বিলুপ্তপ্রায় স্থানীয় লোকসংস্কৃতি || প্রতিযোগিতা-০৬ এ অংশগ্রহন (moribund rural culture) [১০% স্বত্বভোগী @shy-fox]
ভুমিকাঃ
সংস্কৃতি একটি সমাজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় কারণ প্রত্যেক জাতিগোষ্ঠীর একটি নিজস্ব আলাদা সংস্কৃতি থাকে এবং সেই সংস্কৃতি দিয়ে ঐ জাতিগোষ্ঠীকে চেনা যায়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে আমাদের বাংলাদেশের যেসব লোকসংস্কৃতি রয়েছে তা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে আর এর পিছনে অনেকগুলো কারণ আছে। প্রযুক্তির উৎকর্ষতার সাথে সাথে আমরা দিন দিন নানাবিধ প্রযুক্তির সাথে জড়িয়ে যাচ্ছি যার কারণে গ্রামীণ জীবনের অতিপ্রাকৃত যেসব সংস্কৃত রয়েছে সেগুলো দিন দিন আমাদের মধ্য থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। আজকের পোস্টে আমি আমার এলাকায় আমার নিজের দেখা একটি সংস্কৃতি হারিয়ে যাওয়ার কিছু অবস্থা আপনাদের সামনে এই কনটেস্ট এর মাধ্যমে শেয়ার করব।
সংস্কৃতি বলতে আমরা কি বুঝিঃ
সংস্কৃতি বা লোকসংস্কৃতির আসলে মানুষের আচার-আচরণ, কর্মপদ্ধতি ও বৈশিষ্ট্য সমূহের সমষ্টি। কোন একটা সমাজের দৈনন্দিন আচার-আচরণ, পোশাক-পরিচ্ছদ, খেলাধুলা, লোক কাহিনী, ধর্মীয় উৎসব, প্রতিষ্ঠান, কাজকর্ম, চিন্তা-চেতনা, বিভিন্ন আয়োজন এবং নতুন নতুন কিছু তৈরী করা এসবই সংস্কৃতির অন্তর্ভুক্ত।
আমার সমাজে লোকসংস্কৃতি বিলুপ্তির কিছু নমুনাঃ
ছোটবেলা থেকে দেখে এসেছি কিন্তু বর্তমানে হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে সেরকম কয়েকটি সংস্কৃতির বর্ণনা এখানে দিচ্ছি।
লোকসাহিত্য হচ্ছে সংস্কৃতির অন্যতম প্রধান একটি উপাদান। ছোটবেলায় অনেক সাহিত্যচর্চা গ্রামীণ সমাজে দেখতে পেতাম কিন্তু সেগুলো আর বর্তমানে দেখা যায় না। গ্রামীণ জীবন ছিল আসলে সাহিত্যে পরিপূর্ণ কারণ সেখানে বিভিন্ন ধরনের ছড়া, লোকসংগীত, ধাঁধা, রূপকথা, উপকথা ইত্যাদিতে ভরপুর ছিল এবং মুখে মুখে এই কথাগুলো প্রচলিত হত।
খেলাধুলা ছিল আমার ছোটবেলায় দেখা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি গ্রামীন সংস্কৃতি। গ্রামীণ সমাজে অনেকগুলো খেলা দেখতে পেতাম যেগুলো গ্রামীণ সংস্কৃতির অংশ যেমন গোল্লাছুট, বউচি, কানামাছি, বালিশ খেলা, চেয়ার খেলা ইত্যাদি। গ্রামে গ্রামে কিংবা বড়রা, ছোটরা মিলে হাডুডু, ফুটবল, নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা আর এখন চোখে পড়ে না। এভাবে করে খেলার সংস্কৃতিগুলো দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে।
উৎসব। এত এত উৎসব আমাদের সমাজে প্রচলিত ছিল যে তার হিসাবটা এখন ঠিকঠাক বলা কঠিন। শীতকালে শীতের পিঠা, বাংলা বছরের শুরুতে নববর্ষের উৎসব, হেমন্তকালে নতুন ফসল ঘরে তোলার উৎসব আয়োজন, হালখাতা, এখন একেবারেই চোখে পড়ে না।
