সুলতান ডাইন এ কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়া

গতকাল অফিস এর কাজে গিয়েছিলাম ঢাকার পুরাতন জেলখানার ওখানে। কাজ শেষ করতে করতে অনেক সময় হয়ে গিয়েছিল। মোটামুটি পেটে খুদা চলে আসছিলো।কলিগ কে বললাম ভাই চলেন খেয়ে আসি। আপনি নেট এ সার্চ দেন কোথায় কাচ্চি পাওয়া যাবে। তখন আশে পাশে দেখলাম যে সুলতান ডাইন এর একটা শাঁখা আছে। এটা দেখার সাথে সাথে চলে গেলাম আউটলেটে। কারণ অনেক দিন হলো ইচ্ছা ছিল সুলতান ডাইন খাব। কিন্তু সময়ের অভাবে হয়ে উঠছিল না। চলুন তাহলে শুরু করা যাক সুলতান ডাইন ও কাচ্চি খাওয়ার অনুভূতি:-

পুরাতন জেলখানা থেকে পাঁচ মিনিট হাঁটার পর রেস্টুরেন্ট খুঁজে পেলাম। প্রবেশ করার পর প্রথমে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। তারপর আমরা খাবারের মেনু দেখে ১:২ একটা প্যাকেজ অর্ডার করলাম। আমরা যেহেতু দুজন ছিলাম এই জন্য এইপ্যাকেজটি এ মোটামুটি ভালো ছিল দু'জনের খাবারের জন্য। তারপর সুলতান ডাইন এর লেখা প্লেট দিয়ে দিল।প্লেট দেওয়ার ৩ মিনিট পর খাবার চলে আসলো।

কাচ্চি বিরিয়ানি আসার পর প্রথমে সার্ফ করে নিলাম দুজনের মধ্যে। মোটামুটি রাইস ভালো ছিল দু'জনের জন্য।এর পর মাটন ছিল ছয় পিস। সাথে এক গ্লাস করে বোরহানি নিয়ে নিলাম। এইটা প্যাকেজ এর বাহিরে ছিল। খাবার এর মানের কথা কি বলবো এককথায় অসাধারণ। কাচ্চি বিরিয়ানি স্বাদ নিতে চাইলে এই কাচ্চি খেয়ে নিতে হবে।ঢাকা শহরের মধ্যে যতো কাচ্চি খাওয়া হয়েছে সবচেয়ে বেস্ট হচ্ছে সুলতান ডাইন এর কাচ্চি বিরিয়ানি। এদের মাটন টা এতো সফট যা বলার বাহিরে। কাচ্চি বিরিয়ানি আসল স্বাদ পেতে চাইলে এদের কাচ্চি খেয়ে দেখতে হবে। ভিতরে পরিবেশটা দারুন ছিল।সবমিলিয়ে ভালো লেগেছে।

খাবার এর স্বাদ বেশী থাকার কারণে খুব তাড়াতাড়ি খাওয়া শেষ হয়ে গিয়েছিল। খাওয়া শেষ করার পর মিষ্টি মুখ করার জন্য দুইটা ফিরনি অর্ডার করলাম। এদের ফিরনি টা আমার কাছে অসম্ভব ভালো লাগে।আগেও কয়েকবার খাওয়া হয়েছিল এই জন্য ফিরনি খাওয়া হলো। খাওয়া দাওয়া শেষ করে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। আমাদের তাড়া থাকার কারণে কাউন্টার এ গিয়ে বিল পরিশোধ করে চলে আসলাম। কারণ রাত অনেক হয়ে গিয়েছিল এই জন্য তাড়াতাড়ি আসতে হয়েছে। আসলে অনেক দিন হলো সুলতান ডাইন এর কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়ার ইচ্ছা করছিল। কিন্তু সময়ের অভাবে এবং দূরে থাকার কারণে যাওয়া হচ্ছিল না। আজকে সময় সুযোগ পাওয়ার কারণে খাওয়া হয়েছে। আজকে এই পর্যন্তই আবারো আসবো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে। আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে আজকের পোস্ট। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।

আমি তারিকুল ইসলাম। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি সিভিল ইন্জিনিয়ার থেকে পড়াশোনা শেষ করেছি।

আমি ভ্রমণ এবং ঘোরাঘুরি করতে ভিশন পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি করতে ভিশন ভালো লাগে। ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে, এবং ডাই বানাতে পছন্দ করি।

---

---