শৈশবস্মৃতি || পুকুরে মাছ ধরতে গিয়ে অদ্ভূত ঘটনা।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
আজকে শেয়ার করব শৈশব স্মৃতির একটা গল্প।আমাদের শৈশব ছিল অসাধারণ। বর্তমান সময়ে সেই মুহূর্তগুলো এখনকার বাচ্চাদের মধ্যে দেখা যায় না। এখনকার চিত্র একদমই ভিন্ন। বাচ্চারা এখন আর বাইরে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করে না। বলা যায় শৈশবের আসল মজা আমরা পেয়েছি যারা লাস্ট জেনারেশন। তবে এখন গ্রামাঞ্চলে যারা আছে তারা আনন্দ করতে পারলেও শহরের বাচ্চাদের মাঝে এই বাইরের উপভোগ্য সময় একদমই কম।যাইহোক আজকে আমি শেয়ার করব ছোট বেলায় পুকুরে মাছ ধরার গল্প।
আমাদের বাড়িতে অনেকগুলো পুকুর ছিল।৩টি বড় পুকুর আর ৩টি ছোট পুকুর।যদিও বাড়িতে মানুষজন তখন বেশি ছিল এখনকার তুলনায়। তখন এই সময়গুলোতে প্রচুর মাছ ধরা হতো।বর্ষার শুরুতে নতুন পানির মাছ ধরা হতো।তখন অবশ্য আমি যেতাম না। আমার মাছ ধরার গল্পটা হলো আরেকটা।শীতের মাঝামাঝিতে যখন পুকুরের পানি কমতে থাকে তখন পুকুরে মাছ ধরা হতো। আর সেই সময়টায় এত মাছ পাওয়া যেত যেটা অনেক অনেক বেশি ছিল।
আমাদের বাড়ির একদম ভেতরে একটা পুকুর আছে।সেই পুকুরে পুরো বাড়ির সবাই মাছ ধরতো। আমি মাছ ধরতে যেতাম আব্বুর সাথে, ঐ মাসে ২/৩ দিন তার বেশি যাওয়া হতো না।কারণ আব্বু যেহেতু বাড়িতে থাকতো না, ছুটি পেলেই আসতো। তাই আব্বু যখন আসতো তখনই মাছ ধরতাম।সকাল বেলা রোদ উঠলেই সবাই মাছ ধরতে যেতো। কেউ কেউ আবার শীতের সকালে রোদ উঠার আগেই নেমে যেত।আমি আবার মধ্য বেলায় নামতাম।কারণ তখন কড়া রোদে শীত পালাতো হাহাহা।
যাইহোক একদিন আমি মাছ ধরতে গেলাম। সময়টা শীতের শেষে।সেদিন আবার আমার কাজিনরা বেড়াতে এসেছিল। তাই তারাও গিয়েছে মাছ ধরতে।আসলে সেখানে মাছ ধরার বিষয়টা বেশি ভালো লাগতো। এর কারণ হলো পুকুরের কিনারায় হাত দিয়েই মাছ ধরা যেত।তখন কই,পুঁটি, খলশে মাছ ধরা যেত হাত দিয়ে।আর এটাই ছিল মজার বিষয়। আমরা কয়েকজন মূলত এইসব ছোট ছোট মাছগুলো ধরে আনন্দ করতেই যেতাম।এটা যেন একটা প্রতিযোগিতা ছিল।সবাই মিলে মাছ ধরা,কে কতটা পেল।
তবে যারা জাল ফেলতো সেই জালে উঠত বড় বড় দেশী মাছগুলো।শিং,মাগুর,ট্যাংরা, শোল। একেকটা মাছের সাইজ ছিল অনেক বড়।আমার আব্বুর জাল যেহেতু বড় ছিল তাই ছোট মাছগুলো ধরা না পড়লেও বড়সড় শোল মাছ ধরা পড়ত।আর আমরা ছোট ছোট মাছগুলো নিয়েই খুশি থাকতাম। মূলত সেই সময়টা ছিল আমাদের আনন্দের সময়। তবে একদিন একটা ভয়ংকর ঘটনা ঘটে আমার সাথে।এটা হলো সেদিন যেদিন আমি কাজিনদের সাথে নিয়ে গিয়েছিলাম।
মূলত এই ভয়ংকর ঘটনাটা ঘটলো আমার সাথেই। আমি একটা গাছের নিচ দিয়ে মাছ ধরছিলাম। তখন একপাশে আমি মাছ ধরতে গিয়ে বেশ অনেকখানি পাতা সহ মাটি উপর দিকে তুলতেই দেখি বেশ লম্বা লম্বা একটা কিছু হাতের মধ্যে ঝুলছে। ততক্ষণে আমার ভয়ে হাত কাঁপছিল। মনে হয়েছিল কোনো সাপ।কোন দিকে ছুড়ে ফেলেছি নিজেও জানিনা। ছুঁড়ে ফেলেই উপরের দিকে দিলাম দোড়। আর একটা চিৎকার তো দিয়েছিলামই। সবাই ভেবেছে কি না কি। তখন আমি চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলাম, আর মাছ ধরতে নামলাম না। পরে এই ঘটনাটা জানার পর সবাই হাসাহাসি করছিল।সেটা আসলেই সাপ ছিল নাকি কুঁচিয়া মাছ ছিল আমার জানা নেই। তবে আমি সাপ ভেবেই ভয়ে চিৎকার দিয়ে লাফিয়ে উঠলাম।তারপর অনেকদিন আর মাছ ধরতে যাইনি,হাহাহা।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
মোবাইল ও পোস্টের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | শৈশব স্মৃতি |
লোকেশন | ফেনী |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.