শেষ পর্ব| ইছাপুরে মশলা ডেলিভারী by bull1 ( 10% shy- fox এর জন্যে)
১লা নভেম্বর‚২০২২‚ মঙ্গলবার
পোস্টের নাম | ইছাপুরে মশলা ডেলিভারী |
ডিভাইস | Realme 5 |
স্থান | কলকাতা |
পোস্টদাতা | @bull1 |
তো বন্ধুরা যেখানে ছিলাম। ইছাপুর যাওয়ার জন্য ব্যাগপত্র ভরে বেরিয়ে পড়লাম দেরী না করে। একটা ব্যাগে সব ধরল না। সেই ব্যাগটা ছাতু আর হলুদ দিয়েই ভর্তি হয়ে গেল। অতএব আমার একটা স্কুলের ব্যাগ বের করে তার মধ্যেও মালপত্র ঠেসেঠুসে ঢুকাতে হলো। অন্য একটা বাজারে ব্যাগ অবশ্য নেওয়াই যেত কিন্তু দুই হাতে দুটো ব্যাগ নিয়ে রাস্তাঘাটের চলাচল করাটা অত্যন্ত অসুবিধে জনক। বাধ্য হয়ে একটা ব্যাগ রেখে সেই ব্যাগের মালপত্র স্কুলের ব্যাগেই নিতে হলো।
বাজারের ব্যাগটা যা ভারী হয়েছিল
সাথে স্কুলের ব্যাগটাও ছিল
তা আমি প্রথমে গেলাম অটো স্ট্যান্ডে কারণ এই বিশাল ব্যাগপত্র নিয়ে হেঁটে কিংবা বাসে করে যাতায়াত কোনভাবেই সম্ভব নয়। হয়তো বাসে কোনোরকমে উঠতে পারলেও নামতে পারলাম না, তখন আর এক ঝামেলা। তাই বেশি ভাড়া দিয়ে অটো নিতেই হলো। কি আর করা যাবে! শিয়ালদা প্ল্যাটফর্ম পর্যন্ত আসলাম অটো করে। তারপর সেখানে গিয়ে দাঁড়ালাম টিকিট কাটার লাইনে। সেখানে আরেক বিশাল লাইন। যদিও অনলাইনে টিকিট কেটে নেওয়া যায় আর আমার কাছে সেই অ্যাপও আছে। কিন্তু ফোনের চার্জ না থাকলে অনলাইন টিকিট কোনো কাজেই আসেনা তাই বাধ্য হয়ে লাইন দিয়ে অফলাইনের কাগজের টিকিট কাটতে হয়।
এটাও সাথে ছিল
যাই হোক, কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে টিকিট তো পেলাম। এবার ট্রেন ধরতে হবে। প্ল্যাটফর্মের বোর্ডে দেখলাম আর ১০ মিনিট পর ট্রেন আসছে। শান্তিপুরl লোকাল ৯ নম্বর প্লাটফর্মে। চলে গেলাম সেখানে ব্যাগপত্র নিয়ে হেলতে দুলতে। সেখানেই একটু পরে আমার জন্য ট্রেন আসবে আমাকে ইছাপুরে নিয়ে যাওয়ার জন্য। খুব আরাম করেই বসার সিট পেলাম। পিঠের ব্যাগটা বাঙ্কের উপর তুলে দিলাম আর বাজারের ব্যাগটা ঢোকালাম সিটের তলায়। আর চুপচাপ স্টীমিটে পোস্ট পড়তে আর কমেন্ট করতে লাগলাম। কিছুক্ষণ পর মানে আধঘন্টা মতো পর আমার স্টেশন এসে গেল। ঠিকানা জানতাম তাই সেই ঠিকানাতেই চলে গেলাম। আগে থেকে বলাই ছিল কি নেবে না নেবে। সেই লিস্ট মিলিয়ে মালপত্র দিয়ে দিলাম আর তারপর ফিরে আসতে যাব ঠিক সেই মুহূর্তে দাদাটা বলল খেয়ে যেতে। মাঝে মধ্যে খুবই ভালো লাগে এগুলো যে কতটা আন্তরিক এনারা! যদিও আমি খাইনি কারণ বাড়িতে রান্না করা আছে। আমি বাইরে খেলে বাড়ির খাবারটা নষ্ট হবে। দাদাটা তাও এটা অনেকক্ষণ ধরে বলছিল কিন্তু আমি ও খুব বিনয়ের আর ভদ্রতার সঙ্গে না করে দিলাম।
