কচি পাঁঠার মাংস সাথে ফুলকো লুচি।
সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি,সুস্থ আছি।
কচি পাঁঠার ঝোলের রেসিপি।বাঙ্গালিদের যে কোনো অনুষ্ঠান মানেই পাতে পড়বে পাঁঠার মাংস।কচি পাঁঠার লাল লাল ঝোল বা খাসির মাংস কষা, জিভে জল এনে দেয়।চর্বিহীন পাঁঠার মাংস খেতে সবাই পছন্দ করে।খাসির মাংসের চেয়ে পাঁঠার মাংস শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী ও স্বাস্থ্যসম্মত। এই খাবারটা আমার খুব প্রিয় ছোটবেলা থেকেই আমার মা-এর হাতে রান্নাটা আমি খেয়ে এসেছি। তারপরে আমি নিজেও অনেক বার রান্না করেছি।ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি কচি পাঁঠার ঝোল খেতে বেশি ভালো লাগে, কিন্তু আমার কাছে পাতলা ঝোলের চেয়ে পাঠার কষা মাংস খেতেই বেশি সুস্বাদু লাগে।আজ আমি পাঁঠার মাংস কষা ও সাথে ফুলকো লুচি করেছিলাম।
বেশিরভাগ সময় জিরা তেজপাতা ফোঁড়ন দিয়ে পেঁয়াজ ভেজে মসলা কষিয়ে নিয়ে তারপর মাংস রান্না করি।কিন্তু আজ সমস্ত মসলা একসাথে দিয়ে হাতে মেখে পাঁঠার মাংস রান্না করেছি।সেই রেসিপিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
উপকরণ সমূহঃ
১.পাঁঠার মাংস
২.পেঁয়াজ কুঁচি
৩.রসুন থেঁতো
৪.আদা জিরা বাটা
৫.মরিচের গুঁড়া
৬.লবণ
৭.হলুদগুঁড়া
৮.তেল
৯.গরমমসলা
১০.তেজপাতা
প্রথম ধাপঃ
প্রথমে পাঁঠার মাংসগুলো ভালো করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিয়েছি।তারপর পরিমাণ মতো পেঁয়াজ কুঁচি থেঁতো করা রসুন,আদা জিরা বাটা স্বাদমতো লবণ পরিমাণ মতো হলুদ গুঁড়া মরিচের গুঁড়া দিয়ে দিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপঃ
এবার পরিমাণ মতো তেল দিয়ে ভালো করে সবগুলো উপকরণ হাত দিয়ে মেখে নিয়েছি।তারপর উপর দিয়ে দুইটা তেজপাতা দিয়ে একটা ঢাকনা দিয়ে দুই ঘন্টার জন্য রেখে দিয়েছি।যাতে মসলা গুলো মাংসের সাথে ভালোভাবে মিশে যায়।
তৃতীয় ধাপঃ
এবার মাখানো মাংসগুলো কড়াইসহ চুলায় বসিয়ে দিয়েছি।তারপর অল্প আঁচে নেড়েচেড়ে মাংস গুলো কষিয়ে নিয়েছি।কষানোর সময় জল উঠে আসলে অনেক সময় ধরে জ্বাল দিয়ে মাংস গুলো কষিয়ে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপঃ
মাংস কষানো হলে তেল ছেড়ে দিলে পরিমাণ মতো কুসুম গরম জল দিয়ে ঝোল দিয়েছি।ঝোল ফুটে উঠলে গরমমসলার গুঁড়া দিয়ে আরও কিছুক্ষণ জ্বাল দিয়ে ঝোল শুকিয়ে মাখোমাখো হলে চুলার আঁচ বন্ধ করে দিয়েছি।
পঞ্চম ধাপঃ
এবার পরিমাণ মতো ময়দা তেল,চিনি,লবণ দিয়ে মেখে নিয়ে গরম গরম ফুলকো লুচি ভেজে নিয়েছি।
কচি পাঁঠার মাংস কষা সাথে গরম গরম ফুলকো লুচি এখন পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।
এই ছিলো আমার আজকের রেসিপি।আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে।কার কেমন লাগলো অবশ্যই মতামতের মাধ্যমে জানাবেন তাহলে ভুল ত্রুটি গুলো ঠিক করে নিতে পারবো।সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করি।
আমাদের উইটনেস কে সাপোর্ট করুন।
OR
আপনার রেসিপিটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। রেসিপিটা দেখেই একটু টেস্ট করতে ইচ্ছা করছে। আপনি অনেক সুন্দর করে ধাপগুলো উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
কচি পাঁঠার মাংসর সাথে ফুলকো লুচি দেখেতো জিভে জল চলে আসলো দিদি। পাঁঠার মাংস কিন্তু আসলেই অনেক উপকারী এবং স্বাস্থ্যসম্মত। আমার কাছে তো খুবই ভালো লাগে পাঁঠার মাংস খেতে। আর পাঁঠার মাংস যেমন সুস্বাদু হয় তেমনি খেতে জাস্ট অসাধারণ লাগে। ফুলকো লুচির সাথে আপনি কচি পাঁঠার মাংস খেয়েছিলেন জেনে আমার তো ইচ্ছে করছে এখনই এখান থেকে তুলে নিয়ে খেয়ে ফেলি।
