হাসবেন্ড এর জন্মদিনে সারপ্রাইজ কেক তৈরি
হাসবেন্ড প্রায় বাড়ি আসার সময় আমার পছন্দের খাবার নিয়ে আসে এবারও যথারীতি ফুলকলির চিকেন পরোটা এটা আমার সবচেয়ে বেশি প্রিয় তাই আনতে ভূলে না। স্নিকার্স আর বড়ো সাইজের একটা শিফন কেক নিয়ে এসেছে। ফুলকলির এই দেড়শো টাকা দামের শিফন কেকটা ভীষণ মজার। আমার পছন্দের তাই এটিও এনেছিলো।
বাচ্চাকে ব্রেস্ট ফিডিং করালে আমার দুর্বল লাগে গা কাপে তাই সবসময়ই নানান রকমের এনার্জি বুস্ট চকোলেট নাট এসব নিয়ে আসে। রাতের খাওয়াদাওয়া শেষ করে বাচ্চাদের ঘুম পাড়িয়ে ফ্রী হতেই দশটা টা বাজে নিজেরও বড্ড ক্লান্ত লাগছিলো তাই আর কেক বেক করার ঝামেলায় যেতে ইচ্ছে করেনি। তাই শিফন কেকটাকেই কাজে লাগিয়ে জন্মদিনের কেক করার কথা চিন্তা করলাম।
আমার তৈরি করা কেক বাসার সবাই অনেক পছন্দ করে বলে বাসায় সবসময়ই পাউন্ড চকোলেট, ভিভো হোয়াইট ক্রিম আর কেকের সরঞ্জাম সবকিছু থাকে।নজেল ছাড়া ঝটপট করার জন্য চকোলেট টফি দিয়ে ডেকোরেশন এর চিন্তা করে চকোলেট এর বক্সে দেখি চকোলেট শেষ হয়ে গেছে। বাসায় হোয়াইট চকোলেট না থাকায় রঙিন কিছু করার চিন্তা বাদ দিয়ে সরাসরি ডার্ক কোকো পাউডার, বাটার, ক্রিম একসাথে ওভেনে গলিয়ে চকোলেট টফি তৈরি করে নিয়েছি।
তারপর ক্রিম বের করে বিট করে ফ্রিজে রেখে দিলাম স্টিফ হওয়ার জন্য। ততক্ষণে কেক স্লাইস করে মিল্ক সিরাপ রেডি করে নিয়েছি। শিফন কেক বা স্পঞ্জ কেক এ সুগার বা মিল্ক সিরাপ ইউস করলে খেতে বেশ তুলতুলে হয়।প্রচন্ড তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে ছবি তোলার কথা মনে ছিলো না।টপার বসানোর আগে মনে পড়ায় কয়েকটি ছবি তুলে নিয়েছি। যাইহোক এবার কেকের স্লাইসগুলো ক্রিম দিয়ে লেয়ার করে সাজিয়ে ক্রাম্বকোট করে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা হতে সময় দিলাম নয়তো ফিনিশিং এর সময় ক্রওম বসবে না উঠে আসবে।
ততক্ষণে রাত এগারোটা বেজে গেছে। তিরিশ মিনিট অপেক্ষা করে বের করে নিয়ে তাড়াতাড়ি করে ফিনিশিং দেওয়ার পর অল্প করে গোল্ডেন স্যাডো ছড়িয়ে দিয়েছি নয়তো ভীষণ সাদামাটা লাগছিলো সময়ও ছিলো না বেশি কিছু করার। এই আধাঘন্টাকে কাজে লাগিয়ে রান্নাঘর ক্লিন করে নিয়েছি যাতে ঝামেলা কম হয়।সবকিছু করার পর তৈরি করা চকোলেট টপারগুলোর ফ্রিজ থেকে বের করে উপরে দিয়ে সাজিয়ে নিয়েছি ফুল পাতার থিমে।
টফিগুলো জমতেও বেশ সময় নিয়েছে ক্রিম বেশি হয়ে যাওয়াতে তাও খেতে বেশ মজার ছিলো একদম সিল্ক চকোলেট এর মতো হাতে ধরলেই গলে যাচ্ছে এমন সফট।কেক সাজানো হলে ফ্রিজে রেখে সবকিছু গুছিয়ে তারপর ডাকবো সে সুযোগ আর পেলাম কই তিনি এসে হাজি ডাইনিং এ আমি কি করছি দেখার জন্য। তাই অন্যকোন সাজানো সম্ভব হয়নি ওভাবেই কেক কাটা হয়েছে গেল ১২ টা বেজে যাওয়াতে।প্রতিবারের মতো এবারও কেক তৈরি করতে পারবো সেটা নাকি চিন্তার বাইরে ছিলো।যাইহোক অতপর দুজন মিলে কেক কেটে একটা সুন্দর মুহূর্ত কাটালাম।
আজকের ব্লগ এই পযন্ত ফিরে আসছি নতুন লিখা নিয়ে। আল্লাহ হাফেজ
