ধোকার ডালনা নিরামিষ রেসিপি shy-fox 10% | abb-school 5%
** হ্যালো**
আমার বাংলা ব্লগ বাসী সবাইকে আমার নমস্কার আদাব। আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন সুস্থ আছেন। ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমি পরিবারের সকলেকে নিয়ে ভালো আছি
টাইটেল দেখে কেউ ভয় পাবেন না, আমি এখানে কাউকে ধোঁকা দিতে আসিনি। আমি একটা রেসিপি নিয়ে এসেছি যার নাম, ধোকা বা কাশ্মীরি পনির। এটা ময়দা দিয়ে তৈরি করা হয়। ধোকা তৈরি এবং সেটা দিয়ে কিভাবে ডালনা বা তরকারি রান্না করা যায় এটা পেঁয়াজ রসুন ছাড়া একদম নিরামিষ ভাবে রান্না করা হয়েছে সেই রেসিপি টি শেয়ার করবো আপনাদের সাথে
উপকরণ
ময়দা
ছোট আলু
আদা বাঁটা
জিরা,ধনিয়া গুঁড়াে
শুকনা মরিচে গুঁড়ো
গোটা জিরা, গরম মসলা, শুকনা মরিচ ফোঁড়ন এর জন্য।
লবন
হলুদ গুঁড়ো
সয়াবিন তেল
ঘি
প্রস্তুত পদ্ধতিঃ
প্রথম ধাপঃ
প্রথমে সামান্য একটু লবন দিয়ে ময়দার মধ্যে অল্প অল্প করে জল দিয়ে মেখে একটা খামির বানিয়ে নিয়েছি। তারপর খামিরটা একটা বাটি দিয়ে দুই ঘন্টার জন্যে ঢেকে রেখেছি।
দ্বিতীয় ধাপঃ
দুই ঘন্টা পরে এসে ময়দার খামিরটা কে কলের নিচে নিয়ে খুব ভালো করে ধুয়ে নিয়েছি প্রথমে ময়দা মাখা থেকে দুধের মতো সাদা সাদা জল বের হয়েছে বার বার জল পাল্টিয়ে ধুয়ে নিয়েছি ধুতে ধুতে যখন পরিস্কার জল বেড়িয়েছে আর ময়দার খামির টা রাবারের আকার ধারন করেছে তখন ধোয়া বাদ দিয়েছি। তারপর রাবারের মতো খামির টাকে খুব ভালো করে দুই হাতের সাহায্যে অনেক্ক্ষণ ধরে চিপে চিপে জল বের করে নিয়েছি।তারপর ছোট ছোট করে ছিড়ে নিয়েছি এটার শেইপ খুব বেশি গোল হবেনা কারন এটা রাবারের মতো হয়েছে তাই একটু ছোট বড় হয়েছে। তারপর একটা ছিদ্রযুক্ত ঝুড়িতে রেখে দিয়েছি যাতে করে বাড়তি জল থাকলে সেগুলো বেড়িয়ে যায়।
তৃতীয় ধাপঃ
ছোট আলু গুলো খুব ভালো করে ধুয়ে নিয়ে প্রেশারকুকারে দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিয়েছি তিনটা শিটি উঠলে নামিয়ে নিয়েছি। কয়েক মিনিট পর আলু গুলো খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপঃ
চুলায় একটা কড়াই বসিয়ে দিয়েছি তার মধ্যে সয়াবিন তেল দিয়ে গরম করতে দিয়ে একটু লবন সামান্য হলুদ গুঁড়ো দিয়ে তারমধ্যে বানানো ধোকা গুলো দিয়েছি এপিঠ ওপিঠ ভালো করে ভেজে সোনালী কালার হলে নামিয়ে নিয়েছি।
পঞ্চম ধাপঃ
ধোকা গুলো তুলে নেওয়ার পর যে অবশিষ্ট তেল থাকবে তারমধ্যে শুকনা মরিচ, গোটা জিরা গরমমসলা ফোঁড়ন দিয়ে আলু গুলো দিয়েছি। আলুর মধ্যে লবন স্বাদমতো পরিমান মতো হলুদ গুঁড়ো দিয়ে নেড়েচেড়ে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপঃ
আলু গুলো একটু ভাজা হয়ে গেলে আদা বাঁটা, জিরা ধনিয়া গুঁড়ো, মরিচের গুঁড়ো দিয়ে সামান্য পরিমানে জল দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিয়েছি।
সপ্তম ধাপঃ
মসলা কষানো হলে তার মধ্যে পরিমান মতো জল দিয়ে ফুটতে দিয়েছি ঝোল ফুটে উঠলে ভেজে রাখা ধোকা গুলো দিয়ে দিয়েছি তারপর ঢাকনা দিয়ে কিছু সময় ঢেকে রেখেছি তাতে করে ধোকার ভিতরে লবন মসলা ঢুকবে ভালো। ঝোল টেনে আসলে সামান্য পরিমানে ঘি দিয়ে নেড়েচেড়ে নামিয়ে নিয়েছি।