কুটির শিল্প। ছোটবেলায় আমাদের মা বোনদের কে দেখতাম কুশিকাটা দিয়ে সুয়েটার, গেঞ্জি, টুপি ইত্যাদি বানাতেন। সুই সুতা নিয়ে নেমে পড়তেন হাতপাখা, কাঁথা, জাল সহ নানাবিদ হাতের কাজের জিনিসপত্র তৈরি করতে। পাশাপাশি যারা পুরুষ রয়েছে তাদেরকে দেখতাম বাঁশ দিয়ে বিভিন্ন রকম জিনিস তৈরি করতেন যা ছিল বর্ষা মৌসুমের সাধারণ ব্যাপার। আমাদের এলাকায় যদিও টাঙ্গাইলের শাড়ি কিংবা জামদানি শাড়ির কাজ হতো না কিন্তু এরকম ছোটখাট কুটির শিল্পের কাজ প্রত্যেক ঘরে ঘরে লক্ষ্য করা যেত এবং একটা প্রতিযোগিতা কাজ করতো সবার মধ্যে যা এখন প্রায় বিলুপ্ত।
সঙ্গীত। ছোটবেলায় প্রচুর যাত্রাপালা আয়োজন হতে দেখেছি। আশেপাশের গ্রামগুলোতে রাতের বেলা ছুটে যেতাম যাত্রাপালা দেখতে। সেই উৎসবের মুহূর্তগুলো এখন আর দেখা যায় না কারণ এখন সবার ঘরে ঘরে ওয়াইফাই এবং টেলিভিশন এর ছোঁয়া লেগেছে। বিভিন্ন রকম গানের আসর বসত গ্রামে গ্রামে যেখানে পালাগান ছিল সবচেয়ে জনপ্রিয়। যেমন দেওয়ানা মদিনা, সিরাজউদ্দৌলা, ডাকাতের পালা, রহিম রুব্বান, বেদের মেয়ে, চন্ডীদাস রজকিনী সহ নানাবিদ পালা শুনে মানুষ মুগ্ধ হত। এছাড়াও ভাটিয়ারী, গাজীর গান, কীর্তন, মুর্শিদী গানের আসর বসতো আমাদের আশপাশের গ্রামগুলোতে এবং রাতের বেলা এসব গান শুনতে পরিশ্রান্ত মানুষেরা ছুটে যেত। আমার দাদীর মুখ থেকে বিভিন্ন রকমের কল্প-কাহিনী শুনে ঘুমিয়ে যেতাম যা প্রায় সব ঘরেই সাধারণ একটি ব্যাপার ছিল। এগুলো এখন আর দেখা যায় না কারণ সবাই ইউটিউব ফেসবুক নিয়ে মত্ত।
আমার এলাকার হারিয়ে যাওয়া একটি লোকসংস্কৃতিঃ
সংস্কৃতি যে কেবলমাত্র একটি সমাজের বড়দের থেকে হারিয়ে যায় তা কিন্তু নয় বরং শিশুদের মধ্য থেকে যে সকল নিত্যনৈমিত্তিক কাজকর্ম বিদ্যমান থাকে সেগুলো হারিয়ে যাওয়াও কিন্তু সংস্কৃতি হারিয়ে যাওয়ার অংশ কারণ শিশুদের কাজকর্ম একটি সমাজের অংশ। উপরে যে সকল সংস্কৃতির কথা আমি আলোচনা করেছি সেসবের সবগুলোকে এক জায়গায় আজকে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করা সম্ভব নয় এবং যেহেতু একটি সংস্কৃতির কথা বর্ণনা করতে বলা হয়েছে তাই আমি আমার ছোটবেলায় উপভোগ করেছি কিন্তু বর্তমানে প্রায় বিলুপ্ত এরকম একটি সংস্কৃতির কথাই শেয়ার করছি।
ছোটদের মাটির তৈরি জিনিসপত্র দিয়ে খেলাধুলা
