রেসিপি: বুটের ডালের হালুয়া।|| শবে বরাত আয়োজন।
শবে বরাত আয়োজন |
---|
শুভ রাত্রি আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের আয়োজন। গত কয়েকদিন আগে আমাদের শবে বরাত ছিল। সত্যি বলতে ছোট থেকে দেখতাম মা এই দিনে বেশ কিছু খাবারের আয়োজন করতেন। যেমন বিভিন্ন ধরনের হালুয়া এবং রুটি, তাছাড়াও মাংস তো রান্না হতোই। এগুলো না খেলে কেমন যেন দিনটা অপূর্ণ রয়ে যায় এরপর তো পুরো রাত সৃষ্টিকর্তার প্রার্থনা তো রয়েছেই। সবমিলিয়ে দিনটি যেমন পবিত্র তেমন বেশ কিছু ভালো খাবার খেয়ে মোটামুটি একটা উৎসবে পরিণত হয়ে যায়। যাইহোক সেদিন আমরা বুটের ডালের হালুয়া তৈরি করেছিলাম, আজ সেটাই গুছিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো। আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে, তো চলুন শুরু করি।
বুটের ডাল | ৫০০গ্রাম | তরল দুধ | ৫০০ গ্রাম |
---|---|---|---|
গুড়া দুধ | এক কাপ | চিনি | দুই কাপ |
ঘি | দুই চামচ | তেজপাতা | দুটো |
এলাচ | দুটি | দারচিনি | এক টুকরো |
লবণ | স্বাদমতো | কিসমিস | পরিমাণ মতো |
প্রথমে বুটের ডালগুলো তিন ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখলাম।
এরপর তেজপাতা, দারচিনি, এলাচ এবং দুধ দিয়ে দিলাম।
এবার চল্লিশ মিনিট সিদ্ধ করে নিলাম।
এবার ব্লেন্ডারে সিদ্ধ করা বুটের ডাল দিয়ে দিলাম এরপর সামান্য দুধ যোগ করলাম। এরপর ব্লেন্ডারে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিলাম। এরপর একটি বাটিতে উঠিয়ে নিলাম।
এবার একটি প্যানে ঘি দিয়ে দিলাম।
এরপর ব্লেন্ড করা ডাল এবং চিনি দিয়ে দিলাম।
এবার ত্রিশ মিনিট সময় নিয়ে অনবরত নাড়তে থাকলাম। পানি শুকিয়ে অনেকটা আঠালো হবে।
এই ধাপে গুঁড়া দুধ যোগ করে ভালোভাবে মিশিয়ে নিলাম। এরপর একটি ট্রেতে ঢেলে নিলাম। ঠান্ডা হয়ে ট্রেতে ছড়িয়ে দিলাম এবং বাদাম আর কিছমিছ দিয়ে দিলাম। ব্যাস আমাদের সুস্বাদু হালুয়া তৈরি শেষ। এবার কেটে টুকরো করে নিয়ে পরিবেশন করা হয়েছে।
🍱 পরিবেশন করলাম 🍱
খেতে এতোটাই সুস্বাদু হয়েছে বলে বোঝাতে পারবো না। আমি তো নিজেই বেশ কয়েকটি খেয়ে ফেললাম। দেখলাম ইলমা আর ইয়ান বেশ পছন্দ করেছে এটা। যাইহোক সবমিলিয়ে শবে বরাতের আমেজ বিরাজ করছিল আমাদের বাসায়।
ছবি যন্ত্র | রিয়েলমি সি-২৫ |
---|---|
ছবির কারিগর | @emranhasan |
ছবির অবস্থান | ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ। |
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
বুটের ডালের হালুয়া কিভাবে তৈরি করতে হয় আজকে সেটা পর্যায়ক্রমে আমাদেরকে দেখিয়েছেন। তবে পরিবেশন করা ছবি দেখে কিন্তু চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে। লোভনীয় রেসিপি টি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
সত্যিই ভাই এটা খেতে এককথায় অসাধারণ হয়েছে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহ প্রদান করার জন্য।
আসলে এই শবেবরাত খুবই পবিত্র আর এই পবিত্র দিনে প্রত্যেকটা বাড়িতেই বিভিন্ন রকমের আয়োজন করা হয়। আপনি খুবই মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করলেন। এই রেসিপির পরিবেশন দেখে আমার কাছে একদম নতুন লেগেছে। আর এই বুটের ডালের হালুয়া রেসিপিটা তৈরি করার খুব ইচ্ছা জাগলো। আসলে এভাবে হালুয়া রেসিপি তৈরি করা হয় সেটা আমি আপনার রেসিপি- মাধ্যমে শিখে নিলাম।
