চ্যাম্পিয়ন'লীগে অপ্রতিরোধ্য ভিনিসিয়াস!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
Bein sports থেকে স্কিনশর্ট নেওয়া হয়েছে।
বতর্মানে ক্লাব ফুটবলে সবচাইতে জনপ্রিয় টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন লীগ। যেখানে ইউরোপের বিভিন্ন লীগ গুলোর সেরা ক্লাবগুলো অংশগ্রহণ করে থাকে। আর চ্যাম্পিয়ন লীগের অপর নাম রিয়াল মাদ্রিদ। এখন পযর্ন্ত সর্বোচ্চ ১৫ বার তারা এই শিরোপা জিতেছে। রিয়াল মাদ্রিদ চ্যাম্পিয়ন লীগে আসলে যেন পুরো পাল্টে যায়। গতকাল চ্যাম্পিয়ন লীগের ম্যাচ ডে -৩ এ রিয়াল মাদ্রিদের প্রতিপক্ষ ছিল জার্মান জায়ান্ট বরুশিয়া ডটমুন্ড। ২০২৩-২৪ চ্যাম্পিয়ন লীগের ফাইনালিস্ট ছিল এই দুই দল। সুতরাং আলাদা একটা রাইভালরি আগে থেকেই ছিল। যদিও খেলাটা ছিল রিয়াল মাদ্রিদের ঘরের মাঠ সান্তিয়্যাগো বার্নাব্যুতে। এইজন্যই চিন্তা কিছুটা কম ছিল। অনেকেই এখন মজা করে বলে এটা নাকি ফুটবলের আয়নাঘর হা হা।
রিয়াল মাদ্রিদ কে কার্লো আনচেলওি ৪-৪-২ ফর্মেশনে মাঠে নামায়। অন্যদিকে ডটমুন্ড এর ফর্মেশন ছিল ৪-২-৩-১। ম্যাচটা শুরু হয় বাংলাদেশ সময় রাত ১ টার সময়। ম্যাচের প্রথম থেকেই বেশি আক্রমণাত্মক ছিল দুই দল। রিয়াল মাদ্রিদের ঘরের মাঠ হলেও আক্রমণে আধিপত্য বিস্তার করেছিল বরুশিয়া ডটমুন্ড। তবে রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়ার রা আক্রমণে যাচ্ছিল। কিন্তু সেরকম ভালো সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না। অবশেষে ম্যাচের ৩০ মিনিটে ডটমুন্ডের হয়ে ডনইয়েল মালেন গোল করে ০-১ গোলে এগিয়ে নিয়ে যায় তার দলকে। এরপর দ্বিতীয় গোলের জন্য আর অপেক্ষা করতে হয়নি। ম্যাচের ৩৪ মিনিটে মালেন ডানদিক থেকে দারুণ একটা বল মাইনাস করে। এবং সেটা থেকে গোল করে ০-২ গোলে ডটমুন্ট কে এগিয়ে নিয়ে যায় জেমি গিটেন্স।
প্রথমার্ধ শেষে ঘরের মাঠে ২ গোলে পিছিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে যেখানে সবার শেষ হয় রিয়াল মাদ্রিদ সেখান থেকেই শুরু করে হা হা হা। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে পুরো বদলে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। একের পর এক আক্রমণে দিশেহারা হয়ে যায় ডটমুন্ড। কিন্তু সেই কাঙ্ক্ষিত গোল আসছিল না। অবেশেষে ম্যাচের ৬০ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পের বাড়িয়ে দেওয়া বল থেকে হেড করে গোল করে ব্যবধান কমিয়ে নিয়ে আসে রুডিগের। এরপরের গল্প যেন পুরোটাই ভিনিসিয়াসের। এর ঠিক ২ মিনিট পর ম্যাচের ৬২ মিনিটে ডটমুন্ডের গোলে বল পাঠায় ভিনিসিয়াস জুনিয়র। ম্যাচে ২-২ গোলের সমতা চলে আসে। মাদ্রিদ ফ্যানরা তখন আরেকটা ক্যামব্যাক এর অপেক্ষায় রয়েছে।
ম্যাচের ৮৩ মিনিটে ডিবক্সের মধ্যে থেকে জোরালো এক শর্টে গোল করে লুকাস ভাসকেজ এবং ম্যাচে প্রথমবারের মতো লিড এনে দেয় রিয়াল মাদ্রিক কে। ম্যাচের ৮৬ মিনিট বাম দিক থেকে বল নিয়ে এগিয়ে যায় ভিনিসিয়াস। কয়েকজন ডটমুন্ড খেলোয়ার কে ড্রিবলিং করে ডিবক্সের বাইরে থেকে শর্ট করে এবং গোল। অসাধারণ এক গোল করে ভিনিসিয়াস। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের খেলা চলছে। ৯৩ মিনিটে আবারও বাম দিক থেকে বল নিয়ে ডটমুন্ডের ডিবক্সে ঢুকে পড়ে ভিনিসিয়াস জুনিয়র। ডটমুন্ড ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে নেয় শর্ট এবং গোলকিপার পুরো পরাস্ত। ম্যাচে নিজের হ্যাট্রিক পূরণ করে ভিনিসিয়াস জুনিয়র। এবং রিয়াল মাদ্রিদ তখন ৫-২ গোলে এগিয়ে। ভিনিসিয়াসের অসামান্য পারফরম্যান্সে ম্যাচ জিতে পূর্ণ তিন পয়েন্ট অর্জন করে রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচে ৩ গোল করে সর্বোচ্চ রেটিং ৯.৭ নিয়ে ম্যাচসেরা হয় ভিনিসিয়াস জুনিয়র।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
২ গোলে পিছিয়ে থেকে পরে ৫-২ গোলে জয়? অসাধারণ কামব্যাক! রীতিমত অবিশ্বাস্য একটা ব্যাপার।
উত্তেজনায় ঠাসা একটা ম্যাচ হয়েছে মনে হচ্ছে।
ধন্যবাদ আপনাকে ম্যাচের বিবরণ তুলে ধরার জন্যে।
গতরাতে সরাসরি খেলা দেখার সুযোগ হয়েছিল না কিন্তু পরে হাইলাইটস দেখে খুবই ভালো লেগেছে। আসলে রিয়াল মাদ্রিদ চ্যাম্পিয়নস লিগ আসলেই যেন ভাল খেলা উপহার দিতে শুরু। ভিনেসিয়াস তো দেখলাম কালকে দারুণ খেলা উপহার দিয়েছে।