আমি ছোটবেলা থেকেই গ্রামে বড় হয়েছি আর গ্রামীণ সমাজে ঘরের বাইরে বাচ্চাদের সাথে খেলাধুলা করার প্রচলন ছিল অনেক বেশি। আমরা খুব কম সময় ঘরের ভিতরে কাটাতাম বিশেষ করে দিনের বেলা। দিনের বেলা স্কুল ছাড়া বাকি সময়টা বিভিন্ন বন্ধুদের বাড়িতে গিয়ে সময় কাটানো, মেঠো পথ ধরে হেঁটে বেড়ানো পাশাপাশি বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহণ করা, বর্ষাকালে নৌকায় করে শাপলা তুলতে যাওয়া ছিল অন্যতম। ছোটবেলায় যে খেলাটি সবচেয়ে বেশি খেলতাম সেটি হচ্ছে মাটির তৈরি জিনিসপত্র বানিয়ে, সেগুলোকে সাজিয়ে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা।
যেভাবে করে আমাদের বড়রা ছোটদের লালন-পালন করে আমরা ছোট অবস্থায় সেভাবে বড়দের মতো নিজেদেরকে ভাবতে চেষ্টা করতাম। মাটির তৈরি কিছু জিনিসপত্র বানিয়ে তাদেরকে নিয়ে আমরা এরকম খেলাধুলা করতাম। এটা ছিল আমাদের নিত্য নৈমত্তিক খেলাধুলার মধ্যে অন্যতম খেলাধুলা। আশেপাশের ৪/৫ জন বন্ধু একসাথে মিলে আমরা এই খেলা খেলতাম। আমাদের মধ্যে একটা প্রতিযোগিতা কাজ করতো যে কে কত সুন্দর এই রকম জিনিসপত্র মাটি দিয়ে তৈরি করতে পারে।
প্রথমেই মাটি সংগ্রহ করা লাগতো এবং সেই মাটি থেকে আগাছা বাছাই করে তারপর মাটিকে নরম করে করে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বানাতাম ও পরবর্তীতে একদিন বা দুইদিন রোদে শুকালে এগুলো অনেক শক্ত হয়ে যেত এবং খেলার উপযোগী হয়ে পড়তো।
আমাদের ঘরে যে সকল জিনিসপত্র আছে আমরা মাটি দিয়ে সেই সকল জিনিসপত্র বানানোর চেষ্টা করতাম অর্থাৎ বড়রা ছোট বাচ্চাদেরকে যেভাবে লালন পালন করার চেষ্টা করে আমরাও তেমনি আমাদের বাচ্চা হিসেবে এসব মাটির তৈরি জিনিসপত্র গুলোকে ব্যবহার করে সংসার সাজাতাম। দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় এই মাটির তৈরি জিনিসপত্রগুলোকে নিয়ে খেলাধুলায় আমাদের সময় কেটে যেত।
এই খেলাধুলার মধ্যে অনেক ক্রিয়েটিভিটির কিছু ব্যাপার ছিল কারণ তখন অনেক সুন্দর সুন্দর পুতুল সহ নানাবিদ জিনিসপত্র তৈরি করতে চাইতাম। আমরা পুতুলের বিয়ে দিতাম এবং পুতুলের বিয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট যেসব আসবাবপত্র রয়েছে সেগুলো তৈরি করতাম আর এভাবে করেই আমাদের সময় গুলো খুব ভালো কেটেছে ছোটবেলায়। সেই দিনগুলোকে এখন খুব মিস করি এবং এই সংস্কৃতি এখন আমাদের সমাজ থেকে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে কারণ বাচ্চারা এখন গ্যাজেট নিয়ে ব্যস্ত।
ছবিগুলো আমার বাড়িতেই তোলা। গত বছর হঠাৎ একদিন আমার ভাইয়ের মেয়েকে এগুলো বানাতে দেখে বুঝলাম একেবারে হারিয়ে যায়নি এই সংস্কৃতিটি। এখনো কিছু বাচ্চা এই খেলাটি খেলে তবে সংখ্যাটা একেবারে নগন্য।
শেষকথাঃ
