||| ভালো থেক( চতুর্থ পর্ব) |||

অরিএ এবং অদিতির পরিবারের মধ্যে কথা মোটামুটি পাকাপাকি। অরিএের লেখাপড়া শেষ হলে অরিএ বাড়িতে কথা বলবে। অরিএ ফাইনাল ইয়ারে আছে আর মাএ একবছর। কিন্তু অদিতি তো পাশ করে বের হয় গেছে। সেজন্য অদিতি অরিএকে বলে আমি চাকরি করতে চাই।

অরিএ: ঠিক আছে করতে পার। তোমাকে আমি বাঁধা দেব না। অরিএের এমন কথায় অদিতি বেশ খুশি হলো। এবং চাকরির খোঁজে বেরিয়ে পড়লো। বেশ কয়েক জায়গাই ইন্টারভিউ দিলো। একটা মোটামুটি বেশ ভালো জব হয়েও গেল। কিন্তু ওটা বাড়ি থেকে দূরে। সেজন্য অদিতি ওখানেই থাকে। তবে অরিএের সঙ্গে নিয়মিত কথা হয়। এভাবে একমাস চাকরি করার পর প্রথম স‍্যালারী পাই অদিতি।। প্রথম স‍্যালারী পেয়ে অদিতি সর্বপ্রথম অরিএকে ফোন দেয়।

অদিতি : অরিএ আজ আমার জীবনের অনেক খুশির দিন। আমি আজ প্রথম স‍্যালারি পেয়েছি। অনেকদিন তোমার সঙ্গে দেখা হয় না। অরিএ চলো পরশুদিন আমরা দেখা করি। আমি সেদিন আসছি। অরিএ সেদিন আমরা সারাদিন একসঙ্গে কাটাবো।

অরিএ: ঠিক আছে চলে আসো। অরিএ নিজেও অনেক খুশি। প্রায় চার মাস পরে তার দেখা হবে অদিতির সঙ্গে। অরিএ তার বন্ধু রাহুল, বিজয়, প্রিতমকে বলে।

কাঙ্ক্ষিত দিনে দুজন ঠিক সময়ে দেখা করে প্রথম যেদিন ওরা দেখা করেছিল ঐ জায়গাই। অদিতি অরিএের জন্য একটা গিফট কিনে নিয়ে আসে। কিন্তু অরিএ কোনো গিফট নিয়ে আসে না।

অদিতি : অরিএ আমার গিফট কোথায়। আমাকে ভুলে গেছ যে আমার জন্য একটা গোলাপও নিয়ে আসো নাই।

অরিএ: দুঃখিত আমার মনে নেই। পরেরবার নিয়ে আসব। তুমি কেমন আছো। এতো শুকিয়ে গেছ কেন।

অদিতি : কাজের একটু প্রেসার যাচ্ছে এজন্য। অরিএ তোমাকে কেমন জানি লাগছে। কিন্তু হয়েছে।

অরিএ: আরে না কী হবে।

অদিতি : ওকে ঠিক আছে।

---

---

source

---

---

এরপর দুজন সারাদিন একসঙ্গে কাটায়। ঘোরাঘুরি করে রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করে সিনেমা দেখে দারুণ সময় কাটে। এরপর অদিতি চলে যায়। দুজন আবার দুই শহরে। এরপরে প্রায় প্রতি মাসে অরিএের হাতখরচ দিত অদিতি। প্রথম প্রথম অদিতি নিতে চাইতো না। কিন্তু পরে এটা তার সয়ে গেছে। অদিতি অবশ‍্য ভালোবেসে দেয়। সেজন্য অরিএ না করে না। এরমধ্যে একদিন এক অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে। অদিতির এক কলিক তাকে প্রেম এবং বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসে। তার নাম রাজেশ। রাজেশ অদিতির থেকে কিছুটা বড়। এখানে মোটামুটি রাজেশের সঙ্গেই অদিতি একটু বেশি কথা বলে। কিন্তু রাজেশের থেকে এমন কিন্তু অদিতি আশা করে নাই।

অদিতি : দেখ রাজেশ আমি তোমাকে বন্ধু মনে করি। আমাকে তোমার এই ধরনের কথা বলা ঠিক হয়নি। আমি একজনের সঙ্গে রিলেশনে আছি তোমাকে বলছি না। আমি ওকেই বিয়ে করব।

রাজেশ: দেখ অদিতি দুনিয়া অনেক কঠিন। তুমি কী তোমার থেকে ছোট অরিএ নিয়ে এই সমাজে থাকতে পারবে। অরিএ তোমার মূল‍্যায়ন করতে পারবে না।

অদিতি : দেখ রাজেশ। আমি এসব কথা শুনতে চাই না। এসব কথা আবার বললে আমি তোমার সঙ্গে আর কথা বলব না।

রাজেশ: ঠিক আছে আর বলব না। তবে আমি তোমার জন্য অপেক্ষায় থাকব।

এরমধ্যে অরিএের সঙ্গে অদিতির একটু কম যোগাযোগ হয়। সেই জন্য রাজেশ একটু বেশিই গুরুত্ব পেত অদিতির কাছে। এবং অরিএ যেন অদিতির মন থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিল দিন দিন।।

---

চলবে......

---

---

---

সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।

---

---

Facebook
Twitter
You Tube

---

---

অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।

---

---

---

---

---

---

---

---