পর্ব -২| দক্ষিনেশ্বরে একদিন (10% @shy-fox এবং 5% @abb-school এর জন্য বরাদ্দ )
স্কাইওয়াক
তা আমি যেই স্কাইওয়াকে উঠেছিলাম ওমনি দুই পাশ থেকে দুজন দোকানদার দুই পাশে এসে হাজির। একজন হাত ধরে টানাটানি শুরু করেছে আর অন্যজন একটু ভদ্রলোক ছিলো‚ হাত ধরে টানেনি কিন্তু পাশে দাঁড়িয়ে ঘ্যানঘ্যান করছে জুতো পড়ে মন্দিরে ঢোকা যায় না। জুতো রেখে ডালা নিয়ে যাও ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি ঝটকায় হাত ছাড়িয়ে নিয়ে বেরিয়ে গেছি। তারপর বাড়ি ফিরে পুরো ঘটনাটা সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড করে দি। মন্দির কতৃপক্ষের একজন আমার পোস্টে কমেন্ট করে জানায় যে দোকানদারদের এই দৌরাত্ম্য ওদের জানা ছিলো না। এখব থেকে ওনারা যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। এই এবার দক্ষিনেশ্বরে গিয়ে দেখলাম দোকানদারগুলো একেবারে ভদ্রলোক হয়ে গিয়েছে! যেন ভাজা মাছটি উল্টে খেতে জানেনা।
যাইহোক যেখানে ছিলাম সেখানে ফিরি। ঢুকলাম গেট দিয়ে। ঢুকতেই সারপ্রাইজ! একটা বাঁদর পাঁচিলের উপরে বসে আছে। আর যে যা খাবার দিচ্ছে তা শান্তভাবে খাচ্ছে। দুঃখজনক যে আমার কাছে কোনো খাবার ছিলো না। কিছু কিনলে হলে আবার গেট থেকে বেরোতে হবে। তাই বাঁদরকে কিছু খেতে দেওয়ার চিন্তা বাদ দিয়ে সামনে হাঁটলাম।
ভদ্রলোক কত যত্ন নিয়ে খাচ্ছেন
সামনে পড়ল মূল মন্দির অর্থাৎ ভবতারিনী মন্দিরে যাওয়ার রাস্তা। আমি পুজো দেবনা। তাই সেদিকে গেলাম না। তারপর পড়ল থানা। মন্দির চত্ত্বর এত বড় যে সরকার থেকে মন্দিরের ভেতরেই একটা থানা বসিয়ে দিয়েছে। সেখানেও আমার কোনো কাজ নেই স্বাভাবিকভাবেই। বরং সামনে হেঁটে গেলাম লাইব্রেরীর দিকে। লাইব্রেরীতে বইয়ের ভান্ডার বিশাল। বইয়ের রকম আর পরিমানে যেকোনো পাবলিক লাইব্রেরীকে লজ্জা দিতে পারে। ছবি তোলার পার্মিশন ছিলোনা বলে ছবি তোলা গেল না। জানিনা কেন এমন অদ্ভুত নিয়ম বানিয়েছে। কিন্তু সত্যিই ১০ জনকে ডেকে দেখানোর জিনিস ওই মন্দিরের লাইব্রেরী।
লাইব্রেরীর বাইরে থেকেই ফটো তুলতে দিল
লাইব্রেরী থেকে বেরিয়ে এগোলাম গঙ্গার দিকে। মাঝে পড়ল শিব মন্দির। আমি ঢুকলাম না সময় বেশী ছিল না বলে। তাছাড়া গঙ্গার ধারে বসার খুব ইচ্ছা ছিলো বহুদিন। তাই অন্যজায়গায় সময় নষ্ট না করে সোজা সেখানেই চলে গেলাম। গঙ্গার ধারে।
দেবি সুরেশ্বরি ভগবতি গঙ্গে ত্রিভুবনতারিণি তরলতরঙ্গে
দেখলাম সেদিন বেশী ভীড় ছিলো না। আমার জন্যে একদম ঠিক ছিল। চুপচাপ গিয়ে ঘাটের উপরে বসে থাকলাম আধঘন্টা মতো। খুব ভালো লাগছিল বসে থাকতে ওখানে।
তারপর দেখলাম যে ট্রেন আসার সময় হয়ে এসেছে। এদিকে ট্রেন আবার ১ ঘন্টা পর পর দেয়। তাই দেরী না করে উল্টোদিকে হাঁটা লাগালাম। আসার পথে পড়ল বিবেকানন্দের মূর্তি। যেটার ছবি আগের পর্বে দিয়েছিলাম। লিঙ্ক দিলাম তলায়।
তারপর আরেকটু এগিয়ে এসে দেখলাম নাট মন্দির আর রামকৃষ্ণ দেবের বাসস্থান। সেদিন আর সেখানে দেখার সময় ছিলো না। তাই সব পাশে ফেলে রেখে সোজা হেঁটে বেরিয়ে আসলাম মন্দিরের থেকে।
বেরোনোর পথে……
না দেখা অংশগুলো পরের বার দেখা হবে বরং!
Hi, @bull1,
Thank you for your contribution to the Steem ecosystem.
Your post was picked for curation by @rex-sumon.
Please consider voting for our witness, setting us as a proxy,
or delegate to @ecosynthesizer to earn 100% of the curation rewards!
3000SP | 4000SP | 5000SP | 10000SP | 100000SP
আপনার কাটানো দক্ষিনেশ্বরে একদিন সময়টুকু পরে অনেক ভালো লাগলো। আপনি অনেক সুন্দর সময় পাঠানো পাশাপাশি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
ধন্যবাদ আপনাকে। হ্যাঁ সত্যিই খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছিলাম
ভাই আপনি আমাদের কমিউনিটি তে নিয়মিত নন। আপনি অনেকদিন পর পর পোস্ট করেন এবং অন্যের পোস্টে কমেন্ট করে না, অন্যের পোস্ট পড়েন না। এভাবে হলে আপনাকে সাপোর্ট দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে না।
Sorry দাদা। আসলে একটু সমস্যায় আছি। এখন থেকে অবশ্যই নিয়মিত হওয়ার চেষ্টা করব।