শীতকালীন সুস্বাদু টিনে কাটা খেজুর গুড়ের ক্ষীর || ১০% @shy-fox এর জন্য
আমার বাংলা ব্লগে আপনাকে স্বাগতম
প্রিয় বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন আমিও ভাল আছি। আমার পোষ্টের প্রথমেই আমি ধন্যবাদ দিতে চাই আমার বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠিত আমাদের প্রিয় দাদা সহ আমার বাংলা ব্লগের সকল সুদক্ষ মডারেটরদের । যাদের অক্লান্ত এবং কঠোর পরিশ্রমের ফলে আজকে আমি এত সুন্দর একটি কমিউনিটি তে পোস্ট করতে পারছি। বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব কিভাবে তৈরি করা যায় সুস্বাদু শীতকালীন টিনে কাটা খেজুর গুড়ের ক্ষীর রেসিপি। এই রেসিপিটি আমাদের গ্রাম অঞ্চলের খুবই জনপ্রিয় একটা রেসিপি কেননা এই রেসিপিতে খেজুরের ক্ষীর থেকে শুরু করে নারিকেল গরুর দুধ সহ নানান উপকরণ ব্যবহার করা হয় যার ফলে রেসিপিটি অনেক সুস্বাদু এবং মুখরোচর খাবার হয়ে ওঠে। শীতকালের পিঠা এবং ক্ষীর খেতে খুবই মজাদার এবং যারা মিষ্টান্ন খাবার ভালোবাসেন তাদের জন্য খুবই ভাল একটি রেসিপি হতে পারে এই টিনে কাটা ক্ষীর। আমরা সবাই জানি গ্রাম অঞ্চলে শীতকালীন সময়ে পিঠাপুলির এবং ক্ষীর তৈরি করার ধুম ওঠে এবং নতুন ধান ঘরে উঠাই কৃষকরা খুবই খুশি থাকে তাই এসব ক্ষীর শীতকালে বেশি তৈরি হয়। তবে চলুন বন্ধুরা দেখে আসা যাক কিভাবে তৈরি করা যায় সুস্বাদু শীতকালীন সুস্বাদু টিনে কাটা খেজুরের গুড়ের ক্ষীর রেসিপি।
# রেসিপিটি তৈরি করতে প্রয়োজনীয় উপাদান
ক্রমিক নম্বর | উপাদান | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | গরুর দুধ | ১ কেজি |
২ | চাউলের ময়দা | ৫০০ গ্রাম |
৩ | গরম মসলা | পরিমাণমতো |
৪ | খেজুরের গুড় | ৪০০ গ্রাম |
৫ | নারিকেল কুচি | পরিমাণমতো |
৬ | ফল | পরিমানমত |
৭ | লবণ | স্বাদ অনুযায়ী |
৮ | চিনি | ৪০০ গ্রাম |
ধাপঃ-১
প্রথমে প্রয়োজনীয় মশলাপাতি গুলো প্রস্তুত করে নিব।
ধাপঃ-২
এবার চাউলের ময়দা এবং পানি ভালোভাবে মিশিয়ে হাতের তালুর মাধ্যমে সেনে নিব।
ধাপঃ-৩
এবার গরুর দুধ একটি পাত্রে আলাদা করে রেখে দিলাম।
ধাপঃ-৪
এবার কড়াই এর ওপরে পরিমাণমতো পানি ভালোভাবে গরম করে নিতে হবে।
ধাপঃ-৫
এবার করাইয়ের মধ্যে পরিমাণমতো মশলাপাতি এবং দুধ , নারিকেল একসঙ্গে দিয়ে দিতে হবে । এরপরে কড়াই এর উপরে টিন রাখতে হবে ।এবার প্রস্তুত করে নেওয়া চাউলের ময়দা এর উপরে দিয়ে সামান্য ঘষতে হবে যেমনটা ছবিতে দেখানো হয়েছে।
ধাপঃ-৬
এবার কিছুক্ষণ ফুঁটিয়ে নেওয়ার পরে খেজুরের গুড় এর মধ্য দিয়ে দিতে হবে।
ধাপঃ-৭
এবার মিশ্রনটিকে একসঙ্গে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিতে হবে। তাহলেই তৈরি হয়ে যাবে সুস্বাদু টিনে কাটা খেজুরের গুড়ের ক্ষীর।
ধাপঃ-৮
রেসিপির সঙ্গে আমার একটি ছবি।
🫂ধন্যবাদ!!!🤵
ফটোগ্রাফার | @emonv |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | VIVO Y12 A |
[[🔉প্রিয় স্টিমিট ইউজারগন,,]]👩💻"ইমন ব্লগ"👩💻 এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। আমার নাম মোঃ ইমন রেজা। বর্তমানে আমি একজন মাধ্যমিক🏫 শিক্ষার্থী। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাই নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি।
এই ক্ষীর আমার বেশ পছন্দের খাবার। এবং নতুন খেজুর গুড় দিয়ে এটা তৈরি করলে এর স্বাদ যেন বেড়ে যায়। ক্ষীরের রেসিপি টা বেশ ভালোভাবে দেখিয়েছেন। তবে আমাদের দিকে চাউল ব্যবহার করা হয় কিন্তু আপনারা দেখছি ময়দা ব্যবহার করেন।।
এই রেসিপিটি তে ময়দা ব্যবহার করলেও খেতে খুবই মজাদার হয়ে থাকে । আপনি একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন অনেক মজা পাবেন ধন্যবাদ আপনাকে।
টুইটার লিংক
@tipu curate
I really liked your post, good job.
