গন্তব্য নীলক্ষেত!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
গত শুক্রবারের কথা। হঠাৎ আমাদের সিআর বলল আজকের শেষ ক্লাস টা হবে না। অর্থাৎ আজকে ক্লাস ৪ টার সময় শেষ। এর আগেও আপনাদের বলেছি হাতে সময় এবং পকেটে টাকা থাকলে আমি নীলক্ষেত চলে যায়। নীলক্ষেত জায়গা টা আমার অনেক পছন্দের। ওখানে গিয়ে ঘোরাঘুরি করি বই দেখি পছন্দের বই কিনে নিয়ে আসি। তো পকেটে দেখি অতিরিক্ত ৫০০ টাকা আছে। তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিলাম আজকে আবার যাব। আমার ইউনিভার্সিটির সামনে থেকে একটা বাসে উঠে পড়লাম। বাসে সরাসরি চলে গেলাম গুলিস্তান। শুক্রবার হওয়ার পরেও রাস্তা ফাঁকা ছিল না। গুলিস্তান গিয়ে যথারীতি একটা রিক্সা নিয়ে নিলাম। গুলিস্তান থেকে নীলক্ষেত রাস্তাটা রিক্সায় গেলে অনেক কিছু দেখা যায়।
দুই পাশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল গুলো দেখা যায়। ঐ জায়গাটার প্রাকৃতিক পরিবেশ বেশ সুন্দর এবং মনমুগ্ধকর। একেবারে রাজু ভাস্কর্যের সামনে দিয়ে চলে যায় নীলক্ষেত। যদিও এই রাস্তা টা ফাঁকা থাকে খুবই কম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সময় ঐ জায়গাই আন্দোলন সমাবেশ এসব করে থাকে। আর টিএসসি তে তাদের আড্ডা চলমান থাকে সবসময়। নীলক্ষেত এর একটু আগে থেকেই দেখি অনেক বড় যানজট। দেখলাম একটুকু হেঁটে যাওয়ায় ভালো হবে। এইজন্যই রিক্সায় ভাড়া মিটিয়ে হাঁটা শুরু করলাম। মিনিট তিনেক হাঁটার পর চলে গেলাম বই মার্কেট। যেখানে ফুটপাতে বই বিক্রি করা হয়।
প্রথমে গিয়ে আমি বই দেখতে থাকি। বেশ কিছু বই উল্টে পাল্টে দেখছিলাম। বইয়ের কাহিনী টা পড়ার চেষ্টা করছিলাম। এভাবে বেশ কিছু দোকান ঘুরে দেখলাম। এরপর একটা দোকানে গিয়ে হঠাৎ নজরে আসলো বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় এর বহুল আলোচিত এবং জনপ্রিয় উপন্যাস তারানাথ তান্ত্রিক। যেখানে একজন তান্ত্রিক গল্পের মাধ্যমে তার দুই ভক্তের কাছে তার জীবনের ভয়ংকর সব কাহিনি তুলে ধরে। এই বইটা অনেক দিন ধরেই আমার উইসলিস্টে ছিল। যাইহোক এরপর আমার নজরে আসলো আরেকটা বই এটা বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এর ভয় ও ভৌতিক সমগ্র। যেখানে তার বেশ কিছু ভয়ের গল্প একসঙ্গে দেওয়া আছে। বই দুইটার দাম জিজ্ঞেস করতে উনি বলল ৫০০ টাকা। আমি এককথায় বলে দেয় ৩০০ টাকা দেব দুইটা।
উনি বলেন না এতে আমি দিতে পারব না। ৪০০ টাকার কম আমি পারব না। পরবর্তীতে সমরেশ মজুমদারের আরেকটা জনপ্রিয় বইয়ের উপর আমার নজর পড়ে যায়। এটা সম্ভবত উনার ক্রাইম থ্রীলার। উনাকে বললাম এই তিনটা কত দিতে হবে বলেন। এক দাম বলবেন। উনি বলল ৬০০ টাকা দিবেন তিনটা। আমি ৫০০ টাকা বলে দেয় সরাসরি। পরবর্তীতে যদিও উনি বলেছেন আর ২০ টাকা বেশি দিবেন। আমি বললাম ঠিক আছে। ৫২০ টাকায় চমৎকার তিনটা বই সংগ্রহ করে ফেললাম। বেশ ভালোই লাগছিল। এখন এগুলো পড়ে ফেলতে পারলেই শান্তি হা হা। ততক্ষণে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে। এইজন্য আমি আর বেশি দেরি করি নাই। আবার একটা রিক্সা ঠিক করে চলে এসেছিলাম। সময় টা বেশ দারুণ কেটেছিল আমার।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.