প্রতিজ্ঞা( দ্বিতীয় পর্ব)।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
শামিম শিক্ষক হয়ে আসার পড়ে ঐ শহরের অন্য বিজ্ঞানের শিক্ষকদের কাছে ক্রমেই শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমতে থাকে। তো ঐরকম কিছু শিক্ষক একসঙ্গে জোট পাকিয়ে একজন ছাএীকে পড়তে পাঠায় শামিমের কাছে। শামিম শিক্ষার্থীদের সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ করতো যেহেতু সে ছিল একেবারেই ইয়াং। তো এক পর্যায়ে গিয়ে ঐ মেয়েকে এবং শামিমকে নিয়ে একটা মিথ্যা ঘটনা রটিয়ে দেওয়া হয়। এবং সবকিছু আগে থেকে পরিকল্পিত থাকায় ঐ মেয়েটাও বলে হ্যা স্যার এর সঙ্গে আমার সম্পর্ক আছে। ঐ ঘটনা মূহুর্তেই চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। যেহেতু এখানে ঐ মেয়ে সবকিছু স্বীকার করে সেজন্য আর কিছু প্রমাণের দরকার হয়নি। শামিম রীতিমতো পরিবার বন্ধুবান্ধব স্কুলের ছাএ ছাএী শিক্ষকদের কাছে অপমানিত হতে শুরু করে। কিন্তু সবাই ভুল বুঝলেও শামিমের স্ত্রী সুলতানা শামিম কে ভুল বোঝেনি। সুলতানা জানত তার স্বামী এমন কিছু কখনোই করবে না। মানুষের এত বাজে কথা এত অপবাদের পরও শামিমের পাশে ছিল সুলতানা।
শামিমকে যেখানে সবচেয়ে বেশি অবিশ্বাস করার কথা ছিল সুলতানার। কিন্তু শামিম দেখে ঠিক তার উল্টোটা। এবং অন্যরাও দেখে বেশ অবাক হয়ে যায় যে দুজনের মধ্যে এত ভালোবাসা এতো বিশ্বাস। কিছুদিন পরেই ঐ মেয়ে ঘটনাচক্রে স্বীকার করে নেয় এগুলো সব পরিকল্পিত ছিল। স্যার আমার সঙ্গে কোনো খারাপ কিছু করেনি। এবং কারা কারা এর সঙ্গে জড়িত ছিল সবকিছু বলে দেয় ঐ মেয়েটা। কিন্তু শামিম প্রতিশোধ পরায়ন না হয়ে তাদের ক্ষমা করে দেয়। তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেয় না। এভাবে ছোটখাট অন্য যত বিপদই আসে দুজন একসঙ্গে মোকাবেলা করে। সেজন্য তাদের মধ্যে কখনো ফাটল ধরেনি। এরই মধ্যে শামিম এবং সুলতানার বড় মেয়ের বয়স যখন তিনবছর তখন তাদের ঘরে আরও একটা কন্যা সন্তান আসে। এই মেয়েটাও অনেক ফুটফুটে এবং সুন্দর দেখতে হয়। এই মেয়ের নাম রাখা হয় তুবা। দুই মেয়ে শামিম এবং সুলতানার সংসার যেন সুখের স্বর্গ।
এরভাবে আরও কয়েকবছর কেটে গেল। শামিম এ সুলতানার বড় মেয়ে লুবাব এর বয়স তখন ছয় বছর এবং ছোট মেয়ে তুবার বয়স তিন বছর। ঠিক তখনই পৃথিবী জুড়ে শুরু হয় করোনা মহামারী। এতে করে স্কুল কলেজ সব বন্ধ হয়ে যায়। শামিম একেবারে বেকার হয়ে বাড়িতে বসে থাকে। তবে শামিমের আর্থিক অবস্থা খুবই ভালো ছিল। সেজন্য কোনো সমস্যা হয় নাই। কিন্তু শামিমের একটা অভ্যাস ছিল সে বেশিক্ষণ বাড়িতে থাকতে পারতো না। সেজন্য ঐ লকডাউনের মধ্যেও সে বাইক নিয়ে ঘুরতে বের হতো। এই করে করে শামিম করোনা পজেটিভ হয়ে যায়। প্রথম অবস্থায় করোনা পজেটিভ মানে ভয়াবহ একটি অবস্থা। যাইহোক কিছুদিন পরিবার থেকে দূরে কোয়ারেন্টাইনে থাকে শামিম। এরপর সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে যায়। করোনার প্রথম ঢেউ কেটে যায়। কিন্তু এরপর আসে করোনার দ্বিতীয় ধাপ। শামিমের ঐ বাইরে ঘুরাঘুরির স্বভাব থেকেই যায়। ফলাফল সে আবার করোনা পজেটিভ হয়। তবে এবার সে একা না। এবার শামিমের সঙ্গে তার স্ত্রীও করোনা পজেটিভ হয়। তবে মেয়ে দুইটা ভালো ছিল।।
চলবে......
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
বাহ খুব সুন্দর প্রতিজ্ঞা গল্পের ( দ্বিতীয় পর্ব) আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে আপনার পুরো পোস্ট খুব ভালো লেগেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এত দুর্দান্ত গল্প শেয়ার করার জন্য। আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
ধন্যবাদ
আপনাকে আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনার গল্পটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো। শামিমকে কয়েকজন শিক্ষক মিলে একজন ছাত্রী কে দিয়ে একটা মিথ্যা ঘটনায় ফাশানো এবং পরে ছাত্রীর বলে দেওয়া। শামিমকে স্ত্রীর ক্ষমা করে দেওয়া এগুলো আমাদের সমাজে প্রতিনিয়তই ঘটে থাকে। ধন্যবাদ ভাই এমন একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।