প্ল্যাটফর্ম ছাড়লো ট্রেনটি, হাতেই রইল টিকিট।10% Beneficiary To @shy-fox 🦊& 5% @ abb-school
আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই ও বোনদের জানাই চলিত পথের শুভেচ্ছা।
জীবনকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে কে না চায়। সবাই চায় নিজের পা টাকে শক্ত খুঁটিতে মজবুত রাখতে। এজন্যই এত কর্মব্যস্ততা। চলার পথে এতসব বাধা বিঘ্ন অতিক্রম করে, যে নিজের খুঁটিটাকে মজবুত করতে পারে সে সমাজে প্রতিষ্ঠিত একজন ব্যক্তিত্ব হিসেবে ভূষিত হবে।
এটা কোন গল্প নয়, চলার পথে আমার জীবনের বাস্তবতা। তারিখ: পহেলা জুলাই ২০২২ (শুক্রবার)। যেতে হবে কর্মস্থলকে কেন্দ্র করে উপরের স্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশে নিজের সব ভালো ও মন্দ লাগাকে বিসর্জন দিয়ে রাজধানী ঢাকায়। এদিকে আবার ঈদকে কেন্দ্র করে যানবাহন সহজে পাওয়াটাও খুব কঠিন ব্যাপার। এরপরেও কিছু মানুষ আছে যারা সরকারি বিধি-বিধান লঙ্ঘন করে নিজের খুঁটিটাকে মজবুত করার জন্য সাধারণ মানুষের ন্যায্য হক মেরে অনেকগুলো ট্রেনের টিকিট একাই সংগ্রহ করে রাখেন, সুযোগ মতো বাজার মূল্যের থেকে উৎকৃষ্ট মূল্য পাওয়ার জন্য।
যারা সাধারণ মানুষ তারা রেল স্টেশনে আসে যখন টিকিট পায় না তখন তারা আরেকজনকে দেখিয়ে দেয়। সে তখন প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে চড়ামূল্য ট্রেনের টিকিট বিক্রি করে থাকে। সেটাকে অনেকেই বলে ব্লাকে টিকিট ক্রয়।
যাই হোক প্রয়োজন তো বাধা মানে না। নিরুপায় হয়ে সেই টিকিট অনেকেই ক্রয় করতে বাধ্য হন। তাদের মধ্যে আমিও একজন।
টিকিট সংগ্রহ করা হয়ে গেল। এখন আমার হাতে সেই দুর্লভ ট্রেনের টিকিট। নিজের প্রয়োজন মেটাতে যাব ঢাকায়। সেখানে আবার যেতে হবে সময় মত। অবস্থান ভেদে প্রয়োজনীয় পারিপার্শ্বিক চাপের কারণে অনেক সময় নিজেকে খুব অদ্ভুতভাবে আবিষ্কার করি।
অবশেষে সেই সময় আসে চলে গেলাম স্টেশনে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিব বলে। ট্রেনের নাম নীল সাগর এক্সপ্রেস। সৈয়দপুর থেকে ঢাকা গামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ঠিক রাত নয়টায় ছাড়বে। আমি সাড়ে আটটায় যথারীতি স্টেশনে পৌঁছে গেলাম। সেখানে একা একা বসে আছি। একজনের সাথে কথা বললাম সে বলল সামনে ঈদ এজন্য ট্রেন যথাসময়ে ছাড়তেছে না। তাই মনে হয় একটু দেরি হবে। তার কথা শুনে শত্য শত্য আমারও মনে হলো যে একটু দেরি হবে।
তাই মনকে সতেস করতে পাশের হোটেলে একটু চা খেতে গেলাম। এর মধ্যেই শুনলাম ট্রেন আসছে কিন্তু সেটা নীল সাগর না। যাইহোক স্বস্তির নিঃশ্বাস ছেড়ে চায়ে চুমুক দিলাম। এরপর দেখি যে ট্রেনটি আসছিল তা ছেড়ে দিয়েছে। আমার নির্ধারিত ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। কিছুক্ষণ পর রেল স্টেশনে থাকা এক ভদ্রলোককে জিজ্ঞেস করলাম নীলসাগর ট্রেন টি কখন আসবে। উনি তখন কিছুক্ষণ আমার মুখের দিকে তাকিয়ে রইল। বলল আপনি কোথায় যাবেন। আমি বললাম ঢাকায় যাব । সে বলল কিছুক্ষণ আগে নীলসাগর ট্রেনটি এখান থেকে রওনা দিল।
ঠিক সেই মুহূর্তটা মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো মনে হল। একই তো দুর্লভ মূল্য ট্রেনের টিকিট ক্রয় করা। দ্বিতীয়তঃ ট্রেন ছেড়ে গেল টিকিট আমার হাতে। এখন কাকে কি বলবো মুখে কোন ভাষাই আসতেছে না। এদিকে আবার সময় মত ঢাকায় পৌঁছাতে হবে।
