বন্ধু চল ঘুরে আসি( দ্বিতীয় পর্ব)।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ রবিবার, ১৬ ই, অক্টোবর ২০২২।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে



travel-gcbe593f7f_1920.jpg

Source



প্রথম পর্বের পর



রাহুল তার বাড়িতে বলে আমি বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যাব গ্রামে। এই কথা শুনে রাহুলের মা কোনো আপওি করে না। কিন্তু রাহুলের বাবা বলে তুমি একটা হাই প্রোফাইল সমাজের ছেলে হয়ে ঐরকম জায়গাই ঘুরতে যাবা। যাও সমস্যা নাই তবে সাবধানে। অন‍্যদিকে শামসু তার মামার সঙ্গে যোগাযোগ করে। শামসুর মামা বলে কোনো সমস্যা নেই তুমি এবং তোমার বন্ধুরা চলে এসো। এখানে ভালো সময় কাটাতে পারবা। শামসু তার বাবাকে বলল বাবা হাবাসপুর যাব কীভাবে একটু বলো। শামসুর বাবা সবকিছু বুঝিয়ে বলল। অন‍্যদিকে অর্নব অনল ওদেরও বাড়ি থেকে অনুমতি নেওয়া শেষ। পরেরদিন ক‍্যাম্পাসে সবাই ক্লাস শেষ করে বসলো আজকেই সবকিছু ফাইনাল করা হবে। শামসু বলল আমি মামার সঙ্গে কথা বলছি কোনো সমস্যা নেই। আমরা এখান ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে রাতের ট্রেনে উঠব এবং যশোর রেলওয়ে স্টেশনে নামব। ওখান থেকে বাসে উঠতে হবে তারপর একটা স্টপে নেমে রিকশায় উঠতে হবে। সবাই কথাবার্তা বলছে কিন্তু মোস্তাক চুপ হয়ে রয়েছে।।

অনল বলে উঠল কী রে মোস্তাক চুপ হয়ে আছিস কেন। কিছু কী হয়েছে। মোস্তাক বলে না রে সেরকম কিছু না। সমস্যা নেই আমি যাব। যাওয়ার দিন ঠিক হলো পরের সপ্তাহের বৃহস্পতিবার রাতের ট্রেনে যাবে সবাই। সবাই যেন ৮ টার সময় স্টেশনে থাকে ৯ টাই ট্রেন ছাড়বে। এরপর সবাই চলে গেল। মোস্তাক যেখানে টিউশনি করায় তাদের কাছে বলল এই মাসের বেতনটা আমাকে আগে দেওয়া লাগবে এবং আমি এক সপ্তাহ আসতে পারব না। উনারা বেশ ভালো সেজন্য কোনো কিছু বলে নাই। বলে ঠিক আছে সমস্যা নেই। মোস্তাকের টাকা যোগাড় হয়ে গেছে। সব প্ল‍্যান ঠিকঠাক এখন শুধু সেই দিনের অপেক্ষা।। কিন্তু যাওয়ার কয়েক দিন আগে থেকে অর্নব এর কোনো খোঁজ নেই। ফোন করলে ফোন ধরছে না অন‍্যরা বেশ টেনশনে রয়েছে। অর্নব ক‍্যাম্পাসেও আসছে না।


nature-g06718ff10_1920.jpg

source


যাওয়ার দুদিন আগে আবার ক্লাস শেষে ক‍্যাম্পাসের ক‍্যান্টিনে সবাই বসে আছে কিন্তু অর্নব নেই। অনল বলে উঠল অনর্ব কোথায় রে। শামসু বলে উঠল এই প্রশ্ন তো আমারও অর্নব কোথায় ও কী যাবে না। মোস্তাক একটু রেগে বলল এতদিন পর ঘুরতে যাওয়ার প্ল‍্যান হলো আর যাওয়ার আগে এসব কী। অর্নবের খোঁজ নিতে হবে। অনল বলল প্রয়োজনে ওকে ছাড়াই চলে যাব। এই কথা শুনে রাহুল বলে এই না এটা ঠিক হবে না। ঠিক যখন হয়েছে সবাই একসঙ্গেই যাব। চল খোঁজ নেয় অর্নবের হয়েছে টা কী। অর্নব তার মামা বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করে। শামসু বলল অর্নবের বাড়ি কোথায় ওর বাবা মা কোথায় থাকে এসব কিছু কখনোই অর্নব বলে নাই। এই কথা জিজ্ঞেস করলে অর্নব এড়িয়ে যেত। তো রাহুল বলল সমস্যা নাই, চল আমরা সবাই ওর মামা বাড়িতে গিয়ে ওর খবর নিয়ে আসি। এই কেউ চিনিস রাহুলের মামা বাড়ি। মোস্তাক বলল আমি চিনি সমস্যা নাই। অনল বলে উঠল তুই কী করে চিনিস রে। মোস্তাক বলল ওর মামা বাড়ির দিকে আমি একটা টিউশনি করে ক্লাস শেষে আমরা মাঝে মাঝে একসঙ্গে যেতাম।।

