ভাইরাল মামার ফলের পিনিক(১০% বেনিফিশিয়ারি লাজুক খ্যাকের জন্য)

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই কুশল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি।


বায়োলজি প্রাইভেট ছুটি হয় বিকেল ৫ঃ৩০ এর ওদিকে।প্রাইভেট শেষে আমি আর নাফিস যাচ্ছিলাম বাসার দিকে।আমার কাছে সাইকেল ছিল আর ও যাচ্ছিলো হেটে।কোন এক কাজের জন্য নাইমের সাতমাথায় যেতে হয়েছিল আর সেজন্য নাফিসকে ডেকে নাইম তার সাইকেলটা দিয়ে নিজে অটোতে করে সাতমাথা গিয়েছিল। তারপর নাফিসের কাছেও সাইকেল হলো আর আমার কাছে তো ছিলই।ও বললো চল ঘুরে বেড়াই একটু,বাসায় পরে যাবো।
এদিক সেদিক ঘোরা-ফেরা করে তখন মাগরিবের আজান দিয়ে দিয়েছে।ও তখন বললো,ফেসবুকে নাকি একটা ভিডিও দেখেছে, যেখানে এক লোক লেবু,পেয়ারা,আমড়া,আনারস,কলার মোচা,তেতুল এগুলো মেখে বিক্রি করে।আর সেগুল পিনিক নামেই বিক্রি করেন।আর তার সেই দোকানটা মাটিডালি থেকে একটু আগেই,বিসিক শিল্পনগরীর মাঝে। আমিতো এর আগে লেবুর পিনিক বাসাতেই বানিয়েছিলাম আর তা আপনাদের সাথে শেয়ারও করেছিলাম। তো ওর কথা শোনার পর গিয়েছিলাম ওর সাথে সেই দোকানে।

received_3298118467085852.jpeg

ভালো করে খেয়াল করে দেখেন,তার সব কাজকর্ম একটা বড় গাছের নিচে।মানে,ফিলটাই একটু অন্যরকম করার চেষ্টা।
received_2031898680330459.jpeg

received_474463764301337.jpeg

পেয়ারা,লেবু,আনারস,কলার মোচা,তেতুল এগুলার প্রত্যেকটার পিনিক তিনি বিক্রি করেন ২০ টাকা করে।গিয়ে দেখি বেশ ভালোই লোকজন।আমাদের বয়সী ছেলে-মেয়েরাই বেশি ছিল।
আমরা দুজন দুটো লেবুর পিনিকের অর্ডার দিয়েছিলাম।মিনিট তিনেকের ভেতরই তিনি আমাদের বানিয়ে দিয়েছিলেন।
received_737557787314174.jpeg

received_522556556301102.jpeg
টেস্টের কথা বলতে গেলে বলবো পুরাই কিলিং টেস্ট ছিল।টক-ঝাল মিশিয়ে একদম একাকার অবস্থা।খেতে খেতে ঝালের জন্য আমার চোখ দিয়ে পানি চলে এসেছিল ঠিকই কিন্তু তারপরেও অমাইক একটা ফিল পেয়েছিলাম।লেবুর ওটা খেতে খেতে ওনাকে পিয়ারাও মাখতে বলেছিলাম।
received_401709665425885.jpeg

received_378989564382972.jpeg

২০ টাকা হিসেবে পরিমাণে দেখি বেশ ভালোই দেয়।লেবু সম্পূর্ণটা শেষ করতে হিমশিম খেয়েছিলাম।তাই পেয়ারা একটাই নিয়েছিলাম দুজনের জন্য।আর মামার সাজেশন অনুযায়ী একটা আনারসও মেখে নিয়েছিলাম,যদিও সেটা নাফিস বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিল।
received_469462488382575.jpeg

received_1048012989241008.jpeg

ইনিই তিনি,যার কথা এতোক্ষন ধরে আমি লিখলাম আর আপনারা পড়লেন।যেটুকু বুঝেছি তাতে লোক হিসেবে তিনি বেশ আমুদে প্রকৃতির আর খোলামেলা স্বভাবের।আমাদের সাথে বেশ ভালো কো-অপারেট করেছিলেন।আসার সময় তাকে বলে এসেছিলাম,আজ তো প্রথম এসেছি ইনশাল্লাহ এরপর বড় সর একটা গ্রুপ নিয়েই আসবো।

আজ এ পর্যন্তই থাক, সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।

আল্লাহ হাফেয।

cc.@farhantanvir
Shot on. Samsung galaxy m62
Location
Date.03/09/22

Sort:  

This post was selected for
Curación Manual- Manual Curation

@tipu curate

 2 years ago 

রাস্তার ধারে মাঝেমাঝে এমন ফলের পিনিক দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু আমি কখনো এগুলো কিনে খাইনি , যদিও খুব খেতে ইচ্ছে করে। কারণ এগুলো দেখতে খুবই লোভনীয় লাগে, খাওয়া হয়না তার কারণ আমার মনে হয় এগুলো স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। তাই মাঝে মাঝে বাসায় নিজে ট্রাই করি যদিও মামাদের মত হয় না তবুও। পরেরবার গ্রুপে আমাকেও নিয়েন 🥴।

 2 years ago 

রাস্তার ধারের প্রায় সব খাবারই কম-বেশি স্বাস্থ্য ঝুকিপূর্ণ।একটাবার ট্রাই করে দেখতে পারেন।আশা করি,ভাল্লাগবে।

Re-posted. Fruit in action 💃🍡🥤

 2 years ago (edited)

লেবুর পিনিক কখনো খাইনি তবে দেখেছি কিন্তু এভাবে কয়েকটি ফল একসাথে মাখিয়ে যে পিনিক তৈরি করা হয় সেটা আজ প্রথম জানলাম দেখে তো মনে হচ্ছে খুবই মজাদার লাগে। আর ২০ টাকা করে খুবই মজাদার একটি খাবার বিক্রি করছে দেখেই তো খেতে ইচ্ছা করছে। আমি আনারস বাইরে যে কাসন্দী দিয়ে মাখিয়ে বিক্রি করে সেটা খেয়েছি। তবে এরকম করে খাওয়া হয়নি ভালই লাগলো আপনার মজাদার পিনিক গুলো দেখে।

 2 years ago 

কোথাও পেলে খেয়ে দেখবেন,আরো ভালো লাগবে।ভালোবাসা নিয়েন আপু।

 2 years ago 

ভাইয়া দারুন কিছু মূহূর্তের ছবি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। রাস্তায় এই ধরনের দোকান থেকে খাবার খেতে ভিশন ভালো লাগে। কিন্তু ফলের পিনিক কখনো দেখা হয়নি আবার খাওয়া হয়নি। দেখে তো মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু একটা খাবার।এই ধরনের খাবার দেখলে জিহ্বা দিয়ে পানি চলে আসে। আনারস জাম্বুরা মাখানো বাহিরে অনেক খেয়েছি। বাড়িতে খাওয়ার চেয়ে এগুলো বাহিরে বেশি মজা লাগে।যদিও স্বাস্থ্য সম্মত নয় তারপরও ভালো লাগে।

 2 years ago 

বাহিরের সবকিছুই তো বাড়ির থেকে মজা।কোথাও পেলে খেয়ে দেখবেন,আশা করি ভাল্লাগবে।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 65970.26
ETH 2696.32
USDT 1.00
SBD 2.88