মেট্রোতে ভোগান্তি!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
শুক্রবার আমার মিডটার্ম পরীক্ষা ছিল। দুইটা পরীক্ষা ছিল একইদিনে। সাড়ে তিনটার দিকে পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলে আমি মোটামুটি ফ্রি হয়ে যায়। তখন ভাবছিলাম কী করা যায়। বাইরে এসে আমি এবং আমার কয়েকজন বন্ধু একসঙ্গে চা খাচ্ছিলাম। ঐসময় আমার বন্ধু সৈকত বলল ও নাকী ফার্মগেট যাবে। আমিও সিদ্ধান্ত নিলাম তাহলে ওর সঙ্গে ফার্মগেট গিয়ে ওখান থেকে মেট্রোতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় না হয় সচিবালয় মেট্রো স্টেশনে নেমে যাব। সেই ভেবে সৈকতের সঙ্গে চলে গেলাম। ফার্মগেট মেট্রো স্টেশনে গিয়ে প্রথমে আমি হকচকিয়ে যায় মানুষের ভীড় দেখে। যাইহোক পরবর্তীতে আমি এগিয়ে যায় মেট্রো টিকিট বা পাস এর জন্য। কিন্তু গিয়ে দেখি অনেক বড় একটা লাইন। কোন উপায় নেই লাইনে দাঁড়িয়ে গেলাম।
আমার আগে প্রায় ৫০ জন হবে এবং ততক্ষণে আমার পেছনেও প্রায় ২০ জন দাঁড়িয়ে গিয়েছে। শুধুমাত্র একটা টিকিট ভেন্ডার মেশিন সচল রয়েছে। এবং সেটাই এতোবড় একটা লাইন। এছাড়া বাকি দুইটা স্বয়ংক্রিয় ভেন্ডার টিকিট মেশিন থেকে টিকিট কাটা যাচ্ছে না। ঐ দুইটা সচল নেই। এবং অন্যদিন একজন সরাসরি ম্যানুয়ালি টিকিট দেয় সেটাও দিচ্ছে না। অর্থাৎ যে চারটা জায়গা থেকে একক যাএা টিকিট পাওয়া যায় তার মধ্যে শুধুমাত্র একটা সচল রয়েছে। বাকি সবগুলো বন্ধ। তাহলেই চিন্তা করেন ভোগান্তি টা কোন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। মূহুর্ত্তের মধ্যেই আমার পেছনেও অনেক বড় একটা লাইন হয়ে গেল। এবং লাইন টা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে খুবই ধীরে।
এছাড়া আরেক ধরনের সুবিধাবাদী মানুষ তো আছেই। বেশ কয়েকজন দেখলাম সামনে থেকে একটা হাইব্রিড লাইন তৈরি করেছে। সেটা দেখে সঙ্গে সঙ্গে আমরা কয়েকজন আওয়াজ তুললাম। দায়িত্বরত পুলিশ এসে তাদের সরিয়ে দিল। মোটামুটি ৪৫ মিনিট লাইনে দাঁড়িয়ে সংগ্রহ করলাম মেট্রো র্যাপিড পাস। কী একটা অসহনীয় অবস্থা বলে বোঝানো যাবে না। যাইহোক এরপর চলে গেলাম যথারীতি স্টেশনে। গিয়ে দেখি ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে। এবং কিছু গর্ধব আগেই উঠে গিয়েছে। অর্থাৎ ট্রেনে যারা এসেছে তাদের নামতে না দিয়ে আগেই উঠে গিয়েছে ফলে একটা ধাক্কাধাক্কি এর পরিবেশ তৈরি হয়ে যায়। যাইহোক কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর অন্যরা নেমে আসলে মেট্রো তে উঠে পড়ি। কিন্তু ভেতরের ভীড় এককথায় চমকে উঠার মতো।
অবস্থা টা এমন যে ঠিকমতো দাঁড়ানো যাচ্ছে না। যেখানে শুক্রবার ঢাকা শহর টা একটু ফাঁকা থাকার কথা। কিন্তু মেট্রোতে এই শুক্রবারেই যেন সবচাইতে বেশি ভীড়। ঐ ভীড়ের মধ্যেই কষ্ট করে দাঁড়িয়ে ছিলাম। যদিও বেশ কিছুক্ষণ পর কয়েকটা স্টেশন অতিক্রম করলে এই ভীড়টা বেশ অনেক কমে গিয়েছিল। কিন্তু টিকিট কাটার ভোগান্তি টা সত্যি এককথায় অসহনীয় ছিল। যাইহোক আমি আমার গন্তব্য বাংলাদেশ সচিবালয় মেট্রো স্টেশনে নেমে পড়ি। পরে ভেবে দেখলাম যদি আমি বাসে আসতাম তাহলে এর চেয়ে কম সময় লাগত। শুক্রবার দিনটা মেট্রোতে ভীড় হয় অতিরিক্ত। এটা আমি আগেও খেয়াল করেছি। এবং কতৃপক্ষ কী করে সেটা তারাই বলতে পারবে। কোনদিন দেখলাম না সবকিছু টিকিট মেশিন ঠিক আছে।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
শুক্রবার মানুষ যারা বের হয়, তার বেশির ভাগ ই বুঝি মেট্রোতেই জলদি হবে ভেবে মেট্রোতে ভীড় করে! অবশ্য টিকিট কাউন্টার গুলো যদি সচল থাকতো, তবে কিন্তু আসলেই অনেক জলদি পৌঁছাতে পারতেন! কতৃপক্ষের উদাসীনতা জনমানুষের ভোগান্তি বাড়িয়ে দেয়!! মেট্রোতে কত মানুষের উপকার হচ্ছে, তবে টিকিটের সমস্যাই দিনের পর দিন ঠিক হচ্ছে না!
মেট্রো এই ভোগান্তি আমরা কলকাতাতেও সব সময় সহ্য করি ভাই। মেট্রোর লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে খুব বিরক্তিকর লাগে। তবে কলকাতা মেট্রো রেল কাউন্টারে লাইন খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায় দেখি। আমি ঢাকা মেট্রো ট্রাভেল করেছি। সেখানকার মেট্রোতেও ভিড় প্রচুর থাকে। আর সেই ভিডিও মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই।
এখন সব জায়গায় ভোগান্তির শেষ নেই। যদি রেল রাস্তায় যান তাহলে সেখানেও ভোগান্তি। মেট্রোতে গেলে আরো ভোগান্তি। সড়ক পথে গেলে আরো ভোগান্তি। যদি আপনি নৌপথে যান সেখানেও একই অবস্থা। যদি হাসপাতালে যান সেখানে আরো বেহাল অবস্থা। বলতে গেলে আপনি যদি খাবার দোকানে যান সেখানেও আপনাকে ভোগান্তি হতে হবে। বেশ ভালো একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন আপনি।
আসলেই তো ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছে মানুষের লম্বা সিরিয়াল। মূলত স্বল্প সময়ে মেট্রোরেলে যানজট বিহীন ট্রাভেল করা যায় যার কারণে সবার কাছেই মেট্রোরেলটা সহজ মনে হয় এজন্যই এত ভিড়। তোমার পোস্ট থেকে ভালো তথ্য পেলাম শুক্রবারে মেট্রোরেল তাহলে এড়িয়ে চলতে হবে কেননা শুক্রবারে বেশি ভিড় থাকে।