এরকম ছোট ছোট অনেক সংস্কৃতি আমাদের সমাজ থেকে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। প্রযুক্তি, আমাদের মন মানসিকতা এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তন হচ্ছে এর পেছনে অন্যতম প্রধান কারণ। মাত্র অল্প কয়েক বছর পর যেমন ১০ বছর পরের বাচ্চাদেরকে জিজ্ঞেস করলে তারা এই সব আয়োজনের কথা কখনো জানতেই পারবে না কিংবা নতুন কিছু দেখার মত ভান করবে। কারণ তাদেরকে এখন ছেয়ে ফেলেছে ডরিমন, মটু পাতলু, হানি বানি, স্পাইডারম্যান, হেরি পটার, টম এন্ড জেরি সহ নানাবিদ কার্টুন ও টিভি সিরিয়াল। ভবিষ্যৎ সময়ের সংস্কৃতি এবং বিনোদন হবে ঘর কেন্দ্রিক যেখানে বাচ্চার ঘরে বসে টিভির মধ্যে সবকিছু নিয়ে মত্ত থাকবে।
আমরা এরকম একটি সমাজ ব্যবস্থা চাইনা। আমরা চাই সমাজের প্রত্যেকটি ছেলেমেয়ে অন্য ছেলে মেয়েদের সাথে মিশুক এবং শৈশবে অনেক মিশুক হয়ে আশেপাশের পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে বড় হোক যাতে করে ভবিষ্যৎ জীবনে তারা অনেক বেশি প্রতিযোগিতা করতে পারে এবং সামনে আরও এগিয়ে যেতে পারে। এত সুন্দর প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ।
এই পোস্টের সম্পূর্ন লিখা আমার নিজস্ব ও কোথায় থেকে কপি করা হয়নি। কোথাও হতে কোন তথ্য বা ছবি নিয়ে থাকলে সোর্স দেয়া হয়েছে
আমি কে
ভোট দিন, মতামত থাকতে মন্তব্য করুন, পোস্টটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন এবং আমাকে ফলো করুন @engrsayful
অন্যান্য মিডিয়াতে আমার সাথে যুক্ত হতে পারেনঃ
Youtube | ThreeSpeak | DTube |
বিজ্ঞান-প্রযুক্তির সময়ে সাথে সাথে সব পুরাতন লোকসংস্কৃতির জিনিসপত্র বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে এতে করে নতুন প্রজন্ম লোকসংস্কৃতির কদর টাই বুঝবে না। এই সব মিলিয়ে আপনার পোস্টটি অনেক সুন্দর ছিল ধন্যবাদ ভাইয়া।
লোকসাহিত্য এবং ঐতিহ্য নিয়ে খুব ভালো আলোচনা করেছেন। ছোটবেলা আমি নিজেও অনেক মাটি দিয়ে খেলনা বানিয়ে খেলেছি। কিন্তু আজকের ছেলেমেয়েরা ভূল করেও এগুলো করে না।তারা স্মার্টফোনের পেছনে পড়ে রয়েছে
এই ছোট থেকেই এটা একটা কষ্টের কথা। সত্যি প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে এই মাটির খেলনা তৈরির শিল্পটি। খুব ভালো লিখেছেন ভাই।
এই সব হাড়িপাতিলের খেলা এখন আর ছোট বাচ্চারা কেউ খেলে না, এখন ছোট বাচ্চাদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয় মোবাইল তারা ছোট থাকতেই মোবাইলের প্রতি বেশি আসক্ত হয়ে যায়।
ছোট বেলায় আমরা এই হাড়িপাতিল অনেক তৈরি করতাম
আপনার উপস্থাপনা খুবই সুন্দর শুভকামনা আপনার জন্য
আপনি খুব সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।সাথে লোক সংস্কৃতির আরো অনেক তথ্য তুলে ধরেছেন।আপনার পোস্ট পড়ে শৈশবের সব গুলো স্মৃতি মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে।আপনি যেন আমার শৈশবের বিষয়টা তুলে ধরেছেন।
