তুমি বলো সম্মান দাও ! আমি বলি সম্মান করো সম্মান পাবে। || Give Respect to take Respect.
একটা সময় আমরা মানুষকে সম্মান করতাম, কথাটা এভাবে বলতে বাধ্য হচ্ছি। কারন এখনকার মানুষের মাঝে সম্মানবোধ জিনিসটা উঠে গেছে। কেমন যেন একটু বুঝ জ্ঞান হতে না হতেই সবাই নিজেকে অনেক বড় এবং সব জানতা সমশের ভাবতে শুরু করে। এটা কি যুগের পরিবর্তনের ফলে হচ্ছে, নাকি আমাদের নিজেদের কর্মকান্ডের জন্য হচ্ছে বোঝা যাচ্ছেনা।
একটা সময় আমরা গুরুজনদের যথেষ্ট সম্মান করতাম, তাদের কথার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতাম এবং তাঁরাও আমাদের স্নেহের পরশ বুলিয়ে দিতেন। হয়তোবা সেই সম্মান দেয়া নেয়ার ফলস্রুতিতে আমরা এখনো কিছুটা মানুষের কাতারে রয়েছি। চিন্তা করুন তো একবার যে মানুষগুলোকে আমরা সম্মান করতাম, ধরুন আপনার দাদা দাদী যারা আজ বেঁচে নেই। সেই মানুষগুলোর কথা চিন্তা করলেই ভেতরে কেমন সম্মান বোধ জেগে ওঠে এবং সাথে সাথে তাদের স্নেহের পরশগুলো অনুভব হতে থাকে।
আমার এখনো মনে আছে বড় ভাইদের দেখতাম একটা সিগারেট খাওয়ার জন্য কত দূরদান্ত পারি দিতো। আর মুখের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য কত চেষ্টা করতো, আর যদি কখনও কোন মুরুব্বির সামনে ভুল ক্রমে পরে যেতো, তাহলে সেটা কতদূর পর্যন্ত গড়াতো সেটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবেনা। কিন্তু আজকাল তো হাত পা গুলো একটু শক্ত হলেই সিগারেট খাওয়া শুরু করে, আর ধোঁয়া কতটা স্টাইলে ছাড়তে পারে সেই প্রতিযোগিতা করে।
সালাম কিংবা আদব কায়দা গুলো আমরা ভুলতে বসেছি। মনে হয় যেন তাকে সালাম দিয়ে কি হবে? আমি তো তার থেকেও বড় কিছু। আসলে দিন দিন আমরা নির্লজ্জতার সীমা অতিক্রম করতে করতে এখন কোন কিছুই আর খারাপ লাগে না। পিতা পুত্রের সম্পর্ক এখন শুধুমাত্র দেনা পাওনার, মনে হয় যেন বাবারা শুধুমাত্র পরিশ্রম করে খাওয়ানোর জন্য দুনিয়াতে এসেছে। অথচ নূন্যতম সম্মানবোধ দিন দিন তলানিতে পরে যাচ্ছে।
যাইহোক যদি আপনি এটাকে যুগের হাওয়া বলেন, তবে আমি বলবো এটা আমাদের কৃতকর্মের ফল। কারনটা একটু পরিষ্কার করে বলি। ধরুন আপনি যদি আপনার গুরুজন এবং সমাজের মানুষদের সম্মান করতেন তাহলে আপনার সন্তান সেটা দেখে শিখে নিয়ে সে ঠিক সেভাবেই সম্মান করার চেষ্টা করতো। মানেটা হচ্ছে পৃথিবীকে আপনি যা দেবেন পৃথিবী আপনাকে সেটাই কড়ায় গন্ডায় ফেরত দেবে।
আপনি মানুষকে সম্মান দেন, দেখবেন সে একদিন আপনাকে সম্মান দিতে বাধ্য হবে।
আমি বলি সম্মান করো সম্মান পাবে।
আসুন সম্মানবোধ ফিরিয়ে আনি।
.gif)
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
https://steemitwallet.com/~witnesses
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1705963767320993937?t=mTcBs68lEHjk5FCSVfQPxw&s=19
আপনি একদমই ঠিক বলেছেন মানেটা হচ্ছে পৃথিবীকে আপনি যা দেবেন পৃথিবী আপনাকে সেটাই কড়ায় গন্ডায় ফেরত দেবে। আপনার এধরনের পোস্ট গুলো থেকে অনেক কিছু শেখার রয়েছে। আমি তো ভীষণ পছন্দ করি। আমি নিজেও দেখেছি পোলাপান সিকারেট খেলে অনেক দূরে গিয়ে খেতো। তবে এখন কার পোলাপান সম্মান বলতে ভুলে গেছে। ভালো লাগলো আপনার লেখা গুলো পড়ে। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
বিষয়টি খুবই সুন্দর ছিল ভাইয়া পড়ে শান্তি পেলাম। আসলে সম্মান জিনিসটা আপনা আপনি নিজের মন থেকে তৈরি হয়ে যায়। কোন মানুষের চালচলন কিংবা আচার ব্যবহার ভালো দেখলেই তাকে সম্মান করতে খুবই ভালো লাগে। এমনি এমনি কাউকে সম্মান করা যায় না সম্মানের যোগ্য হলেই তো সম্মান দেওয়া যায়। তবে সিগারেটের বিষয়টি খুবই হাসি পেয়েছে। কি আর বলব রাস্তাঘাটে বের হলে কত জনের সিগারেটের ধোয়া কি রকম করে বের করে! সেইল গুলো দেখলেই মনে হয় যেন মাতার রক্ত গুলো টগবগ করে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি টপিক্স ছিল।
ধন্যবাদ আপু।
এখন যারা এই উদ্ভট ভঙ্গিতে সিগারেট খায় তারা আসলে অসুস্থ মানসিকতার লোক। যাইহোক আমাদের জায়গা থেকে মানুষকে সম্মান দিতে হবে, যাতে আরো দশজন মানুষ অনুপ্রাণিত হয়।
আসলেই ভাই যখন ছোট ছিলাম তখন দেখতাম, সিনিয়র ভাইয়েরা সিগারেট খেতো লুকিয়ে। যাতে করে মুরুব্বিরা না দেখে। আর বর্তমানে বেশিরভাগ ছেলেরা ওপেন সিগারেট টানে। এমনও বলতে শুনি আমরা টাকা দিয়ে আমি সিগারেট কিনে খাচ্ছি, তাতে কার বাবার কি। কতোটা বেয়াদব হলে এমন কথা বলতে পারে। তবে আমি এটা বিশ্বাস করি যে,পৃথিবীতে সবকিছুই গিভ এন্ড টেক পলিসি তে চলে। আমি কাউকে সম্মান দিলে, অটোমেটিক আমিও সম্মান পাবো। কারো সাথে ভালো কিছু করলে,আমিও ভালো কিছু পাবো। মোটকথা প্রকৃতি ভালোর বিনিময়ে ভালো কিছু ফেরত দেয় এবং খারাপ কিছুর বিনিময়ে খারাপ ফেরত দেয়। এটাই সৃষ্টিকর্তার নিয়ম। যাইহোক এতো গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে যুগের পরিবর্তনে অনেক কিছু পরিবর্তন হচ্ছে, তবুও আমাদের জায়গা থেকে যদি মানুষকে সম্মান দেয়ার চেষ্টা করি তাহলে হয়তো কিছু মানুষ অনুপ্রাণিত হয়ে সঠিক রাস্তায় আসতে পারে।