ক্রিটিভ রাইটিংঃ চাকরি নাকি ব্যবসা?
আজ -শুক্রবার
আজকের পোস্টটি আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে একটা বাস্তবিক বিষয় নিয়ে করতে চাই সেটা হচ্ছে চাকরি নাকি ব্যবসা? বলতে গেলে এটা অনেক বড় মাপের একটা প্রশ্ন বলা যায়। আমাদের ইয়াং জেনারেশন থেকে শুরু করে প্রায় সবার কাছেই। কারণ আমরা মনে করি যদি একটা সরকারি চাকরি হয় তাহলেই তো জীবন সেট। সবরকম সুযোগ সুবিধা পাব পরিবার থেকে ভালোবাসা পাবো সমাজ থেকে সম্মান পাব আরো কত কি, যদি একটা সরকারি চাকরি থাকে সেক্ষেত্রে ব্যাংকিং এর দিক থেকেও অনেক বেশি সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায় বিশেষ করে যদি বড় মাপের কোন ঋণ নেওয়া যায় সেই ক্ষেত্রে তেমন একটা ফর্মালিটি লাগেনা তবে যদি আপনি একজন ব্যবসিক হন সে ক্ষেত্রে আপনার সুযোগ সুবিধা গুলো হচ্ছে লিমিটেশন। উল্লেখ্য আমি এখানে ছোট ,ছোট ব্যবসায়ীদের কথা বলছি যদি। আপনার 10 লাখ টাকা বাজেটের কোন পুঁজি লাগে সেক্ষেত্রে আপনি আপিল করলে অনেক ধরনের সমস্যা আপনি সম্মুখীন হবেন এবং একজন সরকারি চাকরিজীবী আপনাকে সাপোর্ট করা লাগবে তাহলেই হয়তোবা আপনি ব্যাংক থেকে এটি পেতে পারেন। তাহলে এখান থেকেই বোঝা যায় যে আমাদের দেশে সরকারি চাকরিজীবী মানুষদের কতটা সম্মান দেয়। আর বাস্তব কথা যদি বলি তাহলে এ কথাটা উঠে আসে সেটা হচ্ছে।
ছেলেদের বিয়ের দিক থেকেও সরকারি চাকরি অনেক বেশি ভূমিকা পালন করে কারণ মেয়েদের পরিবার চাই যে তাদের সন্তানকে একজন সরকারি চাকরিজীবী ছেলের হাতে তুলে দিবে। তবে যারা সরকারি চাকরি করে তারা সবাই কি আসলেই সুখে রয়েছে? এটা কিন্তু আমাদের কাছে অনেক বড় একটা প্রশ্ন রয়ে যায়। আচ্ছা আপনাদের মাঝে আমি আমার একটা বাস্তবিক অভিজ্ঞতা শেয়ার করি সেটা হচ্ছে বর্তমানে বাংলাদেশের যে পরিবেশ এবং সিচুয়েশন চলছে এই কারণে সেনাবাহিনী এসে সবকিছু সামাল দিচ্ছে কয়েক মাস আগে পুলিশের যে ব্যবহার সাধারণ পাবলিকের উপরে ছিল এজন্য পুলিশের উপরে সাধারণ পাবলিকের অনেক বড় একটা ক্ষোভ জমে গেছে। বলা যায় যে এই বাহিনীকে বেশিরভাগ মানুষই এখন ঘৃণা করে তাই সবাই সেনাবাহিনীকে নিজের সমস্যার কথা বলছে এবং বর্তমানে সব জায়গাতেই প্রায় সেনাবাহিনী সব কিছু সামাল দিচ্ছে। তো এই সিরাজগঞ্জ এলাকায় ও তার ব্যতিক্রম নয়। যেহেতু আমরা সরকারি একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং সরকারি হোস্টেলে রয়েছি ওই জন্য আমাদের এখানে প্রায় দুইটা সেনাবাহিনীর বড়, বড় দল ক্যাম্প করেছে। এটা প্রায় ছয় মাস আগেই করেছে আর ওনাদের কাছ থেকে যতটুকু শুনতে পেলাম প্রায় এখানে তিন বছর যাবৎ এনারা এখানে থাকবেন।
