আমাদের গ্রীন অরন্য পার্ক ভ্রমন (পর্ব ০২)|| It's Family time 😍
শুভ রাত্রি আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের আয়োজন। আমি আজকে আবারো ভ্রমণ পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম।
আমরা ভালুকায় বসবাস করছি এবং ঠিক পাশেই চমৎকার একটি পার্ক রয়েছে। যার নাম হচ্ছে গ্রীন অরণ্য পার্ক। ইতিমধ্যে আমি আমাদের ভ্রমনের প্রথম পর্ব উপস্থাপন করেছি। আজকে আমি আমাদের ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হলাম। আমি আমার বিগত পোস্টে বলেছিলাম পরিবার নিয়ে সময় মত বের হবার চেষ্টা করেও অবশেষে বেশ দেরিতে বের হয়েছিলাম। যাইহোক তারপরও চেষ্টা করেছি পুরোটা সময় পরিবার নিয়ে উপভোগ করার। সত্যি বলতে পুরো পরিবেশটা আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে এবং আমরা বেশ মন খুলে আনন্দ করেছি সবাই মিলে।
ছবির অবস্থান :- গ্রীন অরন্য পার্ক, ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
আজকের পর্ব টা শুরু করছি আমার ছোট্ট সেনাপতির একটা চমৎকার নাচ দিয়ে। অবাক লাগলো সে এতটাই আনন্দ পাচ্ছিল যেটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। সে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করে নাচতে লাগলো। আর তার এই আনন্দ নৃত্য দেখে আমরা এতটাই খুশি হয়েছিলাম সেটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। আর ইতিমধ্যে আমাদের ইলমার মন আগের থেকে বেশ ভালো হয়েছে কারণ আপনাদের বলেছিলাম ও অনেকগুলো রাইডে উঠতে চেয়েছিল। কিন্তু সময় স্বল্পতার কারণে আমরা তাকে উঠতে দেইনি, তাই আমাদের উপর বেশ রেগে ছিল 😄
ছবির অবস্থান :- গ্রীন অরন্য পার্ক, ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
এরপর আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলাম। সামনের অংশটা খুব সুন্দর দেখাচ্ছিল কারণ বেশ কিছু ডিম্বাকৃতির সুন্দর গাছ রয়েছে।
ছবির অবস্থান :- গ্রীন অরন্য পার্ক, ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
এরপর চমৎকার একটি ভাস্কর্য দেখতে পেলাম। এটি বেশ বড় এবং দেখতে অসাধারণ লেগেছে আমার কাছে। এটি একটি পানির ফোয়ারার মধ্যে তৈরি করা হয়েছে।
ছবির অবস্থান :- গ্রীন অরন্য পার্ক, ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
অসাধারণ এই ভাস্কর্যটির সামনে একটি চমৎকার ফুলের বাগান রয়েছে। যেখানে অসংখ্য ফুলের সমারোহ ছিল। আমরা প্রত্যেকেই আলাদা আলাদাভাবে সেখানে ছবি তোলার চেষ্টা করলাম। আশা করি আমাদের তোলা ছবিগুলো আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
ছবির অবস্থান :- গ্রীন অরন্য পার্ক, ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
এরপর আমাদের ইলমার আলাদা করে বেশ কিছু ছবি তুললাম। ওর ছবিগুলো এখানে কিন্তু অসাধারণ এসেছে।
ছবির অবস্থান :- গ্রীন অরন্য পার্ক, ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
এবার আমাদের বাপ-বেটার একটি ধামাকাদার ছবি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম। এই ছবিটা আমার কাছে অমূল্য।
ছবির অবস্থান :- গ্রীন অরন্য পার্ক, ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
এরপর ইলমা এবং ইয়ানকে পানির যে ফোয়ারা রয়েছে, সেখানকার মাছগুলোর সাথে কিছুক্ষণ খেলতে দিলাম। ওরা এতটাই আনন্দ করছিল দেখে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগছিল।
ছবির অবস্থান :- গ্রীন অরন্য পার্ক, ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
