বন্ধু চল ঘুরে আসি( প্রথম পর্ব )।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
এটা একটা ভ্রমণকাহিনী। মোস্তাক, অনল, অর্নব, শামসু এবং রাহুল একই ইউনিভার্সিটিতে পড়ে। ওরা বেশ ভালো বন্ধু। এরমধ্যে মোস্তাক একটু খাটো এবং পরিশ্রমী ছেলে। মোস্তাক এর বাড়ি গ্রামে শহরে থেকে লেখাপড়া করে এবং টিউশনি করে নিজের খরচ চালায়। অনল তার মামার বাড়ি থেকে লেখাপড়া করে, অর্নব এবং শামসু এখানকার স্থানীয়। শামসুর বাবা একজন সরকারের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। কোনোরকমভাবে শামসুর বাবা সংসার চালায়। তবে এদের মধ্যে সবচাইতে আলাদা হচ্ছে রাহুল। রাহুল অনেক বড় ব্যবসায়ীর ছেলে। রাহুল ছেলেটা বেশ দূরন্ত তবে মনের দিক থেকে অনেক ভালো। সে ধনী পরিবারের সন্তান হলেও সে তার বন্ধুদের সঙ্গে তাদের মতো করেই মিশে। তো ইউনিভার্সিটির ক্লাস শেষ করে প্রতিদিন সবাই কলেজ ক্যাম্পাসে আড্ডা দেয়। কিন্তু সেদিন শুধু অনল এবং অর্নব নেই। মোস্তাক, শামসু, রাহুল আড্ডা দিচ্ছে।
আড্ডা দেওয়ার সময় হঠাৎ রাহুল বলে উঠল এই চল কোথাও থেকে ঘুরে আসি। শামসু বলল হ্যা চল ঘুরে আসি। মোস্তাক বলল হ্যা যাওয়া যায়, কিন্তু কোথায় যাবি। রাহুল বলল ঠিক আছে আজ আর কোনো কথা না আগামীকাল সবাই একসঙ্গে বসে ঠিক করব কোথায় যাব। আর হ্যা ওদেরও বলে রাখবি। পরেরদিন কলেজ ক্যাম্পাসে সবাই বসেছে কিন্তু মোস্তাক নেই। মোস্তাক প্রায়ই এইরকম দেরী করে। কারণ ছেলেটা বেশ অনেকগুলো টিউশনি করে। যাইহোক কিছুক্ষণ পর মোস্তাক আসে। দেখে চা সিঙ্গারার পার্টি শুরু হয়ে গেছে। মোস্তাক এসে বলে দুঃখিত দেরী হয়ে গেল। মোস্তাক বলে তো কী কোথায় যাবি ঠিক করছিস। কিন্তু কেউ কোনো উওর দেয় না। কোথায় ঘুরতে যাবে এটাই এখনো ঠিক করা হয় নাই। কেউ কিছু বলতেই পারছে না। অনল একবার বলল কক্সবাজার যাওয়ার কথা কিন্তু শামসু বলল সে সাঁতার পারে না এবং সমুদ্র দেখলে তার ভয় করে। সুতরাং কক্সবাজার যাওয়ার চিন্তা বাদ।।
এরপর শামসু বলল ঠিক আছে চল বান্দরবন যায়। তখনই মোস্তাক বলল না বান্দরবন যাওয়া যাবে না অন্য কোথাও যেতে হবে। তখনই রাহুল বলল ঠিক আছে তোরা দ্রুত ভাব কোথায় যাবি। এবার ঘুরতে যেতেই হবে। তখন হঠাৎ শামসু বলে উঠল চল আমরা গ্রামে গিয়ে ঘুরে আসি। ওরা রাহুল, শামসু, অর্নব, অনল ওরা প্রায় ছোটবেলা থেকেই শহরে রয়েছে গ্রাম কে খুব একটা কাছ থেকে দেখে নাই। সেজন্য ওরা একবারেই রাজি হয়ে গেল। কিন্তু মোস্তাক ছোট থেকে গ্রামে ছিল সেজন্য গ্রাম তার অনেক পছন্দ। মোস্তাক ও কোনো আপওি করল না। মোস্তাক বলল কিন্তু কোনো গ্রামে যাবি কিছু ঠিক করছিস।। শামসু বলল আমার মামাবাড়ি হাবাসপুর। হাবাসপুর শুনে রাহুল বলল এটা কোথায়? শামসু বলল এটা খুলনা বিভাগের যশোর জেলার একটা গ্রাম। ওখানে আমার মামা বাড়ি। আমি ছোটবেলা গেছিলাম তারপর আর যায়নি। তবে গ্রামটা অনেক সুন্দর। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ইছামতি নদী। নদীর পাড় জুড়ে কাশফুল।।
