লাইফ স্টাইলঃ- সুন্দর ও তার উপলক্ষে নুডুলস পার্টি
আজ - বৃহস্পতিবার
গ্রীষ্মকাল পেরিয়ে আবারও শীতকাল চলে আসলো আর এই তো বিগত সাত দিন ধরে একনাগারে মুষলধারে বৃষ্টি লেগেই রয়েছে। বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খেতে কিন্তু বেশ মজা লাগে। কয়েকবার আমরা খিচুড়ি ও রান্না করে খেয়েছি তবে ম্যাচের খাবার বাড়ির মত হয় না। কি জানি আমরা তো সবকিছু ভালো মতোই বাজার করে এনে দেই কিন্তু আমাদের যে রাধুনীটা আছে উনি সকল খাবারের প্রায় একই মসলা প্রয়োগ করতে যায়। যার কারণে হয়তো বা স্বাদের কোন তারতম্য আমরা পাই না। আজকে ৭ম সেমিস্টারের একটা ভাইকে আমি বললাম আজকের আবহাওয়া অনেকটাই নরম। চলেনা আমরা সবাই মিলে নুডুলস পার্টি করি আজ। আমাদের সিনিয়র জেই বড় ভাই গুলো রয়েছে তারা আমাদের অনেক বেশি স্নেহ করে এবং আমাদের প্রত্যেকটা কথা রাখার চেষ্টা করে। আমি যখন বললাম তখন উনি ওনার ফ্রেন্ডের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করলো এবং সবাই এক কথাতেই রাজি হয়ে গেল। তখন আমি আমার বন্ধু সাজিদ এবং কয়েকটি বড় ভাই মিলে বাজার করতে গেলাম হায়দার ভাইয়ের দোকানে।
তারপরে আমরা চার প্যাকেট নুডুলস ক্রয় করলাম। এরপরে নুডুলসের মসলা আলাদা করে কয়েকটি ক্রয় করলাম সেই সাথে এক্সট্রা আর কিছু বাজার করলাম। তারপরে ওগুলো প্যাকেট করে হোস্টেলে নিয়ে চলে আসলাম। এবার আমরা প্রত্যেকদিন সন্ধ্যা রাতের দিকে আমাদের রাতের খাবার শেষ করে ফেলি। তাই প্রতিদিনের নিয়ম অনুসারে আমরা প্রথমে রাতের খাবারটা শেষ করলাম এরপরে রাত দশটার পরে নুডুলস পার্টি শুরু হলো। আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে আমাদের সবার নুডুলস পার্টির অনুভূতি আপনাদের সবার মাঝে শেয়ার করতে চাই । আমার মনে হয় আপনারা জীবনের কোন অংশে হয়তোবা এমন পার্টি করে থাকবেন আসলে এই ধরনের ছোট খাটো রান্না গুলোর মধ্যে কিন্তু অনেক মজার রয়েছে। তেমনি এই স্মৃতিগুলো জীবনের স্মৃতির পাতায় একবারে প্রথম লাইন লেখা থাকে যেটা কখনোই ভোলার নয়। প্রথম অবস্থায় আমাদের সেমিস্টারের মধ্যে রাধুনীদের সেরা হচ্ছে সাজিদ। ও মোটামুটি ডিম ভাবি থেকে শুরু করে খিচুড়ি রান্না এবং এ ধরনের ছোট খাটো রান্না গুলো বেশ ভালোভাবেই করতে পারে। এবং আমাদের ৭ম সেমিস্টারের মধ্যেও সবচেয়ে ভালো রান্নাবান্না করতে পারে রবিউল ভাই।
উনি সেদিন রাতে কিন্তু রক্ত দিয়ে এসেছিল। আসলে আমাদের একটা সারের বি পজিটিভ রক্তের প্রয়োজন ছিল কিন্তু তার রক্ত কোনো ভাবেই যোগাড় হচ্ছিল না। কিন্তু আজকে রাতে তার অপারেশন ছিল তার মূলত কিডনির সমস্যা ছিল আর আপনারা হয়তোবা জেনে থাকবেন যে কিডনি রোগ কতটা ভয়ংকর একটি রোগ। এই রোগে প্রচুর খরচ হয়ে থাকে এবং জীবনটা একেবারে তিক্ত মনে হয় তবে মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেকেই এই রোগ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠেন। যাইহোক আমাদের স্যারের জন্য দোয়া করি তিনি জেন সুস্থ হয়ে ওঠেন। তো যে কথা বলছিলাম সেদিন রাতে রবিবার রক্ত দিয়ে আসার পরেও উনি বললেন যে আমি রান্না করব কারণ উনার রান্না খেতে কিন্তু সেই মজা লাগে এবং ওনার মত করে আমরা রান্না করতে পারি না। তারপরে রবিউল ভাইয়ের জিদ করার কারণে আমরা রবিউল ভাইকেই রান্না করতে দিলাম এবং আমরা যেভাবে পারি সবাই সাহায্য করতে শুরু করলাম। প্রথম অবস্থায় কড়াই গরম করে পানি ফুটিয়ে নিলেন এবং তারপরে ফুটন্ত পানির মধ্যে নুডুলস গুলো ছেড়ে দিলেন। এবার নুডুলস গুলো সিদ্ধ হয়ে যাওয়ার পরে একটি আলাদা পাত্রে ওইগুলো কে রেখে দিলেন এবং পরবর্তীতে গরম তেলে যে পেয়াজগুলো এবং মরিচগুলো কেটে রেখে দিয়েছেন ওইগুলো ভাজতে শুরু করলেন।