আসলে এই দিন অরণ্য পার্কের মধ্যে যতই আমরা ঘুরছিলাম সত্যিই মনে হচ্ছিল যেন মনোমুগ্ধকর অরণ্যের মধ্যে হারিয়ে যাচ্ছিলাম। আমরা আরেকটু সামনে এগিয়ে যেতেই চমৎকার একটি গেইট দেখতে পেলাম আমার কাছে মনে হয়েছে পুরোটাই কাঠ দিয়ে তৈরি, যেখানে পাহারাদার হিসেবে রাখা আছে চমৎকার একটি কাঠের পাখি। আমি সময় ক্ষেপণ না করে সেই পাখিটির সাথে ছবি তোলার চেষ্টা করলাম এবং পুরো গেইটটির চমৎকার ছবি নিলাম। তবে ভেতরে ঢুকে দেখতে পেলাম সামনের পরিবেশটা অসাধারণ সুন্দর। আরো চমৎকার এবং ধামাকাদার বেশ কিছু আনন্দ আয়োজন নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি এই ফিরবো সামনের পর্ব নিয়ে। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মত বিদায় নিচ্ছি।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
আপনাদের গ্রীন অরন্য পার্ক ভ্রমনের প্রথম পর্ব আমি দেখেছিলাম। আজকে আবারও দ্বিতীয় পর্ব পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। পরিবার নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে সত্যি ভালো লাগলো। বিশেষ করে ইলমা মামুনি এবং ইয়ান বাবুর ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। সবাই মিলে দারুন সময় অতিবাহিত করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে। তাছাড়া পার্কের পরিবেশটা মনোমুগ্ধকর আপনার পোস্ট দেখে বুঝতে পারলাম। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভালো থাকবেন।
পরিবার নিয়ে গ্রীন অরন্য পার্ক ভ্রমন করেছেন তা দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনি শত ব্যস্ততার মাঝে পরিবারের সঙ্গে পার্কে ঘুরতে গিয়েছেন এবং অনেক চমৎকার ফটোগ্রাফিও করেছেন ভাল লেগেছে দেখে। পরিবারের সাথে সময় কাটালে মন মানসিকতা অনেক ভালো থাকে। সব থেকে ভালো লাগার বিষয় হল ইলমা এবং ইয়ান অনেক আনন্দ করেছে। আপনার পরিবারের সবার জন্য শুভকামনা রইল।
মাশাআল্লাহ ইয়ান বাবু দেখতে দেখতে বড় হয়ে যাচ্ছে। ইয়ান কিন্তু দেখতে আপনার মতো হয়েছে। স্টিমিটবয় তো দেখি পার্কে গিয়ে ভীষণ খুশি। বাচ্চাদের হাঁসি মাখা মুখ দেখলে মা বাবার মনে শান্তি কাজ করে। গত পর্ব দেখেছিলাম আজকে নতুন পর্ব দেখতে পেয়ে সত্যি ভীষণ ভালো লাগলো। পরিবার নিয়ে এমন সময় কাটালে অনেক সুন্দর অনূভুতি কাজ করে। আপনার উপরের লেখা পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। সর্বোপরি আপনার পুরো পরিবারের জন্য দোয়া ও শুভ কামনা রইলো ভালো থাকবেন।
ছবিগুলো দেখেই বোঝা জাচ্ছে বেশ সুন্দর সময় কেটেছে আপনাদের সবার। এতো ব্যস্ততার মধ্যেও পরিবারকে সময় দিচ্ছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। শুভকামনা রইলো আপনার জন্যে ভাইয়া।
পোস্ট পড়ে এটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে ভাইয়া যে আপনি আপনার ফ্যামিলি র সাথে খুবই আনন্দ দায়ক একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন।আসলে এরকম মুহূর্ত গুলো কাটাতে পারলে মনে বেশ আনন্দ অনুভূত হয়।আপনার এবং আপনার ছেলের দুজনের এক সাথে তুলা ফটোগ্রাফি টি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।আপনি অরণ্য পার্কে ফ্যামিলির সাথে কাটানোর খুবই অসাধারণ একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাইয়া দেখে খুবই ভালো লাগলো।
আপনার এই ভ্রমণের প্রথম পর্বটি আমি পড়েছিলাম৷ আজকে আবার দ্বিতীয় পর্ব পড়েও খুবই ভালো লাগলো৷ খুব সুন্দরভাবে আপনি দ্বিতীয় পর্বের মধ্যে সবকিছু ফুটিয়ে তুলেছেন৷ একই সাথে খুব সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফিও শেয়ার করার মাধ্যমে এই ভ্রমণের সৌন্দর্য আমাদের মাঝে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
আপনাদের ভ্রমণের প্রথম পর্বটি দেখেছিলাম। আজকে দ্বিতীয় পর্ব দেখতে পেরে ভালো লাগলো। পরিবারের সবাই মিলে অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন সেটা ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে। পার্কের দৃশ্য গুলো আসলেই মনমুগ্ধকর ছিল। সবশেষে কাঠের তৈরি জিনিসগুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। এই জিনিসগুলো আমার কাছে ইউনিক লেগেছে। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।