গল্প: সুলাইমান কেন ফাঁসির আসামি? (দ্বিতীয় পর্ব)|| The Love story of a innocent Man.

in আমার বাংলা ব্লগlast year
গল্প: সুলাইমান কেন ফাঁসির আসামি?

সংগ্রহশালা

প্রথম পর্ব এখানে

সুলাইমান কি করবে ভেবে পাচ্ছে না, এদিকে রুহেলা তার বুকের উপর আছড়ে পড়ে কেঁদে চলেছে অবিরত। সুলাইমানের আর বুঝতে বাকি নেই মেয়েটার উপর দিয়ে কি ঝড় বয়ে যাচ্ছে। মনে মনে সে রুহেলাকে পছন্দ করে, কিন্তু তা কখনো বুঝতে দেয়নি। যাইহোক আর চুপ করে থাকার সময় নেই, সুলাইমান তাকে সেচ্ছায় বুকে জড়িয়ে নিয়ে সান্ত্বনা দিতে থাকে। শোন রুহেলা ঐ বুইড়া আজগর শেখ তোমার কোন ক্ষতি করতে পারবো না, তোমারে আমি তাড়াতাড়ি বিয়া কইরা ঘরে তুলুম। তুই অহন বাড়িত যা, আমি সব বন্দোবস্ত কইরা তোর বাপের লগে কথা কমু। রুহেলা কান্না থামিয়ে চোখ মুছতে মুছতে বলে, হাছা কইতাছো? সুলাইমান হেসে বলে, তোর লগে মিছা কথা কওনের সময় আমার নাই। তুই বাড়িত যা রুহেলা আমি তোর বাড়ি যামু খুব শিগগির। রুহেলা আবেগী সুরে বলে যদি তোমার কথার নড়চড় হয় তইলে বুইজ্জো কিন্তু আমার লাশ বাইর হইবো বাড়ির উঠানে। এই বলে সুরাইয়া দ্রুত বাড়ির দিকে রওনা দিলো।

সুলাইমান যদিও কাউকে বুঝতে দেয়নি সে রুহেলাকে ভালোবাসে কিন্তু আজ এই পাগলি মেয়েটা তার মুখ দিয়ে স্বীকার করিয়েই ছাড়লো। না আর দেরি করলে চলবে না, কারন আজগর শেখ খারাপ লোক। যদি খারাপ কিছু ঘটিয়ে ফেলে তাহলে সে কোনদিন নিজেকে মাফ করতে পারবেনা। এরকম উথাল পাতাল চিন্তা করতে করতে বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছে সুলাইমান। বাড়িতে পৌছে মাকে সে সব খুলে বলে, মা ভীষণ খুশি। কারন এতো দিনে তার মনের আশা পূরণ হতে চলেছে, আর রুহেলা বউ হিসেবে বেশ মানাবে তার ছেলের সাথে। তিনি বললেন তাড়াতাড়ি জোগাড় যন্ত করে বিয়ার ফরমান লইয়া যাওন লাগবো। তুই তোর ছোট চাচারে বেবাগ জানা। আজ হাইন্জা বেলা যাওন লাগবো রুহেলাগোর বাড়িত।

যথারিতী সন্ধ্যায় সুলাইমানের বাড়ির লোকজন রুহেলার বাড়িতে যায় বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে, সত্যি বলতে রুহেলার বাবার কোন আপত্তি নেই কারন আর্থিক অবস্থা কিছুটা কম থাকলেও ছেলে হিসেবে সুলাইমান যথেষ্ট ভালো। তিনদিন পর শুক্রবার তাই সবার সম্মতিতে বিয়ের দিন ধার্য করা হলো। এদিকে আজগর শেখ পুরো ঘটনাটা শুনে ভীষণ ক্ষেপে যায় এবং ক্ষুধার্ত হায়নার মতো ছটফট করতে থাকে। কিন্তু যেখানে এতো মানুষের সম্মতিতে বিয়েটা হচ্ছে তখন সে নাক গলাতে গেলে ঝামেলা হতে পারে তাই সে বিকল্প ফন্দি আঁটতে থাক। তার চিন্তা একটাই সে যেকোন মূল্যে রুহেলাকে ভোগ করবে।

