বৈরালি মাছের চচ্চড়ি।
হ্যালো বন্ধুরা
সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও ভালো পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি,সুস্থ আছি।
সুস্বাদু মিঠা পানির মাছ বৈরালি।আমাদের দেশে বৈরালি ও খোকসা নামে পরিচিত। মিঠা পানির জলাশয় বিশেষ করে খাল, বিল, পাহাড়ি ঝর্ণা ও অগভীর স্বচ্ছনদীতে মাছটি পাওয়া যায়।এই মাছ খেতে খুবই সুস্বাদু হয়ে থাকে।আজ খুব সকাল সকাল মাছের বাজারে যাই গিয়ে দেখি অনেক রকমের নদীর মাছ বাজারে উঠেছে।কোনটা ছেড়ে কোনটা নিবো ভেবে পাচ্ছিলাম না।দেখেশুনে বাতাসী মাছ ও বৈরালি মাছ কেনার সিদ্ধান্ত নিলাম।মাছের দাম জিজ্ঞেস করার পর অনেকটাই হতাশ হয়ে গেলাম।১ হাজার টাকা কেজি চাইছে মাছের দাম শুনেই তো মাছ কেনার আগ্রহ হারিয়ে ফেললাম।অনেকক্ষণ ধরে দামাদামি করার পর ৮শ টাকা কেজি দরে মাছ দিতে রাজি হলো।৫০০ গ্রাম বাতাসী মাছ,৫০০ গ্রাম বৈরালি মাছ কিনলাম।আর মনে মনে ভাবলাম এতো টাকা দিয়ে মাছ কেনা কি ঠিক হলো? বর্তমান বাজারের যে অবস্থা আর ক'দিন পরে হয়তো মাছ খাওয়ার নামই ভুলে যেতে হবে,সেই পরিস্থিতি আর খুব বেশি দূরে নয়।
বৈরালি মাছ অনেক সুস্বাদু মাছ। টাটকা মাছ দেখে মনে হলো খুবই সাধারণ ভাবে রান্না করি তাহলে মাছের টেস্ট বজায় থাকবে।বেশি তেল মসলা যুক্ত রান্নায় মাছের স্বাদ খুব একটা বোঝা যায় না।তাই আজ একেবারে মসলা ছাড়া চচ্চড়ি রান্না করেছি,আর সেই রেসিপি টি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো এখন।
উপকরণ |
---|
বৈরালি মাছ |
আলু |
বেগুন |
পটল |
পেঁয়াজ |
কাঁচামরিচ |
লবণ |
হলুদগুঁড়া |
পাঁচফোড়ন |
তেল |
ধাপ-১
প্রথমে মাছ গুলো কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে জল ঝরিয়ে নিয়েছি।আলু বেগুন পটল গুলো কেটে ধুয়ে নিয়েছি।তারপর পেঁয়াজ কাঁচামরিচ গুলো ধুয়ে কেটে নিয়েছি।
ধাপ-২
মাছের মধ্যে লবণ হলুদগুঁড়া দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিয়েছি।
ধাপ-৩
চুলায় কড়াই বসিয়ে দিয়ে তারমধ্যে পরিমাণমতো তেল দিয়ে গরম করতে দিয়েছি।তেল গরম হলে লবণ হলুদগুঁড়া মেখে রাখা মাছ গুলো তেলের মধ্যে ছেড়ে দিয়েছি।
ধাপ-৪
মাছগুলো দিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর এক পাশে উল্টিয়ে দিয়েছি।তারপর কিছুক্ষণ পরে আরেক পাশে উল্টিয়ে দুপাশে ভালো করে ভেজে তুলে নিয়েছি।
ধাপ-৫
মাছ ভাজা তেলের মধ্যে পাঁচফোড়ন ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ কুঁচি ও কাঁচা মরিচ গুলো দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৬
পেঁয়াজ কাঁচামরিচ নেড়েচেড়ে হাল্কা বাদামি করে ভেজে নিয়েছি,তারপর কেটে রাখা সবজিগুলো দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৭
এবার লবণ হলুদগুঁড়া দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে একটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি।
ধাপ-৮
কিছুক্ষণ পর ঢাকনা খুলে অল্প আঁচে অনেক সময় ধরে সবজিগুলো লাল লাল করে ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-৯
সবজিগুলো ভাজা হলে পরিমাণমতো জল দিয়ে ঝোল দিয়ে নেড়েচেড়ে ভেজে রাখা মাছ গুলো দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-১০
মাছগুলো দেওয়ার পর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি কিছুক্ষণের জন্য।তারপর একবার নেড়েচেড়ে আবার কিছুক্ষণ ধরে জাল দিয়েছি।ঝোল শুকিয়ে একদম মাখোমাখো হয়ে আসলে চুলার আঁচ বন্ধ করে দিয়েছি।
পরিবেশন
চুলা থেকে নামানোর পর একটা পাত্রে তুলে নিয়েছি।আর এ ভাবেই প্রস্তুত হয়ে গেলো বৈরালি মাছের চচ্চড়ি রেসিপি টি।
এই ছিলো আমার আজকের রেসিপি আশাকরি আপনাদের সকলের অনেক ভালো লাগবে।সবাই ভাল থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করি।
