"চাল-পটল" নিরামিষ রেসিপি।
সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও ভালো আছি।
আমি @bristychaki,আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাংলা ব্লগ এর আমি একজন ভেরিফাইড ও নিয়মিত ইউজার।আমি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি রেসিপি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি,আশাকরি আজকের রেসিপি টি আপনাদের ভালো লাগবে।
পটল আমাদের খুবই পরিচিত সবজি,যা কমবেশি সকলের নিত্যদিনের খাবারের তালিকায় থাকে।পটল খুব বেশি পছন্দ না হলেও এই সবজি দিয়ে অনেক রকমের সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করা যায় যা খেতে ভালো লাগে।আমার কর্তামা (ঠাকুমা)নিরামিষ খাবার খেতেন তাই আমাদের বাড়িতে প্রতিদিন নিরামিষ রান্না হতো।আর তাই নিত্য নতুন রান্না করতে হতো যাতে করে খাবারে একঘেয়েমি চলে না আসে।আমার মা রান্নার দায়িত্বে ছিলো আর মা রান্না বরাবরই খুবই করতো।এই চাল পটল রেসিপিটি আমাদের বাড়িতে প্রায় সময়ই রান্না করা হতো সেখান থেকে শিখেছি এবং খেতেও বেশ ভালো লাগে,তাই মাঝে মাঝে আমিও বাসায় রান্না করার চেষ্টা করি বিশেষ করে নিরামিষের দিনগুলোতে।আজকে অনেকদিন পর রেসিপিটি করা হয়েছিলো তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
চলুন তাহলে রেসিপিটি জেনে নেয়া যাক
উপকরণ
১.পটল
২.আলু
৩.চিনিগুড়া চাল
৪.জিরাগুঁড়া
৫.গরমমসলা গুঁড়া
৬.গোটা গরমমসলা
৭.গোটা জিরা
৮.তেজপাতা
৯.লবণ
১০.হলুদগুঁড়া
১১.ঘি
১২.তেল
১৩.মরিচের গুঁড়া
১৪.টমেটো
প্রথম ধাপ
পটলগুলো খোসা ছাড়িয়ে তিনকোনা করে কেটে নিয়েছি।তারপর আলু ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিয়েছি।টমেটো কুচি করে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
এবার চাল ধুয়ে সামান্য হলুদগুঁড়া দিয়ে চালগুলো ভেজে তুলে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
এবার কড়াইয়ে এক চামচ পরিমাণ ঘি দিয়ে জিরা তেজপাতা গোটা গরম মসলা ফোঁড়ন দিয়েছি।তারপর কেটে রাখা আলু গুলো দিয়ে দিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
আলুগুলো ভাজা হলে টমেটো কুঁঁচিগুলো দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে ভেজে নিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ
মসলাগুলো একটা বাটিতে নিয়ে সামান্য পরিমাণ জল দিয়ে পেস্ট বানিয়ে আলু টমেটোর মধ্যে দিয়ে দিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
অল্প আছে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে মসলাগুলো কষিয়ে নিয়েছি।তারপর ভেজে রাখা পটল ও চাল গুলো দিয়ে
কিছুক্ষণ কষিয়ে নিয়েছি।
সপ্তম ধাপ
এবার পরিমাণ মতো জল দিয়েছি ঢেকে দিয়েছি,যাতে করে আলু পটল এবং চাল গুলো খুব ভালোভাবে সিদ্ধ হয়। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে কিছুক্ষণ রান্না করার পর মাঝে মাঝে নেড়েচেড়ে দিয়েছি।সবকিছু সিদ্ধ হয়ে জল শুকিয়ে আসলে এক চামচ পরিমাণ ঘি দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে নামিয়ে নিয়েছি।ভাবেই তৈরি হয়ে গেল নিরামিষ চালপটল রেসিপিটি।
পরিবেশন
এটা চাইলে ভাত দিয়ে খাওয়া যায় এবং ভাতের পরিবর্তেও খাওয়া যায়।খাবারটা হলো যার যার নিজস্ব রুচি যে যেভাবে খুশি সেভাবেই খেতে পারেন।সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশা করে আজ এখানেই শেষ করছি।
ধন্যবাদ।
এর আগে একবার নিরামিষ খেয়েছিলাম। কিন্তু এভাবে কোনদিন নিরামিষ তৈরি করে খাওয়া হয়নি। একদম ইউনিক ভাবে নিরামিষ রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। খেতে নিশ্চয়ই খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। মজাদার এই ইউনিক নিরামিষ রেসিপি আমাদের মাঝে এত সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
চাল পটল নিরামিষ রেসিপি আসলেই দেখে অনেক ইউনিক লাগছে রেসিপিটা। এমন ধরনের রেসিপি আমি আগে কখনো দেখিনি ।না দেখলে হয়তো বিশ্বাস করতে পারতাম না যে এমন ভাবে আবার নিরামিষ রেসিপি তৈরি করা যায়। ধন্যবাদ আপনাকে ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
অনেক সুন্দর রেসিপি তৈরি করে আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। বেশ ভালো লাগলো আপনার তৈরি করা এত সুন্দর রেসিপি দেখে। এ জাতীয় রেসিপিগুলো আমার কাছে অনেক অনেক ভালো লাগে। কিছুটা ইউনিক পর্যায়ে তৈরি করেছেন।
এভাবে তৈরি করা কোন রেসিপি কোনদিন খেয়েছি কিনা জানি না। তবে আপনার এই চাল পটলের রেসিপি টা আমার কাছেই অনেক মনে হয়েছে এবং নতুন মনে হয়েছে। যাহোক নতুন একটা রেসিপি সম্পর্কে বেশ অবগত হলাম। আশা করি অনেক অনেক সুস্বাদু ছিল।
চাল-পটল নিরামিষ বাহ্ সম্পুর্ন ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। মাঝে মধ্যে এভাবে রান্না করে খেতে ভীষণ মজাদার লাগে। সব মিলিয়ে চমৎকার একটি রেসিপি ছিলো ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনার কাছ থেকে একদম নতুন ও ইউনিক একটি রেসিপি শিখতে পারলাম। এভাবে চাল পটল খাওয়া তো দূরের কথা নামও শুনিনি। তবে পটলের রেসিপি খেতে আমি খুব পছন্দ করি। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আপনার উপস্থাপনা লোভনীয় হয়েছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ আপু ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনার কর্তামা নিরামিষ খাবার খেতেন বলেই আপনাদের বাড়িতে দারুন দারুণ রান্না হতো। চাল পটল রেসিপি দারুন হয়েছে। এই ধরনের খাবারগুলো কখনো খাওয়া হয়নি। এমনকি রান্নাও করা হয়নি। নতুন একটি রেসিপি শিখলাম আপু। দারুন হয়েছে চাল পটল রেসিপি। অনেক ভালো লেগেছে।
এমন রেসিপি প্রথমবার দেখলাম। এটা বেশ ইউনিক একটা রেসিপি ছিল। রেসিপি টা দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে। চাল পটল রেসিপি টা দারুণ তৈরি করেছেন আপু। সবমিলিয়ে চমৎকার ছিল আপনার রেসিপি টা। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
এই রেসিপিটা আমার কাছে সম্পূর্ণ একটা নতুন ধরনের রেসিপি। আসলে এটা তৈরি করা যেমন সহজ ঠিক তেমনি আপনি খুব সুন্দর ভাবে এই রেসিপি তৈরির বর্ণনা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।