এত শৈশবের অন্যতম স্মৃতি।ছোট বেলায় এরকম অনেক ধরনের পাতিল,পুতুল,বিভিন্ন আসবাব পত্র তৈরি করেছি।বলতে গেলে সারা দিন যেন এগুলোতেই ব্যাস্ত থেকেছি।
অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই।আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
ছোটবেলা আমি নিজেও অনেক মাটি দিয়ে খেলনা বানিয়ে খেলেছি। খেলতে অনেক ভালো লাগতো। তবে এখন আর এই জুগে বাচ্চাদের এসব খেলতে দেখা যায় না। আপনার পোস্ট পরে আমার ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেলো। অনেক সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন। বিলুপ্তপ্রায় স্থানীয় লোকসংস্কৃতি নিয়ে অনেক সুন্দর লিখেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার জন্য শুভকামনা রইলো 🥀
জি। আপনাকেও ধন্যবাদ
আসলেই বাচ্চারা যেন এগুলো ভুলেই গেছে। আর জানবে কীভাবে। প্লাস্টিক খেলনা দিয়ে সব ভর্তি।
কতদিন পর এগুলো দেখলাম।
ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
কি যে শেয়ার করলে ভাইয়া!!এই পোস্টটা পড়ে অনেক অনেক পুরনো কথা মনে পরে গেলো।ইশশ!কত ভালো ছিলো আগের বেলা গুলো।আজকাল আর এসবের কদর কই!এসব তো প্রায় বিলুপ্তির পথে তাই এই লোকসংস্কৃতির কদরটাও বুঝতে পারছেনা, পারবেওনা।
ছোটবেলার সময়গুলো সেরা ছিল। এক সময় এসব দেখবেন ইতিহাস হবে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি আমাদেরকে অনেক অগ্রগামী করছে কিন্তু আমাদেরকে বড্ড একা করে দিচ্ছে। এসব কারণেই আমাদের ভবিষ্যৎ আজ ধ্বংসের মুখে। বর্তমানে আমাদের শিশু-কিশোররা অনেক বেশি বিধ্বংসী হয়ে উঠছে। এর মূল কারণ আমি প্রযুক্তির অপব্যবহার কে দিব। খুব সুন্দর ভাবে বিষয়বস্তু গুলো ফুটিয়ে তুলেছেন। খুব ভালো লাগলো পড়ে
জি ভাই। প্রযুক্তির দোষ নেই। অপব্যবহারেই যত সমস্যা।
খুব সুন্দর ভাইয়া। এই গুলি আমরা ছোট বেলায় খেলতাম। আবার আপনি নতুন করে মনে করলেন। আমাদের এই সকল খেলাধুলা সংস্কৃতি গুলি টিকিয়ে রাখতে আমাদের সকলের এগিয়ে আসা উচিত। শুভেচ্ছা অবিরাম দাদা
জি, ছোটবেলা দারুন ছিল।
আমাদের লোক সংস্কৃতি আমাদের কাছ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। আমিও যখন ছোট্ট ছিলাম গ্রামে বছরে একবার বেড়াতে যেতাম। তখন মাটির এই খেলনা গুলো তৈরি করতাম আর খেলতাম। এ যেন এক বাঁধনহারা আনন্দে উচ্ছ্বসিত অনুভূতি।
এগুলো কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে দিন দিন। তার পরিবর্তে যোগ হয়েছে আধুনিক যুগের সময় আর শৈশব খেকো রাক্ষস মোবাইল ফোন।
যা কেড়ে নিচ্ছে সবকিছু।
আপনার পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ ভাই 💗
রাক্ষস মোবাইল ফোন। ভাল বলেছেন ভাই।