আমাদের এদিকে হয়তো এই মাছের নাম অন্য কিছু হবে। প্রথমে বৈরালি নাম শুনে মনে হলো এই মাছ চিনি না। কিন্তু পরে মাছের ছবি দেখে চিনতে পেরেছি তবে নাম মনে নেই। এই মাছগুলো এভাবে আলু দিয়ে ভাজি করে খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনার এত মজাদার রেসিপি দেখে জিভে জল চলে আসলো। গরম ভাতের সাথে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু এলাকা ভিত্তিক কিছু কিছু মাছের নাম ভিন্ন রকমের হয়। এই মাছ সবকিছু দিয়েই খেতে অনেক ভালো লাগে।সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
বৈরালি মাছের চচ্চড়ি রেসিপি দেখে ভালো লাগলো। মাছের চচ্চড়ি খেতে ভীষণ মজা লাগে। মাছের নামটি প্রথম শুনলাম। আপনার রেসিপি পরিবেশন দেখে ভালো লাগলো।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া ছোট মাছের চচ্চড়ি খেতে খুবই ভালো লাগে।হয়তো বা এই মাছ আপনাদের এলাকায় অন্য নামে পরিচিত তাই এই নাম টি আপনার কাছে নতুন লাগলো।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন বৈরালি মাছের চচ্চড়ি রেসিপি। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশি সাদা হবে। এমনিতেই যে কোন মাছ চচ্চড়ি করে রান্না করলে খেতে বেশি সুন্দর লাগে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ খেতে খুবই স্বাদ হয়েছিলো ভাইয়া।সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপু, যে হারে মাছের দাম বাড়ছে তাতে হয়তো আমাদের মাছ খাওয়া ছেড়ে দিতে হবে। যাই হোক তবুও এতো দাম দিয়ে চমৎকার মাছগুলো কিনতে পেরেছেন। নিঃসন্দেহে খাবারটি সুস্বাদু হয়েছে।
অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার রেসিপিটি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
জ্বি ভাইয়া,বাজারের যে পরিস্থিতি তাতে করে মাছ,মাংস খাওয়া ছেড়ে দিতে হবে।সবজি খাবো তারও অনেক দাম কি যে একটা অবস্থা।খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিলো।ধন্যবাদ ভাইয়া।
বৈরালি মাছ আমি হয়ত খাইনি।তবে এ ধরনের মাছগুলো বেগুন,আলু,পটল সবজি কুচি করে দিয়ে রান্না করলে খেতে বেশ মজার হয়।রেসিপিটি বেশ লোভনীয় হয়েছে আপু।খেতেও দারুন স্বাদের হয়েছে আশাকরি।ধন্যবাদ আমাদের মাঝে সুন্দর এই মাছের রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
বৈরালি মাছের চচ্চড়ি রেসিপি দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে। তাই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপি পরিবেশন অসাধারণ ছিলো।
মাছের এত দাম জেনে আমি তো একেবারেই অবাক হয়ে গেলাম। ছোট মাছের চচ্চড়ি রেসিপি তৈরি করলে খুবই সুস্বাদু হয় এবং খেতেও ভীষণ ভালো লাগে। আপনি খুবই মজাদার ভাবে বৈরালি মাছের চচ্চড়ি রেসিপি তৈরি করেছেন। বৈরালি মাছের চচ্চড়ি রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আর আপনারা বেশ মজা করে খেয়েছিলেন দেখেই বুঝতে পারছি। পরিবেশনটাও খুবই সুন্দরভাবে করেছেন এবং উপস্থাপনা ও বেশ ভালো ছিল।
যে কোন ছোট মাছ খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনি তো খুবই সুস্বাদু করে বৈরালি মাছের চচ্চড়ি তৈরি করেছেন। গরম গরম ভাতের সাথে মাছের চচ্চড়ি খেতে দুর্দান্ত লাগে। আপনার তৈরি বৈরালি মাছের চচ্চড়ি দেখে মনে হচ্ছে পরিবেশনের প্লেট থেকে তুলে খেয়ে ফেলি। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু মজার এই রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
বৈরালি মাছের চচ্চড়ি দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে আপু। ছোট মাছের চচ্চড়ি খেতে দারুণ লাগে। আপনার রেসিপির কালার দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছে। রেসিপির উপস্থাপনা এবং পরিবেশনাও এককথায় চমৎকার হয়েছে। এতো মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।