গল্প: সুলাইমান কেন ফাঁসির আসামি? (শেষ পর্ব)|| The Love story of an innocent Man.
রুহেলা তার বাবাকে হারিয়ে একদমই ভেঙ্গে পরেছে, এদিকে তার স্বামী পিতার খুনের দায়ে জেলে রয়েছে। রুহেলা সুলাইমানকে ভালো করে চেনে এবং বিশ্বাস করে, সে কখনো এধরনের কোন কাজ করতে পারে না। সে বুঝতে পেরেছে এ সবটাই আজগর শেখের কারসাজি। কি করবে রুহেলা ভেবে পাচ্ছে না, কারন সে একা একটা মেয়ে। আশেপাশে যারা রয়েছে তাদের কাছে ছুটে গিয়েছিল একটু সহযোগিতার জন্য, কিভাবে সুলাইমানকে জেল থেকে বের করা যায়। কেউ তার কথা শুনতে রাজি নয় কারন আজগর শেখ কে সবাই ভয় পায়।
রুহেলা সাহস করে ছুটে যায় থানার দারোগার কাছে, কিন্তু কেউ তাকে পাত্তা দেয়নি এমনকি ফাঁসির আসামি হওয়াতে সুলাইমানের সাথে দেখা পর্যন্ত করতে দেয়নি। নিরুপায় হয়ে রুহেলা ফিরে যায় বাড়িতে। এদিকে হঠাৎ করেই আজগর শেখ হামলা দেয় রুহেলার বাড়িতে, একা একটা মেয়ে আজগর শেখের লালসার শিকার হয়। তাছাড়াও লোকটা পুরো গ্রামে কুৎসা রটিয়ে দেয় রুহেলাকে নিয়ে। উপায় না পেয়ে রুহেলা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মরতে যায় কিন্তু পরক্ষনেই সুলাইমানের সন্তানের কথা মনে করে খুব কষ্টে নিজেকে ফিরিয়ে আনে। অবশেষে আজগর শেখ তাকে বিয়ে করে জোর জবরদস্তি করে। কি করবে অসহায় মেয়েটি যার একুলে কেউ নেই, যাও একজন রয়েছে সে বিনা অপরাধে ফাঁসির আসামি।
এদিকে জেলে থাকা সুলাইমানকে জানানো হয়েছে তার প্রিয়তমা স্ত্রী আজগর শেখকে বিয়ে করেছে। সুলাইমান তার কানকে বিশ্বাস করতে পারছেনা, সে কষ্ট আর যন্ত্রনায় জেলের মধ্যে ফুঁসতে থাকে। জেলখানার দেয়ালে মাথা ঠুকতে থাকে অনবরত, কি তার অপরাধ? কেন আজ তার এই পরিণতি? সৃষ্টি কর্তাকে দোষারোপ করতে থাকে। তার মাথা থেকে রক্ত চুঁইয়ে তার পুরো শরীর ভিজে যাচ্ছে, অন্যান্য কয়েদিরা চিৎকার করে তাকে থামাতে চায় কিন্তু সে ফাঁসির আসামি, একদমই আলাদা কারাগারে। একসময় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যায় সুলাইমান। একদিন অচেতন অবস্থায় পরে থাকার পর তার আচরণ আগের থেকে একদমই বদলে যায়, সে জেন একটা জিন্দা লাশ হয়ে গেছে। কারো কথায় এখন আর সে তেমন জবাব দেয়না।
এদিকে সুলাইমানের ফাঁসির দিন ঘনিয়ে আসে। জেলার তাকে বারবার জিঙ্গেস করে তার শেষ ইচ্ছে কি? সে শুধু একটা শব্দ উচ্চারণ করে "মরণ"। অবশেষে সুলাইমানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। তার চোখ মুখে একরাশ কষ্ট আর সৃষ্টি কর্তার কাছে জিঙ্গাসা।
সুলাইমানের লাশ তার মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়, রুহেলা অভাগীর শুধু মাত্র কান্না করা ছাড়া আর কিছুই যেন করার নেই। কয়েকদিন পর আজগর শেখ বজ্রপাতে মৃত্যু বরণ করে।।।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
https://steemitwallet.com/~witnesses
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1714633412387234092?t=rP_M7-vh-JLoXBS1L-yA8A&s=19
সুলাইমান কে বিভিন্ন ভাবে কৌশল ফাঁসিয়েছে। তার পরে এদিকে তার ফাঁসি হলো। তবে আজগর কিন্তু তার ঠিক শাস্তি পেয়েছে। খারাপ মানুষ এর মন খারাপ ভাবেই হয়। আজগর শেখ বজ্রপাতে মৃত্যু বরণ করেছে জেনে ভালো লাগলো। আর এদিকে রুহেলা অভাগীর কষ্ট দেখে খুব খারাপ লাগলো। এই গল্পটা আমি মিস্ করেছি। তবে শেষের পর্ব পরে ভীষণ ভালো লাগলো। এধরনের গল্প গুলো আরো চাই। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ তোমাকে গল্পটা পড়ার জন্য।
এখানে সুলাইমান আর রুহেলার দুজনের ভালোবাসা সফল হলেও ভীষণ কষ্টের মুখে পতিত হয়েছে তারা।