অপমান হলো একটি তীর, যতই ভুলতে চাইবেন ততই হৃদয়ের গভীরে বিদ্ধ হবে।

in আমার বাংলা ব্লগ8 days ago

♥️আসসালামুআলাইকুম♥️

আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।

Minimalist Thank You Card _20240923_121219_0000.png

তীর শব্দটা ছোট হলেও অনেক বেশি বেদনাদায়ক। আসলে আমরা বিভিন্ন কথার পরিপ্রেক্ষিতে তীর শব্দটা ব্যবহার করে থাকি। কারণ এই তীর হলো এমন একটা জিনিস যেটা বুকের মাঝে হোক বা শরীরে যেখানে বিধে যায় সেখানে অনেক বেশী ক্ষত করে ফেলে। আর এই ক্ষত কখনো সারে না। সব সময় মনে থেকে যায়। আর ঠিক তেমনি অপমান হল একটা তীরের মত যেটা হৃদয়ে এমন ভাবে গেঁথে যায় সেটা হয়তোবা কোনভাবেই সারানো সম্ভব হয় না।

আমরা আমাদের ব্যক্তি জীবন বা সামাজিক জীবন যেটাই বলি না কেন বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নভাবেই উপস্থাপিত হই। তবে যেখানে সম্মানের জায়গা সেখানে যদি অপমান পেতে হয় তাহলে সেই জায়গায় থেকে আসলে কোন ভাবেই কোন কিছু ভোলা সম্ভব হয় না। হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন যেখানে সম্মানে জায়গা সেখানেই মূলত অপমান বোধটা জাগ্রত হয়। আর যে জায়গাটা স্নেহের সেখানে অপমান অনেকটা আশীর্বাদের মতোই হয়।

বিষয়টা এমন হবে যে আপনি বড়দের কাছে অনেকটাই আপন আর স্নেহের কিন্তু আপনাকে যদি কেউ কোনোভাবে অপমান করে তখন সেটা আপনার শিক্ষা হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। আপনাকে বরং সেটা অপমান নয় আপনাকে সেটাকে পুঁজি করে নিজের জীবনটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সেটাকে যদি আপনি অপমান ভেবে নিজে ক্ষুদ্ধ হয়ে থাকেন তাহলে কখনোই আপনি জীবনে এগোতে পারবেন না। আমাদের জীবনে বাবা মায়েরা আমাদের অনেক ভাবে উৎসাহিত করে কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের আচরণের কারণেও তাদের থেকে পাওয়া ব্যবহার আমাদের কাছে অপমান মনে হয়। কিন্তু আসলে সেটা আমাদের জীবনের জন্য একটা মূল পুঁজি ছিল।

কিন্তু আপনি যেখানে সম্মান পাওয়ার যোগ্য, যেখানে আপনি সম্মানিত ব্যক্তি সেখানে যদি আপনাকে কেউ অপমান করে তাহলে অবশ্যই সেই অপমান আপনার মনের মাঝে ক্ষত হয়ে দাঁড়াবে। আর এই ক্ষত কখনোই সারানো সম্ভব নয়। আপনি যতই এই অপমান ভুলতে চাইবেন ততই আপনার মনে এটা আরো বেশি করে গেঁথে যাবে। আসলে ভালো কিছু মানুষের মনে থাকুক বা না থাকুক যেটা খারাপ হয় নিজের সাথে সেটা সবসময় মানুষের মন থাকে। আর এটাই হলো একমাত্র সত্য কথা।

তবে এই অপমান গুলো মনের মাঝে ক্ষত হয়ে থাকলেও গায়ে মাখানো যাবে না। মনেই স্থান দিতে হবে। কারণ এই অপমানের শোধ আপনি না তুলে বরং আপনি নিজেকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যান যাতে করে সে অপমানকারী ব্যক্তি আপনাকে দেখে নিজে নিজেই অপমান বোধ করে।অপমান ভোলার নয়, অপমান মনের মাঝে গেঁথে যায়।তাই বোধবুদ্ধি সম্পন্ন ব্যক্তি কখনো সম্মানের জায়গাটাকে অপমানের জায়গা করে তোলে না।তারা সম্মান করতে জানেনা বা সম্মান কি সেটাই জানে না বিধায় এমন ঘৃণ্য কাজ করে।

সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

♥️আল্লাহ হাফেজ♥️

images (4).png

20221126_200743.jpg

আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

images (4).png

💦

💦 BRISTY 💦

💦

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 8 days ago 

ঠিক বলেছেন আপু অপমানকারীকে অপমান না করে নিজে যোগ্য হয়ে দেখানো উচিত। তাহলে সে আরো বেশি অপমানিত হবে। কিন্তু অনেকেই অপমান সহ্য করতে না পেরে প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে ওঠে। তা একেবারেই ঠিক নয়। ভালো লাগলো আপনার লেখাটি পড়ে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

 8 days ago 

অনেক সুন্দর সুন্দর কথা লিখেছেন আপু। পড়ে আমি তো মুগ্ধ হয়ে গেলাম। তবে কেউ যদি অপমান করে সেটা বারবার মনে হতে থাকে এমনকি সেই মানুষটাকে দেখলে আরো বেশি মনে হয়। তবে আমাদের উচিত অপমান টাকে নিজের শক্তি হিসেবে ব্যবহার করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 8 days ago 

ঠিক বলেছেন আপু, এই অপমান গুলোকে জীবনে পুজি করে এগিয়ে যেতে হবে। অপমান থেকে জীবনে অনেক শিক্ষাই অর্জন করা যায়। অপমান সহ্য করতে না পেরে প্রতিশোধ পরায়ন হওয়াটা আসলেই ঠিক নয়। বাস্তব কথা লিখেছেন পোস্টে। ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে। ধন্যবাদ আপু।

 8 days ago 

আমরা সবকিছু ভোলার চেষ্টা করলে ভুলতে পারবো। কিন্তু কখনো কারো করা অপমান ভুলতে চাইলে সেটা ভুলতে পারবো না। বরং সেই অপমানের আঘাতটা আমরা আরো বেশি করে উপলব্ধি করতে পারবো। ধারালো একটা অস্ত্র এতটা কষ্ট দেয় না, যতটা মানুষের করা অপমান আমাদেরকে কষ্ট দেয়। আসলে অপমান এরকমই হয়ে থাকে। আজ আপনি এই বিষয়টা নিয়ে সুন্দর একটা লেখা লিখেছেন, দেখেই খুব ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর ছিল পুরোটা।

 8 days ago 

ঠিক বলেছেন আপু অপমান হলো অনেকটা তীরের মতো।ছোট শব্দ হলেও খুব যন্ত্রণা দেয়। যদি অপমানটা আমাদের কাজের জায়গায় বা সম্মানের জায়গা থেকে আসে।তাহলে সেই অপমান টা একদম হৃদয়ে গেঁথে বসে।সহজেই ভুলা যায় না।আর যদি বড় দের থেকে আমরা কখনও অপমানিত হয় তাহলে সেটা আশীর্বাদ হিসেবে নেই।দারুন কিছু কথা তুলে ধরেছেন আপু।পড়ে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 8 days ago 

আসলে আপনার কথার সাথে আমি কিন্তু পুরোপুরি ভাবেই একমাত্র। অপমান আসলেই একটা তীরের মত। আমরা যতই ভুলতে চাইবো না কেন, এটা ততই আমাদের হৃদয়ের ভিতরে বিদ্ধ হবে। আমাদেরকে করা অপমান আমরা কখনো ভুলতে পারি না চাইলেও। ভুলতে চাইলে এটা হৃদয়ের ভিতরে আরো বেশি আঘাত দিয়ে থাকে। তবে আমাদেরকে করা সেই অপমান এর জবাব সাথে সাথে না দিয়ে কাজের মাধ্যমে দেওয়া উচিত। এমন কাজ করা উচিত, যেন আমাদেরকে করা অপমান এর জন্য তারা নিজেরাই অনুতপ্ত হয়।

 8 days ago 

একেবারে বাস্তব কথা বলেছেন আপু, অপমান হলো একটি তীর, যতোই ভুলতে চাইবেন ততোই হৃদয়ের গভীরে বিদ্ধ হবে। আসলে জীবনের অনেক কিছু ভুলে যাওয়া যায় তবে কখনো অপমানের কথা ভুলে যাওয়া যায় না। অনেকেই অপমান সহ্য করতে না পেরে জীবন পর্যন্ত দিয়ে দেয়। অপমানিত না হয়ে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করা উত্তম। অন্যকে অপমান করা কোনভাবে কাম্য নয়। ধন্যবাদ আপনাকে আপু পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 63312.28
ETH 2601.44
USDT 1.00
SBD 2.79