আমাদের গ্রীন অরন্য পার্ক ভ্রমন (পর্ব ০৩)|| It's Family time 😍
শুভ রাত্রি আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের আয়োজন। আমি আজকে আবারো ভ্রমণ পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম।
আমরা ভালুকায় বসবাস করছি এবং ঠিক পাশেই চমৎকার একটি পার্ক রয়েছে। যার নাম হচ্ছে গ্রীন অরণ্য পার্ক। ইতিমধ্যে আমি আমাদের ভ্রমনের প্রথম পর্ব এবং দ্বিতীয় পর্ব উপস্থাপন করেছি। আজকে আমি আমাদের ভ্রমণের তৃতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হলাম। সত্যি বলতে গ্রীন অরন্য পার্কের পুরো পরিবেশটা আমার কাছে এককথায় অসাধারণ লেগেছে এবং আমরা বেশ আনন্দ করেছি পুরো সময়টা।
ছবির অবস্থান :- গ্রীন অরন্য পার্ক, ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
আপনাদের গত পর্বে একটি কাঠের চমৎকার গেটের কথা বলেছিলাম। যেখানে অভ্যর্থনার জন্য চমৎকার একটি কাঠের পাখি ছিল। যাই হোক সেখান দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করার পর চমৎকার একটি ফুলের বাগান দেখতে পেলাম। আর সেখানে ইলমা এবং আমি ছবি তুলে নিলাম।
ছবির অবস্থান :- গ্রীন অরন্য পার্ক, ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
ফুল বাগান থেকে একটু সামনে এগিয়ে পুকুরের মাঝখানে একটি চমৎকার ভাসমান রেস্তোরাঁ দেখতে পেলাম । এই রেস্তোরাঁটির প্রধানতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি পুকুরের উপরে ভাসমান এবং বাঁশ, খরকুটা দিয়ে পুরোটা তৈরি। দেখতেও অসাধারণ সুন্দর দেখাচ্ছিল।
ছবির অবস্থান :- গ্রীন অরন্য পার্ক, ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
এই রেস্তোরাঁটির আরো একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এখানে চমৎকার চটপটি এবং ফুচকা বিক্রি করে। আমাদের হাতে সময় কম থাকা আমরা এই লোভনীয় খাবার গুলো এড়িয়ে গেলাম এবং সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলাম।
ছবির অবস্থান :- গ্রীন অরন্য পার্ক, ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
ঠিক আরো একটিও একটু সামনে এগিয়ে গেলে, আরবি লেখা একটি চমৎকার স্তম্ভ দেখতে পেলাম। এটা দেখতে জাষ্ট অসাধারণ।
ছবির অবস্থান :- গ্রীন অরন্য পার্ক, ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
এরপর সামনে আমরা একটি চমৎকার ফুলের বড় মাচা দেখতে পেলাম সেখানে ঝুলন্ত অবস্থায় বেশ কিছু ফুল রয়েছে। এগুলো দেখতে এক কথায় অসাধারণ। আপনি যদি এগুলো একটু ছুঁয়ে দেখতে পারেন তাহলে হয়তো আরো বেশি ভালো লাগবে।
ছবির অবস্থান :- গ্রীন অরন্য পার্ক, ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
আমরা দুজন একসাথে এই অসাধারণ ফুল গুলো সামনে একটু ছবি তুলে নিলাম 😄
ছবির অবস্থান :- গ্রীন অরন্য পার্ক, ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
এরপর বাচ্চাদের আরও বেশ কিছুটা সময় এই চমৎকার জায়গাটাতে হইহুল্লোড় করার জন্য ছেড়ে দিলাম। ওরা বেশ কিছুটা সময় নিয়ে সেখানে আনন্দ করল।
ছবির অবস্থান :- গ্রীন অরন্য পার্ক, ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
এই হলো সেই গাছটি এবং চমৎকার ফুলগুলো যা আমি এই প্রথম দেখলাম এবং প্রথম দেখাতেই মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
যাই হোক এই ছিল আমার আজকের আয়োজন সামনের পর্ব নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসব। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মত বিদায় নিচ্ছি।
.gif)
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
আপনাদের পার্ক ভ্রমণ পোস্ট পড়তে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। এই পোষ্টের মধ্য দিয়ে অজানা অচেনা একটি স্থান সম্পর্কে ধারণা পেয়ে গেলাম। অনেক সুন্দর ভাবে পোষ্টের উপস্থাপনা করেছেন। পার্কের কিছু কিছু অংশ দেখতে নাটোরের গ্রিন ভ্যালি পার্ক এর মত। যাই হোক ভালো লাগলো অনেক।