হ্যা রেসিপিটা একটু ভিন্নভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। তবে এটা খেতে দূর্দান্ত স্বাদের। অনেক ধন্যবাদ ভাই চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
বুটের ডালের হালুয়া আমার খুব পছন্দ। আমিও বানিয়েছিলাম। আপনার রেসিপি দেখে এখন আবার খেতে ইচ্ছে করছে। দারুন স্বাদের এই বুটের হালুয়া। ঘি আর দুধ অ্যাড করে রান্না করাতে খেতে খুব বেশি স্বাদের হয়।আর ঠান্ডা হলে আরো বেশি ভালো লাগে খেতে।
হ্যা ঘি আর দুধ দেয়াতে স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যায়।
তৈরি করুন তাড়াতাড়ি এই লোভনীয় খাবারটি।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আসলে ভাইয়া শবে বরাত আমাদের সবারই জন্য একটা বরাত।যেযেভাবে পারে কিছু খাওয়ার চেষ্টা করে আর সারারাত আল্লাহর ইবাদত করে।আপনি বুটের ডাল দিয়ে অসাধারণ একটা রেসিপি তৈরি করেছেন।অনেক দিন হলো বুটের হালুয়া খাওয়া হয়নি। আগে বললে চলে যেতাম হা হা হা। ধন্যবাদ ভাইয়া সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হা হা চলে আসুন একদিন।
আমাদের প্রতিবছর এভাবে হালুয়া খাওয়া হয়, আর এটা খেতে অসাধারণ।
ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
এই বুটের হালুয়া খেতে আমার কাছে বেশ মজা লাগে। তবে বানানো বেশ কঠিন। নাড়তে নাড়তে হাত ব্যাথা হয়ে যায়। বেশ লোভনীয় লাগছে রেসিপিটি। বেশ কিছুদিন হলো খাওয়া হয়নি বুটের হালুয়া। আপনারটা দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। বানাবো একদিন সময় করে। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আমার কাছেও এটা খেতে দারুন লাগে, আর এটা নাড়তে নাড়তে সত্যিই হাত ব্যাথা হয়ে যায় 😄
তবে খাওয়ার সময় কষ্টগুলো আর থাকে না।
পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে বুটের ডালের হালুয়া তৈরি করেছেন। ডালের হালুয়া দেখে খুব ভালো লাগলো। ডালের হালুয়ার রন্ধন প্রক্রিয়া খুব দুর্দান্ত হয়েছে। আমাদের মাঝে খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। হালুয়াতে ঘি দেওয়াতে খেতে বেশ ভালো লাগবে । ধন্যবাদ আপনাকে ভাই ।
আহারে ভাই, আপনি আমাকে দু:খে ফেলে দিলেন! আসলে ছোটবেলায় আমরা একটা কমপ্লেক্সে থাকতাম, সরকারি কোয়ার্টার আর কি। ওখানে শবে বরাতের সময় আশেপাশের আন্টিরা অনেকেই বাসায় এমন রুটি আর হালুয়া পাঠিয়ে দিত। আমাদের বাসাতে যতই হালুয়া বানানো হোক না কেন, এই শবে বরাতের হালুয়ার মতোন কেন জানি টেস্ট হতো না। এই শবে বরাতের বুটের হালুয়া আমার ভীষণ পছন্দের!! এমনকি অফিসেও শবে বরাতের আগে আগে অনেককেই বলে রাকগি হালুয়া আনতে আমার জন্য!! 🥲 আমি সেই ছোট বেলা মিস করি।
শবেবরাতের হালুয়া কেন্দ্র করে আপনার স্মৃতি জেনে ভীষণ ভালো লাগলো আপু। সত্যিই শবেবরাতের হালুয়ার মতো অন্য সময়েরটা স্বাদের লাগে না। ধন্যবাদ আপু আপনি এভাবে একদিন তৈরি করে খেতে পারেন।
শবে বরাত হচ্ছে মুসলমানদের গোনাহ্ মাপের একটি দিন। শবে বরাত উপলক্ষে কম বেশি সবার বাসায় এধরনের খাবারের আয়োজন হয়ে থাকে। বুটের ডালের হালুয়া তৈরি করে সবাই মিলে জমিয়ে খেয়েছেন জেনে খুশি হলাম। সত্যি বলতে বুটের ডালের হালুয়া খেতে আমার কাছে ও ভীষণ মজা লাগে। আপনার রেসিপি পরিবেশন দেখে ভালো লাগলো। আপনার পুরো পরিবারের জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
হ্যা শবেবরাতের সময় প্রায় সবাই এই খাবারগুলো তৈরি করে থাকে। এটা এককথায় অসাধারণ লাগে খেতে।
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1763974824668619062?t=uplpap0NdsjKaBedVbFIog&s=19