এবার পিয়াজ এবং মরিচগুলো ভাজার পরে তার ভিতরে চারটা ডিম ছেড়ে দিয়ে এবং এগুলো একসঙ্গে ভালোভাবে মিক্সড করে নিলেন এবং কিছুক্ষণ পরে যেই সিদ্ধ করে রাখা নুডুলস গুলো এক সাইডে রাখা ছিল ওইগুলো এর ভিতর দিয়ে দিলেন এবং পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল এর ভিতরে দিয়ে ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে ভেজে নিলেন এবং তারপরে প্রয়োজনীয় কিছু মশলা দিলেন এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই তৈরি হয়ে গেল আমাদের সুস্বাদ নুডুলস। আমরা চাচ্ছিলাম যে এই নুডুলস আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে বসে খাব তবে আমাদের মধ্যে একটা ভাই অসুস্থ ছিলেন যার কারণে আমরা সবাই মিলে আবার আমাদের রুমে চলে আসলাম এবং তার রুমে গিয়ে সবাই একসঙ্গে মজা করে খাচ্ছিলাম। এবার কিছুক্ষণ পর দেখা যাচ্ছে যে এ ওরটা খাই এবং ও অন্যজনেরটা খাই এভাবে মজা করে আমরা খেতে শুরু করলাম এবং এক পর্যায়ে সাজিতের নুডুলসটা মাটিতে পড়ে গেল। তখন আমরা সবাই মিলে ওকে একটু একটু করে দিয়ে আবার ওর প্লেট ভর্তি করে দিলাম। আজকের নুডুলস পার্টিতে অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশ বেশি করে মজা পেয়েছি।
আচ্ছা আপনাদের লাইফে কি এমন ঘটনা কখনো ঘটেছে? আপনারা যদি কোনদিন এমন ঘটনা সাক্ষী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই কমেন্টে বলে যাবেন আমি অপেক্ষা করবো। ধন্যবাদ সবাইকে এতক্ষন পাশে রেখে আমার ছোট্ট এই ব্লগটি উপভোগ করার জন্য আবারো খুব শীঘ্রই দেখা হচ্ছে নতুন কোন পোস্টে ততক্ষণ সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন আল্লাহ হাফেজ।
ব্লগার | @emonv |
---|---|
ডিভাইস | Tecno camon 20 |
শ্রেণী | লাইফ স্টাইল |
লোকেশন | মৎস্য ডিপ্লোমা হোস্টেল |
আমার নাম মোঃ ইউনুস আলী ইমন। বর্তমানে আমি সিরাজগঞ্জ মৎস ইনস্টিটিউট এর একজন ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা করছি। এছাড়া পরিচয় দেওয়ার মতো এখনো কিছু করে উঠতে পারেনি তবে নিজের ব্যক্তিত্ব এবং ক্যারিয়ারের উপরে কাজ চলমান......। আমি নিজেকে ভেঙে চুড়ে নতুন করে আবিষ্কার করতে অনেক পছন্দ করি এবং আমি মানুষকে সাহায্য করতে অনেক ভালোবাসি। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাতে নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি। আপনাকে স্বাগতম আমার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হওয়ার জন্য। ভালোবাসা রইলো অবিরাম সবাইকে 💝।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাজার থেকে নুডুলস কিনে এনে সেটিকে বেশ সুন্দরভাবে রান্না করেছেন। রান্নাবান্না শেষে সকলে বেশ মজা করে টমেটো সস দিয়ে খেয়েছেন।দারুন কিছু মুহূর্ত শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনার শেয়ার করা মুহূর্তগুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনারা তো দেখছি দারুন একটা পার্টি উপভোগ করলেন। আসলে সকলে মিলে যদি অল্প কোন কিছু খাওয়াও যায় তাহলে সেই খাওয়ার মজাটাই আলাদা। আর নুডুলস দেখে মনে হচ্ছে যে এটি খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছে।
বেশ দারুন নুডুলস পার্টির আয়োজন করেছেন দেখছি। আপনার চমৎকার এই আয়োজন আমার কাছে ভালো লেগেছে। তবে এটা সত্য প্রতিদিন আমি নুডুলস রান্না করি বাবুর জন্য। নুডুলস খেতে এমনিতেই ভালো লাগে। যাই হোক দারুন একটা মুহূর্ত উপস্থাপন করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
চমৎকার নুডুলস রান্নার আয়োজন করা হয়েছে দেখছি। নুডুলস পছন্দ করে না এমন মানুষ খুবই কম রয়েছে। এটাতো আমার খুবই ফেভারিট একটি খাবার। বেশ ভালো লাগলো এত সুন্দর নুডুলস পার্টি করতে দেখে।