আর এভাবেই তৈরি হয়ে গেলো ধোকার ডালনা। একটু ঝামেলা হলেও খেতে কিন্তু খুবই সুস্বাদু। এটার স্বাদ কিছুটা সয়ানাগেট এর মতো সয়ানাগেটের একটা স্মেইল থাকে কিন্তু ধোকার মধ্যে সেই স্মেইল টা থাকে না তাই আমার কাছে ধোকা খেতেই বেশি ভালো লাগে।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করি। আবার দেখা হবে অন্য কোন সময়ে অন্য কোন রেসিপি নিয়ে।
ধন্যবাদ
আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ধোকার ডালনা দিয়ে নিরামিষ রান্না রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক মজা হয়েছে। এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আজকে আমাদের মাঝে ধোকার ডালনা নিরামিষ রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন। আপনার রেসিপি তৈরি দেখে আমার জিভে জল চলে এসেছে। এত সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
@tipu curate
;)
--
This is a manual curation from the @tipU Curation Project.
Upvoted 👌 (Mana: 4/7) Get profit votes with @tipU :)
আপনি অনেক সুন্দর ধোকার ডালনা নিরামিষ রেসিপি করেছেন। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি আমাদের মাঝে রেসিপিটি উপস্থাপনে করেছেন। সত্যিই খুব অসাধারণ আমার কাছে মনে হয় খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপনি অনেক মজাদার একটি নিরামিষ রান্নার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন মাঝে মাঝে আমিষ খাবার পাশাপাশি নিরামিষ খাওয়া টা খুব দরকার বলে আমি মনে করি। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত মজাদার একটি নিরামিষ রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া। প্রায় প্রতিদিনই মাছ মাংস খাওয়া হয়ে থাকে প্রতিদিন এসব খাবার ভালো লাগেনা তাই আমি প্রতি শনিবার একদম নিরামিষ রান্না করি সেদিন পেঁয়াজ রসুন মাছ মাংস কিছুই খাওয়া হয়না। এতে করে আমাদের ধর্মীয় আচার যেমন রক্ষা হয় সেই সাথে শরীরের জন্যও বেশ উপকার।
সম্পূর্ণ নতুন এবং ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন পূর্বে এ ধরনের রেসিপি সাথে কখনো পরিচিত হয়নি তবে আপনার প্রস্তুত প্রণালি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব মজা হবে সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন ধাপগুলো শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য
পোস্টের টাইটেল দেখে তো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। পরে বুঝতে পারলাম এই ধোকা সেই ধোকা নয়। রেসিপিটি ভালোই হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ভাইয়া নামটা একটু আজব ধরনের কিন্তু এর স্বাদ অনেক ভালো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার রেসিপির নামটা যেমন ইউনিক তেমনি রেসিপিটা ও ইউনিক মনে হচ্ছে। আমি জীবনেও দেখিনি, এমন নাম শুনিনি। তবে আপনার রেসিপি টা দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক ঝামেলা। আর ঝামেলা রেসিপি গুলোতে মজাটাই একটু বেশি থাকে। অসাধারণ ছিল আপনার ধোকার ডালনা রেসিপি। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।