ইতোমধ্যে আমরা আপনার পোস্টের মাধ্যমে গ্রীন অরন্য পার্ক ভ্রমনের প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্ব দেখতে পেরেছি। আসলে গ্রীন অরন্য পার্কের সৌন্দর্য আমার কাছে ও অনেক বেশি ভালো লেগেছে।আর পরিবার নিয়ে এরকম সুন্দর সুন্দর পার্কের মধ্যে ঘুরতে গেলে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি আপনার পরিবারের সাথে গ্রীন অরন্য পার্কের মধ্যে খুবই সুন্দর একটি সময় উপভোগ করেছেন।
ভাসমান রেস্তোরাঁটি দেখতে কিন্তু খুবই সুন্দর লাগছে ভাইয়া। আমরা আপনার এই পর্বের আগেও গ্রীন অরণ্য পার্ক এর দুটি পর্ব দেখে ফেলেছি। সেগুলোতেও কিন্তু আপনি দারুণভাবে বেশ কিছু মুহূর্তকে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এরকম জায়গাগুলোতে আসলেই ফ্যামিলি নিয়ে গেলে অনেক বেশি মজা হয়। তবে ভাসমান রেস্তোরায় আপনারা চটপটি সহ অন্যান্য মজাদার খাবারগুলো খেতে পারলে হয়তো আপনাদের আরো বেশি ভালো লাগতো। ঝুলন্ত ফুলের সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ভাইয়া। সব মিলিয়ে আপনার গ্রিন অরণ্য পার্ক ভ্রমণের এই পর্বটিও আমার কাছে বেশ ভাল লেগেছে।
গ্রীন অরন্য পার্ক দেখতে অনেক সুন্দর। প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্ব দেখেছিলাম। আজকে তৃতীয় পর্ব পেয়ে খুশি হলাম। ভাসমান রেস্তোরাঁটি দেখতে অনেক সুন্দর। এধরনের পরিবেশ এ বসে খাবার খাওয়া এবং সময় কাটাতে ভীষণ ভালো লাগে। আমিও চমৎকার ফুলগুলো প্রথমবারের মতো দেখে নিলাম। আপনাদের সবাইকে দেখতে পেয়ে ভীষণ ভালো লাগলো। আপনার পুরো পরিবারের জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকবেন।
গ্রীন অরন্য পার্ক জায়গা দেখতে অনেক সুন্দর। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। আমি আপনার ভ্রমনের প্রথম পর্ব এবং দ্বিতীয় পর্ব পড়েছি। আমি অনেক কিছু জানতে পারলাম। আরবি লেখা একটি চমৎকার স্তম্ভ দেখতে অনেক সুন্দর লেগেছে আমার কাছে। এটা দেখতে সত্যি অসাধারণ ছিল। আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে অজানা কিছু তথ্য জানতে পারলাম। আপনার পরিবারের জন্য শুভকামনা রইল।
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1775612922351464746?t=rd0QWT7VQeWeIHPGcMmRrw&s=19
বেশ কিছুদিন থেকে অসুস্থতার কারণে প্রিয় কমিউনিটিতে কাজ করতে পারিনি। আর এজন্য আমি আপনাদের গ্রিন অরণ্য পার্ক ভ্রমণ প্রথম ও দ্বিতীয় পর্ব পড়ার সুযোগ পাইনি। তবে তৃতীয় পর্ব পড়ে বেশ বুঝতে পারছি সেখানে গিয়ে আপনারা খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন।ভাই, সুন্দর সময় কাটিয়েছেন সেই সাথে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফিও করেছেন যা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আর হ্যাঁ ভাই, এমন সুন্দর পার্কে সময় কাটাতে পারলে সময়টা খুবই উপভোগ্য হয় তাতে কোন সন্দেহ নেই। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই, আপনাদের সুন্দর সময় টুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার এই ভ্রমণের একের পর এক পর্ব গুলো দেখে একেবারে মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত আপনি খুব সুন্দর সুন্দর কিছু পোস্ট আমাদের শেয়ার করে আসছেন৷ আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আমাদের মাঝে এই ভ্রমণের পর্ব শেয়ার করেছেন৷ আশাকরি পরবর্তীতে আরো সুন্দর কিছু পর্ব দেখার মাধ্যমে আপনার কাছ থেকে অনেক কিছু দেখতে পাব৷
গ্রীন অরন্য পার্ক ভ্রমনের তৃতীয় পর্ব পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। তাছাড়া ফটোগ্ৰাফি গুলো দারুন হয়েছে। আসলেই এধরনের ভাসমান রেস্তোরাঁ দেখতে চমৎকার লাগে। ফুলের বাগান অনেক বেশি সুন্দর লাগছে। এধরনের মনোরম পরিবেশে পরিবার নিয়ে সময় অতিবাহিত করতে বেশ ভালোই লাগে। সবমিলিয়ে এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।