এগুলো শুনে অর্নব রাহুল অনল একটু বেশিই আগ্রহী হয়ে উঠল। ওরা কখনো গ্রামের এইরকম সৌন্দর্য দেখে নাই। সবাই প্লান করল ঠিক আছে তাহলে এবারে শীতের শুরতেই যাবে গ্রামে। শীতের আর বেশিদিন দেরি নেই। রাহুল বলল সবাই যে যার মতো প্রস্তুতি নে আমরা দ্রুতই যাব। অর্নব বলল আমরা গিয়ে কোথায় থাকব আমাদের কত খরচ লাগবে কীভাবে যাব এগুলো ঠিক করা লাগবে তো। শামসু বলল সমস্যা নাই আমি আমার মামার সঙ্গে কথা বলব। আমরা মামার বাড়িতে থাকব এবং কীভাবে যাব কোথায় নামব এগুলো আমার বাবার থেকে শুনে। তবে মোস্তাক সবসময় অর্থের সংকটে থাকে। তাই ও বলল টাকার ব্যাপার টা আগে বলে দিলে ভালো হতো। শামসু বলল ঠিক আছে আগামীকাল সব কিছু বলে দেব। সবাই অনেক উৎসাহি। বন্ধুদের মধ্যে প্রথম ভ্রমণ এবার হয়েই যাবে তাহলে।।।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
.png)
মোস্তাক, অনল, অর্নব, শামসু এবং রাহুল একই ইউনিভার্সিটিতে পড়ে। ওরা বেশ ভালো বন্ধু।সবাই মিলে ঘুরতে যাবে।বে সিধান্ত নিল যে আমরা ঘুরতে যাব। অবশেষে সবাই গ্রামের বাড়ি যাবার সিদ্ধান্ত নিল।তবে মোস্তাক টাকা ব্যাপারটা জানতে চাইল আগে সবসময় অর্থের সংকটে থাকে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে আমাদের জন্য কি অপেক্ষা করছে।
কয়েক বন্ধু মিলে বেড়াতে যাবার গল্পটি বেশ জমে উঠেছে। এভাবে বন্ধুরা সবাই মিলে ঘুরতে গেলে আমার মনে হয় বেশ মজা হয়। বেশ কয়েক জায়গায় পর অবশেষে গ্রামে ঘুরতে যাবার সিদ্ধান্ত হলো জেনে ভালো লাগলো । গ্রামে ইচ্ছামতি নদীর পাশ দিয়ে কাশবন শুনে তো আমার কাছেই বেশ ভালো লাগছে। পরবর্তী পর্বগুলোর অপেক্ষায় রইলাম । ধন্যবাদ।
বন্ধুরা সব ঘুরতে যাবে, ঠিক করল গ্রামে যাবে। তারা গ্রামের কাশবনে ঘুরে বেড়াবে। আমার আজও কাশবনে যাওয়া হল না। ভাবছি,আমিও ওদের সাথে যাই।😅বন্ধুরা একসাথে গেলে অনেক মজা হয়। যাই হোক এর পরে কি হবে তার ই অপেক্ষায়..... 👌
বন্ধুদের সঙ্গে ভ্রমন করতে অনেক বেশি ভালো লাগে বিশেষ করে কলেজ ক্যাম্পাসের বন্ধুদের সঙ্গে ভ্রমণ করার মজাই আলাদা। সকলে মিলে হঠাৎ করে প্লান করে ফেলেছে। তবে বন্ধুদের মাঝে একজনের না একজন অর্থ সংকট অবশ্যই থাকবে এটাই স্বাভাবিক। যাইহোক প্রথম পর্বটি পড়লাম ভালো লাগলো পরবর্তী পর্বগুলোর অপেক্ষায় থাকলাম।
অন্যদের সঙ্গে ভ্রমণ করে কেমন মজা জানিনা কিন্তু বন্ধুদের সঙ্গে ঘোড়ার মত মজা আনন্দ অন্য কারো সঙ্গে ঘুরে পাওয়া যায় না। বোঝা যাচ্ছে আপনি খুব মজা করেছেন।