শুক্রবার মোটামুটি সাধ্যের মধ্যে আয়োজন করে দুজনের বিয়ে হয়ে গেছে। সুলাইমানের মা তো মহা খুশি, কিন্তু এই সুখ বেশিদিন তার সইলো না। তাদের বিয়ের মাস খানেক পর হঠাৎ করেই শ্বাসকষ্ট হয়ে সুলাইমানের মা মারা যায়। সুলাইমান মাকে হারিয়ে ভীষণ ভেঙ্গে পরে। এদিকে রুহেলার বাবা সুলাইমানকে কিছু জমি দিতে চায় এবং তাকে তার বাড়িতে চলে আসতে বলে‌ কিন্তু সুলাইমান অস্বীকৃতি জানায় এবং সে শ্বশুর বাড়ির কিছুই নেবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। এভাবেই চলতে থাকে রুহেলা আর সুলাইমানের সংসার, এদিকে রুহেলা মা হতে চলেছে।

সুযোগ বুঝে আজগর শেখ রুহেলার বাবাকে জমি সংক্রান্ত একটা প্যাচের মধ্যে ফেলে দেয়। আলোচনার জন্য রুহেলার বাবাকে এবং সুলাইমানকে ডাকা হয়। এদিকে আজগর শেখ কৌশলে রুহেলার বাবাকে লোক দিয়ে ছুড়িকাঘাতে মেরে ফেলে এবং দোষটা পুরোটাই সুলাইমানের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়। বেচারা সুলাইমান কোনভাবেই তাকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারলো না, তাকে কারাগারে নেয়া হলো। এদিকে রুহেলার চিৎকার আহাজারিতে গোটা পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে।।।।।।।

"চলবে"



Black and White Modern Company Presentation (1).gif

banner-abbVD.png

ছোট্ট পরিসরে পরিচিতি

আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।

আমাদের উইটনেসকে সাপোর্ট করুন

"Please support Bangla Witness"

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png

https://steemitwallet.com/~witnesses



VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png

RGgukq5E6HBM2jscGd4Sszpv94XxHH2uqxMY9z21vaqHt1ejFJCaMLR3zrx1iztXmdz4AFKcaXPfpHbadyDS7yzWTRRjc8kkRjGZNGVw27n8Q3Mi19jpMVHLYFyQ4NZ.gif

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 last year 

আপনার গল্পের প্রথম পর্ব আমি পড়ি নাই এখন দ্বিতীয় পর্বটি পড়ে প্রথমে ভালো লাগলো।রুহেলার কপাল খারাপ তার স্বামীকে মিথ্যে মামলা দিয়ে আজগর শেখ জেলে বন্দী করে ফেলেছেন।সুলাইমান যদিও তার শ্বশুরকে সেই হত্যা করে নাই আজগর শেখ হত্যা করেছে। তবে এই গল্পের মধ্যে দেখতেছি অনেক পেশ রয়েছে। দেখি পরে পরবে কি ঘটে সেই অপেক্ষায় রইলাম। আশা করি পরের পর্ব খুব তাড়াতাড়ি আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন সেই অপেক্ষায় রইলাম।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Heres a free vote on behalf of @se-witness.

 last year 

এ তো দেখছি কঠিন পর্যায়ে চলে গেল ব্যাপারটা! অবশেষে মিথ্যা মামলায় সুলাইমানকে জেলে পাঠানো হয়ে গেল! নিশ্চয় রুহেলার জন্য খারাপ কিছু অপেক্ষা করছে। পরের পর্বের অপেক্ষায় ভাইয়া।

 last year 

ধন্যবাদ ভাই গল্পটি পড়ার জন্য।
আশাকরি পরবর্তী পর্বটা পড়বেন।

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.22
TRX 0.20
JST 0.034
BTC 99357.59
ETH 3318.45
USDT 1.00
SBD 3.07