||| ভালো থেক(পঞ্চম পর্ব) |||

এভাবে বেশ কিছুদিন চলতে থাকে। এরপর একদিন হঠাৎই অদিতি খবর পাই অরিএ খুব অসুস্থ। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে অরিএ এখন। এটা অরিএের বন্ধু অদিতি কে জানাই। এটা শুনে অদিতি সবকিছু ফেলে রেখে অরিএ দেখতে আসে।

অদিতি : অরিএ কীভাবে কী হলো। আমাকে কিছু জানালে না কেন। কী হয়েছে বলবা তো।

অরিএ: আরে সেরকম কিছু না। ঠিক হয়ে যাব। চিন্তা করো না।

অদিতির অজান্তেই যেন তার চোখে পানি চলে আসলো। সে বুঝতে পারলো এতোদিন রাজেশ এর মোহে পড়ে সে অরিএকে ভুলতে বসেছিল। অদিতি খুবই অনুতপ্ত। অদিতি সিদ্ধান্ত নিলো সে চাকরি ছেড়ে দেবে। কারণ রাজেশ রীতিমতো অদিতির পেছনে পড়ে গেছিল। অদিতি চাকরি ছেড়ে দিয়ে চলে আসে। এরপর এসে অরিএকে সবকিছু খুলে বলে রাজেশ এর সম্পর্কে। রাজেশের কথা শুনে প্রথমে অরিএ রেগে গেলেও পরে অদিতি মানিয়ে নেয়। দুজনের সম্পর্ক এখন আবার আগের মতো। তবে অদিতি যেন আগের থেকে অনেক বেশি যত্মশীল হয়েছে অরিএের উপর। এভাবে বেশ কিছুদিন যায়। অরিএের ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা শেষ হয়।অরিএ তখন মোটামুটি ফ্রী থাকে। কিন্তু এরমধ্যে আরেকটা দূর্ঘটনা ঘটে যায়।

ফেসবুকে অরিএকে হঠাৎ রিকুয়েস্ট পাঠায় তার ছোটবেলার ক্লাসমেট নেহা। নেহার সঙ্গে অরিএের বেশ ভালো মিল ছিল। কিন্তু অনেক বছর দুজনের দেখা নেই। অরিএ রিকুয়েস্ট একসেপ্ট করে। দুজনের কথা শুরু হয়। অরিএের অনেক পরিবর্তন হয়ে যায়। নেহা দেখতে বেশ সুন্দর ছোটবেলা থেকেই। অনেক কাছ থেকে অরিএ নেহাকে দেখেছে। সেজন্য নেহার সঙ্গে অরিএের মিশে যেতে বেশি সময় লাগেনি। অরিএ অদিতি কে না জানিয়েই কথা বলা শুরু করে নেহার সঙ্গে। একদিন রাতে,

নেহা: অরিএ তুই তো আগের থেকে অনেক স্মার্ট হয়েছিস। দেখতেও বেশ সুন্দর তুই। প্রেম করিস, গার্লফ্রেন্ড আছে।

অরিএ: না রে গার্লফ্রেন্ড নেই। কেন তুই হবি আমার গার্লফ্রেন্ড??

নেহা: সত্যি তোর গার্লফ্রেন্ড নেই। চল কালকে দেখা করি।

অরিএ: আচ্ছা ঠিক আছে।

---

---

source

---

---

দুজন ঐ পার্কে দেখা করে যেখানে অরিএ অদিতির সঙ্গে দেখা করেছিল। অরিএ সেই গোলাপ নিয়ে যায় যেমনটা গিয়েছিল অদিতির বেলায়। কিন্তু অরিএ এবার তার কোনো বন্ধুকেই এসব বলে না। ধীরে ধীরে নেহা এবং অরিএের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে উঠে। এবং অরিএ অদিতির সঙ্গে যোগাযোগ অনেক কমিয়ে দেয়। অরিএ ঠিকমতো অদিতির ফোন ধরে না, ম‍্যাসেজের উওর দেয় না। অদিতি সন্দেহ করে কিছু তো একটা হয়েছে।। একদিন ফোনে,

অদিতি : অরিএ তোমার কী হয়েছে। আমার সঙ্গে ঠিকমতো কথা বলছ না কেন।

অরিএ: কোথায় কিছু হয়নি তো। এমনি একটু চাপে আছি আর কী।

অদিতি : ও আচ্ছা।

অদিতি অরিএকে অনেক বিশ্বাস করতো। তাই অরিএের এই কথার পর অদিতি আর কোনো প্রশ্ন করেনি। এরমধ্যে অরিএের রেজাল্ট বের হয়। অরিএ অনেক ভালো ফলাফল করে। এবার অরিএ চাকরির চেষ্টা করে। অন‍্যদিকে নেহার সঙ্গে অরিএের প্রেম অনেক এগিয়ে গেছে। কিন্তু অদিতি কিছুই জানে না। অদিতি ভাবতে থাকে আর কিছুদিন এরপরেই অরিএ চাকরি পেলে আমাদের বিয়ে হবে। আমাদের চারবছরের সম্পর্ক পূর্ণতা পাবে। কিন্তু অরিএ যে অন‍্যদিকে পড়ে রয়েছে তা অদিতি বুঝতেও পারে নাই। এরইমধ‍্য অরিএ বেশ ভালো একটি সরকারি চাকরি পেয়ে যায়। অরিএ বেশ ভালোভাবে নিজেকে গুছিয়ে নেয়। শেষমেশ অরিএ তার প্রথম মাসের স‍্যালারি পাই। অদিতি আশায় থাকে অরিএ হয়তো আমাকে তার প্রথম মাসের স‍্যালারি পাওয়ার খুশিতে গিফট দেবে। কিন্তু অরিএ গিফট দেয় নেহাকে। এটা অরিএের বন্ধুরা জেনে যায়। এবং সবকিছু বলে দেয় অদিতি কে।।।

---

চলবে

---

---

সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।

---

---

Facebook
Twitter
You Tube

---

---

অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।

---

---

---

---

---

---

---

---