ওনারা আমাদের গেস্ট তাই আমরা সবসময় উনাদেরকে সম্মান দেওয়ার চেষ্টা করি এবং আমাদের সব কথা মানার চেষ্টা করি। তবে উনারাও কিন্তু ব্যবহার এবং অন্যান্য দিক থেকেও অনেক বেশি সহনশীল আমাদেরকে সবাইকে সম্মানের সাথে কথা বলে এবং যখন একসঙ্গে খেতে দেয় মাঝেমধ্যে ওনাদের যদি কোন ভালো-মন্দ খাবার তৈরি করে সে ক্ষেত্রে আমাদের ডেকে খাওয়াই। তো গতকাল রাতে একজন সেনাবাহিনীর সঙ্গে কথা বলছিলাম তো উনি ওনার চাকরি জীবন সম্পর্কে আমার সঙ্গে বিস্তারিত কিছু কথা বললেন। আসলে হয়তোবা ওনার মনে এই প্রশ্নগুলোর আগেই রয়ে গেছিল তাই আমাকে পেয়ে আমার সাথে এগুলো শেয়ার করছিল। তো উনি বললেন যে সবাই মনে করে যে একজন সরকার চাকরিজীবী অর্থাৎ ডিফেন্সে যারা রয়েছে তারা কতই না সুখে রয়েছে কিন্তু সত্যি বলতে কি জানেন? আমাদের যে বেতন দেয় এবং যে সুযোগ সুবিধা গুলো দেয় এগুলো আমরা খাওয়া-দাওয়া করে এবং মোটামুটি রকম সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার পরে শেষ পর্যন্ত আমাদের হাতে কিছু আর অবশিষ্ট থাকে না। আর এই চাকরি করার জন্য মানুষ কতই না প্রতিযোগিতা করছে আর কতই না ঘুষ দিচ্ছে এটা সত্যি খুবই খারাপ একটা বিষয়।
যদিও কারো বেতন জিজ্ঞেস করতে নেই তবুও কথায় কথায় উনি বলে দিলেন যে ওনার বর্তমানে বেতন হচ্ছে ১৩৫০০ টাকা। আর এখানে উনি রয়েছেন উনার খাওয়া দাওয়া ফ্রি সরকার বহন করে এটা আর যদি উনি বিয়ে করেন তাহলে উনার স্ত্রীর জন্য আরো কিছু সুযোগ সুবিধা রয়েছে এবং যদি বাচ্চাকাচ্চা হয় সেক্ষেত্রে কিছু সুযোগ সুবিধা রয়েছে। তো উনি আনুমানিক একটা হিসাব করে বললেন যে মাস শেষ আমাকে বিয়ে করলে ২০ হাজার টাকার মতো এখান থেকে দেওয়া হবে। বর্তমানে বাংলাদেশের ঊর্ধ্বগতির কারণে যেমন সিচুয়েশন সৃষ্টি হচ্ছে সেখানে টিকে থাকাটা আসলেই মুশকিল। আর অন্যদিকে যদি আমরা ব্যবসার কথা বলি সেক্ষেত্রে প্রথম অবস্থায় ব্যবসা করতে গেলে একটু রিক্স হয়ে যায় তবে আপনি যদি কষ্ট করে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে দাঁড় করাতে পারেন তাহলে পরবর্তীতে আপনাকে আর ঘুরে তাকাতে হবে না। একজন চাকরিজীবী ১০ বছরে যা আয় করবে আপনি মাত্র দুই বছরেই তার ডবল আয় করে ফেলবেন যদি আপনার প্রতিষ্ঠানটা দাঁড়িয়ে যায়। আর একটা বিষয় খেয়াল করলে আপনারা হয়তোবা দেখতে পাবেন যে বড় যে গাড়িগুলো রয়েছে ল্যাম্বরগিনি ,অডি রোজ রয়্যেল থেকে শুরু করে সবকিছুই প্রায় বেশিরভাগই ব্যবসায়িকরা ব্যবহার করেন কারণ তারা এগুলো তারাই এফোর্ট করতে পারেন।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে চাকরিজীবী জীবনে অনেক বড় কিছু করছে তবে সেগুলো ইন্টারন্যাশনাল পর্যায়ে। তো যাই হোক আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে ব্যবসাটাই বেস্ট আপনাদের কি মনে হয় চাইলে কমেন্টে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ এতক্ষণ বাসা থেকে ব্লগটি উপভোগ করার জন্য।