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
শ্রেণি | জন্মদিনের সারপ্রাইজ কেক তৈরি |
ক্যামেরা | স্মার্টফোন |
পোস্টতৈরি | @farhanaaysha |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
ডিভাইস | iQOO Z3 5G |
https://twitter.com/farhana87988/status/1761309537628250488?t=JL5SWrnllF1ef4nndnEilQ&s=19
আপনি তো দেখছি বেশে দারুণ কেক বানাতে পারেন আর হাসবেন্ডের জন্মদিনে প্রথমেই জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই এবং ভীষণ ভালো লাগতেছে আপনি নিজের ইচ্ছামতো এত সুন্দর করে কেক তৈরি করেছেন। আপনার হাসবেন্ডের জন্য ভালবেসে। অনেক ভালো লাগলো অনেক সুন্দর ভাবে আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন মুহূর্তগুলি।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার শুভেচ্ছা পৌঁছে দিবো তাহার কাছে।
প্রিয়জনের জন্মদিন বলে কথা। যেমন সুন্দর কেক তৈরি করেছেন তেমন ব্লগটাও সাজিয়েছেন। অনেক কিছু জানতে পারলাম আপনার আজকের এই ব্লগের মাধ্যমে। শুভ হোক আপনার প্রিয়জনের জন্মদিন আর শুভ হোক আপনার দুজনার পথচলা। শুভকামনা রইল আমার পক্ষ থেকে।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া দোয়া রাখবেন আমাদের জন্য
হাসবেন্ডের জন্মদিন উপলক্ষে খুব সুন্দর একটি সারপ্রাইজ দিয়েছেন। তবে এই কেক আপনি নিজে তৈরি করেছেন কিনা সেটা বুঝতে পারিনি আর যদি তৈরি করে থাকে তাহলে ধাপ আকারে দিলে বেশি ভালো হতো। যাই হোক কেক কিন্তু খুব সুন্দর ছিল। এভাবে মাঝে মাঝে কাউকে সারপ্রাইজ দিলে নিজের কাছে যেমন ভালো লাগে তেমনি যাকে দেওয়া হয় তার কাছে খুব ভালো লাগে। আমিও সারপ্রাইজ দিতে খুব পছন্দ করি। আপনার হাসবেন্ড আসার সময় আপনার জন্য বিভিন্ন ধরনের খাবার নিয়ে আসে জেনে খুব ভালো লাগলো। আপনার অনুভূতি খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ।
আপু নিজের তৈরি এটা রেসিপি পোস্ট ছিলো না তাই ধাপে ধাপে লিখিনি
ভাইয়ার জন্মদিন উপলক্ষে আপনি সুন্দর করে কেক তৈরি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। নিশ্চয়ই ভাইয়ার অনেক বেশি ভালো লেগেছিল কেক পেয়ে। আর ভাইয়াকে জানাই ওনার জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। ভাইয়া আপনার জন্য সব সময় আপনার পছন্দের খাবারগুলো নিয়ে আসে জেনে অনেক বেশি ভালো লাগলো। উপরে ডেকোরেশন করেছেন অনেক সুন্দর করে ফুল বানিয়ে এবং পাতা বানিয়ে যেগুলো আরো সুন্দর হয়েছে। সিপন কেক দিয়েই আপনি কোনরকম এটা তৈরি করেছেন জেনে ভালো লাগলো।
আপনার মন্তব্য প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে আমি খাবারের বিষয়ে একটু খুঁতখুঁতে স্বভাবের আমার ওনি যদিও আমার বিপরীত স্বভাবের তাই সবসময়ই চেষ্টা করেন আমার পছন্দকে গুরুত্ব দিতে।
আপনার শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দিয়েছি। আপনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন