প্ল্যাটফর্ম ছাড়লো ট্রেনটি, হাতেই রইল টিকিট (দ্বিতীয় পর্ব)।10% @shy-fox 🦊& 5% @ abb-school
আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই ও বোনদের জানাই চলিত পথের শুভেচ্ছা।
প্ল্যাটফর্ম ছাড়লো ট্রেনটি, হাতেই রইল টিকিট প্রথম পর্ব😭
অবশেষে ভারাক্রান্ত চিত্ত, ভাগ্য ও কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি এসে ব্রেন যখন নিজতেজ ও কর্মক্ষম। তখন দ্রুত প্ল্যাটফর্মে থাকা এক বড় ভাইয়ের পরামর্শ নেই। তিনি বলে তুমি শ্যামলী পরিবহনে যাও। আমার পরিচিত এক ড্রাইভার আছে সে তোমাকে একটা ব্যবস্থা করে দেবে।
আমি জিজ্ঞেস করলাম ভাইয়া কোথায় যাব? উনি বললো সরাসরি সৈয়দপুর টার্মিনালে যাও। আমি ফোন করছি উনি এখনো গাড়ি ছাড়ে নি। উনি খুব ভালো ড্রাইভার তোমাকে সকাল ৯ টার মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার যথেষ্ট চেষ্টা করবে।
তখন মনে হলো মরা গাছে প্রাণের অস্তিত্ব কিঞ্চিৎ অনুভূত হলো। বেশি সময় না নিয়ে দ্রুত একটা রিকশা নিয়ে চলে আসলাম টার্মিনালে। সেখানে সিট নেই দাঁড়িয়ে যেতে হবে। তবে বাস ছাড়তে একটু দেরি হওয়ায়। বাইরে কিছুক্ষণ ওয়েট করতে থাকলাম। কিছুক্ষণের মধ্যে নাবিল পরিবহনের একটি হেলপার বললো ঢাকা যাইবা নাকি। আমি বললাম সিট খালি আছে। উনি বলল হও আছে। তবে ৮০০ টাকা দিতে হইবো। আমি বললাম ঠিক আছে। এই বলে একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে গাড়িতে উঠে পড়লাম।
গাড়িতে উঠে দেখলাম বেশ কয়েকটা সিট খালি আছে। কোন কারণ জিজ্ঞাসা না করে আমার বাংলা ব্লগের লেভেল ওয়ান এর পরীক্ষা দেওয়ার জন্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলাম।
কিন্তু আমাদের প্রফেসর গণ আমার বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে খুব একটা অবগত না। কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয়ে গেল আমার ভাইরা। ভাইবায় একটা প্রশ্নর উত্তর দেওয়ার সাথে সাথে আরেকটা প্রশ্ন। কিন্তু আমাদের প্রফেসরগণ অনেক তীক্ষ্ণ ও চালাক হওয়ার কারণে আমাকে শুধু আমার যেগুলো প্রশ্নের উত্তর আমার জানা তেমটা সম্ভব হয়নি। সেই প্রশ্নগুলোই একের পর এক ধরাতে শুরু করল। আমিও যানবাহন যেমন থেমে থেমে সামনের দিকে এগুচ্ছে আমিয় সেরকমই থেমে থেমে উত্তর দেওয়া শুরু করলাম। তারপরে বাকিটা ইতিহাস।
আমাকে আবার পরীক্ষা দিতে হবে। যাই হোক আবার এ কথা শুনে মনের গতির একটু পরিবর্তন হলেও মনে প্রশান্তি আসলো এই ভেবে যে, যতদিন সময় অতিবাহিত হবে আমি ততই এ বিষয় গুলো সম্পর্কে একটা পাকা পুক্ত জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হব।
এদিকে বাস চলছে তো চলছে। অবশেষে রাত তিনটা অব্দি পৌঁছে গেলাম বৃহত্তর যমুনা সেতু। সেখানে কারণবশত এক ঘন্টার মত বাসটি সময় নিলো। আবার গাজীপুর আসছে না আসতেই শুরু হয়ে গেল শংকটাপণ্য বিপদের উপস্থিতি। প্রচুর জ্যামের কারণে বাস সামনে অগ্রসর হওয়াটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে গেল। এদিকে সময়ের নির্দিষ্ট সীমাবদ্ধতা আমার মনের গতিকে ত্বরান্বিত করে মনকষ্ট তীব্র থেকে তীব্রতর হতে চলল। এদিকে এভাবে বাস চললে দুপুরে একটায় আমাকে মতিঝিল আমার অফিস পাট অধিদপ্তরে পৌঁছাবে।
যেতে যেতে বাসের মধ্য থেকে একটা পিক তুলে নিলাম।
যাক সময়ের বেড়াকলে যখন আমি যাতা কলে পিষ্ট, তখন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম, আমি বাস থেকে নেমে যাব। উপস্থিত জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি পাওয়া য় বাস থেকে নেমে একটা মোটরবাইক ভাড়া করলাম। বাইক ওয়ালার সাথে চুক্তি হলো সাড়ে চারশ টাকায় ১ ঘন্টার মধ্যে আমাকে গাজীপুর থেকে শাপলা চত্বর মতিঝিল পৌঁছাবে। অবশেষে টাকার দিকে না তাকিয়ে সেটাই করলাম।
বাইক ওয়ালা আমাকে একটি হেলমেট দিলো এবং পিছনে বসিয়ে পাগলের মত বাইক চালানো শুরু করলো।
ভাই, আপনার এই ভ্রমন কাহিনি তুফানের মত আপনাকে এদিক থেকে ওদিক করে দিচ্ছে। খুব ভালো লাগলো ২য় পর্ব দেখে
ধন্যবাদ মামুন ভাই । দ্বিতীয় পর্বটি পড়ে খুব সুন্দর একটি মন্তব্য মাধ্যমে। আমার মনের কৌতুহলকে নির্দিষ্ট স্থানে দণ্ডায়মান করার জন্য। শুভকামনা আপনার জন্য, প্রান্তিক পর্যায়ের শত বাধা পেরিয়ে, ভেরিফাইড মেম্বার হওয়ার জন্য, আপনার জ্ঞানকে যেন আপনি, সঠিকভাবে পরিচালিত করতে পারেন।