ব্লগার | @emonv |
---|---|
ডিভাইস | Tecno camon 20 |
শ্রেণী | লাইফস্টাইল পোস্ট |
লোকেশন | সিরাজগঞ্জ মৎস্য ডিপ্লোমা |
আমার নাম মোঃ ইউনুস আলী ইমন। বর্তমানে আমি সিরাজগঞ্জ মৎস ইনস্টিটিউট এর একজন ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা করছি। এছাড়া পরিচয় দেওয়ার মতো এখনো কিছু করে উঠতে পারেনি তবে নিজের ব্যক্তিত্ব এবং ক্যারিয়ারের উপরে কাজ চলমান......। আমি নিজেকে ভেঙে চুড়ে নতুন করে আবিষ্কার করতে অনেক পছন্দ করি এবং আমি মানুষকে সাহায্য করতে অনেক ভালোবাসি। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাতে নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি। আপনাকে স্বাগতম আমার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হওয়ার জন্য। ভালোবাসা রইলো অবিরাম সবাইকে 💝।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
তুলনামূলক বিচারগুলি কিন্তু ভালোই করেছেন ভাই। ব্যবসা আর চাকরি আসলে আলাদা মানসিকতার দুটি বিষয়। চাকুরীতে নিরাপত্তা থাকলেও পয়সা কম আর ব্যবসায় ঝুঁকি বেশি। তাই কে কোনটায় যাবে তা মন ও মানসিকতার উপর নির্ভর করে। কিন্তু একটা বলি, ভালো আসলে আজকের যুগে কেউই নেই ভাই।
যে সমস্ত মেয়ের পরিবাররা বলে ছেলের সরকারি চাকরি করে কিনা তখন উল্টা প্রশ্ন করতে হবে তার মেয়ে কি করে। তবে বর্তমান এমন একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে দেশের মধ্যে চাকরি পাওয়াটাও যেমন কঠিন চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত ছেলেদের বিয়ের নিয়েও ঝামেলা। তবে দোয়া করি ভাই তোমার যেন ইচ্ছেমতো বিয়ের কাজটা সম্পন্ন হয়।
তবে আপনি যাই বলেন না কেন আমার কাছে যারা সরকারি চাকরি করে তা একদম ভালো লাগে না। দিন শেষে তাদের মধ্যে একটু অহংকার থাকে। তবে আপনার মত আমার প্রশ্ন আসলে তারা কতটুকু ভালো আছে? একটা চাকরি পেতে অনেক টাকা ঘুষ দিয়ে চাকরি নিতে হয়। তারপরও তাদের মধ্যে অনেক নিয়ম কানুন এবং অনেক কষ্টের একটি চাকরি। অনেক গুরুত্বপূর্ণ লেখাগুলো আপনি শেয়ার করলেন পড়ে বেশ ভালো লেগেছে।
সর্বক্ষেত্রে আমাদের দেশের মানুষের কাছে সরকারি চাকরি মানে অন্যরকম কিছু। এরা সরকারি চাকরি শুনলে আর কিছু শোনে না। তবে আমি প্রেফার করি ব্যবসা। ব্যবসায় ঝুঁকি থাকলেও চাকরির চেয়ে ব্যবসা কে আমি অনেক এগিয়ে রাখব। যদিও এখানে অনেক গুলো ফ্যাক্ট বিবেচনা হবে।