বাস্তবভিত্তিক গল্প||ভালোবাসা কোথায়? পর্ব-১
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
Source
আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো একটা গল্প।যেটা কিনা একটি বাস্তবভিত্তিক গল্প। আসলে গল্প পড়তে এবং লিখতে আমার বেশ ভালো লাগে। যদিও কোনো ক্রিয়েটিভ গল্প এখনো লেখা হয় নি। তবে বাস্তবভিত্তিক গল্প মাঝে মাঝেই আপনাদের সাথে শেয়ার করি। আজকের গল্পে শেয়ার করব একটা মেয়ের জীবনের কিছুটা অংশ। যেটা মনে পড়লে ভাবি জীবনে ভালোবাসা কোথায়?ভালোবাসা কয়জনের প্রতি আসে?যাইহোক শুরু করি তাহলে।
মেয়েটা ছিল ক্লাস নাইনে।তখন থেকেই সে প্রেমের নৌকায় ভাসছিলো।ক্লাসে কখনোই সে তার এমন রূপ প্রকাশ করেনি।কেউ জানতোই না এই মেয়েটা প্রেম করে।সবাই জানে সে অনেক ভালো একটা মেয়ে। যে কিনা কোনো খারাপ কাজে লিপ্ত না।প্রেম করা খারাপ সেটা বলছি না।মেয়েটা এমন ভাব করতো যে দুনিয়ার একমাত্র ভদ্র মেয়ে সে।প্রত্যেকটা স্যার তাকে খুব ভালো জানতো।মেয়েটা পরিবারে সবার বড় ৩বোনের মধ্যে।তার কোনো ভাই নেই। এভাবে ক্লাস নাইনের সময় অতিবাহিত হতে লাগলো।
হঠাৎ একদিন ক্লাসের সবাই নিশ্চুপ। আমি অসুস্থতার কারণে তার আগে কয়েকদিন যেতে পারিনি। সেদিন ক্লাসে গিয়েই দেখলাম স্যার ক্লাস শুরুর আগেই চলে এসেছে। তখন আমি একটু ইতস্তত হয়ে গেলাম।দেখলাম সেই মেয়েটার বাড়ির একটা মেয়েকে স্যার কিছু কথা জিজ্ঞেস করছিল। তখনও আমি কিছু বুঝি নাই। যাই হোক আমাকে অনুমতি দেয়ার পর আমি ক্লাসে ঢুকলাম। তখন অন্যদের কাছ থেকে শুনলাম বিস্তারিত। ঘটনাটা শুনে আমার মাথায় যেন বাজ পড়লো। আর এদিকে স্যারের মেজাজ অনেক বেশি গরম অবস্থায় ছিল।
মেয়েটা তার আগেরদিন সন্ধ্যা বেলায় একটা ছেলের বাড়িতে গিয়ে হাজির। ছেলেকে কল করলো এবং সে বলল তাকে এখনই বিয়ে করতে হবেন না হলে সে পুরো এলাকার মানুষকে ডাকবে।এদিকে ছেলেটা কিছুই জানতো না।মূলত মেয়েটার সাথে ছেলেটার কোনো কারণে ঝগড়া হয়েছিল।আর ঝগড়ার ভিত্তিতেই তাদের মাঝে কথা হচ্ছিল না। এইজন্য ওই মেয়েটা অনেক বেশি ক্ষেপে যায়। তাছাড়া মেয়েটা নাকি এই ছেলেটাকে অন্য কোন মেয়ের সাথে হাঁটতে দেখেছিল। আর এজন্যই মূলত মেয়েটা সেদিন হুট করেই কোন কিছু না জানিয়ে ছেলের বাড়ির সামনে হাজির হয়ে গেল।
তাদের মধ্যকার রিলেশন তখন এক বছরের মত।আর এর মাঝে এত ঘটনা ঘটে গেল যেটা আসলে অবিশ্বাস্য ছিল । আর সেদিন ছেলের মা এবং কাকিরা সবাই মিলে মেয়েটাকে নিজেদের ঘরে নিয়ে গেল। তারপর বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে তাকে বাড়ি পাঠানোর জন্য চেষ্টা করল। কিন্তু সে কোন ভাবেই বাড়িতে যেতে রাজি নয়। তখন ছেলেকে বিয়ে করেছে সেই রাতে।আর তখন থেকেই সে সংসার করা শুরু করেছে। তার বাবার বাড়িতে আর একদিনের জন্যও পা রাখেনি। আর এদিকে তার পড়ালেখা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আর আমাদের শিক্ষকরা অনেক বেশি কঠোর হয়ে গিয়েছে সেই মেয়েটার জন্য।
এরপর আরো কিছু ঘটনা ঘটেছে যেটা আজকের পর্বে শেয়ার করা সম্ভব নয়। তাই আপনাদের মাঝে অন্য দিন আবারো এই বাস্তবিক গল্পটা নিয়ে হাজির হব। আশা করি ভালো লাগবে আপনাদের।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
পোস্টের বিবরণ
ধরন | বাস্তবিক গল্প |
---|---|
ডিভাইস | Samsung Galaxy M12 |
লোকেশন | ফেনী |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আজ আপনি বাস্তব ভিত্তিক একটা ভালোবাসার গল্প আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর করে শেয়ার করেছেন। আসলে এরকম কিছু কিছু মানুষ রয়েছে উপরে উপরে এমন ভাব করে, যেন তারা ভাজা মাছ উল্টো করে খেতে পারে না। আর মেয়েটাও ঠিক ওরকমই ছিল। তবে শেষ পর্যায়ে মেয়েটা এরকম একটা কাজ করবে ভাবতেই পারিনি। মেয়েটা তো দেখছি রাতারাতি বিয়ে করে নিয়েছে ছেলেটাকে। এখন অপেক্ষায় থাকলাম পরবর্তী পর্বের জন্য।
পরবর্তী পর্বটা খুব শীগ্রই নিয়ে আসবো আপু।