সাফারি পার্ক ভিডিওগ্রাফি ( পার্ট-৪ )!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আমাদের জীবনের কিছু মূহূর্ত কিছু পার্ট আজীবন আমাদের মনের মধ্যে থেকে যায়। চাইলেও আমরা ভুলতে পারি না। আমি নাভিদ রাসেল ইকরা তুহিন কলেজের প্রথম সেমিষ্টার থেকে প্ল্যান করে আসছিলাম সেমিষ্টার শেষ হলেই ঘুরতে যাব। একের পর এক সেমিষ্টার শেষ হতো কিন্তু আমাদের ঘুরতে যাওয়া আর হতো না। কারণ শেষ মূহূর্তে গিয়ে পরিকল্পনা বাতিল। তবে শেষ সেমিষ্টারে গিয়ে কিন্তু আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়েছিল। আমরা ঠিকই ঘুরতে গিয়েছিলাম। ঐ মূহুর্ত্তের অনেক ছবি অন্য ভিডিও এখনও আমার কাছে আছে। তারই একটা ভিডিও আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিব। গাজীপুর যাওয়ার সিদ্ধান্ত হওয়ার পরই আমরা ঠিক করি ঐদিন সাফারি পার্ক ঘুরে আসব। যেমন কথা তেমন কাজ।
চলে গিয়েছিলাম সাফারি পার্ক। সাফারি পার্কের একটা অংশশ একেবারে নির্জন।সেরকম কোন মানুষ নেই। চারিদিকে শুধু গাছপালা আর জঙ্গল। মাঝে মাঝে দুই একটা আওয়াজ ভেসে আসছে কোন পশুর। সেটা ছিল এক অন্যরকম অনূভুতি। আমি তখনই বিভূতিভূষণের আরণ্যক উপন্যাস টা পড়িনি। কিন্তু আরণ্যক পড়ার পরে যখন আমি ভিডিও টা আবার দেখলাম মূহুর্ত্তের জন্য মনে হচ্ছিল আহ এটাই তো বিভূতিভূষণের বর্ণনা করা সেই লবটুলিয়া, ফুলকিয়া বইহার এর জঙ্গল। আপনারা যদি কেউ আরণ্যক উপন্যাস টা পড়ে থাকেন তাহলে আমার কথার মাহাত্ম্য টা বুঝতে পারবেন। ঐসময় এই প্রকৃতি টা আমি ঐভাবে অনূভব করতে পারিনি। কিন্তু ইদানিং যখন দেখি মনের মধ্যে অন্যরকম এক উচ্ছাস তৈরি হয়।
দুইপাশে অসংখ্য গাছপালা। মাঝ দিয়ে সরু একটা ইটের রাস্তা। ঐ রাস্তা দিয়ে আমার বন্ধুরা আগে আগে হেঁটে যাচ্ছে। এবং পেছনে ফোনের ক্যামেরা হাতে আমি। আহ কী সুন্দর সেই মূহূর্তটা ছিল। আমার ইচ্ছা করে আবার ঐ পরিবেশে আবার ঐ জায়গাই ফিরে যেতে। কিন্তু সেগুলো শুধুই আমার কল্পনায় রয়েছে। ভিডিওটা আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার আরেকটা উদ্দেশ্য প্রকৃতির কাছে আপনাদের নিয়ে যাওয়া। আমাদের মধ্যে অধিকাংশ থাকে শহরে। এইধরনের পরিবেশ আমাদের ভাগ্যে বছর একবারও জোটে না। আজ এই পর্যন্তই আশাকরি ভিডিও টা আপনাদের ভালো লাগবে।
----- | ----- |
---|---|
ভিডিও ধারক | @emon42 |
সময় | মে,২০২৩ |
ডিভাইস | VIVO 1820 |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমি কয়েক বছর আগে সাফারি পার্কে গিয়েছিলাম। এই রাস্তা গুলো দিয়ে আমিও হেঁটেছি। বিশাল বড় এড়িয়া ভালোই লাগে। তবে জায়গার তুলনায় সুন্দর করে সাজানো গুছানো না। পরিকল্পনা করে সাজালে ভালো লাগতো। ধন্যবাদ।
সাফারির ভিডিও দেখে বেশ ভালো লাগলো ভাই। আর আপনার পোস্টগুলিতে সব সময় কিছু ভালো বই বা উপন্যাসের উল্লেখ পাই বলে আরো ভালো লাগে। যেমন আপনি এখানে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরণ্যক উপন্যাসের কথা বললেন। আপনার যে ভাল রকম পড়াশুনা আছে তা ভালোই বুঝতে পারি। আর সেই জন্য আপনার পোস্টগুলি সব সময় ভীষণ পছন্দের হয়। কিন্তু এই সাফারি তে কোন পশু পাখি নেই?
আছে ভাই। ঐগুলো নিয়ে আলাদা পোস্ট করেছিলাম আমার প্রোফাইলে আছে। এবং পরবর্তী ভিডিও তে কিছু পশুপাখির দৃশ্য থাকবে।