খেজুরটাও গেছিল
তারপর দেখি আমায় এই বডি স্প্রেটা উপহার দিল। আমেরিকা থেকে আনা। খুবই ভালো লাগলো এটা পেয়ে। আমার দ্রব্যের বিক্রি হলো‚ আমার প্রফিট হল‚ আমার আত্মীয়-স্বজনদের সাথে যোগাযোগ হলো আবার আমিই উপহার হিসেবে একটা আমেরিকান বডি স্প্রে পেলাম। আমার জন্য আসলেই অনেক খুশির দিন ছিল সেটা।
যদিও বডি স্প্রেটা এখনো খুলেনি কারণ এখন যেটা ব্যবহার করছি সেটা বাড়িতে পড়ে আছে। এখনকার টা শেষ হওয়ার পর ব্যবহার করা শুরু করব। তখন এটার সম্পর্কে বিষদে লিখে অবশ্যই পোস্ট দেব।
আপাতত বিদায়। খুব শিগগিরই ফিরছি পরের পোস্ট নিয়ে।
আমার কথা -
আমি @bull1 পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় থাকি। বয়স ২৮ বছর। ছাত্রজীবনে ইতিহাসে আর অঙ্কে গ্র্যাজুয়েট কমপ্লিট করেছি। এখন শিক্ষকতা করি। আর টুকটাক লেখালেখি করার অভ্যাস আছে। |
---|
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
তাহলে তো আপনার সব মিলিয়ে ভালোই লাভ হয়েছে। হা হা হা...
আপনার মসলা ডেলিভারি দেওয়া আগের পর্ব পড়েছিলাম, এটাও পড়েছি। বেশ ভালো লেগেছে, তবে শিয়ালদা স্টেশনে আসলেই খুব ভিড় হয়। টিকিট কাটা একটাই মুশকিল হয়ে পড়ে যে বলে বোঝানো যাবে না। এই জন্য আমি সবসময় অনলাইনে টিকিট কাটি।
হ্যাঁ অনলাইনই ভালো। কিন্তু ওই যে‚ চার্জ না থাকলেই সমস্যা।
সবমিলিয়ে দেখছি আপনারই লাভ হল। জিনিসপত্র গুলো সত্যিই অনেক ভারী ছিল। এতগুলো জিনিসপত্র নিয়ে বাসে ওঠা নামায় অবশ্যই কষ্ট হতো। তাই জন্য বেশি ভাড়া দিয়ে হলেও অটো করে এসেছেন ভালো হলো। আর ফোনে চার্জ না থাকলে সত্যি ই অনলাইন টিকেটের কোন মূল্য নেই। শেষ পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক হয়েছে এমন কি আপনার লাভ হয়েছে এটাই বেশ ভালো লাগলো।
সব ভালো যার শেষ ভালো তার। সব মিলিয়ে শেষ পর্যন্ত ভালোই হয়েছে।
শিয়ালদহ স্টেশনে গিয়ে টিকিট কাটার জন্য লম্বা লাইনে সবাইকেই দাঁড়াতে হয় ভাই। এই অভিজ্ঞতাটা আমাদের সাথে সবসময় ঘটে। ট্রেনে উঠে আরামে বসতে পেরেছেন সেটা একটা ভালো বিষয়। ওই দিকের ট্রেনগুলোয় একটু ভিড় কম থাকে সেই জন্য আরাম করে বসা যায় । আপনার সেই দিনের মশলা ডেলিভারীর অভিজ্ঞতাটা পড়ে বেশ ভালো লাগলো।
হ্যাঁ সত্যিই তাই। ওই লাইনটা হল রেল মন্ত্রকের সুয়োরাণী। ট্রেন বেশী কিন্তু লোক কম। তাই অসম্ভব ফাঁকা থাকে।