রাহুল বলল তো দেরী কিসের আর চল এখনি যায়। গিয়ে দেখে আসি কী হয়েছে অর্নবের। সবাই চলে গেল অর্নবের মামা বাড়ি। কিন্তু সমস্যা হলো মোস্তাক শুধু এলাকাটা চেনে অর্নবের মামা বাড়ি কোনটা এটা জানে না। এই মহল্লায় প্রায় এিশ মিনিট ধরে খোজাখুজি করে কোন খোঁজ পাওয়া গেল না। তখন অনল বলে উঠল এই শালা মোস্তাক তুই সত্যি চিনিস তো। না হলে এলাকার একটা লোক বলতে পারলো না এটা কীভাবে সম্ভব বল। তুই কিন্তু এবার মার খাবি। মোস্তাক বলছে আরে আমরা এই পর্যন্তই একসঙ্গে আসতাম এরপর অর্নব সামনের দিকে চলে যেত বলত সামনেই ওর মামাবাড়ি। আমাকে কখনো নিয়ে যায়নি। এরপর একজন স্থানীয় যুবক হেঁটে আসছে তার কাছে জিজ্ঞেস করছে অর্নব কে চিনেন মামাবাড়িতে থেকে লেখাপড়া করে। সবকিছু খুলে বলে দেখতে কেমন কোথায় পড়ে। তখন ঐ যুবক বলে আরে ওর নাম তো অর্নব না ওর নাম নীরব। আর ওর মামাবাড়ি সামনেই। এরপর যুবকটা সঠিক বাড়ি দেখিয়ে দেয়। কিন্তু সবাই অবাক হয়ে যায় যে ওর নাম অর্নব না নীরব।।

চলবে........



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG_-akkhy.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png



Sort:  
 2 years ago 

আপনার আগের গল্পটা পড়া হয়নি, তবে এই পর্ব পড়ে অনেক ভালো লাগলো। কিন্তু অর্নবের আসল নাম নীরব, সেটা কেনই বা আপনাদের সাথে সে লুকিয়েছে সেটা জানার অপেক্ষায় রইলাম? ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।

 2 years ago 

সত্যি বলতে বন্ধুর সাথে গ্রামের ঘুরতে যাওয়ার মজাই অনেক আলাদা। আপনি যে আপনের মামার সাথে কথা বলে ঠিক করেছিলেন ঘুরতে আসবেন আপনার মামা বলেছিল চলে আসো বন্ধুর সাথে ঘুরতে সময়টা অনেক ভালো কাটবে। লুকালুকির বিষয়টিও আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য।

 2 years ago 

ভাইয়া আমি আপনার গল্পের আগের পর্বটা পড়েছিলাম। এই পর্বটাও পড়লাম । সত্যি ভীষণ জমে উঠছে গল্পটা আস্তে আস্তে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে অর্ণব তার নাম পরিবর্তন কেন করল এবং অর্নবের হয়েছে কি? সে ক্যাম্পাসে কেন আসছে না এবং বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ কেন করছে না।সবাই একসঙ্গে শেষমেষ ঘুরতে যেতে পারবে তো? এই প্রশ্নই মনে বারবার উঁকি দিচ্ছে। তাড়াতাড়ি পরের পর্ব দেখার অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ।

 2 years ago 

আপনার "বন্ধু চলো ঘুরে আসি" প্রথম পর্ব আমার পড়া হয়নি কিন্তু দ্বিতীয় পর্ব পড়েছি এখন। খুবই ভালো লাগলো করে যদিও প্রথম দিকে একটু বুঝতে কষ্ট হয়েছে। আপনার তৃতীয় নাম্বার পর্ব দেখার অপেক্ষায় থাকবো আমি। আগ্রহ আমার ভীষণ বেড়ে গেছে আপনার পরের পর্ব দেখার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.033
BTC 64373.04
ETH 2775.53
USDT 1.00
SBD 2.66