গল্প: ধুসর পৃথিবী এবং লাইফ কোড (পর্ব -৩)|| Story: Gray Earth and the Life Code.

গল্প: ধুসর পৃথিবী এবং লাইফ কোড

_{^{সংগ্রহশালা}}

প্রথম পর্ব এখানে	দ্বিতীয় পর্ব এখানে

সাল: ৮৮৬৬ ইং
সময়: রাত ৩ টা

রবিনসনের এলার্ম বেজে উঠলো এবং তার চোখে সূর্যের আলো পরা মাত্র সে লাফ দিয়ে উঠেছে। পাশেই বন্ধু মিসলেনিয়াস শুয়ে রয়েছে, হঠাৎ তার কথাগুলো মনে পরেছে। সে বলেছে যে যতো কম সূর্যের আলো গ্রহন করবে তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে এবং লাইফ কোডে পিছিয়ে রাখা হবে। কিন্তু সূর্যের আলো না পেলে শরীরে থাকা প্রোটিন কাজ কমিয়ে দেয়। কি করবে রবিনসন তাই ভেবে পাচ্ছে না। বন্ধু মিসলেনিয়াসকে রবিনসন ডেকে তুললো, বন্ধু আমি কি করবো বুঝতে পারছি না।

মিসলেনিয়াস লাফ দিয়ে উঠে বসেছে, চোখ কচলাতে কচলাতে বললো কি হয়েছে তোর এতো সকালে? রবিনসন বললো দোস্ত আমি তো রোজ সূর্যের আলো গ্রহণ করি কিন্তু তোর কথা শুনে আজ আর গ্রহন করতে সাহস পাচ্ছিনা। বন্ধু আমি বেঁচে থাকতে চাই এবং এই খুনি এলিয়েনদের শাস্তি দিতে চাই। মিসলেনিয়াস তাকে শান্তনা দেয়ার চেষ্টা করলো, দেখ দোস্ত তুই চাইলে আমাদের সাথে এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারিস। রবিনসন বেশ উত্তেজিত হয়ে বললো দোস্ত আমি এই এলিয়েনদের ছাড়বো না। তাহলে কি আমি সূর্যের আলো গ্রহণ করবো না? কিভাবে বেঁচে থাকবো?
মিসলেনিয়াস বলে চলেছে, আমরা শুধুমাত্র ত্রিশ মিনিট তাপ গ্রহন করবো এতে আমাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। আর আমরা যুদ্ধ করার সুযোগ পাবো।

ত্রিশ মিনিট সময় নিয়ে সূর্যালোক গ্রহন করেছে দুই বন্ধু। এবার মিসলেনিয়াস রবিনসনকে নিয়ে তাদের গোপন আস্তানায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কারন আলো থাকতে থাকতে তাদের গোপন আস্তানায় পৌঁছাতেই হবে। রবিনসন দ্রুত নিজের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে নিয়ে বন্ধু মিসলেনিয়াসের সাথে পথ চলা শুরু করলো। তারা একটি বিশেষ উড়ন্ত গাড়ি দিয়ে বেশ কিছুটা পথ খুব কম সময়ে পার করেছে। রবিনসনের কিন্তু এই অদ্ভুত দেখতে গাড়িটা দারুন লেগেছে, সে মিসলেনিয়াসকে বলেই ফেললো তুই এই জিনিস কই পেয়েছিস? মিসলেনিয়াস হেসে বললো সাইন্টিস্ট মিসানো এটি তৈরি করেছে যা চোখের পলকে দ্রুত গতিতে ছুটে চলে। কয়েক মিনিট সময়ের ব্যাবধানে তারা কয়েক হাজার মাইল দুরুত্ব অতিক্রম করেছে যা রবিনসনের কাছে বিরাট বিস্ময়ের ব্যাপার।

অবশেষে তারা মাটির গভীরে থাকা একটি গুহার সামনে এসে পৌছালো, আসলে বাইরে থেকে খুব সাধারণ একটি গুহা মনে হয়েছে রবিনসনের কাছে। কিন্তু বন্ধু মিসলেনিয়াস যখন তার পকেটে থাকা বিশেষ আলোক যন্ত্র বের করে সেখানে থাকা একটি যন্ত্রে ফেলেছে, সাথে সাথে একটি বিশেষ দরজা খুলে গিয়েছে। রবিনসনের চোখ ছানাবড়া হয়ে গেছে ভেতরের সাজসজ্জা আর অত্যাধুনিক সব যন্ত্রপাতি দেখে। সে অবাক চোখে শুধু মাত্র তাকিয়ে দেখছে।।।।।

_{^{" চলবে "}}

---

---

---

আমাদের উইটনেসকে সাপোর্ট করুন

https://steemitwallet.com/~witnesses

---

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

_{Posted using SteemPro Mobile}