমভাবে বিশ্বাসঘাতকতার কবলে পরলে ওই মহিলার মতো হত্যার শিকার হতে হয়।
আজকের এই গল্পটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনার গল্পের শেষ পর্বটি অনেক সুন্দর ভাবে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আসলে আপনার গল্পটা এক ধরনের শিক্ষামূলক একটি গল্প। অনেক ধরনের বিশ্বাসঘাতক আমাদের চারপাশে দেখা যায়। আর বিশ্বাসঘাতকদের কবলে পড়ে মহিলার মতো অনেক মানুষকেই নির্মম হত্যার শিকার হতে হয়। বেশ ভালো লাগলো আপনার লেখা গল্পটি পড়ে।
আমাদের আশেপাশে অনেক বিশ্বাসঘাতক রয়েছে আসলে যাদেরকে বিশেষ করে অনেক কিছুই হারাতে হয়।
এটা একটা বাস্তবিক ঘটনা ছিল। এই ঘটনাটা আমি কয়েকদিন আগেই শুনেছিলাম। আর আপনি সুন্দর করে গল্পের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন যেটা দেখে ভালো লেগেছে। এমনিতে আপনার এই গল্পের প্রথম পর্বটা আমি পড়েছি। আসলে এখন কিন্তু আশেপাশের মানুষগুলোকে বিশ্বাস করা যায়। এখন কে কার বিশ্বাস কখন যে ভেঙে দেয় তা কেউ বলতে পারবে না। বিশ্বাসের জন্য এখন মহিলাটাকে তার নিজের জীবন দিতে হয়েছে, এটা ভাবতেই খারাপ লাগতেছে। প্রথমবার যখন মহিলাটার কথা আমি শুনেছিলাম, তখন আমার কাছে অনেক বেশি খারাপ লেগেছিল।
একদমই ঠিক বলেছেন এটা বাস্তব ঘটনা ছিল এবং আমাদের পাশের এলাকাতেই কিছুদিন আগে এই ঘটনাটি ঘটেছে। ধন্যবাদ আপনাকে গল্পটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।