একজন পরামর্শ দিল আপনি স্টেশন মাস্টারের সাথে কথা বলেন। আমি তাই করলাম, তিনি আমাকে নিরাশ করলো না। ভদ্রলোক বললেন রাত বারোটায় ট্রেন আছে ওটাতে উঠে ঢাকায় যেতে পারবে। আমি ওনাকে জিজ্ঞেস করলাম কয়টায় পৌঁছাবে। উনি বললো সকাল 11 টায়। এটা শুনে আবার আমার মাথায় দ্বিতীয়বারের মতো, আকাশ ভেঙে পড়লো। আমাকে সকাল দশটায় যথা সময়ে ঢাকায় উপস্থিত থাকতে হবে।
তখন মনে হচ্ছিল বাস্তবতা ও আমার বোকামি সব মিলিয়ে আমাকে প্রচন্ড চাপে রাখতে মনে হয় ভালোবাসে।
আসলে এরকম পরিস্থিতিতে আমি আরো স্লো হয়ে যাই। এদিকে সময়ের সংকীর্ণতা ও কঠিন বাস্তবতার মাঝে আমি কিছুক্ষণের মতো জীর্ণ শীর্ণ অবস্থা অনুভব করলাম। তবে সব থেকে মজার বিষয় হচ্ছে যে, আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে লেভেল ওয়ানের যে, পরীক্ষা আছে তা একবারের জন্যও ভুলি নাই।
আপনাকে সত্যিই অনেক টা ঝামেলা পোহাতে হয়েছে ভাই। তারপরও আমার বাংলা ব্লগের প্রতি এমন ভালোবাসা আমাকে সত্যি মুগ্ধ করেছে। আমার বাংলা ব্লগ একটি অন্যতম সেরা কমিউনিটি বলে মনে করি।
ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য। আপনার প্রতি শুভকামনা রইল।
খুব তাড়াহুড়োর সময় আমরা এমন সব ভুল করে বসি যাথেকে পস্তানো ছাড়া আর কিছুই থাকে না । আমার এ বিষয় নিয়ে একটু ভিতরে ভয় বেশি থাকে । বিধায় আগে ভাগে যেয়ে চুপচাপ বসে থাকি যেন মিস না হয়ে যায় ।
আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ । পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় ।
ধন্যবাদ ভাইয়া, আমরা যেমন লাইভ ভিডিও ফেসবুকে করে থাকি। ঠিক সেভাবে আমি লাইফ লিখলাম। প্ল্যাটফর্ম ছাড়লো ট্রেনটি, হাতে রইল টিকিট। এখনো আমি স্পটে আছি তাই দ্বিতীয় পর্বে জানাবো।
ভাই, আমি বলবো আপনার সময় খারাপ যাচ্ছে।
চিন্তা নিয়েন না, রাত যত গভির হয় ভোর ততো নিকটবর্তী হয়।
খুব শিগগিরই আপনি ভোরের দেখা পাবেন। আপনার মনোবল ঠিক রেখে এগিয়ে যান, ধৈর্য হারিয়েন না।
ধন্যবাদ মামুন ভাই। এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য। প্ল্যাটফর্ম ছাড়লো ট্রেনটি, হাতে রইল টিকিট। দ্বিতীয় পর্বে তারপরে কি হলো জানাবো।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া চলার পথের বাধা বিঘ্নকে উপেক্ষা করেই সামনে এগিয়ে যেতে পারলেই সফলতা পাওয়া সম্ভব।
আপনার অবস্থা দেখে আমার নিজেরই দুঃখ লাগছে। চোখের সামনে দিয়ে ট্রেনটি চলে গেল ।কিন্তু আপনি একবারও ট্রেনের গায়ের লেখাটি পড়ে দেখলেন না ট্রেনের নাম কি আছে। অন্যের কথা সব সময় শুনে বসে থাকা ঠিক নয়। নিজের চোখ কান খোলা রেখে চলতে হয়। আশা করি এবার থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে এই ভুল আর করবেন না। পরবর্তীতে কি আপনি সময় মতো আপনার গন্তব্যে পৌঁছতে পেরেছিলেন?
ধন্যবাদ আপু আমার পুরো পোষ্টটি পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। এরপরে আমার কি হলো সেটা জানতে, প্ল্যাটফর্ম ছাড়লো ট্রেনটি, হাতে রইল টিকিট। দ্বিতীয় পর্বে জানাবো। কারণ আমি এখনোও স্পটে আছি। শুভকামনা রইল আপু আপনার জন্য।
তার মানে কি আপনি ঢাকা পৌঁছতে পারেন নি এখনো?
পৌঁছেছি আপু তবে এর পরের বিষয়গুলো লিখতে একটু সময় লাগবে। কারণ আমি বর্তমানে ঢাকায় বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে ব্যস্ত। ধন্যবাদ আপু পুনরায় মন্তব্য করার জন্য।
আপনার লেখার হাত অনেক ভালো। পোস্টটা পড়ে ভালো লাগলো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোস্টটি পড়েছেন আবার মন্তব্যও করেছেন। আশা করি দ্বিতীয় পোস্টটি ও পড়বেন। সেই সাথে মন্তব্যের মাধ্যমে পোষ্টের কোয়ালিটি দেখে সুন্দর মন্তব্যর মাধ্যমে সামনে অগ্রসর হওয়ার উৎসব প্রদানে বাধিত করবেন।