একদিন চলে আসেন আপু কচি পাঁঠার মাংস কষা সাথে ফুলকো লুচি খাওযাবো আপনাকে।পাঁঠায় চর্বি থাকে না তাই স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো।ধন্যবাদ আপু।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
লুচি খেতে আমরা সকলেই অনেক বেশি পরিমানে ভালোবাসি। আর আপনি যেভাবে আজকের এই ইউনিক রেসিপি শেয়ার করেছেন এটি আমি কখনো দেখিনি। আপনার কাছ থেকে এই প্রথম এই রেসিপি দেখতে পেলাম। আর এই রেসিপিটি দেখতেই অনেক লোভনীয় মনে হচ্ছে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম একটি ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনার কাছে নতুন এবং ইউনিক লেগেছে আমার রেসিপি টি জেনে খুবই ভালো লাগলো।ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাঙ্গালিদের যে কোনো অনুষ্ঠানে পাঁঠার মাংস থাকবে এটা অনেকটা নিশ্চিত একটা ব্যাপার। কচি পাঁঠার মাংসের লাল লাল ঝোল, সত্যিই জিভে জল এনে দেওয়ার মত একটি রেসিপি। পাঁঠার মাংস কষা এর সাথে ফুলকো লুচি সেটাও বেশ অসাধারণ । এই পাঁঠার মাংস কষা ও ফুলকো লুচি আমি বহুদিন আগে লাস্ট খেয়েছি। রেসিপিটির উপস্থাপনা বেশ দারুন ছিল দিদি।
ছোটবেলায় দেখতাম আমাদের বাড়িতে যেকোনো অনুষ্ঠানে পাঁঠার মাংস থাকবেই।এখন অবশ্য সেই রীতি অনেক টাই কমে গেছে।সুন্দর মন্তব্য করেছেন তার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই দাদা।
দিদি , আমাদের মত বাঙালির মুখে পাঁঠার মাংসের স্বাদ না যাওয়া পর্যন্ত কোন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় না, এই জন্যই আমাদের মত বাঙালিদের উদযাপিত অনুষ্ঠানে পাঁঠার মাংস থাকবেই ।
কথায় আছে কচি পাঠা বৃদ্ধ মেষ।একদম ঠিক বলেছেন কচি পাঠার মাংসের লাল লাল ঝোল কিংবা খাসির মাংস কষা বাঙ্গালির পছন্দের খাবার।কচি পঠার লাল লাল ঝোলের সাথে ফুলকো লুচি অসম্ভব সুন্দর একটি খাবার।মাংসের রেসিপিটিও খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে।সব মিলিয়ে অসাধারণ। ধন্যবাদ সুন্দর লোভনীয় রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ কচি পাঁঠার মাংস খেতে যে ভালো লাগে এটা জানি, কিন্তু বৃদ্ধ মেষ খেতে কেমন লাগে তা জানিনা।মাংস মানেই লাল লাল হবে দেখতে যা দেখেই লোভনীয় লাগবে তবেই না মাংস খেয়ে মজা পাওয়া যাবে।তোমাকেও ধন্যবাদ জানাই সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।
বাহ আপনি তো অনেক সুন্দর করে কচি পাঁঠার মাংস রেসিপি করেছেন। পাঁঠার মাংসর সাথে আবার ফুলকো লুচি দেখে জিভে জল এসে গেল। তবে এমনিতে পাঁঠার মাংস খেতে অনেক মজা। সত্যি বলতে এ ধরনের রেসিপি দিয়ে রুটি বা গরম ভাত দিয়ে খেতেও মজা। আর রেসিপির কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। চমৎকারভাবে রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জ্বি আপু কচি পাঁঠার মাংস দিয়ে রুটি পরোটা লুচি খেতে খুবই ভালো লাগে।অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনি খুব সুন্দর করে কচি পাঁঠার মাংস রেসিপি করেছেন। পাঁঠার মাংস খাওয়া আলাদা একটা মজা। এ ধরনের রেসিপিগুলো একটু ঝাল বাড়িয়ে দিলে খেতে খুব সুস্বাদু লাগে। লুসি ও রুটি এবং পরোটা দিয়ে খেতে আলাদা একটা মজা লাগে। সত্যি বলতো আপনার রেসিপিটা দেখে আমার জিভে পানি চলে আসলো খাওয়ার জন্য। আর রেসিপি কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। অনেক সুন্দর করে ধাপে ধাপে রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জ্বি ভাইয়া এই ধরনের রেসিপিতে ঝাল এর পরিমাণ একটু বেশি দিতে হয়।তা না হলে খেতে একদম ভালো লাগে না।দাওয়াত রইলো একদিন আপু কে নিয়ে চলে আসেন মজাদার খাবার রান্না করে খাওয়াবো।ধন্যবাদ ভাইয়া।