Upvoted 👌 (Mana: 5/6) Get profit votes with @tipU :)
আপনি দারুন একটা রেসিপি আমাদের মাঝে নিয়ে এসেছেন টিনে কাটা খেজুরের গুড়ের ক্ষীর। সত্যিই এটা খুবই ভালো এবং শীতকালের গ্রাম বাংলার বড় আকর্ষণ। আপনি অনেক সুন্দর করে ধাপ গুলো দেখিয়েছেন এবং বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন। আমাদের সাথে এত সুন্দর একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি ঠিক কথা বলেছেন ভাই এটি গ্রাম বাংলার বড় একটি আকর্ষণ, গ্রাম অঞ্চলে এটি খুবই জনপ্রিয় একটা রেসিপি ধন্যবাদ আপনাকে।
এই রকম পিঠা আমি কখনো খাই নি।এই প্রথম দেখলাম।আপনি খুব সুন্দর করে ধাপে ধাপে দেখিয়েছেন। উপকরনগুলো দেখে মনে হচ্ছে মজাই হবে।ধন্যবাদ আপনাকে।
এটি খেতে খুবই মজাদার আপনি একবার ট্রাই করতে পারেন। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
বলতে হবে আপনি আজকে একটা ইউনিক রেসিপি শেয়ার করেছেন। এর সঙ্গে আমি সম্পুর্ন নতুন, নাম শুনেছি তবে কখনো খাওয়া হয়নি। দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু খেতে। অবশ্যই বাসায় একদিন তৈরি করব, আপনার ধাপগুলো দেখে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আর এই জন্যই আমি আমার ওয়ালে এটিকে রেখে দিলাম।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনি অনেক প্রশংসনীয় মন্তব্য করেছেন 🥰🥰। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
একদম নতুন একটি রেসিপি আপনি শেয়ার করেছেন টিনে কাটা খেজুরের গুড়ের ক্ষীর আমি কোনদিনও খাইনি ।এভাবে আটা দিয়ে আমরা সেমাই পিঠা বানিয়ে খেয়েছি কিন্তু এভাবে টিনে কেটে কখনো তৈরি করা হয়নি। খাবারটি দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজা হয়েছে আমার তো দেখেই লোভ লেগে গেলো।ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আটা দিয়ে সেমাই পিঠা বানিয়ে আমিও খেয়েছি , ওই রেসিপিটি খেতে খুবই মজাদার হয়ে থাকে তবে শীতকালে এই রেসিপিটি খেতে মন্দ নয় আপনি একবার ট্রাই করতে পারেন।
এই রেসিপিটি একদম নতুন দেখলাম। আগে কখনো এই খাবারটি খাওয়া হয়নি। রান্নাটা দারুন হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে নতুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।
শীতের সকালে খেজুরের গুড় দিয়ে এত সুন্দর খীর রান্না করেছন। সেটা খুব সুন্দর লাগছে। এটা খেতে দারুণ। সুস্বাদু জনক একটি রেসিপি সব মিলিয়ে চমৎকার। এবং ধাপগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছন। এর জন অনেক অনেক ধন্যবাদ।
জি, ভাইয়া শীতের সকালে খেজুরের গুড়ের ক্ষীর একবার খেয়ে দেখতে পারেন খুবই মজাদার ধন্যবাদ আপনাকে।
রেসিপিটি আমার কাছে সম্পন্ন নতুন। তবে দেখে মনে হচ্ছে খুবই মজা হয়েছে কেননা এটি একদম ঘরোয়া পরিবেশে তৈরি করা হয়েছে। আর এই ধরনের গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী খাবার গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে
জি ভাইয়া এটি গ্রাম অঞ্চলে অনেক ঐতিহ্যবাহী একটি রেসিপি এবং অনেক জনপ্রিয়, রেসিপিটি খেতে খুবই মজাদার হয়েছিল ।🥰ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।